নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ , কবির কিছু কবিতা ও ছড়া সংগ্রহ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

ছবি গুগল।
ফররুখ আহমদ (জন্ম : জুন ১০ , ১৯১৮ - মৃত্যু :অক্টোবর ১৯ , ১৯৭৪ ) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি। ফররুখ আহমদের জন্ম হয়েছিল তৎকালীন যশোর জেলার মাঝাইল গ্রামে। ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন মুসলিম জাগরণের এই অগ্রদূত।
চল্লিশের দশকে কলকাতায় যে ক’জন শক্তিমান কবির আর্বিভাব ঘটে ফররুখ আহমদ ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর কাব্য প্রতিভা শুধু কলকাতায় নয় পরবর্তীতে এদেশেও বিপুল খ্যাতি ও দীপ্তি লাভ করে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর উর্দুকে যখন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পাঁয়তারা চলছিল তখন বিদ্রুপাত্মক কবিতা লিখেন কঠোর সমালোচনায়
‘দুই শো পঁচিশ মুদ্রা যে অবধি হয়েছে বেতন
বাংলাকে তালাক দিয়া উর্দুকেই করিয়াছি নিকা....
খাঁটি শরাফতি নিতে ধরিয়াছি যে অজানা বুলি
তার দাপটে চমকাবে এক সাথে বেয়ারা ও কুলি।’
কবির কর্মজীবনের ব্যপ্তিটা ছিল ভিন্ন রকম। কলকাতায় ১৯৪৩ সালে আই.জি.প্রিজন অফিসে, ১৯৪৪ সালে সিভিল সাপ্লাইতে এবং ১৯৪৬ সালে জলপাইগুড়িতে একটি ফার্মে চাকরি করেন তিনি। ১৯৪৫ সালে তিনি মাসিক 'মোহাম্মদী'-র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ১৯৪৮ সালে স্থায়ীভাবে চাকরি করেন ঢাকা বেতারে। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি।।


ঝরোকা – ফররুখ আহমদ
সকল রুদ্ধ ঝরোকা খুলে দাও
খুলে দাও সকল রুদ্ধ দরোজা।
আসুক সাত আকাশের মুক্ত আলো
আর উচ্ছল আনন্দের মত
বাগে এরেমের এক ঝাঁক মৌমাছি .. ..
যেন এই সব পাথরের ফুলের মাঝখান থেকে
আমি চিনে নিতে পারি
রক্তমনির চেয়েও লাল সুনভিত
একটি তাজা রক্ত গোলাপ;
আমার ব্যথিত আত্মা আর্তনাদ করে উঠলো
দাউদের পুত্র সোলায়মানের মতো
কেননা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আকাশ আছে পৃথিবীতে
চিরন্তন শুধু সত্যের অন্বেষা।

ঝুমকো জবা – ফররুখ আহমদ
ঝুমকো জবা বনের দুল
উঠল ফুটে বনের ফুল।
সবুজ পাতা ঘোমটা খোলে,
ঝুমকো জবা হাওয়ায় দোলে।
সেই দুলুনির তালে তালে,
মন উড়ে যায় ডালে ডালে।




পুরানো মাজারে
♦♦♦
পুরানো মাজারে শুয়ে মানুষের কয়খানা হাড়
শোনে এক রাতজাগা পাখীর আওয়াজ। নামে তার
ঘনীভূত রাত্রি আরো ঘন হ’য়ে স্মৃতির পাহাড়।
এই সব রাত্রি শুধু একমনে কথা কহিবার
নিজেদের সাথে। জানি; – মুসাফির-ধূলির অতিথি
প্রচুর বিভ্রমে, লাস্যে দেখেছিল যে তন্বী পৃথিবী
পুঞ্জীভূত স্মৃতি তার জীবনের ব্যর্থ শোক-গীতি:
রাতজাগা পাখীর আওয়াজ: জমা আঁধারের ঢিবি –
যেন এক বালুচর, দুই পাশে তরঙ্গ-সঙ্কুল
জীবনের খরস্রোত, নিষ্প্রাণ বিশুভ্র বালুচরে
কাফনের পাশ দিয়ে বেজে চলে দৃঢ় পাখোয়াজ।
পুরানো ইটের কোলে শোনে কারা সংখ্যাহীন ভুল
ঝরেছে অপরাজেয় অগণিত মৃত্যুর গহ্বরে।
মাজারে কাঁপায়ে তোলে রাতজাগা পাখীর আওয়াজ।।

