![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসটি পড়লে বোঝা যাবে তা থেকে আকর্ষণীয় একটি মুভি তৈরি করা কতোখানি কঠিন। কিছু তরুণ-তরুণী সেন্ট মার্টিনসে যেতে চাইছে ও নানাভাবে তাদের অনেকেই সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছে। আদৌ যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। এমন কাহিনীর মুভিতে আকর্ষণীয় তেমন কিছুই থাকার কথা নয়। কিন্তু দক্ষ পরিচালক তৌকীর ঠিকই সেই আকর্ষণটা আনতে পেরেছেন।
সেন্ট মার্টিনস বা দারুচিনি দ্বীপকে এসব তরুণ-তরুণীর কল্পনায় তুলে এনেছেন, এটাই মুভির মূল আকর্ষণ। দারুচিনি দ্বীপের কল্পনাকে ফোকাস করেই মুভিটি বানিয়েছেন তৌকীর। সবার চিন্তাতেই ছিল শুধু দারুচিনি দ্বীপ ও সাগর।
এজন্যই তরুণ-তরুণীরা ছাড়াও আনুশকার বাবা, যিনি জাহাজের ক্যাপ্টেন। তার কল্পনাতেও দেখানো হয়েছে সাগরে কাটানো তার অসাধারণ মুহূর্তগুলোকে। একটি সাধারণ কাহিনীর একটি উপন্যাসের দারুণ চলচ্চিত্র রূপদান করেছেন তৌকীর।
উপন্যাসের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো ছেটে ফেলেছেন তিনি। বাণিজ্যিক চিন্তা থেকে চমৎকার দৃশ্যায়নের একটি গান সংযোজন করেছেন। তৌকীরের সিকোয়েন্সের জ্ঞান খুবই ভালো। মুভির প্রতিটি দৃশ্যের ধারাবাহিকতা সঠিকভাবে রক্ষা করা হয়েছে। কাহিনীর পুনর্বিন্যাস যেসব জায়গায় করা হয়েছে তা প্রয়োজনীয় ছিল এবং দক্ষতার সঙ্গেই তা সম্পন্ন হয়েছে।
যেমন বইয়ে ছিল মোনা জামা কিনে দেয়ার কারণটা বল্টুকে চিঠিতে বলে। কিন্তু মুভিতে সেটা সে সামনাসামনিই বলে। তৌকীরের মাথায় ছিল মোনার চরিত্রে রূপদানকারী মুনমুন একজন লাক্স সুন্দরী। তাকে অভিনয়ের সুযোগ দিতে হবে। পরিচালনায় এ রকম বুদ্ধিমত্তা মুভির আরো বহু জায়গায় দেখিয়েছেন তৌকীর।
ফজলুর রহমান বাবুর চরিত্রটি নোংরামি নিখুতভাবে ফুটিয়ে তুলতে বইয়ের অতিরিক্ত বেশ কিছু জিনিস সংযোজন করেছেন তিনি। সম্পূর্ণ সেন্ট মার্টিনসে চিত্রায়িত যেখানে যাবো হারিয়ে গানটি ও এর দৃশ্যায়ন সম্পর্কে না বললেই নয়।
চমৎকার সুর ও কম্পোজিশনের গান। দৃশ্যায়নও দারুণ। এই তরুণ-তরুণীদের স্বতঃস্ফূর্ততা ভালোভাবে এসেছে গানটিতে। ড্রেসগুলো ছিল চমৎকার।
পুরো মুভিতে সাগর ও দ্বীপের দৃশ্যায়নগুলো খুব ভালো হয়েছে। এসব দৃশ্যের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যেসব ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করা হয়েছে তা মন ভরিয়ে দেয়ার মতো। সামিনা চৌধুরীর গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতটি শুনতে খুব ভালো লেগেছে।
অধিকাংশ দৃশ্যায়ন ভালো হলেও ক্যামেরা ওয়ার্কেই মুভিটির ছোট একটি দুর্বলতা ধরা পড়েছে। বেশ কিছু দৃশ্যেই সব চরিত্রকে পুরোপুরি এক ফ্রেমে আনা যায়নি। বিশেষ করে গানটিতে যেসব দৃশ্যে সবাইকে দেখানো হয়েছে সে সময় দু-একজন চরিত্র মাঝে মধ্যেই ফ্রেমের বাইরে চলে গেছেন।
এছাড়াও ক্যামেরার পজিশন অনেক দৃশ্যেই স্থির থাকেনি, ওঠানামা করেছে। বিশেষ করে মম রিয়াজকে ধরে স্টেশনে হাটার দৃশ্যটিতে এটি পরিষ্কার বোঝা গেছে। মুভির শেষ দৃশ্যটা আরেকটু আকর্ষণীয় হতে পারতো। ট্রেন না দেখিয়ে শেষ দৃশ্যে দারুচিনি দ্বীপ দেখানো যেতো।
