![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
বিগত দুই দশকের আন্তর্জাতিক নীতি ও আঞ্চলিক কৌশল পাকিস্তানের পক্ষে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ১ / ১১-এর এবং তৎপরবর্তী আফগান যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলু পাকিস্তানকে একচেটিয়াভাবে ‘গ্লোবাল ইসলামিক সন্ত্রাসের (ডোনাল্ড ট্রাম্পের শব্দ ব্যবহার করার) লেন্সের মাধ্যমে দেখতে শুরু করে। বিষয়টি আরও খারাপ হওয়া শুরু করে যখন পাকিস্থানকে আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হয়েছিল। যাতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং ব্যায় করতে হয়েছিল বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।এতে পাকিস্থানের অর্থনীতি প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায়।বিষয়টি পাকিস্থানের জন্য আরো খারাপ হয়ে উঠে যখন ভারতের নেতৃত্বে পাকিস্থানের শত্রুরা ওয়াশিংটনে লবিং করতে শুরু করে।লবিস্টেরা ওয়াশিংটনকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয় যে পাকিস্থানকে আর দক্ষিন এশিয়া বা সাবকন্টিনেন্ট নীতিতে দেখা যাবে না।পাকিস্থানকে দেখতে হবে আফগান নীতিতে।
ফলস্বরূপ, ওয়াশিংটনে মূলত ভারতের তদবিরের কারণে ২০০৮ সালে পাকিস্থানের বিষয়ে মার্কিন নীতিতে একটি টেকটনিক পরিবর্তন হয়েছিল, যখন এই অঞ্চলে রাষ্ট্রপতি ওবামার বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড হলব্রুক আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্তানকে একই পলিসিতে রেখে "আফ-পাক"(Af-Pak) শব্দটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন, আফগানিস্থানের সাথে পাকিস্থানকে একই রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় একই পলিসি প্রনয়ন করেছিলেন।এটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে পাকিস্তানের জন্য চরম আঘাত ছিল।
তবে পাকিস্থানের জন্য এই সেটব্যাক থেকেও বড় ধাক্কা ছিল পাকিস্থান বিরুধী লবিঙয়ে ভারতের বিজয়। এবং বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের কারখানা হিসাবে পাকিস্তানকে চিত্রিত করার (মিথ্যা) আখ্যান।আরও বড় কথা,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘Af-Pak’ নীতি প্রবর্তনের সাথে সাথে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তির চারণভূমির সন্ধানে সফলভাবে পাকিস্তান থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল।মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের কাছে দক্ষিন এশিয়ার নীতি শুধু ভারত,পাকিস্থান,বাংলাদেশের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ থাকলো না।তারা এটাকে আফগানিস্থান এবং মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা অবধী বিস্তৃত করলো।তাদের কাছে এই পুরু অঞ্চল পরিগনিত হল ট্রাবল রিজন এবং সন্ত্রাসের চারনভুমি হিসেবে।প্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশের একটা অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যাবস্থা কায়েম এই পলিসির বাস্তবায়ন।
এর পরিবর্তে ভারত স্থান পেল পেন্টাগনের চতুর্ভুজীয় সুরক্ষা সংলাপের অংশে যেটা Quad নামে পরিচিত।এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৭ সালে এবং এর সদস্য হল অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।এই Quad এর উদ্ধেশ্য ছিল প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তার করা।সত্যি কথা বলতে হলে এটার জন্য ভারতকে এককভাবে দোষারোপ করা উচিতও নয়।ভারতের এই পলিসতে যাবতীয় রসদ যুগিয়েছিল পারভেজ মোশারফ এবং তৎপররবর্তি সরকারগুলু।