![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখকের লেখা কপি করার আগে একবার ভাবুন যে এটা আপনার নিজস্ব সম্পত্তি না, ইচ্ছা হলেই তা কপি করতে পারবেন না।
লেখক মশাইয়ের পান্ডুলিপি!!
লেখক মশাইকে বললাম, চলো আমরা একটু বেড়িয়ে আসি।
ও নির্লিপ্ত চোখে একবার আমার দিকে তাকালো। তারপর আবার তাঁর লেখায় মনযোগ দিল। আমি আবারও বললাম, চলো কোথাও একটু বেড়িয়ে আসি। সে আমার দিকে দ্বিতীয়বারের মত তাকালো। একটুখানি হেসে আবার তাঁর কাজে মনো-সংযোগ করল। এ লোকের সাথে থেকে থেকে আমার ধৈর্য্য ভীষণ রকম বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে যদি ধৈর্য্য পরীক্ষার কোন কন্টেস্ট শুরু হয় ফার্স্ট প্রাইজটা আমার কাছে থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। আমি তৃতীয়বারের মত বললাম, চলো আমরা একটু বেড়িয়ে আসি। কোথাও একটু ঘুরতে যাই।
আমার ধৈর্য্যর সাথে কেউ যে টেক্কা দিতে পারবে না তাঁর প্রমাণ স্বরপ লেখক এবার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, এক কথা বারবার বলো কেন? আমি কি শুনতে পাই নি? আমিও অসীম ধইর্য্যের সাথে হাসি হাসি মুখ রেখেই বললাম, তুমি শুনতে পেয়েছো, তা কি করে বুঝবো আমি? কিছুই তো বলো না। এ কথা শুনে ও আবার খাতা কলম নিয়ে গুতো গুতি শুরু করে দিল। আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম আজকে আমি রেগে যাব না। যতই ও মুখ ঘুরিয়ে নিক না কেন আমি রেগে যাব না সর্বশক্তি দিয়ে শেষ্পর্যন্ত মুখে হাসি ধরে রাখব। আমি ওর চিবুক ধরে আবার আমার দিকে ফিরালাম।
ও আমার চোখের দিকে তাকালো। আমি একটু ইমোশনাল থেরাপী দেওয়ার চেষ্টা করলাম, দেখো আমি তো সব সময়ই বাসায় একা একা থাকি। তুমিও আমাকে নিয়ে কোথাও যাও না। ছুটির দিন গুলোতেও তুমি হয় টেবিলে বসে থাকো নয়তো প্রকাশকের অফিসে যাও। আমাকে একটুও সময় দাও বলো তো?
ও আমার চোখের দিকেই তাকিয়ে রইলো। কিছুক্ষন পর বলল, তুমি না হয় বরং একবার তোমাদের বাসা থেকে ঘুরে আসো।
এবার আমার ধৈর্য্যর বাঁধ ভেঙ্গে যাবার যোগার হল। একবার চোখটা বন্ধ করে সব রাগ গিলে খেলাম। বহু কষ্টে মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম, ধুর এটা কোন কথা হল। আমাদের বাসায় তো প্রায়ই যাই। আমি চাচ্ছি তুমি আর আমি কোথাও বেড়িয়ে আসতে পারতাম! এ ধরো পাহাড়ের কাছে কিংবা সমুদ্রে।
ও চুপ করে আবার লিখতে শুরু করল। একটু অস্ফুট স্বরে বলল, এবার একটু যাও প্লিজ। আমি এটা শেষ করতে পারছি না।
আমি উঠে এলাম। আসার আগে একবার ওর দিকে তাকিয়ে বুঝলাম ওর কাছে ধৈর্য্য পরীক্ষা দেওয়া মানে নিজেকে গাছ হয়ে যেতে হবে। কোন মানুষ এর সাথে ধৈর্য্য নিয়ে বসবাস করতে পারবে না।
রাতে রাগ করে পাশ ফিরে শুয়ে আছি। লেখক মশাই তখনো লিখছে। একবার চোখে মেলে ওপাশে দেখতে গিয়ে চোখে চোখ পড়ে গেল! রাগে আবার আগের মত শুয়ে রইলাম। ও এবার ধীরে ধীরে আমার কাছে এসে বসল। আমি উলটো দিকে ফিরে শুতে গেলে বাঁধা দিয়ে বলল, কোথায় যেতে চাও?
