নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামীর পাঁজরের হাড় দিয়ে কি স্ত্রীকে তৈরি করা হয়েছে? বিভিন্ন বিশ্লেষণ দেখি

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

প্রচলিত আছে প্রত্যেক স্ত্রীকেই তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছে। তাহলে যে সব নারীর একাধিক বিয়ে হয় তাদের ক্ষেত্রে এর হুকুম কী কোন স্বামীর হাড় থেকে তাদের তৈরি করা হয়েছে?
উত্তর: না, প্রত্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছে এমন কোনো কথা কুরআনেও নেই আবার হাদিসেও নেই।
তবে হাদিসের মধ্যে যেটা আছে সেটা হলো, পৃথিবীর প্রথম নারী হাওয়াকে আদমের বাম পাঁজরের হাড় থেকে আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। শুধু মাত্র ওনাকেই আর কেউকে না








প্রথমে এ সংক্রান্ত হাদীসটি দেখে নেইঃ
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏« ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﺧُﻠِﻘَﺖْ ﻣِﻦْ ﺿِﻠَﻊٍ ﻟَﻦْ ﺗَﺴْﺘَﻘِﻴﻢَ ﻟَﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﺮِﻳﻘَﺔٍ، ﻓَﺈِﻥِ ﺍﺳْﺘَﻤْﺘَﻌْﺖَ ﺑِﻬَﺎ ﺍﺳْﺘَﻤْﺘَﻌْﺖَ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺑِﻬَﺎ ﻋِﻮَﺝٌ، ﻭَﺇِﻥْ
ﺫَﻫَﺒْﺖَ ﺗُﻘِﻴﻤُﻬَﺎ، ﻛَﺴَﺮْﺗَﻬَﺎ ﻭَﻛَﺴْﺮُﻫَﺎ ﻃَﻠَﺎﻗُﻬَﺎ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নারীকে পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। সে তোমার জন্য কখনোই সোজা হবে না। তার দ্বারা কাজ আদায় করতে হলে এই বাঁকা অবস্থায়ই আদায় করতে হবে। এটি সোজা করতে গেলে ভেঙ্গে যাবে। ভাঙ্গার অর্থ হল তালাক ঘটে যাওয়া। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪৬৮]
হাদীসে নারীদের পাজরের হাড় দ্বারা তৈরীর কথা এসেছে। কিন্তু কার পাজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে? তা হাদীসে বর্ণিত হয়নি।
সুতরাং না বুঝার কারণে অনেকে মনে করেন, স্বামীর পাজরের হাড় দিয়ে স্ত্রীকে তৈরী করা হয়েছে।
একথাটি সম্পূর্ণ গলদ।
একথার কোন ভিত্তি নেই।
হ্যাঁ, হযরত হাওয়া আলাইহিস সালামকে হযরত আদম আঃ এর পাজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। একথা সত্য।
কিন্তু এর মানে সকল স্ত্রীলোককে তার স্বামীর পাজরের হাড় দিয়ে তৈরী করার দাবীটি অযৌক্তিক ও বানোয়াট।
একেতো এর পক্ষে কোন দলীল নেই। দ্বিতীয়ত এটি যুক্তিহীন কথা। কারণ, যে সকল মেয়ে বাচ্চা শিশুকালেই মারা গেছে, বা বিবাহ ছাড়াই মারা গেছে, তাদের কার হাড় দিয়ে তৈরী করা হল?
তাদেরতো স্বামীই ছিল না দুনিয়াতে। তাহলে?
সুতরাং স্বামীর পাজরের হাড় দিয়ে তৈরী করা হয়েছে স্ত্রীদের এ দাবীটিই যেহেতু ভুল। তাই আপনার উপরোক্ত প্রশ্নেরই আর কোন যৌক্তিকতা বাকি থাকে না।
হাদীসটির ব্যাখ্যা কী?
হাদীসে যে পাজরের হাড় দিয়ে তৈরীর যে কথা বলা হয়েছে। এর দ্বারা দু’টি উদ্দেশ্য হতে পারে। যথা-

এটি কেবলি একটি উপমা। সত্যিই পাজরের হাড় দ্বারা তৈরী হওয়া উদ্দেশ্য নয়। নারীদের একটি সৌন্দর্য হল, তারা সাধারণতঃ একটু কথায় আচরণে বাঁকা স্বভাবের হয়ে থাকে। এটি সর্বক্ষেত্রে তাদের দোষ নয়। অনেক ক্ষেত্রেই সৌন্দর্য।