পাকিস্থান তখনো তাঁর পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করার থেকেও বেশি যে কাজটি করেছিল সেটি হল সভ্যতার দন্দে একটা ভারসাম্য অবস্থা খোঁজার চেষ্টা এবং দুনিয়ার সামনে নিজেকে মধ্যপন্থী দেশ হিসেবে পরিচয় করানো।পারভেজ মোশাররফের পরের বছরগুলিতে, পিপিপি এবং পিএমএল (এন) সরকারগুলি তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে একেবারে লেজেগুবড়ে ছিল। জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে ওয়াশিংটনের লবিস্টদের ব্যক্তিগত কারিশমা প্রচারের জন্য কাজে লাগানো শাসকদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়?জেনারেল কিয়ানি এর বিপরীতে গিয়ে তখনো ঐতিহাসিক প্রবণতা রক্ষার জন্য "ভাল তালিবান" এবং "খারাপ তালেবান" মধ্যে বিভাজন রেখা টেনেছিলেন।কারন তিনি হয়ত বুঝেছিলেন তালেবানদের হাতে আফগানিস্থানের ভবিষ্যৎ রক্ষিত।এবং তালেবান ছাড়া আফগানিস্থানের কতৃত্ব মার্কিন এবং ভারত থেকে বের করা যাবে না।যেটা রাজনৈতিক নেতারা বুঝতে ব্যার্থ হয়েছিলেন।এসব কিছুর পরেই জেনারেল রাহেল শরিফের আমলে একটা গুনগত পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় APS পেশোয়ার ঘটনার পরেই।যেখানে পাকিস্থান সামরিক বাহিনী সফলভাবে সন্ত্রাসবিরুধী অভিযান পরিচালনা করেছিল।এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্থান,ভারতের কাছে কতটুকুন জায়গা হারিয়েছিল সেই বিষয়ে এক নতুন উপলব্দি আসে।এরপর সেই জায়গা পুনরুদ্ধারের কৌশল প্রনয়ন করা হয় নতুন আঞ্চলিক স্ট্র্যাটেজি বিশেষত চীনের সহায়তায় সিপিইসি প্রকল্পের মাধ্যমে।
পাকিস্থান যখন নতুন পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করছিল তখন ভারত তাঁর বৈশ্বিক এজেন্ডাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যায়।বিশেষত এটি এই অঞ্চলে নিজেকে আমেরিকার কৌশলগত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।আরো সহজ ভাবে বললে এই অঞ্চলে নিজেকে মার্কিনীদের কাছে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা।এবং মার্কিনীদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভারত আফগানিস্থান,ভারত মহাসাগর এবং তার বাইরেও নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছে।ভারতের পক্ষে সবচেয়ে কনক্রিট সিদ্ধন্তটি আসে ৩০শে মে ২০১৮ সালে।যখন তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেন ইন্দো প্যাসিফিক কমান্ড।এর মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসগরে ভারতকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয় যেটার উদ্ধেশ্য হল চীনকে কাউন্টার করা।এটি ওয়াশিংটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি পরিবর্তন ছিল।দিল্লী পেন্টাগনকে নিশ্চিত করেছিল যে এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করবে।পাশাপাশি এই অঞ্চলজুড়ে চীনের অর্থনৈতিক স্বার্থকে অস্থিতিশীল করে তুলবে -বিশেষত সিপিইসি প্রকল্পটিকে। এভাবে গিলগিট-বালতিস্তানে অনুপ্রবেশ এবং সিপিসিআই সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করার হুমকি দেয় ভারত।
ভারত যে প্রতিশ্রুতি পেন্টাগনকে দিয়েছিল সেটা কি সে রক্ষা করতে পারছে?ভারত কি এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী হয়ে উঠা ঠেকাতে পেরেছে?ভারত দাবি করেছিল এটা তারা করতে পারবে।
