নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজদের প্রতি গোলামী আর ইংরেজি সাহিত্য প্রেম

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

একজন ভাই একবার বলেছিলো লোকে এখন কবিতার বই পড়ে কম।বাংলা একাডেমিতে(একুশে বই মেলা) বই বিক্রয় কমে গেছে ।সবাই সেল্ফি তোলে।
সমস্যা হল








১)সাধারণ মানুষ সাহিত্য বই পড়ে না কারন তাদের জীবন নির্বাহ করতে করতে , সময় নষ্ট করার সময় নাই ।এই অজুহাতে ।মানে তারা ভাবে বই পড়া সময় নষ্ট ও
সাহেবি কাজ।যে অবসর সময় পায় সে পড়ে।
২)কিছু লোক বই পড়া শুধু শিক্ষা গ্রহনকেই বুঝে ।সার্টিফিকেট অর্জন শেষ আর বই দরকারি নয়।
৩)৷ আর যারা বুঝে ।বড় জ্ঞানী দার্শনিক ।তারা সে পশ্চিমা দের কাছে মাথা নতো ।তারা সাহিত্য বলতে ইংরেজি নোবেল আর কাব্যকেই বুঝে থাকে। তারা বড় বড় ইংরেজি বই পড়ে হয় ইংরেজিতে নয় অনুবাদ ।
আজকাল অনুবাদ করার লেখকের ও অভাব নাই।
এদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছেই । এক বই একাধিক লোকে অনুবাদ করে।
এই কথা গুলোতে বুঝলাম । লোকে এমনিতেই বই কম পড়ে ।যারা পড়ে তারাও ইংরেজদের গোলামীতে আটকানো । তারা নিজের মাথাটাও ইংরেজদের মতো করে সাজায়।।
আপন দেশের মান কেন কম ।এটা হয়তোবা তার কারন।
দেশে কোন সমস্যা হলেও কেন বিদেশী দের আনা হয়।এখন বুঝলাম। এখন তো ইংরেজি শব্দটাও আমাদের সাহিত্য কবিতাতে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে।।
আমাদের সাহিত্যে , উপন্যাসেও ঢুকে যাচ্ছে ইংরেজি ভাষা ,আর তাদের মতো করা ঘটনা। উপন্যাসে সব কাল্পনিক নায়ক গুলো থাকে শেলির ভক্ত। লেখক দুই চারটে শেলির বইয়ের নাম ও সেখানে তুলে ধরেন ।বিজ্ঞাপণ দেয়ার মতো।
যাতে লোকে জানে এর বই অনেক ভালো।
হায় আফসুস সেখানে কি রবী ঠাকুরের কোন গ্রন্থের নাম বলা যেতো না ? বলা যেতো না কাজী নজরুল বা আহমদ সফার বইএর নাম। যিনি রেগে দুঃখে বলেছিলেন।


ঘটনাটা ঠিক এমন

বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় কলকাতার বই আসতো সে সময়। আহমদ ছফা এর বিরোধীতায় নামেন। তার বিরোধীতার ফলে কলকাতার বই আসা বন্ধ হয়। ছফা কাজটা করেছিলেন দেশের লেখকদের কল্যানের জন্য। কিন্তু এদেশেরই লেখক শওকত ওসমান তাকে এ কারণে বাজে লোক বলে মন্তব্য করেন। ছফা তারপর তাকে নিয়ে নিউমার্কেটের বইয়ের দোকানে দোকানে ঘুরেন। গিয়ে জিজ্ঞেস করেন শওকত ওসমানের কোন বই আছে কিনা। কেউ লেখককেই চিনতে পারল না। তখন কলকাতার একজন সাধারন মানের লেখকের নাম বলতেই অনেকগুলো বই বের করে দিল। আহমদ ছফা তখন শওকত ওসমানকে জিজ্ঞেস করলেন, 'দেশটা আমরা বাল ছেঁড়ার জন্যে স্বাধীন করেছি?'

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪১

রাকু হাসান বলেছেন: ইংরেজি বা বাংলা পড়েবেই ,সে বন্ধ করা যাবে না ,যার যার পছন্দ । ব্যক্তিগতভাবে দুইটিই পড়ি । ছফা সাহেবের ঘটনা -তখন তো শওকত উসমান সাহেব বেশ জনপ্রিয় হবার কথা ,তাঁর বেশ কিছু বই তখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে । তা স্বাধীনতার পূর্বেই । আর ছফা সাহেব স্বাধীনতার পূর্বে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হলেও জনপ্রিয়তা এতটা পায় নি । দ্বিতীয় উপন্যাসে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ,তার পর পেছন ফিরে যেতে হয় নি । প্রশ্ন হলো তখন ও জানেন না ছফা সাহেব ‘‘ ক্রিতদাসের হাসি’’ এর মত জনপ্রিয় ,আলোচিত উপন্যাসের লেখক শওকত উসমান !

শুভকামনা ,শুভরাত্রি

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি আপনার
কথাতে যুক্তি আছে।।


তেমনি আজকের দিনেও আমাদের সেই দূরবস্থা কাটেনি কিন্তু।
এর জন্য দেশের লেজুর ভিত্তিকরা কিন্তু কম দায়ী না ।।।





ভারতের ছবি হল দখল করে । আর বই মেলা সুনিল দা রা

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

Monthu বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.