নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লটকনের গুন জানেন?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭




লটকন
@ পরিচিতি @
বাংলা নাম
লটকন/লটকা ফলসহ লটকন গাছইংরেজী নাম
Burmese grape
বৈজ্ঞানিক নামBaccaurea sapida
পরিবার
Duphorbiaceae
লটকন বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি অপ্রচলিত ফল। উৎপাদনের পরিমাণ বেশি না হলেও বাংলাদেশের সব এলাকাতেই এর চাষ হয়। তবে নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নেত্রকোনা ও সিলেট এলাকায় এর চাষ বেশী লক্ষ্য করা যায়। টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত লটকন খাদ্যমানের দিন দিয়ে সমৃদ্ধ। ফল খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ও তৃষ্ণা নিবারণ হয়। শুকনো পাতার গুড়া খেলে ডায়রিয়া ও মানসিক চাপ কমায়।
@লটকনের জাত@
বারি লটকন-১
‘বারি লটকন-১’ জাতটি বাংলাদেশে চাষের জন্য ২০০৮ সালে অনুমোদন করা হয়। এটি একটি মাঝ মৌসুমী জাত। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে এর ফল পরিপক্কতা লাভ করে। গাছ প্রতি ফলের সংখ্যা ৩৩৩৪টি।
এটি একটি নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছপ্রতি ফলন ৪৫ কেজি (১২.৫০ টন/হেক্টর)। মাঝারি আকারের প্রতিটি ফলের গড় ওজন ১৪ গ্রাম। প্রতিটি ফলে ৪-৫টি ক্ষুদ্রাকারের বীজ থাকে এবং ফল গোলাকার, ফলের শাঁস রসালো, নরম এবং টক-মিষ্টি স্বাদ (ব্রিক্সমান ১৫.৬০)। প্রতিটি ফলে কোষের সংখ্যা ৪-৫টি।
লটকনের এ জাতটি বাংলাদেশের সর্বত্র চাষ উপযোগী
@ উৎপাদন প্রযুক্তি @
মাটি
সুনিষ্কাশিত প্রায় সব ধরণের মাটিতেই লটকনের চাষ করা যায়, তবে বেলে দোঁ-আশ মাটি লটকন চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। লটকন গাছ স্যাঁতস্যাঁতে ও আংশিক ছায়াময় পরিবেশে ভাল জন্মে কিন্তু জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারেনা।
জমি তৈরি
চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল এবং আগাছামুক্ত করে নিতে হবে।
গর্ততৈরি ও সার প্রয়োগ
১ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীর গর্ত করে প্রতি গর্তে ১৫-২০ কেজি জৈব সার/গোবর, ৫০০ গ্রাম টিএসপি ও ২৫০ গ্রাম এমপি সার গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে রাখতে হবে।
চারা রোপন
গর্ত ভরাট করার ১০-১৫দিন পর নির্বাচিত চারা গর্তের মাঝখানে সোজাভাবে লাগাতে হবে। চারা লাগানোর পরপরই পানি দিতে হবে।
রোপণের সময়
বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য (এপ্রিল-মে) মাস চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে বর্ষার শেষের দিকে অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসেও গাছ রোপণ করা যেতে পারে।
সার প্রয়োগ
পূর্ণ বয়স্ক গাছ প্রতি বছর ১৫-২০ কেজি গোবর, ১ কেজি ইউরিয়া, ৫০০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০০ গ্রাম এমপি সার সমান দুইভাগে ভাগ করে বর্ষার আগে ও পরে ২ বারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
@ পরিচর্যা @
সেচ
চারা রোপনের প্রথম দিকে ঘন ঘন সেচ দেয়া দরকার। ফল ধরার পর শুকনো মৌসুমে শীতের শেষে গাছে ফুল আসার পর দু’একটা সেচ দিতে পারলে ফলের আকার বড় হয় ও ফলন বাড়ে।
ডাল ছাঁটাই
গাছের মরা ডাল এবং রোগ ও পোকা আক্রান্ত ডাল ছাঁটাই করে দিতে হবে
@ পোকামাকড় ও প্রতিকার @
ফল ছিদ্রকারী পোকা
ফল ছোট অবস্থায় যখন ফলের খোসা নরম থাকে তখন এই পোকা ফলের খোসা ছিদ্র করে ডিম পাড়ে। পরবর্তী কালে ডিম থেকে লাভা উৎপন্ন হয় এবং ফল পাকলে ফলের নরম শ্বাস খেয়ে থাকে।
প্রতিকার
আক্রান্ত ফল পোকাসহ নষ্ট করে ফেলতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে পারফেকথিয়ন বা লেবাসিড ৫০ ইসি মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার ফল ছোট অবস্থায় গাছে স্প্রে করতে হবে।
মিলিবাগ ও সাদা মাছি পোকা
সাধারণত শীতকালে এদের আক্রমনে পাতায় সাদা সাদা তুলার মত দাগ দেখা যায়। এরা গাছের পাতার রস শুষে গাছকে দূর্বল করে। রস শোষণের সময় পাতায় বিষ্ঠা ত্যাগ করে এবং সেই বিষ্ঠার উপরই শুটিমোল্ড নামক ছত্রাক জন্মে।
প্রতিকার
আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হবে। রগর/রক্সিয়ন ৪০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে আক্রান্ত পাতা ও গাছের ডালপালা প্রতি ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করে ভিজিয়ে দিতে হবে।
চেপার বিটল
এই পোকা পাতার নিচে ডিম পাড়ে এবং ডিম থেকে লার্ভা উৎপন্ন হওয়ার পর লার্ভা পাতা খেয়ে ছিদ্র করে ফেলে এবং আস্তে আস্তে সমস্ত পাতা খেয়ে জালের মত করে ফেলে।
প্রতিকার
সুমিথিয়ন/ডেবিকুইন ৪০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।
স্কেল পোকা
এ পোকা প্রথমে পাতার নিচে ডিম পাড়ে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হলে এরা পাতার রস শোষণ করে খেতে থাকে। আস্তে আস্তে এরা কচি ডালেও আক্রমন করে সমস্ত গাছকে মেরে ফেলে।
প্রতিকার
