নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাকিবকে বহিষ্কার করতে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কা! যত দায় বাংলাদেশ নিবে কেনো???

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

এই হারের ক্ষত মুছতে শ্রীলঙ্কানদের যে কয়দিন লাগবে, সেটি ক্রিকেট বিধাতাই জানেন! শুক্রবার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের আগের শেষ ম্যাচটি জটিল হিসেবনিকেশের কারণে পায় ফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচের মর্যাদা। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ঐ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
এই পরাজয় যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না আসরের আয়োজক দ্বীপ দেশটি। দৃষ্টিকটুভাবেই দেশটির গণমাধ্যম থেকে ক্রিকেট বোর্ড- সব ক্ষেত্র এবার উঠেপড়ে লেগেছে টাইগারদের পেছনে। এমনকি
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ফাইনালে সাসপেন্ড করার জন্য আবেদনও জানিয়েছে তারা।




ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সাথে আম্পায়ার ও প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের তর্ক বাঁধে। একই ওভারে টানা দুটি বাউন্সার ছোঁড়ার পর ফিল্ড আম্পায়াররা নো বলের সংকেত না দিলে ক্ষোভে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানকে মাঠ থেকে বের হয়ে আসতে বলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন ডাগআউটে কিংবা ড্রেসিংরুমে থাকা সবাই।
পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার শুরু হয় ম্যাচ। পরের ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ম্যাচের নায়ক মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত রানের দেখা পায় ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতেই। ম্যাচ শেষে দারুণ উদযাপনে মেতে ওঠে পুরো টাইগার শিবির। তবে এ সময় ড্রেসিংরুমে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে।
ভাঙচুর সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো সত্যতা এখনও পাওয়া না গেলেও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট অঙ্গন জোরেশোরেই লেগেছে টাইগারদের পেছনে। ড্রেসিংরুমের কাঁচ ভাঙার মূল অভিযোগটা সাকিবের দিকেই। এরই জের ধরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের পক্ষ থেকে সাকিবকে ফাইনাল ম্যাচে বহিষ্কার করার জন্য আবেদন জানানো হয়। যদিও ম্যাচ অফিসিয়ালরা শাস্তি হিসেবে শুধু সাকিবের ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ কর্তন করেছেন।
ঘটনা সম্পর্কে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড বলেন, ‘শুক্রবারের ঘটনা ছিল হতাশাজনক। ক্রিকেটের কোনও পর্যায়ে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন আচরণ কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি জানি, এখানে উত্তেজনা কাজ করছিল। কিন্তু দুই খেলোয়াড়ের এমন কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। যদি চতুর্থ আম্পায়ার সাকিবকে না থামাতেন ও মাঠের আম্পায়ার যদি থিসারা পেরেরা ও নুরুল হাসানকে না আটকাতেন, তাহলে আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারতো।’


কেন কেঁদেছিলেন ঐ সমর্থক?



মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ ইনিংসের ১১৯তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তখন আকাশে উড়ছেন। শ্রীলঙ্কান সমর্থকে ঠাসা গ্যালারিতে তখন পিনপতন নীরবতা। যে কজন বাংলাদেশি সমর্থক ছিলেন, আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপনে ব্যস্ত তারা। এমন সময় টিভি ক্যামেরায় বড় করে দেখানো হল এক বাংলাদেশি সমর্থককে। বাংলাদেশের জয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন তিনি!
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয়ের পর ঐ সমর্থকের কান্নার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে। হলুদ-কালো রঙের টিশার্ট পরা ঐ সমর্থকের মাথায় বাঁধা ছিল বাংলাদেশের পতাকা। জয়ের দৃশ্য সরাসরি দেখে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে আনন্দাশ্রু ঝরতে থাকে তার। ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ঐ সমর্থকের আবেগ ও ভালোবাসার প্রশংসায় মেতেছেন সবাই।





ক্রিকেট মাঠের আনন্দে কান্না করা ঐ সমর্থকের নাম মোশাররফ খান। তিনি ক্রিকেট সমর্থকদের সংগঠন
বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) একজন সহযোগী সদস্য। মাঠে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন জানাতে বিসিএসএ’র একটি দল নিদাহাস ট্রফির শুরুতেই পাড়ি জমিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কায়। ঐ দলেরই অংশ ঢাকার আশুলিয়ার বাসিন্দা মোশাররফ।


