![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০২০ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় অন্যদে সঙ্গে বিশ্বের অনেক মুসলমানও দেশটিতে যাবেন। তাই জাপান সরকার ‘মোবাইল মসজিদ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বড় এই ক্রীড়া আসরকে সামনে রেখে এই ‘মোবাইল মসজিদ’ তৈরি করেছে জাপান সরকার।
মোবাইল মসজিদ বানাতে চার বছর লেগেছে। ২৫ টনি ট্রাককে একটু বদলিয়ে সেটি নামাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ৪৮ বর্গমিটারের ওই জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। মোবাইল মসজিদের ভেতর ওজুর জন্য পানি রয়েছে। কিবলার দিকও নির্দেশ করা আছে। এ প্রকল্পের জন্য জাপান সরকার ৯০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। অলিম্পিকের সময় মোবাইল মসজিদ বিভিন্ন স্টেডিয়ামের সামনে রাখা হবে।
মোবাইল মসজিদের জন্য ৯০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে জাপান সরকার। ছবি: সংগৃহীতমোবাইল মসজিদের এ ধারণার জনক টোকিওর বাসিন্দা ইয়াসুহারু ইনোইউয়ে। এর আগে এথেন্সে ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকসে ফুটবাথ তৈরি করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১২ সালে লন্ডন গেমসে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন তিনি। কাতারে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে মোবাইল মসজিদ বানানোর এ ধারণা তাঁর চিন্তার মধ্য আসে। তিনি বলেন, ‘নামাজ পড়ার আরামদায়ক পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকসে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’
২০২০ সালের টোকিওতে আয়োজিত আসন্ন অলিম্পিককে সামনে রেখে মোবাইল মসজিদ নামে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে জাপান সরকার। এই মোবাইল মসজিদ তৈরীর দায়িত্ব পেয়েছে ইয়ামাগুচিতে অবস্থিত ওসিমাজিকো ইলেকট্রনিক কোম্পানি।
এশীয় অঞ্চলে ১৯৬৪ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো ২০২০ সালে অলিম্পিক আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশটি। টোকিওতে আয়োজিত অলিম্পিক গেমস উপভোগ করতে আসা মুসলমান পর্যটকদের নামাজ পড়তে যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়, এ বিষয়টি মাথায় রেখেই জাপান সরকারের এই অনন্য উদ্যোগ।
জানা যায়, পুরো জাপানে প্রায় ৩০০ ছোট-বড় স্থায়ী মসজিদ আছে, এর পাশাপমি মোবাইল মসজিদের মাধ্যমে যেমন অলিম্পিকের মতো বড় আসরের প্রচারণা ও প্রসার কাজ চলছে তেমনি আলিম্পিকে মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানোরও একটি বিশেষ উদ্যোগ এটি।
ইয়ামাগুচির ইলেকট্রনিক কোম্পানি ওসিমাজিকো এ মেগা প্রকল্পের জন্য ১০ কাভার্ড ভ্যান গাড়ি তৈরি করছে। যার দৈর্ঘ ২০ ফুট লম্বা ও ২৫ টন ওজনের বিলাসবহুল কাভার্ড ভ্যানের এ মসজিদে একসঙ্গে ৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও আধুনিক সুবিধাসহ এ গাড়িটিকে নামাজের সময় প্রশস্ত করা যাবে। শুধু তাই নয়, এখানে ওযু করারও সুন্দর ব্যবস্থা আছে।
২০১৪ সালে শুরু করা এ প্রকল্প করা হয়। প্রকল্পটি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণা কাজ হাতে নিয়েছে এর নির্মাতা কোম্পানি। কিছুদিন আগে ইয়ামাগুচি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি মোবাইল মসজিদ গাড়ি আনা হয় নামাজ পড়া ও এর উপযোগিতা যাচাই করার জন্য। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি আরো কোনো কিছু সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা এবং কীভাবে করলে ভালো হবে এ বিষয়ে মুসলমানদের পরামর্শ নেন এবং নামাজ পড়ানোর মাধ্যমে এর কার্যকারিতা যাচাই করেন।
এই মোবাইল মসজিদ বানাতে চার বছর লেগেছে। একটি ২৫ টন ট্রাককে একটু মডিফাই করে সেটিতে নামাজের জন্য ৪৮ স্কয়ার মিটার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। ওই জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। এমনকি এই মোবাইল মসজিদের ভেতর ওজুর জন্য পানি রয়েছে। কিবলার দিকও নির্দেশ করা আছে।
মোবাইল মসজিদ আইডিয়ার জনক টোকিওর বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী ইয়াসুহারু ইনোইউয়ে। এর আগে ২০০৪ সালে এথেন্সে ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবাথ তৈরি করে ছিলেন। এরপর ২০১২ সালে লন্ডন গেমসে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন তিনি।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১২
Monthu বলেছেন: ভালো খবর।
সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: তথ্যমূলক পোষ্ট । পড়ে ভালো লাগলো ।