![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
"নিগ্রোদের উপর বোমা ফেলার অধিকার আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে - ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ, ১৯৩২।
David Lloyd George, cited in Mark Curtis, The Great Deception, 1998, p.135.
মানবধিকার লঙ্গনের ঐতিহাসিক সত্যগুলু মিডিয়া আমাদের বলে না বা এগুলু বললে তাদের অতীত ইতিহাস মানুষ জানবে না সেটা তারা চাইনা।
তারা কলম্বাসকে একজন অভিযাত্রী হিসেবে স্মরণ করে এবং দুনিয়ার সামনে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেছে,কিন্তু তারা এটা বলতে ব্যর্থ যে তার যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল লুণ্ঠন, ট্রান্স-আটলান্টিক ক্রীতদাস বাণিজ্য এবং হাইতির জনগণের গনহত্যা শুরু করতে সাহায্য করা। ব্রিটেনের মানবাধিকার রেকর্ড ভয়াবহ। ব্রিটেনের কিছু বিখ্যাত সমুদ্রযাত্রী, যেমন স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক আসলে জলদস্যু ছিলেন(লক্ষ্য করুন একজন অপরাধী হওয়া আপনার সম্মান পাওয়ার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে না যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপনার অপরাধ সংঘটিত হয়)। অভিযাত্রী হেনরি স্ট্যানলি বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডকে কঙ্গোর জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেন, যাতে তিনি তাদের রাবার চুরি করতে পারেন। রাজা লিওপোল্ড স্থানীয় জনগনের হাত কেটে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। স্ট্যানলির অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল স্থানীয় নেতাদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি করানো যা তারা বুঝতেও পারতো না। বাণিজ্য এখানে মানবাধিকারের চেয়ে (এবং এখনও) বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
www.piratesinfo.com/biography/biography.php?article_id=32
https://www.vox.com/2014/10/13/6957875/christopher-columbus-murderer-tyrant-scoundrel
ধীরে ধীরে, অনেক জাতির তাদের নাগরিকদের সাথে কিভাবে আচরন করতে হবে সে বিষয়ে উন্নতি হয়েছে। অধিকাংশ দেশে দাস প্রথা বিলুপ্ত করা হয়েছে। নারী এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং বন্দীদের সাথে কিভাবে আচরন করা হবে সে বিষয়ে দুনিয়া চুক্তিতে উপনীত হয়েছে।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক সার্বজনীন ঘোষণাপত্র সাক্ষর করা হয়। এটি একটি দীর্ঘ তালিকা যা প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দাসত্ব এবং নির্যাতন থেকে মুক্তির পাশাপাশি জীবনের অধিকারকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে,। যাইহোক, ঘোষণাটি শুরু থেকেই ত্রুটিপূর্ণ ছিল কারণ সে সময়ের পাঁচটি সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন এবং ফ্রান্স) তাদের নাগরিক বা তাদের উপনিবেশের অধিকার নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করেছে, এমনকি যখন ঘোষণাটি তৈরি করা হচ্ছিল।[ ব্রিটিশরা সচেতন ছিল যে কিছু ব্রিটিশ উপনিবেশে তারা খুন, নির্যাতন এবং ধর্ষন করে যাচ্ছে।ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশে নিয়মিত মানুষকে আটক করে নির্যাতন, আন্দোলনের স্বাধীনতায় বাধা দেয় এবং সভা সমাবেশ আয়োজন নিয়ন্ত্রণ করেই যাচ্ছিল যেটা মানবধিকার ঘোষণার বিরুধি।
এরপরেও যতটুকু অগ্রগতি সাধিত হয়েছেলি তার সব কিছুই বন্ধ হয়ে যায় ১/১১ ঘটনার পর।গত বিশ বছরে মানবধিকারের ক্ষেত্রে দুনিয়া শুধু পিছিয়েছে।দুনিয়ার যে কোন প্রান্ত থেকে যে কাউকে উড়িয়ে নিয়ে এসে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং সেই সাথে মধ্যপ্রাচ্য,দক্ষিন এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু দেশকে ধংস করে দেয়া হয়েছে।
https://www.un.org/en/universal-declaration-human-rights/