আমি ভাল করে চোখ মেলে তাকালাম। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না। তরিঘড়ি করে উঠে বসে বললাম, কি বললে তুমি? আবার বলো তো?
ও মৃদু হাসল। বলল, কোথায় যেতে চাও। চলো বেড়িয়েই আসি।
আমি কি বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। আনন্দে লাফ দিতে ইচ্ছে হল। ও বলল, কাউকে কিছু বলব না। সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে কাল সকালেই সাতদিনের জন্য কোথাও পালিয়ে যাই চলো।
ওর এত রোমান্টিকতা আমার সইছিলো না। বললাম, হঠাৎ মতের পরিবর্তন? ও আবারও হাসল, আগে তো কোন মত-ই ছিল না। তাঁর আবার পরিবর্তন কি হবে?
আমি চোখ চিকন করে বললাম, কাউকে বলে না গেলে কি হতে পারে জানো?
ও একটু ঝুঁকে পড়ে জিজ্ঞেস করল, কি হতে পারে?
আমি বললাম, যদি মাকে বলে না যাই তবে আমাদের বাসা পাহাড়া দিবে কে? কেউ এসে না থাকলে ঢাকা শহরে যে কোন কিছু যে ঘটে যেতে পারে সেটা জানো তো?
ও কিছু বলল না। যেন আরো কিছু শোনার জন্য ঝুঁকে রইল। আমি বললাম, তোমার অফিসেও বলবা না? ও সুবোধ বালকের মত মাথা নাড়ল। যেন এটা একটা খেলা। আমি চোখ বড় বড় করে বললাম, অফিসেও যদি না বলো, তবে তোমার চাকুরী থাকবে?
ও সেভাবেই তাকিয়ে রইল। আমি আরো কিছু জোরালো যুক্তি বের করার চেষ্টা করলাম। তেমন কিছু আর খুজে পেলাম না। বললাম, কিছু বলছো না কেন?
ও এবার মুখ খুলল। বলল, চুরি হলে হবে। সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করব। আমার তো মাঝে মাঝে রাতে দরজা লক না করেই ঘুমাতে ইচ্ছে করে। দেখতে ইচ্ছে করে কিভাবে চুরি হয়। একটা জিনিস আমার খুব অবাক লাগে জানো? খুব চিন্তিত ভঙ্গিতে কথা গুলো বলছে ও, আমরা তো কখনো চোরদেরকে বলে শুই না যে ‘এই আমরা কিন্তু দরজা লক করলাম’। তাহলে যেদিন লক করব না সেদিন ওরা কি করে জানবে আমরা দরজা লক করিনি। তারমানে প্রতিদিন-ই কি চোরেরা বাসায় বাসায় গিয়ে দরজা লক ঘুরিয়ে দেখে? নাকি আগে থেকে মনের খবর জানতে পারে ওরা? যদি ওরা আগে থেকে মনের খবর জানতে পারে তাহলে তো বিশাল ব্যাপার। ওরা তো তাহলে অনেক বড় একটি গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
আমি বললাম, পাগল ছাগলের মত কথা বলো না তো। চোররা মনের খবর জানবে কি করে?
তাহলে তুমি দরজা লক করে ঘুমাও কেন? কিভাবে নিশ্চিত হলে যে আজ দরজা লক না করলে আজকেই তোমার বাসায় চুরি হবে।
আমি হাত উলিয়ে বললাম, এটা একটা সিকিউরিটির বিষয়। আমরা কেন চোরকে সুযোগ করে দিব চুরি করার জন্য।
ও বলল, আচ্ছা চলো আমরা আজ রাতে একটা পরীক্ষা করে দেখি। দুরজা লক না করে ঘুমাবো। চুরি হয় কিনা দেখব।
আমি বললাম, চোর যদি ভয়ংকর হয়। যদি মেরে টেরে ফেলে সেটার দ্বায়িত্ব কি তুমি নিবা?
