নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্রা নদীর পাড়ে

চিত্রা নদীর পাড়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা মানুষ রূপী অমানুষ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

কখন কখনও আমাদের চারপাশে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যা আমদের করো মনে কষ্ট দেয় করো বা আনন্দ। এমনই এক ছোট কাহিনী ঘঠেছে আমার জীবনে। ছোটবেলা থেকে পশুপাখির সাথে আমার অনেক হৃদ্যতা।তাদের প্রতি আমার সবসময় স্নেহ, ভালবাসা আর সহানুভূতি ভরপুর। তাই কাছ থেকে যাদের দেখি ওই নিরীহ পশুগুলোকে অকারণে অত্যাচার করতে তখন খুব কষ্ট লাগে। এইতো গত এক সপ্তাহ আগের ঘটনা,আমি আমাদের পাড়ায় একটা কুকুরকে দেখে মায়ায় জড়াই পড়ি।আমি নিজের অজান্তে কুকুরটিকে আমার মনে স্থান দেই। এরপর প্রায় প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে তাকে খাবার দিতে যাই ,সঙ্গে আমার এক বোন। পাড়ার কিছু অসুস্থ মনের লোক আমাদের এই পশুর প্রতি ভালবাসাকে হাসি ঠাট্টাতে পরিণত করে। একদিন হঠাত উঠেপড়ে লাগে ওই কুকুরটিকে পাড়া থেকে তাড়াতে। এতদিন ওই কুকুরটির দিকে কেও তাকিয়েও দেখেনি অথচ যেদিন থেকে আমরা খাবার দিতে আরম্ভ করি সেদিন থেকে তারা কুকুরটিকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টায় বদ্ধ পরিকল্পনা। আমাদের মধ্যে এক অপরাধ বোধ জাগ্রত হয় যে, আমরা কুকুরটিকে আদর করে খাওয়া দিতে গিয়ে হয়ত আজ দো পাওয়ালা প্রাণীগুলার হিংসে হচ্ছে। হিংসে হবারই কথা, সমাজে কেও তো ভাল কিছুর কদর করতে জানে না, চাই না কেও কারো ভাল করুক। তাই বলে শেষমেশ এই অবলা পশুর পিছনে লাগবে আমি ভাবতে পারি নি। আশ্চযের ব্যপ্যার যে কুকুরটি কাওকে বিরক্ত করা দূরে থাক সে এক কনে রাস্তার পাশে বসে কিংবা শুয়ে থাকত। এভাবে একে একে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে ওকে অযথা মারত আর বিরক্ত করতে আরম্ভ করে। আমরা নাই পারি সইতে না পারি কিছু করতে। শুধু খাবার দিয়ে আমি ওকে পারছিলাম না সবার থেকে রেহাই দিতে। তাই অগত্যা ওকে কুকুরদের কোন আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠাবার ভাবনার উদয় হল। অনেক খোঁজ করেও আমার ব্যর্থতা আমি ওকে নিরাপদ স্থানে পোঁছে দিতে পারি নি। আমাদের সমাজ এতটাই ব্যাধিতে আক্রান্ত যে আমরা সামান্য এক পশু যে কিনা কোন অপরাধ করেনি তাকে মারতেও দ্বিধাবোধ করি না। আমরা যদি ঈশ্বরের সৃষ্টি হয়ে থাকি তবে সেই একি ঈশ্বরের সৃষ্টি এই কুকুর। আমরা ভুলে যাই পাপ পুণ্যের দুনিয়ায় পশুর প্রতি অকারণে অত্যাচার এক বিরাট অপরাধ। আমরা ভুলে যাই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব যার কোন গুন পশুর সাথে শোভা পায় না। আমদের দেশের বাহিরে এই পশুদের কত যত্নে রাখা হয়। আজ বাংলাদেশ না হয়ে যদি অন্য দেশ হত, এই পশু নিপীড়নের অন্যায়ে পুলিশ এসে তাকে জেলে নিয়ে যেত। এখনও গ্রাম গুলাতে দেখে যায় চারপাশের পশুদের নিয়ে একি গৃহে বাস করতে। আর কিছু মানুষ শুধু সুন্দর পশুর পরিচালনা করতে ব্যস্ত। রাস্তায় পরে থাকা কুকুরটির দিকে ইট মেরে ধিল ছুঁড়ে আনন্দের খোরাক যোগায়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এই রাস্তার পশু আমাদের সমাজের, পরিবেশের অংশ। আমাদের উচিৎ পশুসুলভ ব্যবহার পরিত্যাগ করে পশুর সাথে বন্ধুত্য স্থাপন করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগল। আমিও পশু পাখি পছন্দ করি। বিড়াল আমার পছন্দের প্রাণী। কিন্তু সমস্যা হল আশেপাশের লোকজন আমার এই অভ্যাস নিয়ে ঠাট্টা করে।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

চিত্রা নদীর পাড়ে বলেছেন: ধন্যবাদ শামিম ভাই। আসলে আমাদের কেই নিজ উদ্যোগে এগিয়ে যেতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.