Kirsten Sellars, The Rise and Rise of Human Rights, 2002, p.7, 95
গনহত্যা কোন অপরাধ নয় যদি আপনি এটাকে যুদ্ধ বলেন এবং আপনি যদি ব্রিটিশ বা আমেরিকান হন।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর শক্তিশালী ফায়ার পাওয়ার ব্যাবহার এতটাই অনিয়ন্ত্রিত যে,এটার মাধ্যমে তারা পুরু একটা সমাজ বা দেশকে সামগ্রিকভাবে ধংস করে দেয়- প্যাট্রিক ককবার্ন,
Patrick Cockburn, ‘We must avoid the terrorist trap’, The Independent, July 11, 2005,
https://www.hrw.org/world-report/2019/country-chapters/united-states
ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রোপাগান্ডা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে অনেক বছর ধরে অন্য দেশের মানবাধিকার রেকর্ডের মূল্যায়ন করা। যাইহোক, এটা আরো সঠিক হতো যদি মার্কিন এবং ব্রিটিশেরা অন্যান্য দেশে তাদের সেনাবাহিনী দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত করতো।কিন্তু তারা এটা করে না কারন তারা জানে এটা করলে পরিষ্কার হয়ে যায় যে সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকারের নৃশংসতা মার্কিন এবং ব্রিটিশ সরকার দ্বারা সংঘটিত হয়।এটা কয়েকটা ফর্মেটে তারা সংগঠিত করে।এর প্রথম ধাপ হল সরাসরি যুদ্ধ,দ্বিতীয় ধাপ হল পরোক্ষ যুদ্ধ এবং তৃতীয় ধাপ হল তাদের পক্ষের স্বৈরশাসকদের ধ্বংসাত্মক অস্র সরবরাহ।গত শতকের শেষের দিক থেকে চালু হয়েছে কভার্ড অপারেশন।মার্কিন এবং ব্রিটিশ প্রচার মাধ্যমে আমরা যে যুদ্ধের সংস্করণ দেখি তার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন যখন অন্য কোন দেশে হামলা চালায় তখন আসলে কি ঘটে তার সাথে সামান্য সম্পর্ক বহন করে। মিডিয়া আমাদের দেখাচ্ছে যে নিখুঁত বোমা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। তারা খুব কমই দেখায় যে গণহত্যা এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করে সমগ্র শহরকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।
মানবধিকার ঘোষণার সাথে জাতিপুঞ্জ আরো কিছু অধিকারকে যুক্ত করেছে।যেমন ভোট দেওয়ার অধিকার,মত প্রকাশের অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।এর সবগুলুই মার্কিন-ব্রিটিশ সরকার নিয়মিত লংগন করে।এর বাইরে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যে অধিকারেরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেটা হল বেঁচে থাকার অধিকার।অন্য কথায় দখলদার সৈন্য বাহিনী আপনাকে গুলি করে মারতে পারবে না।এই অধিকারটা মার্কিন-ব্রিটিশেরা নিয়মিত লংগন করে যখন তারা অন্য দেশ দখল করে।আমরা যদি একটা উদাহরণ( Highway of Death) ব্যাখ্যা করি তাহলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
১৯৯১ সালে ইরাকের কুয়েত দখল করে।যুদ্ধ বিরতি সাক্ষরের পর ইরাকি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়।
হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি মার্লিন ফিটজওয়াটার বলেছেন যে "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র... ফিরে যাওয়া ইরাকি বাহিনীকে আক্রমণ করবে না’’।
Michael K. Duffy, Peacemaking Christians: The future of just wars, pacifism, and nonviolent resistance, 1995, p.65
কুয়েত ও ইরাকের মধ্যবর্তী প্রধান মহাসড়কে দুই হাজার ইরাকি যানবাহন ফিরে যাচ্ছিল। মার্কিন যুদ্ধ বিমান সামনের এবং পিছনের যানবাহন ধ্বংস করে দিয়ে মাঝখানে সব যানবাহন আটকে দেয়। এরপর তারা পদ্ধতিগতভাবে সবকিছু ধ্বংস করে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে,হত্যার সময় তারা বেসামরিক এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৈষম্য করেনি। ইরাকিরা ঐ অবস্থায় ছিল তারা প্রতিরক্ষাহীন। পাইলটরা এটিকে 'টার্কি শুট' হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন সাংবাদিকরা আসার আগেই মার্কিন সৈন্যরা দ্রুত মৃতদেহ কবর দেয়।