ও হা হা করে হেসে উঠল। হাসতে হাসতে বলল, মরেই যদি যাই তাহলে আর দ্বায়িত্ব নেওয়ার কোন প্রশ্ন কি আসে?
আমি দেখলাম কথা ঘুরে অনেক দূর চলে যাচ্ছে। আসল কথার ধাঁর কাছেও আমরা নেই। আমি আবারও কথাটা পারলাম। বললাম, শুনো না। বললে না তো কোথায় বেড়াতে যাবে। ও বলল, সেটা তো বলবে তুমি। বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় যেতে আমি প্রস্তুত। তবে একটা শর্ত।
আমি চমকে উঠলাম কী শর্ত দিবে ও? আবার বলে বসবে না তো যে আজ রাতে দরজা না লাগিয়ে ঘুমাই চলো, প্লিজ।
দেখলাম ওর চোখ চকচক করছে। ও বলল, শর্ত মানলে অবশ্যই যাব। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, বলো।
ও বলল, আমরা সাতদিনের জন্য নিখোঁজ হয়ে যাব। কেউ জানবে না আমরা কোথায়। ফোন টোন সব বন্ধ থাকবে। কারো সাথে যোগাযোগ করব না।
আমি মনে মনে ভাবলাম। ওখানে গিয়ে সুযোগ পেয়ে টুক করে একবার মাকে ফোন করে দিব। ও জানবেও না। আর ওর অফিসেরটা ও বুঝবে। এখন ভালয় ভালয় মেনে নেওয়াই ভাল। তা না হলে কখন আবার মন চেঞ্জ হয় বলা তো যায় না। তবুও একটু ঠোট ফুলিয়ে বললাম, তোমার খাতা-কলমও কিছুই নেওয়া যাবে না কিন্তু। ওখানে গিয়ে তুমি তাহলে এসব নিয়েই পড়ে থাকবে। ও কিছু একটা ভাবল। তারপর রাজী হয়ে গেল। আনন্দে আমি অভিভূত হয়ে বললাম, চলো যাই।
অনেক ভোর বেলায় পর খেয়াল করলাম, ও আমাকে ডাকছে। আমি চারদিকে তাকিয়ে দেখি এখনো ঘূটঘুটে অন্ধকার। ও আমাকে বলল, উঠে পড়ো, উঠে পড়ো। তারাতারি তৈরি হয়ে নাও। আমরা আর কিছুক্ষনের মধ্যে পালাবো। আমি আনন্দে লাফ দিয়ে উঠলাম। পালিয়ে যাব। তরিঘরি করে তৈরি হয়ে নিলাম। বের হয়ে পরলাম ঘর থেকে। দরজা লাগানোর সময় ও একবার আমার দিকে তাকিয়ে হাসল। বলল, তালা দিব? আমি চোখ পাকালাম। সাথে সাথে ও তালা বন্ধ করে দিল ঘরটা। এত ভোরে কোথাও কিছু দেখা যায় না। খুব অন্ধকার। আমরা কোনমতে একটা রিকশা পেয়ে গেলাম। বাস স্টেন্ডে গিয়ে বাসে ওঠার আগে আমাদের মনে পড়ল, কোথায় যাব সেটা আমরা এখনো ঠিক করি নি। আমি ওকে বললাম, কোথায় যাব? ও বলল, সেটা তো তুমি বলবে। আমি সমুদ্রে যাব বলেই আমরা বাসে চড়ে বসলাম। এডভ্যাঞ্চার ভালই লাগছে। বেশ অনেক্ষন পর সকালের আলো ফুটে উঠল। আমরা অনেকদূর চলে এসেছি। বাসে এরমধ্যে একতরফা ঘুম দিয়ে দিলাম। ও তখনো ঘুমুচ্ছে। আমি ভাবলাম এর মাঝে মাকে ফোন করে দেই। খুব সাবধানে মোবাইলটা বের করে দেখলাম মোবাইলটা ও ইতোমধ্যে বন্ধ করে রেখেছে। মোবাইল অন করে মার নাম্বারে কল দিয়ে কানে ধরে বসে আছি। ওপাশ থেকে মার কন্ঠে আতঙ্ক শুনে আমি লাফিয়ে উঠলাম। প্রায় চিৎকার করেই বললাম, কি হয়েছে মা?