তবে গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের অক্ষমতা ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।প্যানগং হ্রদ এবং গ্যালওয়ান উপত্যকায় গুরুত্বপূর্ণ ভ্যানটেজ পয়েন্ট দাবি করে চীন যেমন ভারত-অধিকৃত লাদাখের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে, তখনও ভারতের পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধ দেখা যায়নি। এমনকি চীনকে চ্যালেঞ্জ করার সাহসও দেখায়নি।শেষ অবধি চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে তাদের ৩০ এর অধিক সৈন্য হারিয়েছে।১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম চীনের হাতে ভারত সৈন্য হারালো।ভারত আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান চাইলে চীন লাদাখের যে অংশ দখলে নিয়েছে সেটা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করছে।শুধু তাই নয়, চীনা পদক্ষেপে উত্সাহিত, নেপালও ভারতীয় সীমানায় সীমান্ত দাবি করেছে এবং নাগাল্যান্ড এর পূর্ব অঞ্চলগুলি নেপালের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি ভারতের জন্য আরো খারাপ হয়ে উঠে যখন চীন ভারত থেকে কোন সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই ভারত মহাসাগর (গোয়াদর সহ) জুড়ে তাদের প্রভাব (সামরিক উপস্থিতি) প্রসারিত করে চলেছে। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের নিকটবর্তী অনেক অঞ্চলে (উদাঃ শ্রীলঙ্কায়) যেখানে চীন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করেছে, যা ভারতীয় নৌবাহিনীকে অবরোধে মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
এখন জানার বিষয় তাহলে যখন আসল পরিস্থিতি এটাই তখন ইন্দো প্যাসিফিক ধারনাটির কি হল?ওয়াশিংটন এবং বিশ্বজুড়ে পরিচিত সিনিয়র পলিসি সার্কেলে এখন জিজ্ঞাস্য বিষয় হল ভারত যদি চীন থেকে নিজের (দাবি করা) অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে না পারে তাহলে প্রশান্ত মহাসাগরে (চীনের বিরুদ্ধে) ভারত কী সুবিধা দিতে পারে?যদি ভারতের সেনাবাহিনী লাদাখে চীনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি না হতে পারে তবে ভারত কি সত্যিই দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণ করতে পারবে? নাকি পারবে ভারত মহাসাগরের গভীর নীল জলের মধ্যে যুদ্ধ জাহাজ পাঠাতে? সিকিমের উপসাগরীয় স্থানগুলিতে কি সিইপিসি রুটগুলু কি সে রুখতে পারবে?ভারত যদি চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে - বিশেষত এখন যখন মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভারতকে তাহলে - ‘ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলটি প্রনয়নের করার উদ্দেশ্য কী? এই পরিস্থিতিতে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটা লাইয়াবিলিটি।ভারত কেবল চীনকেই মোকাবেলা করতে পারবে না, বরং এটি এই অঞ্চলের শক্তিশালী পশ্চিম জোটগুলির মিথকে ধ্বংস করতে সহায়তা করতে পারে।
ভারতের ব্লাফটা ঠিক এখানেই।চীন একটা বুলেট খরচ না করেই(ভারতীয় সামরিক বাহিনীর স্টেটমেন্ট) ভারতকে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিয়েছে।হতে পারে ভারত দক্ষিন এশিয়ার উন্নয়নশীল অর্থনীতি কিন্তু ইন্দো –প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর যোগ্যতা ভারতের নেই।এটা আরেকবার প্রমানিত হল।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখোনো পাকিস্তান বলতে বলতে গলা শুকিয়ে ফেলছেন?
লজ্জা হওয়া উচিত।
করোনা টিকা কিনতে অর্থ যোগার করতে ভিক্কার থালা নিয়ে বের হয়েছে ইমিরান।
ভাংগারিওয়ালারাও কিনবে না অকেজো পারমানবিক বোমা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৩