নারীরা বাবা আদম আঃ এর পাজরের হাড় দ্বারা তৈরী। স্বামীর পাজরের হাড় দ্বারা নয়। [তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম-১/১৩৭-১৩৮]
ﻗﻮﻟﻪ : ‏« ﺧُﻠِﻘَﺖ ﻣِﻦ ﺿِﻠﻊ ‏» ﻫﺬﺍ ﻳﺤﺘﻤﻞ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺗﺸﺒﻴﻬﺎ، ﻭﻳﺆﻳﺪﻩ ﻣﺎ ﻣﺮ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻭﺍﻳﺔ ﺍﻟﺴﺎﺑﻘﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﺼﺮﻳﺢ ﺑﺤﺮﻑ ﺍﻟﻜﺎﻑ، ﻭﻳﺤﺘﻤﻞ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺑﻴﺎﻥ ﺃﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻗﺪ ﺧﻠﻘﺖ ﻣﻦ ﺿﻠﻊ ﺁﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ . ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ : ‏« ﻭﻓﻴﻪ ﺩﻟﻴﻞ ﻟﻤﺎ ﻳﻘﻮﻟﻪ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﺃﻭ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺇﻥ ﺣﻮﺍﺀ ﺧﻠﻘﺖ ﻣﻦ ﺿﻠﻊ ﺁﺩﻡ ».
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﺒﺪ ﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ﻋﻔﺎ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﻛﺄﻥ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺸﻴﺮ ﺇﻟﻰ ﻗﻮﻝ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ : “ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻟﻤﺎ ﺧﻠﻖ ﺁﺩﻡ ﺧﻠﻘﺖ ﺣﻮﺍﺀ ﻣﻦ ﺿﻠﻌﻪ ﺍﻟﻘﺼﻴﺮ، ﻓﺼﺎﺭ ﺑﻮﻝ ﺍﻟﻐﻼﻡ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻄﻴﻦ، ﻭﺻﺎﺭ ﺑﻮﻝ ﺍﻟﺠﺎﺭﻳﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﺤﻢ ﻭﺍﻟﺪﻡ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﻓﻲ ﺑﺎﺏ ﺑﻮﻝ ﺍﻟﺼﺒﻲ ﺍﻟﺬﻱ ﻟﻢ ﻳﻄﻌﻢ .
ﻭﻟﻜﻨﻪ ﻟﻴﺲ ﻗﻮﻻ ﻟﻠﻔﻘﻬﺎﺀ ﻓﻘﻂ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺮﻭﻱ ﻓﻲ ﻋﺪﺓ ﺁﺛﺎﺭ، ﻓﻘﺪ ﺃﺧﺮﺝ ﺍﺑﻦ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﺃ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ : “ ﺃﻥ ﺣﻮﺍﺀ ﺧﻠﻘﺖ ﻣﻦ ﺿﻠﻊ ﺁﺩﻡ ﺍﻷﻗﺼﺮ ﺍﻷﻳﺴﺮ ﻭﻫﻮ ﻧﺎﺋﻢ ” ، ﻭﻛﺬﺍ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺯﻡ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻣﺠﺎﻫﺪ، ﺫﻛﺮﻫﻤﺎ ﺍﻟﺤﺎﻓﻆ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺢ ‏( ﺗﻜﻤﻠﺔ ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻤﻠﻬﻢ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺮﺿﺎﻉ، ﺑَﺎﺏُ ﺍﻟْﻮَﺻِﻴَّﺔِ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ - 1/137 138- ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3631- )
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ














উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল – [email protected]










আবু হুরায়রা সূত্রে ইমাম বুখারি ও মুসলিম বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« ﺍﺳْﺘَﻮْﺻُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﺧُﻠِﻘَﺖْ ﻣِﻦْ ﺿِﻠَﻊٍ ﻭَﺇِﻥَّ ﺃَﻋْﻮَﺝَ ﺷَﻲْﺀٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﻀِّﻠَﻊِ ﺃَﻋْﻠَﺎﻩُ، ﻓَﺈِﻥْ ﺫَﻫَﺒْﺖَ ﺗُﻘِﻴﻤُﻪُ ﻛَﺴَﺮْﺗَﻪُ، ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﺮَﻛْﺘَﻪُ ﻟَﻢْ ﻳَﺰَﻝْ ﺃَﻋْﻮَﺝَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻮْﺻُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ »
“তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও, কারণ নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, পাঁজরের মধ্যে উপরের হাড্ডি সবচেয়ে বেশী বাঁকা। যদি তা সোজা করতে চাও ভেঙ্গে ফেলবে, ছেড়ে দিলেও তার বক্রতা যাবে না। অতএব নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও।”[4] হাফেয ইব্ন হাজার রহ. বলেন: “এ হাদিস ইব্ন ইসহাকও বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন:
« ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَﻯ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻞ ﺃَﻥْ ﻳَﺪْﺧُﻞ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔ ، ﻭَﺟُﻌِﻞَ ﻣَﻜَﺎﻧﻪ ﻟَﺤْﻢ »
জান্নাতে প্রবেশ করানোর পূর্বে বাম পাঁজর থেকে (তাকে সৃষ্টি করা হয়), অতঃপর তার জায়গায় গোস্ত তৈরি করা হয়।”[5]
[4] বুখারি: (৩৩৩১), মুসলিম: (১৪৭০)
[5] ফাতহুল বারি: (৬/৩৬৮)
তাহলে কি প্রতিটি পুরুষের স্ত্রীকে তাদের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। নাকি শুধু হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল।








সূরা আন নিসা'র ১নং আয়াতে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন:
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﻧَّﻔْﺲٍ ﻭَﺍﺣِﺪَﺓٍ ﻭَﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﻭَﺑَﺚَّ ﻣِﻨْﻬُﻤَﺎ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺗَﺴَﺎﺀﻟُﻮﻥَ ﺑِﻪِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺣَﺎﻡَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺭَﻗِﻴﺒًﺎ
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি
তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন ; আর
বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী । আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।
আবার অন্য এক জায়গায় আল্লাহপাক বলেছেন:
ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﻧَّﻔْﺲٍ ﻭَﺍﺣِﺪَﺓٍ ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﻟِﻴَﺴْﻜُﻦَ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺗَﻐَﺸَّﺎﻫَﺎ ﺣَﻤَﻠَﺖْ ﺣَﻤْﻼً ﺧَﻔِﻴﻔًﺎ ﻓَﻤَﺮَّﺕْ ﺑِﻪِ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﺛْﻘَﻠَﺖ ﺩَّﻋَﻮَﺍ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺭَﺑَّﻬُﻤَﺎ ﻟَﺌِﻦْ ﺁﺗَﻴْﺘَﻨَﺎ ﺻَﺎﻟِﺤﺎً ﻟَّﻨَﻜُﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﺎﻛِﺮِﻳﻦَ
তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে ; আর "তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া", যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। তারপর যখন বোঝা হয়ে গেল, তখন উভয়েই আল্লাহকে ডাকল যিনি তাদের পালনকর্তা যে, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব।
(সূরা: আল আ’রাফ | আয়াত: ১৮৯)
উপরের আয়াত দুটি বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, "তোমাদেরকে/তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে/একটি মাত্র সত্তা থেকে"। এখানে তোমাদেরকে/তোমাদিগকে বলতে সমগ্র মানবজাতিকে বুঝিয়েছেন। কেবলমাত্র পুরুষজাতিকে নয়। তাহলে সমগ্র মানবজাতিকে তিনি একটি মাত্র সত্তা বা ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর "বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী" এই কথাটি দ্বারা তো পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সমগ্র পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করে বিস্তার করেছেন অর্থাৎ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি একথা বলেননি যে প্রত্যেক পুরুষ থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন। কাজেই ধর্মীয় দিক থেকে এব্যাপারটি পরিষ্কার যে আল্লাহ হযরত আদম (আ:) কে সৃষ্টির পর তার পাঁজরের হাড় থেকে হযরত হাওয়া (আ:) কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের থেকে পর্যায়ক্রমে সকল পুরুষ-নারী সৃষ্টি করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
এবার একটি হাদিস শুনি:
আবু হুরায়রা সূত্রে ইমাম বুখারি ও মুসলিম বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
ﺍﺳْﺘَﻮْﺻُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﺧُﻠِﻘَﺖْ ﻣِﻦْ ﺿِﻠَﻊٍ ﻭَﺇِﻥَّ ﺃَﻋْﻮَﺝَ ﺷَﻲْﺀٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﻀِّﻠَﻊِ ﺃَﻋْﻠَﺎﻩُ، ﻓَﺈِﻥْ ﺫَﻫَﺒْﺖَ ﺗُﻘِﻴﻤُﻪُ ﻛَﺴَﺮْﺗَﻪُ، ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﺮَﻛْﺘَﻪُ ﻟَﻢْ ﻳَﺰَﻝْ ﺃَﻋْﻮَﺝَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻮْﺻُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ
তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও, কারণ নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে । পাঁজরের মধ্যে উপরের হাড্ডি সবচেয়ে বেশী বাঁকা, যদি তা সোজা করতে চাও ভেঙ্গে ফেলবে, ছেড়ে দিলেও তার বক্রতা যাবে না। অতএব নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও।
এখানেও বলা হয়নি যে প্রত্যেক নারী তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি।
একটি কথা বলা যায়, যেসব মহিলা তালাক প্রাপ্ত হয়ে বা স্বামী মারা যাওয়ার কারনে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করেন, তাদের ব্যাপরে কোরআন বা হাদিসে কিছু বলা হয়নি। তাহলে তারা কিসের থেকে সৃষ্টি বা কতজন পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি?
তাই কোরআন ও হাদিসের আলোকে একথা বলা যায় যে, আল্লাহপাক সর্বপ্রথম হযরত আদম (আ:) কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তার পাঁজরের হাড় থেকে হযরত হাওয়া (আ:) কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দু'জন থেকে পর্যায়ক্রমে সমগ্র মানবজাতি সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে ছিয়েছেন।
প্রত্যেক নারীকে তার স্বামীর (বা পুরুষের) পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেননি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.