মা আমাকে যা বলল আমি নিজের কানকে বশ্বাস করতে পারছিলাম না। ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও-ও আতংকগ্রস্থ চেহাড়া নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একবার ঢোক গিললাম। ও চিৎকার করে ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলল। আমরা তড়িঘড়ি করে নেমে পরলাম। উলটা দিকে যায় এমন একটা বাস ধরতে খুব একটা বেগ পেতে হল না। এর মধ্যে কেউ কারো সাথে একটা কথাও বলিনি। খুব দ্রুত বাস থেকে নেমে রিকশা নিয়ে বাসায় চলে এলাম।
বাসার সামনে ছোটখাট ভির। আমার ছোট ভাই দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। ও দ্রুত ঘরে ঢুকে পড়ল। সবার আগে চলে গেল ওর বইয়ের তাকের কাছে। ওটা চেক করা হলে চলে গেল ওর পার্সনাল লকারের কাছে। লকার খোলা। ও মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল। আমি অন্য কিছু চেক করছি। হঠাৎ ও চিৎকার করে বলল, শুনছো আমার ঐ পান্ডুলিপিটা পাচ্ছি না। আমি তারাতারি ওর কাছে গেলাম। বললাম, কোনটা? ও বলল এই যে কিছুদিন যাবৎ লিখছি। ওটা আমার কাছে কতটা ইম্পর্টেন্ট!...ওর গলার কাছে এসে কথা আটকে গেল।
আমি আর কোন কথা বললাম না। কপালে ছিল। এখন শুরু হবে ঝাড়ি পর্ব। ভয়ে ভয়ে মায়ের কাছে গেলাম। মা আমার দিকে অগ্নিশর্মা হয়ে তাকিয়ে আছে। বলল, কোথায় গিয়েছিলি তোরা?
আমি আমতা আমতা করছি। ঠিকভাবে কিছু বলতে পারছি না। মা বলল, কি আক্কেল তোদের! এত ভোর বেলায় কাউকে কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলি!
পরে মায়ের কাছে যা শুনলাম। আমাদের পাশের বাসার ওরা সকালে তালা ভাঙ্গা দেখে বাড়িওয়ালাকে জানালো। বাড়িওয়ালা আমাদেরকে ফোন দিয়ে না পেয়ে মাকে ফোন দিল। মা এসে দেখল এই কান্ড। আমার কাল রাতের কথাগুলো মনে পড়ে গেল। রাগে আমি ওর দিকে তাকাতে পারছিলাম না। কিন্তু খেয়াল করলাম বেচাড়া পুরোপুরি উদ্ভ্রান্ত হয়ে আছে। ঘরে আর যা কিছুই চুরি হোক না কেন ওর পান্ডুলিপির শোক সে ভুলতে পারছে না। মন খারাপ করে এক কোণে বসে আছে।
রাতেই ওর সাথে আমি প্রথম কথা বললাম, তুমি এত মন খারাপ করছো কেন? বলেছিলে না সব কিছু নতুন করে শুরু করবে। তো আবার নতুন করে উপন্যাসটা লিখো। ও আমার দিকে তাকালো। প্রায় কাদো কাদো অবস্থা। ওর এই চেহাড়া আমি আগে কখনো দেখিনি। নিজের কাছেই কেমন খারাপ লাগতে শুরু করল। ওর পাশে গিয়ে বসলাম। ওর হাত ধরে বললাম, শোন যা হওয়ার হয়ে গেছে। এ নিয়ে তুমি আর মন খারাপ করো না। ও কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল, ওটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। আমার অনেক বড় একটা কাজ ছিল এটা। তুমি চিন্তাও করতে পারবে না আমি কি পরিমান খেটে এটা তৈরি করেছি। আমার খুব খুব পছন্দের একটা প্লট ছিল। এই বলে ও হাত দিয়ে মুখ ঢাকল। আমি চুপ করে ওকে ধরে বসে আছি। ওর আবেগ আরো বেড়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর পর নাক টানছে।