সাত সাগরের মাঝি (ডিসেম্বর, ১৯৪৪) থেকে।



মন
মন মোর আসন্ন সন্ধ্যার তিমি মাছ-
ডুব দিল রাত্রির সাগরে।
তবু শুনি দূর হ’তে ভেসে আসে-যে আওয়াজ
অবরুদ্ধ খাকের সিনায়।

সূর্য মুছিয়াছে বর্ণ গোধুলি মেঘের ক্লান্ত মিনারের গায়,
গতি আজ নাইকো হাওয়ায়
নিবিড় সুপ্তির আগে বোঝে না সে শান্তি নাই তমিস্রা পাথারে।
তবু পরিশ্রান্ত ম্লান স্নায়ুর বিবশ সঞ্চরণে
আতপ্ত গতির স্বপ্ন জমা হয় মনে,
বুঝি চৈত্র অবসন্ন আকাশে আকাশে ফেরে ঝড়ের সংকেত
বুঝি দুঃস্বপ্নের মত ভিড় ক’রে আসে কোটি প্রেত
অমনি
মনের দিগন্তে মোর চমকায় সহস্র অশনি।
শুনি আকাশের ধ্বনি :
তোমার দুর্ভাগ্য রাত্রি মুক্ত পূর্বাশার তীরে
হ’য়েছে উজ্জ্বল,
তোমার অরণ্যে আজ পুরাতন বনস্পতি
ছাড়িয়াছে বিশীর্ণ বল্কল।
দিগন্ত-বহ্নির মত হানা দিয়ে ফেরে সে ভাবনা,
অবসন্ন জনতার মনে দোলে বৈশাখের
বজ্র-দীপ্ত-মেঘ সম্ভাবনা।
রাত্রির সমুদ্র ছাড়ি-মন
প্রভাতের যুক্ত বিহঙ্গম।
আকাশে উধাও ডানা, ছেড়ে যায় পুরাতন লুণ্ঠিত মিনার
ছেড়ে যায় আকাশের বর্ণ বিভা, দিগন্ত কিনার;
বন্দীর স্বপ্নের মত বাঁধামুক্ত মন; -মোর মন।