তার কান্নার দৃশ্য যে ভাইরাল হয়েছে, এটি জানতে পেরেছেন মোশাররফ নিজেও। দলের ফাইনাল নিশ্চিত করা জয়ের পরও কেন কেঁদেছিলেন, সেটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শেষ দুটি উইকেট এমন একটা সময়ে পড়েছে, তখন আমাদের ৬ বলে ১২ রান দরকার, খুবই কঠিন পরিস্থিতি।

ঐ মুহূর্তে আরও একটি উইকেট চলে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নানান রকম ভাবে আমাদের কটূক্তি করতে থাকে। এমন একটা পরিস্থিতি থেকে মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ আমাদের জয় এনে দেন. এবং ওই সব সমর্থকদের উচিত জবাব দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন যেকারনে আমি আনন্দিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পরি।’



তবে দল ফাইনালে উঠলেও মাঠে বসে সেই ম্যাচ দেখতে পারবেন না মোশাররফ। মা অসুস্থ থাকায় ফাইনালের আগেরদিনই তাকে ফিরতে হচ্ছে দেশে। এই কথা জানিয়ে তিনি দোয়া চাইলেন মায়ের জন্যও, ‘বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা। আশা করি ফাইনালেও ভালো খেলবে। দুঃখের কথা হল কালকে (শনিবার) দেশে চলে যাচ্ছি। আমার মা অসুস্থ। তাই ফাইনাল খেলাটা দেখতে পারছি না। সবার কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া চাচ্ছি।’




নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয়ের আগে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও রিজার্ভ খেলোয়াড় নুরুল হাসান। এ কারণে তাদের ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। শুক্রবার (১৬ মার্চ) তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই শাস্তিতে খুশি নয় শ্রীলঙ্কা। তারা লিখিতভাবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে।



একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কা ড্রেসিং রুমের কাচ ভাঙা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাদের চাওয়া, শাস্তি বাড়িয়ে সাকিবকে যেন অন্তত ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে সাসপেন্ড করা হয়।’ তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও সূত্রটি জানায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ড্রেসিং রুমের মধ্যে থাকা কোনও বাংলাদেশি খেলোয়াড় ভেঙেছেন দরজার কাচ।

বাইরের দিকে মুখ করে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ড্রেসিং রুম থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই মুহূর্তেই ভেঙেছে দরজার কাচ। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যে ইচ্ছে করে দরজা ভাঙেননি, সেটা অবশ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে।


এদিকে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড রিপোর্টে বলেছেন, ‘শুক্রবারের ঘটনা ছিল হতাশাজনক। ক্রিকেটের কোনও পর্যায়ে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন আচরণ কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি জানি, এখানে উত্তেজনা কাজ করছিল। কিন্তু দুই খেলোয়াড়ের এমন কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য।

যদি চতুর্থ আম্পায়ার সাকিবকে না থামাতেন ও মাঠের আম্পায়ার যদি থিসারা পেরেরা ও নুরুল হাসানকে না আটকাতেন, তাহলে আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারতো।’
শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন সাকিব ও নুরুল। শাস্তিও মেনে নিয়েছেন তারা। তাই শুনানির দরকার নেই বলে জানান ম্যাচ রেফারি।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১৯.২ ওভারের সময় লেগ আম্পায়ার নো বল কল দিলেও পরে দুই আম্পায়ার মিলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনকে মাঠ ছেড়ে আসার ডাক দেন সাকিব।
এর কিছুক্ষণ আগে রিজার্ভ খেলোয়াড় নুরুল হাসান পানি নিয়ে মাঠে ঢোকার পর শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ম্যাচ শেষেও ছিল সেই উত্তাপ। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক থিসারা পেরেরার দিকে আঙুল উঁচিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক।





ড্রেসিংরুমের কাচ ভেঙে যায়। এটা ইচ্ছাকৃত বা পরিকল্পিত কোনো ঘটনা নয়। নিছক একটা দুর্ঘটনা। তবে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড আরো বিস্তারিত ফুটেজও চেয়ে পাঠিয়েছেন।



মাঠে বাংলাদেশ দলের আচরণকে ভালো চোখে দেখেননি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা। তিনি বলেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এমন আচরণ দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। তবে লঙ্কান দৈনিক ডেইলি মিরর-এর প্রতিবেদনে প্রশংসা করা হয়েছে মাহমুদুল্লাহর ঠাণ্ডা মাথার। আর পরপর দুই বাউন্সারের ঘটনায় নো বল না ডাকায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে। টাইগারদের সমালোচনায় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, ‘একটা ম্যাচ, যেখানে আগ্রাসী শরীরী ভাষা, চিৎকার, আঙুল তোলা, এসব ব্যাপার তুঙ্গে পৌঁছেছে ড্রেসিংরুমের দরজা ভাঙার মাধ্যমে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দিকেই অভিযোগের তীর, গোটা সিরিজেই তাদের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ।’ এএফপি কিংবা রয়টার্সের মতো সংবাদ সংস্থা অবশ্য ম্যাচে উত্তাপ জাগানিয়া মুহূর্তের বর্ণনা দিলেও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছু লেখেনি। এএফপি তাদের প্রতিবেদনে এক জায়গায় শুধু লিখেছে, ‘ড্রেসিংরুমের কাচ ভাঙার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল উদ্যাপনের অভিযোগ করেছেন স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড স্টাফরা।


