নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত খাজা খিজির (আলাইহি সালাম)

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০



হযরত খাজা খিজির (আলাইহি সালাম) ও হযরত সৈয়্যদানা মুছা (অালাইহি সালাম) এর মধ্যকার একটি হেকমতপূর্ণ ঘটনা!!!
----------------------------------------------------------------------------
হযরত ইবনু আব্বাস (রা:) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত উবাই ইবনু কা‘ব (রা:) রাসূলুল্লাহ (সা:) হ’তে আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, হযরত মূসা (আঃ) একদা বনী ইসরাঈলের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে দাঁড়ালে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হ’ল, কোন ব্যক্তি সর্বাধিক জ্ঞানী? তিনি বললেন, আমিই সর্বাধিক জ্ঞানী। জ্ঞানকে আল্লাহর দিকে সোপর্দ না করার কারণে আল্লাহ্ তাকে তিরস্কার করে বললেন, বরং দু’সাগরের সঙ্গমস্থলে আমার এক বান্দা আছে, যিনি তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী।
হযরত মূসা (আঃ) বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! তার নিকট পৌছাতে কে আমাকে সাহায্য্ করবে? কখনো সুফইয়ান এভাবে বর্ণনা করেছেন, আমি কিভাবে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারি? তখন বলা হ’ল, তুমি একটি থলিতে করে একটি মাছ নাও। যেখানে তুমি মাছটি হারাবে, সেখানেই আমার সে বান্দা আছে। অতঃপর হযরত মূসা (আঃ) একটি মাছ ধরলেন এবং থলিতে রাখলেন।অতঃপর মাছ নিয়ে তাঁর সঙ্গী ইউশা বিন নূনকে সাথে নিয়ে চললেন।শেষ পর্যন্ত তারা একটি পাথরের কাছে পৌছলেন এবং তার উপর মাথা রেখে বিশ্রাম নিলেন।মূসা (আঃ) ঘুমিয়ে পড়লেন। এ সময় মাছটি থলি থেকে বের হয়ে লাফিয়ে সমুদ্রে চলে গেল।অতঃপর সে সমুদ্রে সুড়ঙ্গের মত পথ করে নিল।আর আল্লাহ্ মাছটির চলার পথে পানির প্রবাহ থামিয়ে দিলেন।ফলে তার গমনপথটি সুড়ঙ্গের মত হয়ে গেল।অতঃপর তারা উভয়ে অবশিষ্ট রাত এবং পুরো দিন পথ চললেন।
পরদিন সকালে হযরত মূসা (আঃ) তার সাথীকে বললেন, আমরা তো সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমাদের খাবার নিয়ে এস।হযরত মূসা (আঃ)-কে আল্লাহ্ যে স্থানে যাবার কথা বলেছিলেন, সেই স্থান অতিক্রম করার পূর্ব পর্যন্ত তিনি কোনরূপ ক্লান্তিবোধ করেননি। সাথী ইউশা বিন নুন তখন বলল, আপনি কি ভেবে দেখেছেন, যে পাথরটির নিকট আমরা বিশ্রাম নিয়েছিলাম সেখানেই মাছটি অদ্ভুতভাবে সমুদ্রের মধ্যে চলে গেছে।কিন্তু আমি মাছটির কথা আপনাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। মূলত: শয়তানই আমাকে এ কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, পথটি মাছের জন্য ছিল একটি সুড়ঙ্গের মত আর তাঁদের জন্য ছিল আশ্চর্যজনক ব্যাপার।
হযরত মূসা (আঃ) বললেন, আমরা তো সেই স্থানটিরই অনুসন্ধান করছি।