এবার কলাকুশলীদের প্রসঙ্গ, প্রথমেই মুভির মূল আকর্ষণ তিন লাক্স সুন্দরীর কথা। তিনজনই আশাতীত ভালো অভিনয় করেছেন। প্রধান নারী চরিত্র মম খুব ভালো করেছেন। দারুণ মানিয়ে গেছে তাকে চরিত্রটিতে। বিন্দুর অভিনয়ও দুর্দান্ত, তিনিও ছিলেন প্রায় নিখুত। খুব গ্ল্যামারাস লেগেছে তাকে। আর মুনমুনের অভিনয় তো এক কথায় অসাধারণ।
তার স্বতঃস্ফূর্ত, সাবলীল অভিনয় দেখে মনেই হয়নি এটা তার প্রথম মুভি। অন্যদের মাঝে রিয়াজ, মোশাররফ করিম, ইমন, বাবু, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রত্যেককে যার যার চরিত্রে দারুণভাবে মানিয়ে গেছে। অর্থাৎ মুভিটির কাস্টিং ছিল দুর্দান্ত।
তারা সবাই দারুণ অভিনয় করলেও আলাদাভাবে বলতে হবে বাবুর কথা। তিনি এমনই অভিনয় করেছেন যে দর্শক তাকে ঘৃণা না করে পারেনি। চরিত্রটির ডিমান্ডও ছিল সেটাই। এছাড়া বাকি সব সিনিয়র আর্টিস্টের প্রত্যেকে যার যার নামের প্রতি সুবিচার করেছেন।
জয়যাত্রায় তৌকীর বুঝিয়েছিলেন সিরিয়াস মুভি নির্মাণে তার দক্ষতা। বাণিজ্যিক মুভি নির্মাণেও তার সমান দক্ষতার কথা জানালো দারুচিনি দ্বীপ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : নাবিল হোসেন দীপ
ফটো ক্যাপশন : দারুচিনি দ্বীপ মুভির কয়েকটি দৃশ্য।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সাইমুম বলেছেন: গ্রেট ফাইভ।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
রিজভী বলেছেন: ত্রিভুজ ও সাইমুম ভাই @ থ্যাংকস্।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০১
বসুরহাট বলেছেন: ধন্যবাদ রিজভী। পোষ্টটি করার জন্য।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৭
রাকিব বলেছেন: হুমম..ভালো হয়েছে।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৩
রিজভী বলেছেন: বসুরহাট ও রাকিব @ থ্যাংকস্।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৫
নিন্দুক বলেছেন: নাচটা ফালতু লাগছে আমার কাছে। ছবিটার মধ্যে হিন্দি মুভির গন্ধ ছিল, গানগুলোরও একি অবস্থা।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৬
ঘুম !! বলেছেন: আজকের যায়-যায়-দিনে মনে হয় এরকমই একটা ফিচার পড়লাম, অনেকগুলো অংশ হুবহু এক !!!!!
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৮
রিজভী বলেছেন: তবে গানের কথাগুলো কিন্তু ভালো লেগেছে @ নিন্দুক।
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২০
রিজভী বলেছেন: ঘুম !! @ ঠিক ধরেছেন, এটা গতকালের যায়যায়দিনে পাবলিশড।
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২৪
ফরিদ মজুমদার বলেছেন: সিনেমাটা এত ভাল ?
আশ্চর্য,
এমুন ছি:নেমা না দেখলেই বা কি হবে।
আজাইরা , ট্যাকা নষ্ট।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৩১
রিজভী বলেছেন: ফরিদ মজুমদার @ অথচ এটা কি আশ্চর্য কি জানেন দেশি ছবি দেখলে কিন্তু দেশের টাকা দেশেরই থাকে। অথচ বিদেশি ছবি দেখে বিদেশের রেমিটেন্স যে বাড়িয়ে দেয়া হয়, এটা অনেকেই মানতে চান না।
আবার এটাও সত্যি আমাদের ছবির মান আসলে ততটা নয়, যতটা বিদেশি ছবিগুলো।
তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার বলিউডের বয়স যতদিন হয়েছে, আমরা কিন্তু এখনও তত প্রবীণ হইনি।
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৪
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বলেছেন: হুমম...ছি:নেমার চেয়ে রিভিয়্যুটা অনেক বেশী ভাল হইয়া গেছে !