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: যদি পোস্টের প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে পারেন তাহলে করবেন,না হয় দূরে থাকার অনুরোধ রইলো।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বলা হয়ে থাকে যে 'প্রত্যেক দেশের একটা সেনাবাহিনী থাকে আর পৃথিবীতে একটা দেশ আছে যে দেশের সেনাবাহিনীর একটা দেশ আছে'। কোন দেশের কথা বলছি আশা করি আপনি বুঝেছেন। পাকিস্তানের অনেক নেতা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে তাদের পিছিয়ে থাকার তুলনা করে। সামন্তবাদি চিন্তাধারা পরিহার না করলে পাকিস্তান পিছনের দিকেই যেতে থাকবে। তাদের দোস্ত সৌদিআরব কোন কাজে আসবে না। কারণ সৌদি আরব নিজেই সামনে অর্থনৈতিক সমস্যায় পরতে পারে যদি সত্যি সত্যি তেলের গুরুত্ব কমে যায়। এই ব্যাপারে আমাদের একজন বিজ্ঞ, বদমেজাজি, সবজান্তা প্রকৃতির ব্লগার একটি ব্লগ লিখেছেন। ওনার কথা যদি সত্য হয় তাহলে সৌদি আরবের খবর আছে।
আফগানিস্তান যে পাকিস্তানের কি কল্যাণ করছে এটা আমার মাথায় আসে না।
অ্যামেরিকা অস্ত্রে যত শক্তিশালী হোক না কেন বর্তমান পৃথিবী শাসিত হয় অর্থনীতি আর রাজনৈতিক কৌশলের দ্বারা। এই দুই ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা এখন ভালো করছে না। অস্ত্র বিক্রির টাকা সাধারণ আমেরিকানরা পায় না। তাই যুদ্ধ বাধিয়ে সাধারণ আমেরিকানদের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমেরিকাকে এখন তার উৎপাদনখাতকে আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করতে হবে। সেবা থেকে তারা যে আয় এখন করছে সামনে সেগুলি অন্য অনেক দেশের দখলে চলে যাবে। মেধাবী মানুষের সংখ্যা অন্যান্য দেশেও বাড়ছে এটা আমেরিকানদের বুঝতে হবে। তবে আগামী অন্তত ৩০ থেকে ৫০ বছর অ্যামেরিকা সময় পাবে। যদি তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাহলে তারা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। তবে জনসংখ্যা একটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। ইউরোপের বহুদেশের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ভারতের নেতাদের বুদ্ধি চিকন আর পাকিস্তানের নেতাদের বুদ্ধি মোটা ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানকে তারা ভালোভাবে সামলাতে পারছে।
ভারতের মত একটি সমস্যাসঙ্কুল, দরিদ্র দেশের চীনের সাথে মারামারি না করে কূটনীতি প্রয়োগ করা উচিত। ভারত নিজেই হাজার সমস্যায় জর্জরিত সে কিভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলা খেলবে। অ্যামেরিকা ভারতকে যতই সমর্থন দিক না কেন তাদের মনে রাখা উচিত যে অ্যামেরিকা যার বন্ধু তার শত্রুর প্রয়োজন থাকে না। পাকিস্তান তার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় ইতিমধ্যে এই শিক্ষা গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার নেতাদের যদি ঘটে ভালো কোন বুদ্ধি থাকত তাহলে তাদের উচিত হতো প্রথমে ভারত আর পাকিস্তানের বিরোধ নিরসন। এটা করা না গেলে এই অঞ্চলে অ্যামেরিকা, চীন, রাশিয়া এরা শুধুই ছড়ি ঘোরাবে কিন্তু এই অঞ্চলের দেশগুলির কোন লাভ হবে না।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৪
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: পাকিস্থান রাষ্ট্রের সমস্যা তার সামন্তবাদি চিন্তায় নয় তার মুল সমস্যা হল পাকিস্থান প্রতিষ্ঠার পর সেখানে অভিজাত তন্ত্র হিসেবে ধরে নিলেই গনতন্ত্রের বিকাশ হয়নি।জন্মের পর থেকেই সেখানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতার অংশীদার হয়ে গেছে।এটা হয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা।জন্মের পর থেকে কেজিবির হুমকি এরপর ভাংগন এরপর আফগানিস্থানের মত ভয়াবহ যুদ্ধে জড়ানো।এসব কারনে সেখানে একটা মোল্লাতন্ত্র ফয়দা হয়েছে।যেটা ইসলামের জন্য যেমন হুমকি,তেমন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্থানের অস্তিত্বের জন্য।এরপরেও তার যতটুকু উন্নতি হয়েছে সেই ধারাও যদি তথাকথিত গণতান্ত্রিক উপায়ে কন্টিনিউ করতে পারে তাহলে শক্তির জানান দিতে পারবে।