অতঃপর তারা তাদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন এবং ঐ পাথরের নিকটে পৌঁছে দেখলেন, এক ব্যক্তি কাপড় মুড়ি দিয়ে বসে আছেন। মূসা (আঃ) তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, এখানে সালাম কি করে এলো? তিনি বললেন, আমি মূসা। খিযির জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বনী ইসরাঈল বংশীয় মূসা? মূসা (আঃ) বললেন, হ্যাঁ। আমি এসেছি এজন্য যে, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে, তা হ’তে আপনি আমাকে শিক্ষা দিবেন। খিযির বললেন, হে মূসা! আমার আল্লাহ্ প্রদত্ত কিছু জ্ঞান আছে, যা আপনি জানেন না। আর আপনিও আল্লাহ্ প্রদত্ত এমন কিছু জ্ঞানের অধিকারী, যা আমি জানি না। মূসা (আঃ) বললেন, আমি কি আপনার সাথী হ’তে পারি? খিযির বললেন, ‘আপনি কিছুতেই আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না। যে বিষয় আপনার জ্ঞানের আওতাধীন নয় সে বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ করবেন কেমন করে?’ মূসা (আঃ) বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ্ আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না’ (কাহফ ৬৭-৬৯) ।
অতঃপর তাঁরা দু’জনে সাগরের কিনারা ধরে হেঁটে চললেন। তখন একটি নৌকা তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা তাদেরকে নৌকায় তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। তারা খিযির-কে চিনতে পেরে বিনা ভাড়ায় তাঁদেরকে নৌকায় তুলে নিলো। যখন তাঁরা দু’জনে নৌকায় চড়লেন, তখন একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকাটির কিনারায় বসল এবং সমুদ্র থেকে এক ফোঁটা বা দুই ফোঁটা পানি পান করল। খিযির বললেন, ‘হে মুসা! আমার ও আপনার জ্ঞানের দ্বারা আল্লাহ্ জ্ঞান হ’তে ততটুকুও কমেনি যত টুকু এ পাখিটি তাঁর ঠোটের দ্বারা সাগরের পানি হ্রাস করেছে’।
তখন খিযির একটি কুড়াল নিয়ে নৌকাটির একটা তক্তা খুলে ফেললেন। মূসা (আঃ) অকস্মাৎ দৃষ্টি দিতেই দেখতে পেলেন যে, তিনি কুড়াল দিয়ে একটি তক্তা খুলে ফেলেছেন। তখন তিনি তাঁকে বললেন, আপনি একি করলেন? এ লোকেরা বিনা ভাড়ায় আমাদেরকে নৌকায় তুলে নিলো, আর আপনি তাদেরকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য নৌকা ছিদ্র করে দিলেন? আপনি তো একটি গুরুতর কাজ করলেন। খিযির বললেন, আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না। মূসা (আঃ) বললেন, আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না এবং আমার এ ব্যবহারে আমার প্রতি কঠোর হবেন না।মূসা (আঃ)-এর পক্ষ থেকে প্রথম এ কথাটি ছিল ভুলক্রমে।
অতঃপর তাঁরা যখন উভয়ে সমুদ্র পার হলেন, তখন তারা একটি বালকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, যে অন্যান্য বালকদের সাথে খেলা করছিল।খিযির ছেলেটির মাথা দেহ হ’তে ছিন্ন করে ফেললেন। হযরত মুসা (আঃ) বললেন, আপনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে বিনা অপরাধে হত্যা করলেন? আপনি খুবই খারাপ একটা কাজ করলেন। খিযির বললেন, আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না। মূসা (আঃ) বললেন, এরপর যদি আমি আপনাকে আর কোন প্রশ্ন করি, তাহ’লে আমাকে আর সঙ্গে রাখবেন না।অতঃপর উভয়ে চলতে লাগলেন। চলতে চলতে তাঁরা একটি জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছে তাদের নিকট কিছু খাবার চাইলেন। কিন্তু জনপদ বাসী তাদের দু’জনের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল।সেখানে তারা একটি প্রাচীর দেখতে পেলেন, যা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল।হযরত খিযির প্রাচীরটি মেরামত করে সুদৃঢ় করে দিলেন।হযরত মুসা (আঃ) বললেন, এই বসতির লোকদের নিকট এসে আমরা খাবার চাইলাম।তারা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল।অথচ আপনি এদের দেয়াল সোজা করে দিলেন।আপনি তো ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন।হযরত খিযির বললেন, এবার আমার এবং আপনার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেল।এক্ষণে যে বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ করতে পারেননি, আমি এর তাৎপর্য বলে দিচ্ছি।