~
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৫
নাভদ বলেছেন: যারা বিদেশে থাকেন বা যাদের ব্রডব্যন্ড নেট আছে তারা দেখতে পারেন নিচের লিংক গুলো থেকে...
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
======================
এই লিংক দেয়া কোন নীতিবিরুদ্ধ কাজ হলে অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমার পোস্ট মুছে দেবেন...
ধন্যবাদ।
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৭
নাভদ বলেছেন: ...এবং সুন্দর লেখার জন্য ৫
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৫১
রিজভী বলেছেন: নাভদ @ লিংক দেবার জন্য থ্যাংকস্।
১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০২
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: ৫। দোস্ত,স্বপ্নের ফেরিওয়ালা'র সাথে একমত। রিভিউ টা বেশি ভাল হইছে।
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০৫
ফরিদ মজুমদার বলেছেন: "......আশ্চর্য কি জানেন দেশি ছবি দেখলে কিন্তু দেশের টাকা দেশেরই থাকে। অথচ বিদেশি ছবি দেখে বিদেশের রেমিটেন্স যে বাড়িয়ে দেয়া হয়, এটা অনেকেই মানতে চান না..."
শিল্প বিচারে এইসব বলা শুরু করলেন ?
মাপ চাই, ভাইজান এই সব তো "টেলিটকের " ভাষা।
১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০৮
রিজভী বলেছেন: আইচ্ছা ফরিদ ভাই।
২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:১৭
ফরিদ মজুমদার বলেছেন: মাইন্ড খাইয়েন না রিজভী,
টিনএজ এ অপন্যাসটি পড়ে হেভী আনন্দ পাইছিলাম। পরেরটাও।
কিন্তু সেদিন মোল্লার দোকানের আড্ডা ফালাই ছবি খান দেখলাম।
শ্রেপ খুন করে ফেলব যদি কেউ আবার দেখতে বলে।
২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০১
তাহসিন আহমেদ বলেছেন: প্রিভিও টা ভালো লিখেছেন। মুভিটা বেশ ধীর ছিল। তবে মেকিং ভাল হয়েছে।
রিজভী ভাই কে ধন্যবাদ। আমি কিন্তু জাবি র ছাত্র ভাই।
কমেন্ট করতে গিয়ে জানালাম,ভাই কি কিছু মনে করলেন?
২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:২৯
নতুন বলেছেন: আমার কাছে... ততটা ভালো লাগেনাই...
৬/১০ দেওয়া যায়...
২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৩১
নতুন বলেছেন: রিজভী ভাই লেখাটা পড়ে আমার মনে হচ্ছে... ছবিটাকে ভাল ছবি হিসেবে... প্রচারনার জন্য ই লেখা... সুষম সমালোচনা বলে মনে হচ্ছেনা... :-)
২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:২৬
রিজভী বলেছেন: নতুন @ মন্দের ভালো বলে একটা কথা আছে, মানেন?
অশ্লীল ছবির জোয়ারে একটু ভালো মানের ছবি পেলে এবং তার উপর যদি খানিকটা মহব্বত (!) চলেই আসে তো কি আর করা বলেন!
২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:২৯
রিজভী বলেছেন: ইনতু @ নারে ভাই, কিছু মনে করার তো কিছু নাই!
তা কোন ডিপার্টমেন্টের?
২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৫০
মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন: ছবিটার সাথে আমি খুব একাত্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কারন- এ ছবির অনেক দৃশ্য ছিলো আমার স্বপ্নের স্থান "সীমানা পেরিয়ে" রিসোর্টের আশেপাশে চিত্রায়িত। ছবিতে ব্যবহ্রত ঘুড়িগুলো ছিলো আমাদের ঘুড়ি উতসবের ওড়ানো ঘুড়ি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ত্রিভুজ বলেছেন: চমৎকার রিভিউ লিখেছেন রিজভী ভাই। অনেক ধন্যবাদ এবং ৫++