Joyce Chediac, ‘The Massacre of Withdrawing Soldiers On The Highway of Death’, in Ramsey Clark et al, War Crimes: A Report on United States War Crimes against Iraq, 1992, Click This Link
https://en.wikipedia.org/wiki/Highway_of_Death- রবার্ট ফিস্কের রিপোর্ট।
Peter Turnley, ‘The unseen gulf war’, Dec 2002, at
http://digitaljournalist.org/issue0212/pt_intro.html
এছাড়াও ১৯৯১ সালে যখন মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাক আক্রমণ করে, তখন তাদের সশস্ত্র বুলডোজার দিয়ে সজ্জিত করা হয়, এবং তারা কিছু ট্যাংকের সামনে বুলডোজার ব্লেড লাগিয়ে দেয়। এগুলো ইরাকি খাদে বালি ঠেলে দিতে ব্যবহার করা হত। ইরাকি সৈন্য, যাদের বেশীরভাগই অনেকেআত্মসমর্পনের চেষ্টা করছিল তাদের জীবিত মাটি চাপা দেওয়া হয়। অন্যদের ব্লেড লাগানো বুলডোজার ব্যাবহার করে খাদে ফেলে নাপাম বোমা দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মার্কিন কমান্ডার জেনারেল Schwarzkopf এর করেন যে প্রায় ৭০ মাইল খাদে ৫০.০০০-৭০,০০০ ইরাকীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই গণহত্যা মূলধারার প্রচার মাধ্যম প্রায় অসংবাদহীন ছিল।
Maggie O’Kane, ‘How To Tell Lies And Win Wars’, Muslim and Arab Perspectives 2:11–12, 1995, pp.31–43,
এটা কৌতূহলজনক যে মার্কিন সৈন্যদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মিডিয়া প্রতিবেদনকে অন্য কোথাও সংঘটিত অন্যান্য নৃশংসতার সাথে তুলনা করা হয়েছে। সার্বিয়ান নেতা স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালে শ্রেব্রেনিকায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়, যেখানে ৮,০০০ লোককে হত্যা করা হয়।এর বিপরীতে, যখন মার্কিন বাহিনী ২০০৪ সালে ইরাকের ফালুজায় বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যা করে, তখন মূলধারার পশ্চিমা প্রচার মাধ্যম কার্যত চুপ ছিল। ফালুজা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল।যাতে কেউ শহর থেকে বের হতে এবং ডুকতে না পারে এবং তারপর আকশ থেকে বোমা বর্ষণ করা হয়েছিল। একজন পর্যবেক্ষক ফালুজাকে জার্মান শহর ড্রেসডেনের সাথে তুলনা করেছেন, যে শহর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে রাসায়নিক কেমিক্যাল দিয়ে মৃত দেহগুলু গলিয়ে ফেলা হয়েছিল।
Rory McCarthy and Peter Beaumont, ‘Civilian cost of Battle for Fallujah Emerges’, 14 Nov 2004
Dahr Jamail, ‘What I Saw In Fallujah’, 5 Nov 2007, The New Statesman
David Cromwell and David Edwards, ‘Some Matter More — When 47 Victims Are Worth 43 Words’, Medialens, 22 July, 2008
সবার জন্য একই নিয়ম - ক্ষমতাশালীদের জন্য কোন নিয়ম নেই।
১৯৪৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের জার্মান নেতাদের নুরেমবার্গ ট্রায়ালে তাদের অপরাধের জন্য বিচার করা হয়। তারা তিন ধরনের অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়। শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, যার মানে প্রথমে যুদ্ধে যাওয়া; মানবতাবিরোধী অপরাধ, যেমন গণহত্যা; এবং যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল কপট, কারণ বিচার শুরু হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন নিয়মিতভাবে এই তিনটি অপরাধ করেছে, এবং এখনো এই তিনটি অপরাধ করে যাচ্ছে।
বিচার শেষে উপসংহার টানা হয়েছে যে অন্য দেশে হামলা করা/দখল করা হল সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ।কারন এটি সহিংসতাকে উস্কে দেয়।১৯৪৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে তার অনেকগুলোই এই ধরনের অপরাধ। যদি আমরা নুরেমবার্গের মান অনুযায়ী মার্কিন অপরাধ বিচার করি, তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবে।যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন গত সত্তর বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তবুও দায়ী বিষয়টি রাজনীতিবিদ বা মূলধারার প্রচার মাধ্যম খুব কমই আলোচিত হয়।বাস্তবে আমাদের 'ভিক্টরের ন্যায়বিচার' আছে, যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যেতে পারে, কিন্তু বিজয়ী দলের নয়,পরাজিত দলের। আমেরিকা এবং ব্রিটেন এখন এতটাই শক্তিশালী যে এর কোন অপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা/বিচার করা যায় না।