##########
শ্রীলংকানরা হঠাৎ বদলে গেল


মনে মনে যে শ্রীলংকার ক্রিকেটপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখেছিল, তারাই ভারতের সঙ্গে আজকের ফাইনাল খেলবে। প্রমাণ মিলল বিসিবিপ্রধানকে একটি গাড়ির পার্কিং পাস দেওয়ার সময়! 'শ্রীলংকা-ভারত' ফাইনাল লেখা গাড়ি পার্কিংয়ের পাস যখন আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া হয়, তখনই নাজমুল হাসান পাপন লংকান বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পরিস্কার জানিয়ে দেন- আগে ওখানে 'বাংলাদেশ-ভারত' লিখতে হবে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত নতুন টিকিট ছাপা হয়নি। আসলে আগের রাতে বাংলাদেশের কাছে হারের ধাক্কাটা এতটাই জোরে লেগেছে যে, নিজেদের স্বাধীনতা কাপে এখন তারাই দর্শক! আগের রাতে লংকান দর্শকদের কাছে হেনস্তা দুই টাইগার সমর্থক শোয়েব আলী আর বুলু ঘোষ এরই মধ্যে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে আজকের ফাইনালে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
আগে টিম হোটেলের সামনে বাংলাদেশি মিডিয়া দেখলেও কিছু বলা হয়নি। গতকাল সেখানেই উল্টোচিত্র- বাংলাদেশি মিডিয়াকে হটাতে পুলিশ ডাকার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। লংকান বোর্ডও রাতারাতি যেন বদলে গেছে। সেদিন রাতেই ম্যাচ রেফারির কাছে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে। যেখানে তারা ড্রেসিংরুমের কাচ ভাঙার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি তুলেছে।
লংকানদের মনে তৈরি হওয়া বিদ্বেষটা কীভাবে মোকাবেলা করা যায়- এ প্রশ্ন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। 'আসলে ওরা এবার আমাদের এই ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচটা খেলার আশা থেকে। ওরা ভাবতেও পারেনি যে, এভাবে ওদেরই হারিয়ে দেব আমরা। ব্যাপারটি ঠিক মেনে নিতে পারছে না ওদের কেউ। আমরা একই হোটেলে ছিলাম, এতদিন দেখা হলে হাই-হ্যালো করত। কিন্তু হারের পর ওরা আর কথাই বলছে না।' জাতীয় দলের যে ক্রিকেটার কথাটি বলেছেন তার অনুরোধে নামটি লেখা হলো না। আজকের ফাইনালের জন্য অনেক আগে থেকেই তারা টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল। বিক্রিও হয়ে গেছে অনেক। গতকাল কলম্বোর জনপ্রিয় দৈনিকেও ছিল হতাশা আর কষ্টের সুর। সিলন টুডের শিরোনাম- মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে স্বপ্নভঙ্গ লংকার।
আসলে ম্যাচ হারার চেয়েও এখানকার লোকের মুখে মুখে বেশি চলছে ওই ম্যাচে সাকিবের প্রতিবাদমুখর অবস্থান। সে সঙ্গে বাংলাদেশিদের 'নাগিনী ড্যান্স'। তারা যেন ভাবতেই পারছে না এভাবে মুখের খাবার কেড়ে নিতে পারে টাইগাররা।((তথ্য সমকাল)))




মাঠ ছেড়েছিলেন গাভাস্কার-রানাতুঙ্গা-ইনজামাম এর পরেও আমাদের অপরাধ বেশি?????