সিরাজাম মুনীরা (সেপ্টেম্বর ১৯৫২) থেকে



সাত সাগরের মাঝি
ফররুখ আহমদ
কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হল জানি না তা ।
নারঙ্গি বনে কাঁপছে সবুজ পাতা ।
দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা।
তবু জাগলে না ? তবু, তুমি জাগলে না ?
সাত সাগরের মাঝি চেয়ে দেখো দুয়ারে ডাকো জাহাজ,
অচল ছবি সে, তসবির যেন দাঁড়ায়ে রয়েছে আজ ।
হালে পানি নাই, পাল তার ওড়ে নাকো,
হে নাবিক! তুমি মিনতি আমার রাখো;
তুমি ওঠে এসো, তুমি ওঠে এসো মাঝি মাল্লার দলে
দেখবে তোমার কিশতি আবার ভেসেছে সাগর জলে,
নীল দরিয়ায় যেন সে পূর্ণ চাঁদ
মেঘ তরঙ্গ কেটে কেটে চলে ভেঙে চলে সব বাঁধ ।
তবু তুমি জাগো, কখন সকাল ঝরেছে হাসনাহেনা
এখনো তোমার ঘুম ভাঙলো না ? তবু, তুমি জাগলে না ?
দুয়ারে সাপের গর্জন শোনো নাকি ?
কত অসংখ্য ক্ষুদধিতের সেথা ভির,
হে মাঝি ! তোমার বেসাতি ছড়াও, শোনো,
নইলে যে-সব ভেঙে হবে চৌচির ।
তুমি দেখছ না, এরা চলে কোন আলেয়ার পিছে পিছে ?
চলে ক্রমাগত পথ ছেড়ে আরও নিচে !
হে মাঝি ! তোমার সেতারা নেভেনি একথা জানো তো তুমি,
তোমার চাঁদনি রাতের স্বপ্ন দেখেছে এ মরুভূমি,
দেখো জমা হল লালা রায়হান তোমার দিগন্তরে;
তবু কেন তুমি ভয় পাও, কেন কাঁপো অজ্ঞাত ডরে !
তোমার জাহাজ হয়েছে কি বানচাল,
মেঘ কি তোমার সেতারা করে আড়াল ?
তাই কি অচল জাহাজ ভাঙা হাল
তাই কি কাঁপছে সমুদ্র ক্ষুধাতুর
বাতাস কাঁপানো তোমার ও ফাঁকা পাল ?
জানি না, তবু ডাকছি তোমাকে সাত দরিয়ার মাঝি,
প্রবাল দ্বীপের নারিকেল শাখা বাতাসে উঠেছে বাজি ?
এ ঘুমে তোমার মাঝিমাল্লার ধৈর্য নেইকো আর,
সাত সমুদ্র নীল আকাশে তোলে বিষ ফেনভার,
এদিকে অচেনা যাত্রী চলেছে আকাশের পথ ধরে
নারঙ্গি বনে কাঁপছে সবুজ পাতা ।
বেসাতি তোমার পূর্ণ করে কে মারজানে মর্মরে ?
ঘুমঘোরে তুমি শুনছ কেবল দুঃস্বপ্নের গাঁথা ।
উচ্ছৃঙ্খল রাত্রির আজো মেটেনি কি সব দেনা ?
সকাল হয়েছে । তবু জাগলে না ? তবু তুমি জাগলে না ?
তুমি কি ভুলেছ লবঙ্গ ফুল, এলাচের মৌসুমী,
যেখানে ধূলিতে কাঁকরে দিনের জাফরান খোলে কলি,
যেখানে মুগ্ধ ইয়াসমিনের শুভ্র ললাট চুমি
পরীর দেশের স্বপ্ন সেহেলি জাগে গুলে বকাওলি ?
ভুলেছ কি সেই প্রথম সফর জাহাজ চলেছে ভেসে
অজানা ফুলের দেশে,
ভুলেছ কি সেই জমরুদ তোলা স্বপ্ন সবার চোখে
ঝলসে চন্দ্রলোকে,
পাল তুলে কোথা জাহাজ চলেছে কেটে কেটে নোনা পানি,
অশ্রান্ত সন্ধানী ।





বৃষ্টির ছড়া
ফররুখ আহমদ
বিষটি এল কাশ বনে
জাগল সাড়া ঘাস বনে,
বকের সারি কোথা রে
লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে।
নদীতে নাই খেয়া যে,
ডাকল দূরে দেয়া যে,
কোন সে বনের আড়ালে
ফুটল আবার কেয়া যে।
গাঁয়ের নামটি হাটখোলা,
বিষটি বাদল দেয় দোলা,
রাখাল ছেলে মেঘ দেখে,
যায় দাঁড়িয়ে পথ-ভোলা।
মেঘের আঁধার মন টানে,
যায় সে ছুটে কোন খানে,
আউশ ধানের মাঠ ছেড়ে
আমন ধানের দেশ পানে।