এই পোকার আক্রমন দেখা যাওয়া মাত্র ব্রাশ দিয়ে ঘষে মেরে ফেলতে হবে অথবা সাবানের পানি দিয়ে স্প্রে করলেও প্রাথমিকভাবে দমন করা যায়। আক্রমন বেশী দেখা দিলে ট্রেসার/(০.২ এম.এল/লিটার)/ফিপ্রোনিল (১ এমএল/লিটার) অথবা একতারা (০.৫ গ্রাম/লিটার) হারে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
@ রোগবালাই ও প্রতিকার @
এ্যানথ্রাকনোজ
কলেটোট্রিকাম সিডি নামক ছত্রাক লটকনের এ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণ। গাছের পাতা, কান্ড, শাখা-প্রশাখা ও ফল এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। ফলের গায়ে ছোট ছোট কালো দাগই এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তাছাড়া ফল শক্ত, ছোট ও বিকৃত আকারে হতে পারে। ফল পাকা শুরু হলে দাগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে থাকে এবং ফলটি ফেটে বা পচে যেতে পারে।
প্রতিকার
গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে। গাছে ফল ধরার পর টপসিন-এম অথবা নোইন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা টিল্ট-২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি. হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।
হটাৎ করে গাছ মারা যাওয়া (উইল্ট)
ফিউজেরিয়াম উইল্ট নামক রোগের আক্রমনে সমস্যা হয়। প্রথমে পাতা হলুদ হয়ে আসে এবং পরে শুকিয়ে যায়। এভাবে পাতার পর প্রশাখা-শাখা এবং ধীরে ধীরে সমস্ত গাছই ৮-১০ দিনের মধ্যে নেতিয়ে পড়ে এবং মারা যায়।
প্রতিকার
এ রোগের কোন দমন ব্যবস্থা নেই। তবে নিন্ম লিখিত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
মাঠে/বাগানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বর্দ্দোমিক্সার অথবা কিউপ্রাভিট/কপার অক্সিক্লোরাইড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। বাগানের মাটির অম্লতা কমানোর জন্য জমিতে ডলোচুন প্রয়োগ করতে হবে ( ২৫০-৫০০ গ্রাম/গাছ)।
ফল ঝরে যাওয়া
অধিক খরা বা শীত মৌসুমে এবং ফুল ধরার সময় মাটিতে সেচ না দেয়া, মাটিতে বোরনের অভাব, রোগ বা পোকার আক্রমন ইত্যাদি অনেক কারণে ফল ঝরে যেতে পারে।
প্রতিকার
শীত বা খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে। গাছে ফুল ফোটার পর বৃষ্টি না হলে অবশ্যই সেচ প্রদান করতে হবে। নিয়মিত সার ব্যবহার করতে হবে।
@ ফল সংগ্রহ @
শীতের শেষে গাছে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফলের রং হালকা হলুদ থেকে ধূসর বর্ণ ধারণ করলে ফল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
@ ফলন @
কলমের গাছে সাধারণত ৪ বৎসর বয়স থেকে ফল আসা শুরু হয় এবং ১৮-২০ বৎসরের গাছে সর্বোচ্চ ফলন থাকে। অবস্থাভেদে গাছের বয়সের উপর ভিত্তি করে গাছ প্রতি ৪ কেজি (৪ বৎসর) থেকে ১২০/১৩০ কেজি (১৮-২০ বৎসর) পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে




লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।
> প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।
> লটকনে ভিটামিন ‘সি’ আছে প্রচুর। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এ ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ।
> লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।
> লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।
> লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে এ ফল বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। তাতে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে। সিজনের সময় প্রতি কেজি লটকন বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকায়।


লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
২. লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।
৩. প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।
৪. লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।
৫. লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।
ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। হলুদাভ ছোট ও গোলাকার এই ফলটি স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণে পরিপূর্ণ। টক-মিষ্টি স্বাদের লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। এই ফলটির আবার বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। লটকন গাছ দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিক চাষ হয়। আসুন জেনে নেই ফলটির নানা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
# লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এছাড়া এই ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ।
# লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।
# প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। ৪. লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।
# লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
# লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ এবং মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: লটকন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১

Monthu বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.