নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ এখন ফ্রান্সের ঘরে । কে কি পেলো জেনে নিই ব্যক্তিগত কিছু জয়।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৮















দুই দশকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ফ্রান্স। রূপকথার মতো উত্থান হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। আর প্রথমবারের মতো ফাইনাল ওঠে রূপকথার চূড়ান্ত সমাপ্তি টানতে পারল না ক্রোয়েটরা। যে কারণে রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দলটিকে।
ফাইনাল ম্যাচে অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু নিজেদের ভুল আর চাপের কাছেই অনেকটা ধরাশায়ী হয়েছে দলটি। মাঠে নেমেই একের পর এক ফরাসিদের প্রান্তে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু এর মধ্যেই ১৮ মিনিটে দুঃখজনকভাবে প্রথম গোল খেয়ে বসে দলটি। বক্সের বাইরে ডানদিকে অ্যান্টনি গ্রিজম্যানকে ফাউল করা হলে ফ্রিকিক পায় ফ্রান্স। গোলপোস্টের সামনে গ্রিজম্যানের নেয়া ফ্রিকিক ক্রোয়েট ফুটবলার মানজুকিকের মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের বক্সেই।
এক গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি ক্রোয়েশিয়া। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে পেরেসিক গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। কিন্তু প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগেই সেই সমতা ভেঙে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। নিজেদের বক্সে ফরাসি এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। সেই পেনাল্টি থেকে ৩৮ মিনিটে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে নেন গ্রিজম্যান।
বিরতির পর ফ্রান্স যেন হঠাৎই দারুণ ছন্দে ফিরে আসে। সেই ছন্দে ৫৯ মিনিটে পল পগবা গোল করে ব্যবধানটা ৩-১ করেন। বক্সের বাহির প্রান্তে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলটি করেন তিনি। এর ৬ মিনিটের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপে ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নীচু শটে দুর্দান্ত এক গোল করে আরো এক দফা ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে। এতে ব্যবধানটা ৪-১ হয়ে যায়।
তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশলে চলে যায় ফ্রান্স। তাই আক্রমণের ধার বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। সেই সুবাদে ৬৯ মিনিটে মারিও মানজুকিক গোল করে ব্যবধানটা ৪-২ এ নামিয়ে আনেন। এরপর বেশ খানিক্ষণ রক্ষণ সামালে ব্যস্ত থাকে ফ্রান্স। আর ক্রোয়েশিয়া একের পর এক আক্রমণে যেতে থাকে। তবে ফরাসিদের রক্ষণব্যুহ ভেঙে আর কোনও গোলের সুযোগ ক্রোয়েটরা তৈরি করতে পারেনি।
এরপর ফ্রান্স আবার আক্রমণাত্মক হয়ে কয়েকটি প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু আর গোল হয়নি। তাই ৪-২ গোলে ফাইনাল জিতে শিরোপা ঘরে তুলে নেয় ফ্রান্স। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্সের এটি দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০০৬ সালে ফাইনালে ওঠলেও ইতালির কাছে হেরে গিয়েছিল দলটি




গোল্ডেন বল
==========

লুকা মড্রিক (Luka Modrić )






ক্রোয়েশিয়ান অধিনায়ক লুকা মডিকে ২ ০১৮ফিফা বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলকে জিতেছে।
ফিফার টেকনিক্যাল কমিটি ফিফা বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল পুরস্কার প্রদান করে, ফিফার টেকনিক্যাল কমিটির খেলোয়াড়দের একটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর মিডিয়াগুলির প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হন।


রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার গোল্ডেন বল জিতেছেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত দলে থাকলেও ব্যক্তিগত সাফল্যের খাতায় একটি ট্রফি যোগ হলো মদ্রিচের। ঠিক যেনো ২০১৪ সালে লিওনেল মেসির ভাগ্য!
মেসির মতো দশ নম্বর জার্সি পরেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। সমর্থকরা তাকে ভালোবেসে মেসির মতোই ডাকেন ‘এলএম১০’ নামে। মেসির মতোই ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ছিলেন নিজ দলের অধিনায়ক। মিলটা শুধু এটুকুতে আটকে থাকলেই হয়তো খুশি হতেন রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার।
মেসির সাথে মদ্রিচের মিল বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকল ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি হওয়া পর্যন্ত। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপেও ফাইনাল খেলেছিল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা। সেবার ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শিরোপা বঞ্চিত হন মেসি। তবে জিতেছিলেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার গোল্ডেন বল।
৪ বছর পর এই একই পরিণতি হল লুকা মদ্রিচের। পুরো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে নিজ দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু ফাইনালেই হল ছন্দপতন। ৪-২ গোলে হেরে শেষ হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। তবে ঠিক মেসির মতো করেই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলটা জেতেন মদ্রিচ। এনিয়ে টানা পঞ্চম বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতলেন বিশ্বকাপ না জেতা দলের কোন খেলোয়াড়।
লুকা মদ্রিচ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল জিতেছেন। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় সিলভার বল জিতেছেন বিশ্বকাপ জয়ী দল ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকার আন্তোনিও গ্রিজম্যান। এছাড়া তৃতীয় সেরা খেলোয়াড়ের ব্রোঞ্জ বল জিতেছেন বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া বেলজিয়ামের তারকা এডেন হ্যাজার্ড।














গোল্ডেন জুতা ( Golden Boot)












বিশ্বকাপ 2018 গোল্ডেন বুট চূড়ান্ত স্ট্যান্ডিং: হ্যারি কেইন শীর্ষ স্কোরের হিসাবে সমাপ্তি পরে বিজয়ী



বিশ্বকাপে সবোর্চ্চ গোলদাতার পুরস্কার’এ গোল্ডেন বুট জিতেছেন হ্যারি কেন।বিশ্বকাপের সবোর্চ্চ গোলদাতার পুরস্কার-গোল্ডেন বুট জিতেছেন হ্যারি কেন । টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৬টি গোল করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম কোন ইংলিশ ফুটবলার গোল্ডেন বুট জিতলেন। এর আগে গ্যারি লিনেকার জিতেছিলেন এই পুরস্কার।
হ্যারি কেনের ৬টি গোলের ৪টিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। গোল্ডেন বুটের দৌড়ে তার তার পিছনে ছিলেন রোমেল লুকাকু, ডেনিশ চেরিশেভ, অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাদের প্রত্যেকের গোল ৪টি করে।







########


গোল্ডেন গ্লাভস জিতলেন কোর্তোয়া













ফুটবলে গোলরক্ষক হয়ে খেলা হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি। গোলরক্ষকের কাজটা এমনই যে কোনো ভুল করা যাবে না। একটা ভুল হলেই এর মাশুল হবে চরম। আবার নির্ভুল খেলে দলকে জয় এনে দিলেও সুনাম পাওয়া যায় কই?
তিনি তো আর মাঠে কারিকুরি দেখিয়ে দর্শক মন জয় করেননি! দৃষ্টিসুখকর অসধারণ ড্রিবলিং বা বাইসাইকেল কিক করে গোল করেননি! তাই তাকে কে মনে রাখে?
তবে, প্রতি বিশ্বকাপের মতো রাশিয়া বিশ্বকাপ মনে রাখবে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে। এবারের গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
গোলরক্ষকের কাজটাই একটি থ্যাঙ্কসলেস জব। জাতির সম্মান নির্ভর করে তার গ্লাভস জোড়ায়। সব মিলিয়ে গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন বড় বিষন্নতায় ভরা। তারপরও রাশিয়া বিশ্বকাপে আলাদা করে থ্যাঙ্কস পাবেন বেলজিয়াম গোলরক্ষক কোর্তোয়া। ক্লাব ক্যারিয়ারে চেলসির হয়ে খেলা কোর্তোয়া রাশিয়ায় ছিলেন দলের অভিভাবকের মতো। সবাই ম্যাচে যেমনই খেলুক, চিরবিশ্বস্ত হাত দুটি নিয়ে তিনি ছিলেন সদা প্রস্তুত। আগলে রেখেছিলেন নিজের পোস্ট, আগলে রাখেন দলের সম্মান। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলকে বিদায় করে দেওয়ার অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি।
১৯৯৪ সালের পর থেকে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার জিতেছেন যারা:
১৯৯৪ আমেরিকা বিশ্বকাপ: মাইকেল জর্জিস (বেলজিয়াম)
১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপ: ফ্যাবিয়েন বার্থেজ (ফ্রান্স)
২০০২ দ. কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ: অলিভার কান (জার্মানি)
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ: জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি)
২০১০ দ. আফ্রিকা বিশ্বকাপ: ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন)
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ: ম্যানুয়েল নয়্যার (জার্মানি)
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ: থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম)