নিদাহাস কাপে শুক্রবার বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচে লংকান বোলার ইসুর উদানা পরপর দুটি বাউন্সার মারলেও 'নো' বল ডাকেননি মূল আম্পায়ার। এমনকি সাড়া দেননি লেগ আম্পায়ারের 'নো' বল সিগনালেও। এ সময় সাকিব ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের মাঠ ছেড়ে আসার ইঙ্গিত দেন। এ নিয়ে সাকিবের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন গাভাস্কার। অথচ তিনিই অধিনায়ক হয়ে সতীর্থকে মাঠ ছেড়ে আসার তাগাদা দেন। তাও আবার সেটা জয়-পরাজয়ের কোন ম্যাচে নয়। এছাড়া ইনজামাম-রানাতুঙ্গারাও অনেক আগেই ঘনিয়েছেন এমন ঘটনা। ।
ভারত অধিনায়ক, গাভাস্কার, ১৯৮১
কলম্বোর ঘটনাবহুল ম্যাচ শেষে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের উপস্থাপনায় আলোচনায় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানের সঙ্গে যোগ দিয়ে গাভাস্কার বলেন, ‘যা হয়েছে ভালো হয়নি। আইসিসিকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে। সাকিব আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন।' কিন্তু ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনিও এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। মেলবোর্নে গাভাস্কার এলবিডব্লিউ আউটের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গইে না সূচক মাথা নেড়ে তিনি তো সাজঘরের পথ ধরেন অপর ব্যাটসম্যান চেতন চৌহানকেও প্যাভিলিয়নের পথ ধরার ইঙ্গতি করেন। এমনিক চৌহার ইতস্তত করলে গাভাস্কার তাকে ডেকে নিয়ে নিয়ে যান। যদিও চৌহান শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েননি।অথচ গাভাস্কার তুললেন সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা!
শ্রীলংকা অধিনায়ক, রানাতুঙ্গা, ১৯৯৯
১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদিশেীয় সিরিজে ইংল্যান্ড-শ্রীলংকা ম্যাচ। বোলিংয়ে থাকা শ্রীলংকার মুরালিধরনের বলে ‘নো’ ডাকেন লেগ আম্পায়ার রস এমারসন। রানাতুঙ্গা জানতে চাইলেন নো বল কেন। আম্পায়ারের দাবি মুরালিধরণ চাকিং বল করছেন। অধিনায়ক রানাতুঙ্গা পুরো দল নিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন। পরে বোর্ডের হস্তক্ষেপে খেলতে রাজি হন রানাতুঙ্গা। এমনকি ম্যাচের পরে রানাতুঙ্গা বলেন, তিনি সঠিক কাজই করেছিলেন।
পাকিস্তান অধিনায়ক, ইনজামাম উল হক, ২০০৬
পাকিস্তান টেস্টে দলের অধিনায়ক ইনজামাম উল হক দল নিয়ে চা বিরতিতে গেছেন ফেরার আর নাম নেই। পরে জানা গেল, বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে পাঁচ রান জরিমানা করা এবং বল পাল্টানোর পরে অধিনায়ককে কিছু না জানানোর প্রতিবাদে মাঠে নামবে না পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্তের জন্য আম্পায়ারকে খেসারত দিতে হয়েছিল। পাকিস্তান দলের কিছু হয়নি। দেড় ঘণ্টা পরে ম্যাচ খেলতে চাইলেও আম্পায়াররা মাঠে নামতে চাননি আর। পরে তদন্ত করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়। আর আম্পিয়ার ড্যারেন হেয়ারকে ম্যাচ পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।




মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: রিয়াদ ভাই উঠে আসুন, রুবেল উঠে আয়। খেলার দরকার নাই। ধেত আর খেলাই দেখবো না, এমন একটা রাগ করে ছেলেটা উঠে গেলো উপরে। বেয়াদপ না হইলে কি এভাবে কেউ বলে নাকি। আসলেই বেয়াদপ। বিড়ালের মত চুপসে না থাকার নাম হচ্ছে বেয়াদপ! মাথাপেতে সব কিছু সহ্য করে না নেবার নাম হচ্ছে বেয়াদপ--??
-
দেশের হয়ে লড়ার নাম হচ্ছে বেয়াদপ। বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ অব্দি কোন ক্যাপ্টেন এমন আচরন না করার নাম হচ্ছে বেয়াদপ। পালটা জবাব দেবার নাম হচ্ছে বেয়াদপ। হ্যা হ্যা আরে ভাই হ্যা! চিৎকার করেই বলছি সাকিব বেয়াদপ। চোখের সামনে দলের বাকি খেলোয়ার দের সাথে খারাপ ব্যবহার থেকে শুরু করে আম্পায়ারদের বাজে আম্পায়ারিং এর জবাব দেবার কারনে যদি সাকিব বেয়াদপ হয় তাহলে এই বেয়াদপ টা কেই ভালোবাসি-
-
কাউকে ছাড় দেবার কথা নেই, বাঁচলে বাঘের গর্জন দিয়েই বাঁচবো। আইসিসি কার কোন চুল বাকা করে করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.