কেমন একটা অস্বস্থিতে পড়ে গেলাম। ভাবলাম নাহ আর কাঁদানো ঠিক হবে না। ব্যাগ থেকে ওর পান্ডলিপিটা বের করে ওর সামনে রাখলাম। বললাম, নিন মশাই। আপনার পান্ডুলিপি। ও পুরোপুরি থ বনে গেল। পান্ডুলিপিটার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল। ধীরে ধীরে ওটা হাতে নিয়ে আমার দিকে তাকালো। আমার চোখে মুখে হাসি। ওর কান্ড দেখে আরো হাসি পাচ্ছে।
আমি চোখ নাচালাম। ও আমার দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে। ভাবলাম, আর ঘোলা জন না খাইয়ে এবার পরিস্কার করে দেই। বললাম, তুমি যে লেখালেখি ছাড়া একমুহুর্ত ভাল থাকবে না সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি। আর তাই তোমাকে খাতা কলম নিতে না করেও ভাবলাম পড়ে আবার তুমি মন খারাপ বসে বসে দিন পার করলে পুরো বেড়ানোটাই মাটি হয়ে যাবে। কিংবা তারাতারি চলে আসার জন্য গাইগুই করবে। তারচেয়ে বরং তোমাকে না জানিয়ে নিয়ে যাওয়াই ভাল মনে করেছি। ওখানে গিয়ে যদি গাইগুই করতে তাহলে এটা বের করে দিতাম। কিন্তু এখন তো যা হবার হয়েই গেছে। মাঝখান থেকে আমার কিছু জিনিস-ই চুরি গেল। এই বলে আমি মন খারাপ করে বসে পরলাম। ও সেভাবেই তাকিয়ে আছে। তবে ঠোটের কোনায় একটু হাসি দেখলাম মনে হয়। এখন আমার মন ভাল করার পালা ওর। কিন্তু এই কাজটা ও মোটেও ভাল পারে না। মাঝে মাঝে ওকে এ ধরণের কিছু অপ্রত্যাশিত কাজে ফেলে দিতে আমার বেশ ভালই লাগে।
লেখক মশাইকে নিয়ে লেখা প্রথম গল্প "উৎসর্গ"
লেখক মশাইকে নিয়ে লেখা দ্বিতীয় গল্প "লেখক মশাইয়ের কলম"
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
রীতিমত লিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন প্লাস++++
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
রীতিমত লিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
যুবায়ের বলেছেন: লেখক মশাই চরিত্রটা খুব মজা পাই বিশেষ করে হুমায়ুন আহমেদের কবি উপন্যাসটার সাথে মিল পাই।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
রীতিমত লিয়া বলেছেন: কি বলেন!! কবি উপন্যাসটি পড়া হয় নি। ইশ এখনো কত না পড়া
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সব লেখক মশাইয়ের মাঝেই কমন কিছু জিনিস থাকে বলে মনে হচ্ছে
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আমার লেখক মশাইয়ের মত কাঠ-কাঠ লেখক মশাইও আছে নাকি?