কেনিয়ার এমব্যাপে,১৯ যিনি চারটি গোল করেছেন, টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পান, যার জন্য ২১ খেলোয়াড় এবং তার অধীনে যোগ্য।















সেরা উদীয়মান তারকার পুরস্কার হাতে এমবাপ্পে-ছবি: সংগৃহীত



রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকার খেতাব জিতলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তরুণ সেনসেশন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে ৪-২ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। আর এই ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। পুরো আসরে এটি তার চতুর্থ গোল। আর তার এমন কীর্তি তাকে বিশ্বকাপের সেরা উদিয়মান তারকার তকমা এনে দিয়েছে।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই তারকা এমবাপ্পে। তার অসাধারণ গতি আর গোলের সুযোগ তৈরি করার সামর্থ্য ছিল নজরকাড়া। তার তিন গোল দিদিয়ের দেশামের দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছে। গ্রুপ পর্বে পেরুর বিপক্ষে তার গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা। শেষ ষোলোর ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-৩ গোলের জয়ে তার অবদান ২ গোল।
ফাইনালে এক গোল করে ইতিহাসের খাতায় নিজের নামও লিখিয়ে ফেলেছেন তিনি। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রোববারের (১৫ জুলাই) ফাইনলে গোল করে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের গড়া সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করার কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন তিনি।
যার কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন এমবাপ্পে, সেই ব্রাজিলিয়ান গ্রেট পেলে তাকে আশীর্বাদ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘মাত্রই দ্বিতীয় তরুণ হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল! ক্লাবে স্বাগতম এমবাপ্পে- সঙ্গী পাওয়াটা দারুণ!’










শেষ পর্যন্ত কার হাতে উঠলো কোন পুরস্কার?

ফাইনাল, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, ইটালি, জার্মানি, পর্তুগাল, রাশিয়া কেউ নয়। ম্যাচটি ছিল ২০ বছর আগের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স আর নিজেদের সবচেয়ে সফল বিশ্বকাপ খেলা ক্রোয়েশিয়া। তাই আসরের শুরুতে যেই দুই দলের কথা মাথাতেও আসেনি তাদের কেউই হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন। এমন বাস্তবতা মেনেই বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখেছে ফুটবল প্রেমিরা। তবে একের পর এক চমকে এবারের বিশ্বকাপকে সেরা বিশ্ব বলছেন অনেকেই। চলুন জেনে নেই সেরা বিশ্বকাপের সেরা হয়েছেন যারা:


গোল্ডেন বুট : হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড)
গোল : ৬টি
গোল্ডেন গ্লাফস : থিবাউট কউরটইস (বেলজিয়াম)
সেইভ : ২৭টি
গোল্ডেন বল : লুকা মদরিচ (ক্রোয়েশিয়া)
গোল : ২টি, অ্যাসিস্ট : ১টি
সেরা তরুন খেলোয়াড় : কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স)
গোল : ৪টি
ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড : স্পেন
চ্যাম্পিয়ন : ফ্রান্স
রানার্সআপ : ক্রোয়েশিয়া
তৃতীয় দল : বেলজিয়াম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.