নৌকাটির ব্যাপার ছিল এই যে, সেটি ছিল কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির।তারা সমুদ্রে জীবিকা অন্বেষণ করত।আমি নৌকাটিকে ত্রুটিযুক্ত করে দিতে চাইলাম। কারণ, তাদের সামনে ছিল এক রাজা, যে ভাল নৌকা পেলেই জোরপূর্বক কেড়ে নিত। তারপর যখন এটাকে দখল করতে লোক আসল, তখন ছিদ্রযুক্ত দেখে ছেড়ে দিল। অতঃপর নৌকাওয়ালারা একটা কাঠ দ্বারা নৌকাটি মেরামত করে নিলো।আর বালকটি সূচনা লগ্নেই ছিল কাফের। আর সে ছিল তার ঈমানদার বাবা- মার বড়ই আদরের সন্তান । আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে বড় হয়ে অবাধ্যতা ও কুফরি দ্বারা তাদেরকে কষ্ট দিবে। অতঃপর আমি ইচ্ছা করলাম যে, তাদের পালনকর্তা তাদেরকে তার চেয়ে পবিত্রতায় ও ভালবাসায় ঘনিষ্ঠতর একটি শ্রেষ্ঠ সন্তান দান করুন।আর প্রাচীরের ব্যাপার এই যে, সেটি ছিল নগরের দু’জন ইয়াতীম বালকের। এর নীচে ছিল তাদের গুপ্তধন। তাদের পিতা ছিলেন সৎকর্ম পরায়ণ। সুতরাং আপনার পালনকর্তা দয়াপরবেশ হয়ে ইচ্ছা পোষণ করলেন যে, তারা যৌবনে পদার্পণ করে নিজেদের গুপ্তধন উদ্ধার করুক। আমি নিজ ইচ্ছায় এসব করিনি। আপনি যে বিষয়গুলোতে ধৈর্যধারণ করতে পারেননি, এই হ’ল তার ব্যাখ্যা ।
(কাহফ ৭৯-৮২; ছহীহ বুখারী হা/৩৪০১ ‘নবীদের কাহিনী’অধ্যায়, ‘খিযিরের সাথে মূসা (আঃ)-এর কাহিনী’অনুচ্ছেদ, মুসলিম হা/২৩৮০, ‘ফাযায়েল’অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪৬)।







হযরত খিজিরের (আঃ) তাকওয়া


হযরত আবু উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ’র রাসুল (সল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমি কি তোমাদের খিজিরের ঘটনা বয়ান করবো না? তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন: আলবাত ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি ফরমালেন: একবার তিনি বনি ইসরাঈলের একটি বাজারে পায়চারী করছিলেন। এক মুকাতিব (যে দাস তার ক্রয়মূল্য মালিককে শোধ করলে মুক্তি পাবে – এ শর্তে আবদ্ধ) তাঁকে দেখে বললো: আমায় কিছু দান করুন; আল্লাহ্ আপনাকে বরকত দেবেন।
খিজির বললেন: আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। মা শা আল্লাহ্! দেয়ার মতো কিছুই আমার কাছে নেই। মিসকীনটি বললো: আমি আল্লাহ’র নামে আপনার কাছে চাচ্ছি যেনো আপনি আমায় কিছু দান করেন? কেননা, আমি আপনার চেহারায় মহিমা দেখতে পাচ্ছি এবং আপনার কাছে বরকত আশা করছি। খিজির বললেন: আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমার কাছে দেয়ার মতো কিছু নেই! তবে, তুমি আমায় বিক্রি করে এর দাম নিতে পারো! মিসকীনটি বললো: এটা কি ঠিক হবে? তিনি বললেন: হাঁ; আমি বলছি যে, তুমি আমার কাছে মস্তবড় জিনিস চেয়েছো। সাবধান! আমি আমার প্রভুর খাতিরে তোমায় বঞ্চিত করবো না! নবীজী ফরমান: এরপর সে তাঁকে বাজারে চারশ’ দেরহামে বেচে দিলো! তিনি (হযরত