নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসিক চাপ ও ফেসবুকের অমানবিক পোস্ট

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮





♣ মানসিক চাপ ও ফেসবুকের অমানবিক পোস্ট
---
ভালো থাকার উপায়।।।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আজ কাল বন্ধুদের পোস্ট দেখলে বুঝা যায় তারা কত মানসিক দুশ্চিন্তায় চিন্তিত।। যেমন,
কেও আমায় বুঝলনা " সবাই স্বার্থপর,
আমি একা " পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই "আরো কত কি
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আমরা সাধারণত সবসময়ই কোন না কোন মানসিক চাপে থাকি। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে উত্তরণের জন্যে কিন্তু আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হলে এই সব নিত্যদিনের সমস্যা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারি। আর তার জন্যে আত্ননিয়ন্ত্রণ, আন্তরিকতাই যথেষ্ট।খুব বেশি ভুমিকায় না গিয়ে সরাসরি আমাদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে তৈরী হওয়া কিছু মানসিক সমস্যা নিয়ে নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম।

১)♦♦♦
অবাস্তব প্রত্যাশাঃ
আমাদের প্রত্যাশা অনেক সময়ই আমাদের সামর্থের চেয়ে বেশিই হয়ে যায়। যদিও মানুষ তার আশার সমান বড়। কিন্তু ধরুণ আপনি একজন গৃহ ব্যবস্থাপক। এক বা দুই বা ততোধিক সন্তানের জননী (জনক বলছি না বিশেষ কারণে) । আপনার পক্ষে এমতাবস্থায় নতুন করে ঘরের বাইরে বা ঘর থেকে দুরে কোথাও ৯ টা ৫টা চাকুরী নিতে গেলে আপনার কাছের অনভ্যস্থ মানুষগুলো কোনভাবেই আপনাকে সহযোগিতা করবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বিকল্প উপায় খুজেঁ নিতে হবে। কেননা বিকল্প উপায় খুজেঁ না নিলে হয় আপনি জেদ করে চাকুরীতে গেলেন আপনার সন্তানদের সমস্ত দায়ভার কাজের মানুষটির উপর দিয়ে অথবা সন্তানদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। অথবা চাকুরীতে না গিয়ে নিজে হতাশায় নিমজ্জিত হলেন। তাই নিজেকে হতাশা থেকে বাঁচানোর জন্যে আপনাকে বিকল্প পথ খুজেঁ বের করতেই হবে। এই বিকল্প উপায় কোন সৃজনশীল কাজও হতে পারে। তা লেখালেখি থেকে শুরু করে অন্য যে কোন ধরনের কাজ হতে পারে।

♦♦♦♦♦
চাহিদার অযৌক্তিকতাঃ
আপনার হয়তো কোন কিছু কিনতে ইচ্ছে করছে বা একটা নতুন ডিগ্রী অর্জন করতে ইচ্ছে করছে বা কোন একটা দেশ ভ্রমণ করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু তা কতোটা সময়োপযোগী বা তা কতোটুকু আপনার জন্যে এই মুহুর্তে যৌক্তিক তা নিজের কাছেই জিজ্ঞেস করুন । এতে সেই ডিগ্রী নিতে না পারার বা সেই দেশটাতে ভ্রমণ করতে না পারার বা সেই মূল্যবাদ দ্রব্যটি কিনতে না পারার হতাশা , কষ্টটা দূর হয়ে যাবে।
সময়গুলো নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখুন। ভালো থাকুন সর্বদা।

♦♦♦♦♦♦

পারিবারিক জীবন উপভোগঃ
কাজের চাপে অস্থির হয়ে আমরা নিজেদের কাছের মানুষগুলোর প্রতিও অনেক সময় উদাসীন থাকি। কিন্তু কাছের মানুষগুলোর সাথে সময়গুলো ভালো না কাটানোর চেষ্টাকে বলবো আত্নহত্যার সামিল। কেননা কাছের মানুষগুলোই আপনার সুখ, সমৃদ্ধির প্রধান নিয়ামক। কাজেই তাদের প্রতি মনোযোগ দেয়াটা, সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করা এবং তা বাস্তবে কাজে লাগানো নিজের সুখি জীবনের জন্যেই জরূরী।