Kirsten Sellars, The Rise and Rise of Human Rights, 2002, p.34
ধর্ষকদের কনডম পরা উচিত
বছরের পর বছর ধরে আইন বিশেষজ্ঞরা 'যুদ্ধের নিয়ম' তৈরি করেছেন, যা বেশীরভাগ মানুষ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রযোজ্য নিয়ম বলে মনে করে। যখন অন্যান্য দেশ তাদের লঙ্ঘন করে তখন মিডিয়া এগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করে, কিন্তু বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের দ্বারা উপেক্ষিত হয়। বাস্তবে একবার যুদ্ধ শুরু হলে কোন নিয়ম থাকে না। একটি অভিব্যক্তি আছে, 'যুদ্ধের সময় আইন নীরব' এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল একবার বলেছিলেন "জীবন ও মৃত্যুর সংগ্রামে শেষ পর্যন্ত কোন বৈধতা নেই"।
Kirsten Sellars, The Rise and Rise of Human Rights, 2002, p.36
সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন বোল্টন পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে আন্তর্জাতিক আইন আমেরিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ঐতিহাসিক প্রমাণ পরিষ্কারভাবে দেখায় যে যে কোন যুদ্ধে, উভয় পক্ষ নিয়ম উপেক্ষা করে এবং যখন তারা পছন্দ করে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এসব নিয়ে যথেচ্ছ আলোচনা করা হয়।বিষয়টা এমন যে একজন হিংস্র ধর্ষক কনডম পরবে কিনা। প্রথমে যুদ্ধে যাওয়াই আসল অপরাধ। একবার যুদ্ধ শুরু হলে,যেসব নেতারা যুদ্ধ শুরু করে তাদের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সেই যুদ্ধের নিয়ম নিয়ে বিতর্ক করা হচ্ছে একটি প্রোপাগান্ডা কৌশল।
উইকিলিকস কর্তৃক প্রকাশিত ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধের লগ পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে যে একবার যুদ্ধ শুরু হলে সৈন্যরা প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণ করে তারপর সেই সব অপরাধ ঢেকে দেয়।
Wikileaks, ‘Iraq war logs’, at https://wikileaks.org/irq/
Wikileaks, ‘Afghan war diary’, at https://wikileaks.org/afg/
মানবাধিকার বর্তমানে শুধুমাত্র জনসংযোগ
রাজনীতিবিদ এবং মূলধারার প্রচার মাধ্যম বিশ্বকে একটি সরল উপায়ে উপস্থাপন করে, যাকে বলা হয়' ৩ ভি - ভিলেন, ভিকটিম এবং ভিক্টোরিয়াস সেভার। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে সবসময় বিজয়ী ত্রাণকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এটা শুধুই প্রোপাগান্ডা।যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, ভিয়েতনাম এবং ইরাক,আফগানিস্থান,কম্বডিয়া,লিবিয়ায় সরাসরি যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল।আফ্রিকার স্বৈরশাসকদের প্রায় ৪০ লক্ষ বনি আদম হত্যায় প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়েছে।ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মানুষ হত্যায় সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।অবরোধের নামে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষকে হত্যা করছে।এর কোন কিছুই তার অপরাধ নয় এবং এতে মানবধিকারের লংগন হয় না কারন সে নিজেই এখন মানবধিকারের প্রবক্তা।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন বলেছেন: তিনি এখানে মন্তব্য করবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।
এই পোষ্টে আসল মন্তব্য করতে পারবেন শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজী।