নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সিটিং সার্ভিস এর আত্মিক কাহিনী

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

একটি সিটিং সার্ভিস কাহিনী
♣♣♣♣♣♣


একদিন একটি টাটা বাস বাংলাদেশে এলো।তাহার মালিক তাকে রাস্তায় নামালো। ড্রাইভার ছিলো কচি এক পোলা। বয়স বলে লজ্জা দিতো না কেউ।



ছেলেটি(ড্রাইভার)ছিলো রক্ত তাজা আর গরম। বাস চালতো সিটিতে, (ঢাকা)। ধুন ত্রি মুভি দেখে সেও রাস্তায় নামতো।
একদিন ড্রাইবার ছেলেটি ভাবলো, আরে বাসের মালিক তো সব টাকা (সিটের ভাড়া) নেয়। আমিও কিছু এক্সট্রা কামাই করবো। ওহ ড্রাইভার এর নাম বলি নাই।
নাম কালা চান।





তো কালাচাঁন সাহেব বেশি যাত্রি তোলে, আর রাস্তায় রেইস করে। কার আগে সামনের যাত্রি গুলো তার বাসে তুলবে ।। চিন্তা একটাই টাকা চাই।



কালা চান এই বাসে ওই বাসে ধাক্কা খায়। বাসের রং গেলো শশুর বাড়ি। একদিন বাস করলো এক্সিডেন্ট।
বাসের অবস্থা হল কটকটি।




তার পরেও কালা চান আর বাসের মালিক আশা ছাড়লো না। বাসে দিলো নতুন রং।

বাসের আকিকা না দিয়েই বাসের দিলো নতুন এক নাম। #সিটিং_সার্ভিস।
আর আবার শহরে চলতে শুরু করলো সিটিং সার্ভিস।





নতুন নাম। নতুন রং, নতুন ডিজাইন,
শুধু হেডলাইট নাই। সেখানে তালি জুরা দেয়া
লুকিং গ্লাস নাই। নাই বললে ভুল হবে, রাগ করে বাপের বাড়ি গেছে লুকিং গ্লাস। আসবে, বলেছে সামনের পুজোর ছুটিতে চলে আসবে।

আর আসেনি।

এখন কালা চান বাস চালায়। সিটিং সার্ভিস।যাত্রি থাকে
৩৮জন বসে ৩২জন দাড়িয়ে ১০জন ঝুলে ৫জন ছাদে।

কালা চানের অনেক গর্ব। গর্বে গর্বে সে মহান উস্তাদ ড্রাইভার।

তার বাসে মানুষ উঠে আর সে সবাইকে জায়গা দেয় কাউকে নিরাশ করে না।

কারন সে অনেক জন দরদী।

তার বাসের নাম সিটিং সার্ভিস।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.