♦♦♦♦♦♦♦♦♦
শ্রোতা এবং দর্শকের ভুমিকা নিনঃ
অনেকেই অনেক কথা বলছে। কিন্তু শ্রোতা বা দর্শক কমই ... যদি সময়গুলো খারাপ যায় তবে অন্যের কথা শুনুন। দেখুন অন্যে কি করছে। তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। তাতে বরং কখনো কখনো আপনার মঙ্গলই হবে। আর সময় যখন নিজের অনুকুলে না থাকে তখন বলার চেয়ে শোনার অভ্যেসটাই কাজে লাগে।

♦♦♦♦♦♦

সমস্যাকে মোকাবেলা করতে শেখাঃ
অনেক সময়ই কাজের চাপ বেড়ে গেলে আমরা তা দুরে সরিয়ে রাখি পরে করবো ভেবে। এতে প্রকৃতপক্ষে নিজেরই ক্ষতি করা হয়। কেননা সেই কাজটা কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে শেষ করতে না পারলে তা আমাদের মাঝে বোঝা হয়ে হতাশার সৃষ্টি করে। কাজেই প্রয়োজনীয় কাজটি যতোই তিক্ত হোক তা কষ্ট করে হলেও করে ফেলতে হবে সময় মতোই। উদাহরণ স্বরূপ অনেক কথাই বলা যায়, কিন্তু ধরুন আপনি যাদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করুন, গল্প করে মজা পান শুধু তাদেরকেই ফোন করে আলাপ চারিতা চালান। কিন্তু অনেকদিন ফোন করা হয় না এমন কাউকে হঠাৎ করেই আপনার খুব দরকার পরে গেল, তখন তাকে শুধু নিজের দরকারে ফোন করাটা খুবই অশভোনীয় এবং যাকে ফোন করলেন তিনিও যে সবসময় এই অভ্রাসটিকে সাদরে গ্রহণ করবেন তা কিন্তু নয়। আবার ধরুন, আপনার পরিচিত কেউ হাসপাতালে বা রোগাক্রান্ত। তাকে সশরীরে দেখতে যেতে না পারলেও অন্তত ফোন করে খোঁজ নেয়াটাও আপনার একটা সামাজিক সমস্যাকে কমিয়ে দিচ্ছে।

♦♦♦♦♦♦♦
স্বনির্ভরতাঃ
এটা খুবই জরূরী। আমরা স্বনির্ভরতা বলতে সাধারণ অর্থনৈতিক নির্ভরতাকেই বুঝে থাকি। কিন্তু নিজের চারপাশের কাজগুলোকে অন্যের উপর নির্ভর করে না করে নিজে নিজে করাটাও স্বনির্ভরতা। অনেককেই দেখা যায় শপিংয়ে যাবে, তার সাথে যাওয়ার জন্যে অন্য কাউকে জোর করেই নিয়ে যাচ্ছে, হয়তো যে সাথে যাচ্ছে সে অনুরোধে ঢেকি গিলেই যাচ্ছে।

♦♦ আধুনিক মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তা নিত্য সঙী যে ব্যক্তি দুশ্চিন্তা করবেনা বলে অন্যকে উপদেশ দেয়, সে কেবল নিজেকে এই উপদেশ দিতে পারেনা। এ যুগে দুশ্চিন্তা মুক্ত কোন মানুষ আছে কিনা তা সঠিক বলার উপায় নেই। চিন্তা ও দুশ্চিন্তা কিন্তু দুটি জিনিস এক নয়, মানুষ চিন্তা করতে পারে এটা তার একাট বিাট ক্ষমতা, মানুষ কত কিছু নিয়েই তো চিন্তা করে ভাল চিন্তা, মন্দ চিন্তা, সুখের চিন্তা, দুখের চিন্তা, এই কত কিছুই নিয়েই মানুসের চিন্তা হয়। মানুষ মাত্রই চিন্তা করে, কিন্তু এই চিন্তা তাকে অনেক সময় এগিয়ে নিয়ে যায়-আবার ঐ চিন্তা তাকে কুরে কুরে খায়, তবে সদর্থক চিন্তা মানুষের জীবন কে সমৃদ্ধ করে এবং নিতিবাচক চিন্তা জীবনকে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, বর্তমান আর ভবিষ্যতের ভাবনাকে বলা যেতে পারে চিন্তা, আর অতিত নিয়ে নিরন্তর মনোবেদনাকে বলা যায় দুশ্চিন্তা। এই জন্য বলা হয়, ''ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা'',,


৯/মার্চ/২০১৬ লেখার তারিখ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.