ভারত পাকিস্থান দন্ধ সমাধানের মত কোন বিষয় না।পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এটা এখন বেড়েই চলবে।কারন বিংশ শতকের বিশ্ব মার্কিন হেজিমনির জন্য গুরুত্বপুর্ন ছিল ইউরোপ।আর একবিংশ শতকে মার্কিন শতকে মার্কিন হেজিমনির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন জায়গা হল দক্ষিন পুর্ব এশিয়া এবং দক্ষিন এশিয়া।এই দুই অঞ্চলে যে আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে সেই দুনিয়ায় আধিপত্য বজায় রাখবে।এই পরিস্থিতি পাকিস্থানের জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা দিবে যদি সামরিক বাহিনী এবং মোল্লাতন্ত্র থেকে নিস্তার না পায়।জাস্ট একটা উদাহরন দেই,পাকিস্থান ভাঙ্গার বা বাংলাদেশ হিসেবে আমাদের জন্ম নেওয়ার পিছনের মুল কারিগর ছিল সৌভিয়েত রাশিয়া/কেজিবি।ভারতের সাথে তার সম্পর্ক ঐতিহাসিক।পাকিস্থান জন্মের পর থেকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিল শত্রু ভাবাপন্ন।সেই রাশিয়ার সাথে ধীরে ধীরে পাকিস্থানের সম্পর্ক উষ্ণ হচ্ছে কারন ভারত আস্তে আস্তে আমেরিকার পেটে ডুকে যাচ্ছে।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাকিস্তানে সামন্তবাদ সম্পর্কে এই লেখাটা পড়তে পারেন পাকিস্তানে সামন্তবাদ পাকিস্তানের ক্ষমতায় তিনটা শ্রেণী জড়িত ১। সেনা বাহিনী ২। ধর্মীয় নেতা ৩। স্থানীয় সামন্ত পরিবারের লোকেরা। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে এই জমিদার শ্রেণীর লোকদের অনেক প্রভাব। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশ আসে এইসব পরিবার থেকে। রাজনৈতিক নেতাদেরও অধিকাংশ এইসব সামন্ত পরিবারের সদস্য। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় জুলফিকার আলী ভুটটো, ইউসুফ রাজা জিলানি, জারদারি, শাহ মেহমুদ কোরেশী। পাকিস্তানের দুই তৃতীয়াংশ কৃষি জমির মালিক মাত্র ৫% পরিবার। ৫০০০ পরিবার পুরো দেশের জমি নিয়ন্ত্রণ করে। পুঁজিবাদ আর সামন্ততন্ত্রের একটি হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি শাসিত হয়। গত কয়েক দশকের সামরিক শাসনের সময় নাম মাত্র মূল্যে গরীবের জমি দখলে নিয়েছে কিছু প্রভাবশালী সামন্ত পরিবার। উদাহরণ হিসাবে এই লেখায় বলা হয়েছে জাহাঙ্গির তারিনের নাম যে ইমরান খানের দলের লোক এবং এভাবে হাজার হাজার একর জমি ও সুগার মিল কিনে নিয়েছে সামরিক একনায়কদের সহায়তায়। এই নব্য জমিদারদের হাতে থাকে কৃষকদের সেচের পানি, সার, ট্রাক্টর, পারমিট, কৃষি ঋণ। এই ক্ষমতার কারণে স্থানীয় রাজস্ব, পুলিশ, আদালতকে তারা প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষভাবে এখনও সিন্ধ, বেলুচিস্তান ও দক্ষিণ পাঞ্জাবে এই সামন্তবাদের করাল প্রভাব দেখা যায় যাকে এই লেখায় আধুনিক দাসত্বের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা রাজনীতির পাশাপাশি ধর্মীয় ক্ষেত্রকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও এই হাইব্রিড পদ্ধতির একটা অংশ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রচুর পরিমান জমি দিয়ে দেয়া হয় নামমাত্র মূল্যে। শুধু পাঞ্জাবেই ৬৮০০০ একর জমির নিয়ন্ত্রণ আছে সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে। কৃষি শ্রমিকদের ৮০% এর নিজেদের ভিটে বাড়ি নাই। এরা জমিদারদের দয়ায় থাকে। তাই সামরিক বাহিনী ছাড়াও এই সামন্তবাদি জমিদাররা দেশের উন্নয়নের একটা বড় বাধা। পাকিস্তানকে অনেকে এখন ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে। পাকিস্তানের লোক এখন বাংলাদেশের অগ্রগতির সাথে তাদের তুলনা করে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: আমি জানিনা কে লিখেছেন।