ফররুখের গ্রন্থাবলী: সাত সাগরের মাঝি (ডিসেম্বর, ১৯৪৪), সিরাজাম মুনীরা (সেপ্টেম্বর, ১৯৫২), নৌফেল ও হাতেম (জুন, ১৯৬১), মুহূর্তের কবিতা (সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩), ধোলাই কাব্য (জানুয়ারি, ১৯৬৩), হাতেম তায়ী (মে, ১৯৬৬), নতুন লেখা (১৯৬৯), কাফেলা (অগাস্ট, ১৯৮০), হাবিদা মরুর কাহিনী (সেপ্টেম্বর, ১৯৮১), সাগরের মাঝি নয়া জামাত, সিন্দাবাদ, সংকলন, কাফেলা শিশু কিশোরদের জন্য ছড়ার আসর (১,২,৩ খন্ড ), আলোকলতা, খুশির ছড়া, ছবির দেশে, মজার ছড়া, পাখির বাসা ছড়া, রংমশাল, হেরফের ছড়া।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
আওয়ার ইসলাম ২৪।

“মুহূর্তের কবিতায়” তিনি লিখেছেন,
“... মুহূর্তের এ কবিতা, মুহূর্তের এ কলতান
হয়তো পাবে না কণ্ঠে পরিপূর্ণ সে সুর সম্ভার,
হয়তো পাবে না খুঁজে সাফল্যের, পথের সন্ধান, -
সামান্য সঞ্চয় নিয়ে সে চেয়েছে সমুদ্রের পার;
তবু মনে রেখো তুমি নগণ্য এ ক্ষণিকের গান
মিনারের দম্ভ ছেড়ে মূল্য চায় ধূলিকণিকার।”





“আয় গো তোরা ঝিমিয়ে পড়া
দিনটাতে,
পাখির বাসা খুঁজতে যাব
এক সাথে ॥
কোন্ বাসাটা ঝিঙে মাচায়
ফিঙে থাকে কোন্ বাসাটায়
কোন্ বাসাতে দোয়েল ফেরে
সাঁঝ রাতে ॥
ঝিলের ধারে, ঝোপের মাঝে
কোন্ বাসাটা লুকিয়ে আছে
কোন্ বাসাটায় বাবুই পাখির
মন মাতে ॥
নদীর ধারে নিরালাতে
গাঙ শালিকের বাস যেটাতে
রাত্তিরে সে থাকে, এখন
নেই যাতে ॥”


কবি লক্ষ্য করেন শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র। জনতার ভোট পেয়ে যারা ক্ষমতার গাড়ি হাতে পায়, সেই গাড়ি তারা জনতার বুকের উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। গণমানুষের মন ধু ধু বালুচর। দুঃখী মানুষের সমর্থন পেয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে শাসক আর আশ্রয়হীন, ক্ষুধার্ত মানুষ কাতরায় ডাস্টবিন-নর্দমার পাশে।
জনতার সিঁড়ি বেয়ে ঊর্ধ্বে উঠি অতি অনায়াসে
তারে তুমি ফেলে যাও পথ-প্রান্তে নর্দমার পাশে।
[লাশ/ সাত সাগরের মাঝি]
মানুষের হাড় দিয়ে করেছো এ নগর পত্তন
মরুভূমি হল বন, মরুভূমি মানুষের মন।
[পোড়ামাটি]



ত হানি
নিয়ে যাবো জাহান্নাম দ্বারপ্রান্তে টানি
আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও
ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।
[লাশ/ সাত সাগরের মাঝি]





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার কাজ অনেকটা এগিয়ে দেবার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মামুন ভাই।
মুসলিম জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের
মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ।।।। তার কবির অনেক ছড়া আমরা ছোট বেলায় পাড়েছি। কবিতা পড়েছি । ভালো লাগতো সেই ছোট থেকেই।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নসিব করুন।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: কবির ছেলে মেয়ে- সাংসারিক জীবন নিয়ে ও কিছুই লিখলেন না!!!

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

নভো নীল দীপ্তি বলেছেন: পোষ্ট টি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।মুসলিম জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.