![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জরুরি সংকটের মুহূর্তে যাত্রীদের বাঁচাতে বিমানের নতুন একটি নকশা তৈরি করেছে বিজ্ঞানীরা। কোনো বিপদ কিংবা হামলার মুখোমুখি হলে বিমান থেকে কেবিন পুরোপুরি আলাদা হয়ে যাবে। পরে নিরাপদে নামিয়ে দেবে যাত্রীদের। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে ইউক্রেনের একদল প্রকৌশলী বিমানের যুগান্তকরী এ নকশা প্রণয়ন করেছেন।
বিমান নিরাপত্তার জন্য সর্বশেষ আবিষ্কার হচ্ছে বিমান থেকে যাত্রীবাহী কেবিনের বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা। রাশিয়ান উদ্ভাবক এ সপ্তাহে তার এই ধারণার একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেন। তাতারেঙ্কো ভ্লাদিমির নিকেলোভিচ নামের ঐ উদ্ভাবক প্রায় তিনবছর ধরে বিমান নিরাপত্তামূলক এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন।
ভ্লাদিমির তাতারেনকো ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে বলেন, উড্ডয়ন, অবতরণ কিংবা উড়ন্ত অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হলে বিমানটি নিরাপদে স্থলে কিংবা পানিতে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে সক্ষম হবে।
ভিডিওটিতে তিনি একটি বিমানের যাত্রী অংশের কেবিন মধ্য আকাশে, উড়ার সময় এবং অবতরণের সময় যে কোনো জরুরি অবস্থায় ককপিট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কিভাবে নিরাপদে অবতরণ করতে পারে তা দেখিয়েছেন।
কেবিনটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে প্যারাসুটের সহায়তায় নিরাপদে ভূমিতে অথবা পানিতে অবতরণ করতে পারবে।
এই নকশার স্বত্ত্বাধিকারী তাতারেঙ্কো বলেন, ‘কেবিনটি জরুরি অবস্থায় বিচ্ছিন্ন হবে। যাত্রীদের লাগেজগুলো থাকবে কেবিনের নিচের অংশে, যাতে সেগুলোও নিরাপদ থাকতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ৯৫ ভাগ নিশ্চিত যদি এই প্রযুক্তি বিমানগুলোতে যুক্ত হয় তবে যাত্রীরা নিরাপত্তার খাতিরে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ দিয়ে হলেও এসব বিমানের টিকেট ক্রয় করবে।’
এখন পর্যন্ত সবাই ধারণাটির সাথে একমত হতে পারছেন না। অনেকেই এই প্রযুক্তি কতটা খরচ সাশ্রয়ী, বিমানের গঠনের সাথে উপযোগী এবং কেবিন বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে পাইলটদের অবস্থা কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
যদিও এটিই বিমান থেকে কেবিন বিচ্ছিন্নের একমাত্র প্রযুক্তি নয়। ২০১৩ সালে ফরাসি বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসও এমন একটি প্রযুক্তির পেটেন্টের মালিক হয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে এটাকে সায়েন্স ফিকশন মনে হলেও এয়ারবাসের মত প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে ভাবনাই বলে দিচ্ছে যে বিষয়টি নিযে সিরিয়াসলি ভাবা হচ্ছে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১
রিপন হোসাইন চপল বলেছেন: অবশ্যয়। সচেতেনতা সাথে ভাল রাস্তা।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
কত মাইল গতিতে চলার সময় মুল বডি আলাদা হবে? কত সময় লাগবে স্টেবল কন্ডিশনে আসতে ও প্যারাসুট কাজ করতে? সেই সময়ের মাঝে উহা ভুমিতে চলে আসবে কিনা?
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: কিন্তু বেচারা পাইলটরা তো কেবিন ডিটাচ করে দিবে কিন্তু নিজেদের বাচার কোন উপায় নাই
২০১৪ সনে ৩.৩ বিলিয়ন প্যাসেন্জারএর মধ্যে মাত্র ৬৪১ জন দুর্ঘটনায় মারা যান
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৫
নতুন বলেছেন: সামনে এমন প্রযুক্তি চলে আসবে সব বিমানেই।
কিন্তু আামাদের দেশে সড়ক দূঘটনায় এরচেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে প্রতি বছর। তার জন্য সচেতনতা দরকার।