তবে যিনি লিখেছেন তিনি গুলিয়ে ফেলেছেন।পাকিস্থানি সমাজ ব্যাবস্থা প্রায় গোত্র কেন্দ্রিক।আপনি যদি আজকের লিবিয়ার দিকে তাকান তাহলে সেটা বুঝতে পারবেন।জ্বি এটা সত্য যে সেখানে অভিজাত শ্রেনি অনেক শক্তিশালী,ঠিক আমাদের মত।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাশিয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের স্বার্থের কারনেই অ্যামেরিকা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছিল। ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাংলাদেশকে রাশিয়া সাহায্য করেছে শেষের দিকে। কিন্তু তার মানে এই না যে বাংলাদেশের জন্ম ও পাকিস্তান ভাঙার মূল কারিগর ছিল রাশিয়ার কেজিবি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কৃতিত্ব রাশিয়াকে দেয়া যায় না। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই বাঙালিরা বুঝতে পারে যে পশ্চিমের সাথে থাকা সম্ভব হবে না। পাকিস্তানিদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও শোষণ হোল বাংলাদেশের স্বাধীনতার কারণ। বঙ্গবন্ধুকে ছয় দফা অনুযায়ী দেশ চালাতে দিলে পাকিস্তান ভাংতো না। রাশিয়া বা ভারত কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতার কারিগর না। এই দেশ দুইটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে এটা সত্যি কথা। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার কৃতিত্ব যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, শহিদ হয়েছেন ও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন তাদের। এটা অন্য কাউকে দেয়া যাবে না।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: এই বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা।শুধু একটুকু বলবো দয়া করে কেজিবির সেই সময়ের ডকুমেন্টস দেখুন।বিশেষ সেই সময় ভারতে দায়িত্ব পালন করা কেজিবি অফিসার ইউরি বেজমনেভের ইন্টার্ভিউ দেখুন।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য হজম করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৭
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: সেটা প্রাসঙ্গিক হলে ভালো হয়।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার লেখা অনেকটা বায়াসড বা একপেশে। পাকিস্তান কি পরিমান সামন্ততান্ত্রিক রাষ্ট্র তা আপনি সেখানকার সমাজব্যবস্থা নিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন। পাকিস্তান ধ্বংস হওয়ার পিছনে যতটা না বহিঃবিশ্বের অবদান আছে তার চাইতে বেশি কাজ করেছে তাদের সামরিক ও বেসামরিক আমলাচক্রের চরম দুর্নীতি। এরাই লুটপাটের প্রয়োজনে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে তার দেশে বসে উগ্রধর্ম গোষ্ঠীগুলোকে অপারেট করতে দিয়েছে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০২
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: আপনি হয় এই লেখাটা পড়েননি না বুজেননি।এই লেখায় পাকিস্থানের অভ্যন্তরিন ব্যাবস্থা নিয়ে তেমন কিছুই বলা হয়নি।
৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার প্রথম তিন প্যারাই পাকিস্তান নিয়ে আলোচনা করেছেন, পাকিস্থানের দুর্নীতিবাজ সামরিকবাহিনীর তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী নাটকের কথা আলোচনা করেছেন - অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনার বাকি থাকলো কি ?
পোস্ট দেয়ার সাথে সাথে মন্তব্য সহ্য করার মতো ক্ষমতা থাকায় প্রয়োজন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৫
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: ভাই এটা ওপেন প্লাটফর্ম।এখানে সবাই মন্তব্য করতে পারে।কেউ একজন কিছু লিখা মানে সে সব জানে এমন নয়।আমি বিশ্বাস করি এখানে অনেকেই আছেন যাদের জানার লেভেলের ধারে কাছেও আমার জানা শুনা নেই।সো অন্যের মন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানা যায়।এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা।তবে সেই মন্তব্য যদি হয় সাব্জেক্ট রিলেটেড।আপনার কাছে যেটা নাটক সেটা আম্র দৃষ্টিতে বাস্তবতা।আফগানিস্থানকে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদীদের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরুধে যুদ্ধে যে রাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সাফার করেছে সেটা হল পাকিস্থান।এখানে তাদের পুঁজিপতি এবং রাষ্ট্র প্রধানদের ভুমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।এই কথা আমি মুল লেখায়ও লিখেছি।এর বাইরে পাকিস্থানের আভ্যন্তরীণ কোন বিষয়ে আমি কোন আলোচনা করি নাই।মন্তব্য সহ্য করার ক্ষমতা আছে বলেই লিখি।কারন এটা আমার বিশ্বাস যে,সবার চিন্তা বা বলা এক রকম হয় না।এটা প্রাকৃতিক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪১
সাসুম বলেছেন: ভারত একটা বিশাল গেম খেলার ট্রাই করেছিল পাকিস্তান স্টাইলে। নিজের ঘর ঠিক না করে মসজিদে বাতি দেয়ার জন্য। অথচ তাদের চোখের সামনে সব চেয়ে বড় উদাহরন ছিল চীন। চীনে আগে নিজের ঘর ঠিক করেছে। তাদের ইকোনমির সবচেয়ে স্টেবল অবস্থায় এনেছে। নিজের দেশকে একাধারে উৎপাদনকারী প্লাস ভোক্তা দুই ভাবেই কাজে লাগিয়েছে। মানুষ কে দারিদ্রতা থেকে বের করে এনেছে। তারপর তার বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তারে মন দিয়েছে।
ভারত এর লক্ষ্য এক্টাই -কি করে পাকিস্তানের লেজে পা দেয়া যায়। তাদের মাথা য় এটা আসে নাই, যেখানে তাদের কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে, লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রতি বছর সুইসাইড করে , এখন যেখানে তাদের পুরা রাজধানী অবরোধ করে রেখেছে গরীব কৃষক রা, সেখানে তাদের এইসব মাতব্বরি শোভা পায়না।
ভারত যদি এখন যেভাবে প্রভাব বিস্তার এর কাজ করছে এটা এখন না করে, আগে তাদের নিজেদের ঘর ঠিক করার দিকে নজর দিতো, যদি আগে দেশের ইকোনমি ঠিক করার কাজে নজর দিত , তারপর প্রভাব বিস্তার হোক আর পাইক্কা দের নামে অপপ্রচার হোক যা ইচ্ছে তাই করত তাহলে বিশ্ব মন্ডলে তাদের প্রভাব আর নাম দুইটাই বাড়ত।
এখন ভারত এর অবস্থা, পড়নে আন্ডার ওয়ার নাই, গলায় টাই এর পিন নিয়ে টানাটানি।
চীন একটা বুলেট খরচ না করেও যেভাবে পুরা দুনিয়ার উপর শুধুমাত্র ইকোনমিকাল স্টাবিলিটি দিয়ে প্রভাব বজার রাখতে পেরেছে সেটা ভারত ও পারত যদি না মোতিজির গেরুয়া স্বপ্ন এর পরিবর্তে সনির্ভর ভারত এর স্বপ্ন দেখত। যাইহোক, আমাদের যাই লাউ তাই কদু। আমরা হইলা গরিবের বউ, সবাই একটু আধটু টিপে দেখবে। ভারত পানিতে মারবে, বুলেটে মারবে আবার পিয়াজেও মারবে। ছাগল জাতি দুই ভাগে হয়ে লড়াই করবে- এক ভাগ র কে দেখবে আব্বা হিসেবে আরেক ভাগ আই এস আই কে দেখবে আব্বা হিসেবে।
আমাদের উগান্ডার অবস্থা আরো খারাপ হবে। দুই দিন পর, আমাদের কে আফ-পাক-বাংলা নামে একই ব্রাকেটে ডাকবে সবাই। আমাদের কে লিবিয়া, সিরিয়া, নাইজেরিয়া , সোমালিয়া লেভেলে দেখবে। চোর ডাকাত এর দেশে পরিনত হয়েছি আম্ন্রা।
এটাই আমাদের পরিচয় হয়ে দাঁড়াবে।
আপাতত দুনিয়ার কারাপশান লিস্টে ১২ তম আমরা এই বছর। সুভানল্লাহ