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
তৃতীয় ভালোলাগা।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
রীতিমত লিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
shfikul বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প পড়লাম।খুব ভালো লাগলো।কি করে লেখেন এতো সুন্দর গল্প!ইস আমিও যদি লিখতে পারতাম!শুভ কামনা আপনার জন্যে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
রীতিমত লিয়া বলেছেন: চেষ্টা করুন লিখতে পারবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: ভাল লাগলো।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
রীতিমত লিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
নেক্সাস বলেছেন: লেখক মশাই কে নিয়ে গল্প ভালো লাগলো.।++++
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
রীতিমত লিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখক মশাই কে নিয়ে লেখা পান্ডুলিপি ভালো লাগলো
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
রীতিমত লিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: চমত্কার গল্প! খুবই ভাল লাগলো। আপাতত + ভাল লাগাটা বাসায় যেয়ে দিব
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২
রীতিমত লিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: লেখক মশাই ধরা খেয়ে গেছে । তবে এভাবে কাউকে বোকা বানানো ঠিক না।
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রীতিমত লিয়া বলেছেন: বোকা বানালাম? এই এতটুকু খুঁনসুটিই তো একটা সম্পর্কের ক্রাউন সিমেন্ট।
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন লিখেন আপনি । যাই '' লিখাটি ভাল লাগলো '' টিপ দিয়ে আসি ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনার জন্য একটা ধইন্যা পাতার গাছ
১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৭
জেমস বন্ড বলেছেন:
+++++++++++++
++++++++++++++
+++++++++
আপনে আসলে কি ? গল্পকার নাকি
১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৩
রীতিমত লিয়া বলেছেন: কি মনে হয় আপনার? জেমস বন্ড
১৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫
জেমস বন্ড বলেছেন: মনে ত অনেক কিছুই হয় , যদি মাডি খুজি তাইলে সাপ না বাইর হইয়া যায় সেই ভয় লাগে ।
আমি তোমাদের ই লোক
১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯
রীতিমত লিয়া বলেছেন: মাডিতে সাপ থাকলে তো বাইর হইবে, না থাকলে তো বাইর হবার কতা না
১৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১
জেমস বন্ড বলেছেন: মুবাইল থাইক্কা যারা যারা ব্লগিং করে তাগো লিস্টি বাইর করুম ।
২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
রীতিমত লিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে কমেন্ট করতে মোবাইল ব্যবহার করা লাগে। নয়তো ব্লগিং পিসিতেই করা হয়।
২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: সুন্দর ++++++।কিন্তু সমুদ্রে যাওয়া তো হল না ।
২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০২
রীতিমত লিয়া বলেছেন: সেটাই। একটিবার রাজী হল কিন্তু তাও হলো না
২৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা দিলাম । লেখক মশাইয়ের সাথে যেরকম খুনসুটি তুলে ধরেছেন তো বাস্তবে এরকম হয়েছে নাকি আপু ?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। বাকিটুকুতে
২৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তো যাই বলেন লেখক মশাইয়ের বউটা খুব ভাল । এরকম মেয়ে আছে নাকি ? তাহলে ভালই খুনসুটি করত !
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আমার তো মনে হয় সম্পর্কে এরকম খুনসুটি হয়েই থাকে। সেটা স্বামী-স্ত্রী দুজনের পক্ষ থেকেই। তা না হলে একটা বন্ডীং দীর্ঘস্থায়ী হয় কি করে? যদি না তাতে খুনসুটি ভালবাসা না থাকে।
২৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০
বাংলার হাসান বলেছেন: মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তো যাই বলেন লেখক মশাইয়ের বউটা খুব ভাল । এরকম মেয়ে আছে নাকি ? তাহলে ভালই খুনসুটি করত !
খুব ভাল লাগল
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: রীতিমত লিয়া বলেছেন: বোকা বানালাম? এই এতটুকু খুঁনসুটিই তো একটা সম্পর্কের ক্রাউন সিমেন্ট।
খুব ভাল লাগলও লেখক মসাইকে নিয়ে সবগুলওো লেখা
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখক মশাইয়ের সাথেই থাকুন
২৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
মেহেদী সুমন বলেছেন: আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেছি ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১
রীতিমত লিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে লজ্জাও পাইলাম। :#> :#> :!>
২৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।!
২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
রীতিমত লিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু
৩০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ১১ তম ভালোলাগা
অনেক সুন্দর গল্প +++++++
ভালো থাকবেন সবসময়
৩১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬
রীতিমত লিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লাগল.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।