খিজির ’আলাইহিস সালাম) ক্রেতার কাছে বেশ কিছুদিন রইলেন। কিন্তু সে তাঁকে কোনো কাজে লাগালো না! তিনি বললেন: আমাকে দিয়ে উপকৃত হতেই তো আপনি আমায় কিনেছেন। কাজেই, আমায় কোনো কাজের আদেশ দিন। সে বললো: তুমি তো অত্যন্ত বৃদ্ধ ও দুর্বল। তাই, আমি তোমায় কষ্ট দিতে চাই না। তিনি বললেন: আমার কষ্ট হবে না। তখন সে বললো: তাহলে, তুমি দাঁড়াও এবং এ পাথরটি সরিয়ে ফেলো। একদিনে ছ’জনের কম লোকে এটা সরাতে পারে না! (বলেই) লোকটি তার কোনো কাজে বেরিয়ে গেলো।
এদিকে, কিছুক্ষণের মাঝেই তিনি পাথরটি সরিয়ে ফেললেন! (ফিরে এসে) সে বললো: তুমি তো ভালোভাবেই কাজটি করেছো দেখছি! তোমার যে এতো ক্ষমতা আছে – তা তো বুঝিনি! এরপর লোকটির একবার সফরে যাওয়ার দরকার হলো। সে বললো: আমি তোমায় বিশ্বস্ত মনে করি। আমার অনুপস্থিতিতে তুমি আমার পরিবার-পরিজনকে ভালোভাবে দেখাশুনা করবে। তিনি বললেন: আমায় কোনো কাজের আদেশ দিয়ে যান। সে বললো: আমি তোমায় কষ্ট দিতে চাই না। তিনি বললেন: আমার কষ্ট হবে না। তখন লোকটি বললো: আমি তোমার কাছে ফিরে আসার আগে তুমি ইট দিয়ে আমার ঘরটি তৈরী করে রেখো। এ কথা বলে লোকটি সফরে চলে গেলো।
নবীজী (সাঃ) ফরমান: এরপর লোকটি ফিরে এসে দেখলো যে, সত্যিই তার ঘরটি ইট দিয়ে তৈরী হয়ে গেছে! তখন লোকটি বললো: দোহাই আল্লাহ’র! তোমার এমন করার কারণ কী এবং ব্যাপারটি আসলে কী? তিনি বললেন: আপনি আমায় আল্লাহ’র দোহাই দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন। আর আল্লাহ’র দোহাই দেয়া প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা আমার জন্যে মস্তবড় ইবাদত বৈকি! এরপর খিজির বললেন: আমি আপনাকে আমার পরিচয় দিচ্ছি। আমি হচ্ছি খিজির। আপনি শুনেছেন যে, এক মিসকীন আমার কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলো। অথচ তাকে দেয়ার মতো কোনো কিছুই আমার কাছে ছিলো না। তখন সে আল্লাহ’র দোহাই দিলে, অগত্যা আমাকে তার দাস হতে হলো। এরপর ভিক্ষুকটি আমাকে (আপনার কাছে) বিক্রি করে দিলো। আমি আপনাকে জানাচ্ছি যে, আল্লাহ’র নামে কেউ কিছু চাইলে এবং সামর্থ্য থাকার পরেও তাকে কিছু না দিলে, রোজ হাশরে সে কঙ্কালসার হয়ে হাজির হবে! তার কোনো গোশত থাকবে না এবং সে চেঁচাতে থাকবে! তখন লোকটি বললো: আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। হে আল্লাহ’র নবী, আমি আপনার জন্যে কুরবান! আমি তো (আপনার পরিচয়) জানতান না! আপনি নিখুঁতভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে (আমার প্রতি) ইহসান করেছেন। হে আল্লাহ’র নবী, আমার মা-বাবা আপনার জন্যে কুরবান হোক। আপনি আমার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে যা চান – হুকুম করুন কিংবা আপনি চাইলে, আপনাকে মুক্ত করে আপনার পথে ছেড়ে দেবো। তিনি বললেন: আমি মুক্ত হয়ে আমার প্রভুর ইবাদত-বন্দেগী করতেই পছন্দ করি। অতঃপর সে তাঁকে মুক্ত করে তাঁর পথে ছেড়ে দিলো। তখন খিজির বললেন: সকল প্রশংসা আল্লাহ’রই – যিনি আমায় (তাঁর) ইবাদত-বন্দেগী করতে বন্দি করেছিলেন। তারপর তা থেকে আমায় মুক্তি দিলেন।
(সূত্রঃ তাবারানী ও অন্যান্য)









মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

এ.এস বাশার বলেছেন: ভাল লাগলো... এ কাহীনি আমার মায়ের কাছে শুনেছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.