নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলেজের সেই দিদি

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৪


কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ভর্তি হই। বেশ কয়দিন একা একা ছিলাম। পুরাতন বন্ধুরা অনেকে ঢাকা চলে যাবে এই উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকা চলে যায়। কিন্তু তারা সবাই চলে আসে। আমি ছিলাম মানবিকের ছাত্র। তবে আমার সব বন্ধুরা কমার্সের ছিলো। ছিলো সাইন্স বিভাগের। স্কুল থেকেই তারা আমার খুব কাছের ছিলো। এর মাঝে কমার্সের অনেক মেয়ের সাথে খুব উঠা বসা হত। তাদের সবার চাইতে কথা বলতো ঝগড়াটে টাইপের যে মেয়েটা । সে আমার বন্ধুর সাথে প্রেম হল। আসলে ঘটনাটা অনেক ঘটনাবহুল। ও আমার নাম ই বলা হল না। আমি অনিক। লোকে আমাকে অনেক নামে ডাকে। যাই হোক বন্ধুরা খুব একটা পচায় না। ওই কলেজে প্রথম দেখা থেকেই আমার সাথে আমার বন্ধুর প্রেমিকার এক অন্যপ্রকার সম্পর্ক গড়ে উঠে। আসলে আমি ছিলাম সবার চাইতে এক রুখা টাইপের। সে বললো তুই আমাকে দিদি ডাকবি। তাই আমিও তুই ডাকতাম আবার দিদিও। পুজার সময় বাড়িতে যাওয়া হত। না গেলেও বিভিন্ন সময় রান্না করে এনে খাওয়াতো।। তার একটা গুণ ছিলো মানুষকে খুব কাছের মনে করা। আর আরো ভালো গুণ ছিলো ইচ্ছা মতো ঝগড়া করা।এতো দ্রুত কথা বলতো মনে হয় তর্ক প্রতিযোগিতা হচ্ছে। একদিন পূজার ঘটনা গিয়ে দেখি অনেক কিছুই রান্না করেছে। আন্টি আমাকে দেখে আর সালাম, করিম ও ছিল। ও বলা হয়নি। সালাম হল আমাদের ক্লাসের সবচাইতে মোটা ছেলেটি। তার খাবার তালিকা দেখে হোটেলের ওয়েটার মামাও অবাক হয়ে যায়। যাই হোক। আমাদের দেখে খুব খুশি হলেন। কথা হল যে কোন অনুষ্টানে আমাদের তিনি ডেকে নিয়ে যাওয়াটা নিজের প্রধান কাজই মনে করতেন। আগেই বলে দিতেন। ফোন করে তোমরা আসবে কিন্তু। যাই হোক ওইদিন ছিল অন্যরকম এক আনন্দের। আমরা
মানুষের ভালোবাসা উপভোগ করতে জানি। আমরা জানি কি করে মানুষের কাছে ভালোবাসা পাওয়া যায়। আর সেটা পেলে সব কিছু ভুলে যাই । আমার কোন বোন ছিলোনা। এটা সবাই জানতো। তাই সে আমাকে ভাই বানিয়েছিলো।তার মাঝে অনেক গুণ ছিলো, হয়তো সবাইকে আপন করতে পারতো। রাগী মানুষ এই কাজটা পারে। তাদের রাগটা অনেক দিন রেখে দেয়। আবার মন থেকে মানুষকে আপন করে নেয়। একই সাথে আপনাকে বকবে। আবার আপনাকে বকার পর দুঃখ প্রকাশ করবে। আপনাকে কাঁদাবে, তার চাইতে বেশি নিজে দুঃখ পাবে। এটা সবাই পারেনা। সবার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। সবাই মানুষকে মন থেকে আপন করতে পারেনা। আর অনেকে ভাবতে পারেন আরে ভাই মেয়েরা ভাই বানায় তাদের কলেজের কাজ গুলো, এসাইনম্যান্ট এসব করিয়ে নেয়ার জন্য। আমি তাদের বলবো এরকম নয়।আমাকে কোনদিন কোন একটা ফোটোকপিও করে দিতে হয়নি। আরে ভাই যে মেয়ে এতো স্বাধীন নিজের কাজ নিজেই করতে পারে তার কোন সাহায্যকারী দরকার নাই। বুঝলেন বিষয়টা। কাউকে বোকা বানিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার দরকার তো কোনদিন ই নাই। তাই সম্পর্ক টা যতোদিন ছিলো ভালোই ছিল। যাই হোক রাগি মানুষ তাই কলেজের এমন কোন লোক নাই যার সাথে ১৯ থেক্ব ২০ যাকে বলে পান থেকে চুন খসা বিষয় নিয়ে তার ঝগড়া না হয়েছে। আমার সাথেও হয়েছে। শেষ মাস যখন আসবো কলেজ থেকে কিছুই বুঝলাম না এসে বলতেছে, তুই আমাকে মিথ্যা বললি কেন?আমি কি বললাম? যা তুই আমার সাথে কোনদিন কথা বলবি না।।।
আমি আরে কি হইছে? দিদি বলে কিছুনা। তুই যা। সামনে আসবিনা আমার।।। তারপর আর জানা হয়নি যাওয়া হয়নি তার বাসায়। শুনেছি বন্ধুর সাথে ব্রেক আপ হয়। সে জানতে পেরেছিল কার সাথে প্রেম আছে। সে ভেবেছে আমিও জানতাম। তাকে বলিনি। কেন বলিনি এটাই আমার অপরাধ।



শুভ দশমি। ভালো থেকো দিদি। যেখানে থাকো ভালো থেকো।।।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১১

নূর ইমাম শেখ বাবু বলেছেন:

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ লিখেছেন দিদি কে নিয়ে স্মৃতিচারণ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। আপনিও আমার দিদি হতে পারেন। আমার কোন বোন নাই। তাই আমি সবাইকে বোন ডাকি।।।আপনি কি দিদি হবেন?

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

সাহিনুর বলেছেন: দারুন হয়েছে গল্পটি। ভালো লাগলো পড়ে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সিনিয়র ব্লগার হিসেবে অবশ্যই আমি আপনার দিদি।
ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার এই ব্লগেও এখজন বড় দিদি মিলে গেলো। ভালো লাগছে।আসলে আমি বিভূতিভূষণ এর উপন্যাস গুলো পড়ে নিজেকে খুব অসহায় মনে করি। একজন বোন নাই। তাই আপনাকে এই কথা বললাম। পথের পাঁচালী, হিন্দু হোস্টেল, আমার
কানে যেনো কথা বলে উপন্যাস গুলো।।। মিশে গেছে। একদম মিশে গেছে। মনে প্রাণে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো থেকো দিদি।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: কাজলা দিদির কথা মনে পড়ে গেল।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: তাই?

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৬

Monthu বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সুন্দর উপস্থাপন।।। সুন্দর লেখা

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৭

চাঙ্কু বলেছেন: দিদি ভাল থাকুক!
শুভ দশমি!

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.