নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিখাইল গর্ভাচেভ ছিল তখনকার দেশ প্রধান। সোভিয়েত সরকার চেরনোবিলে দুটো করে রিয়েক্টর বা প্লান্ট বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। গভমেন্টের এম্বিশন - চেরনোবিল হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এটোমিক এরিয়া। রিয়েক্টর ১ আর ২ শেষ। ৩ আর ৪ প্রায় শেষের দিকে। ৫ আর ৬ এর কাজ শুরু হয়েছে কেবল।
২৬ শে এপ্রিল ১৯৮৬ সাল, রাত একটার দিকে রিয়েক্টর নাম্বার ৪ এ আগুন শুরু হয়। এটা আসলে আগুন ছিলনা, ছিল বিস্ফোরণ। তবে এই বিস্ফোরণ হিরোশিমার মত মাশরুম আকারের বিকট আওয়াজের ছিলনা, ছিল আগুনের মতই। কিন্তু এই আগুনের উচ্চতা ছিল আকাশে মেঘের সমান। আকাশের মেঘে ছড়িয়ে পড়েছে তেজস্ক্রিয়তা।
সোভিয়েত অফিশিয়ালরা পুরো ব্যাপারটা গোপন রাখার চেষ্টা করছে, সরকার প্রধানকেও জানায়নি মুল দুর্ঘটনার কথা। স্থানীয় মানুষেরা আগুন দেখছে কিন্তু ভয়াবহতা কিছুই জানেনা। ভাবছে আগুনই তো! এরকম ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর হয়নি যে বুঝবে।
ওই যে আকাশের মেঘ! বাতাসের গতির সাথে হাজার মাইল দুরে সুইডেনে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরে ছিল। বৃষ্টির পানিতে তেজস্ক্রিয়তা টের পেয়ে সুইডিশরা ভেবেছিল তাদেরই কোন নিউক্লিয়ার প্লান্ট থেকে আসা রেডিয়েশন বুঝি। সব চেক করে দেখলো ওদের সব ঠিকই আছে। তারপর শুরু হলো ইন্টারন্যাশনাল সার্চ। সুইডিশ গভমেন্ট প্রথমে সোভিয়েত প্রধানকে জানায়। ততক্ষণে দুইদিন হয়ে গেছে অলরেডি।
অলরেডি চেরনোবিলের মানুষ মারা যাচ্ছে নিঃশ্বাসে তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে ব্লাস্ট হয়ে। আগুন নেভা থাক দুরের কথা বাড়ছে তো বাড়ছেই। মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু তারপরও কেউ ঠিক আন্দাজ করতে পারছেনা কেন এরকম হচ্ছে। বাতাসে কোন গন্ধও নেই। এরমধ্যে অনেককে কিয়াভ আর বেলারুশের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, যদিও সবাই মারা যাচ্ছে। কেউ তো জানেনা এভাবে ব্লাস্ট হয়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসা কি!
যাইহোক, মিলিটারি আসে কিয়েভ আর বেলারুশ থেকে ১০০০ বাস নিয়ে প্রিপেতের মানুষদের সরিয়ে নেয়ার জন্য। সবাইকে মাইকে বলা হয় ইমিডিয়েটলি সব ফেলে বাসে উঠতে। মিলিটারিরা ডিজাস্টার সম্পর্কে কিছুই বলেনি। শুধু বলেছে তিনদিনের জন্য এলাকা থেকে সরে যেতে হবে।
বাসিন্দারা কোনরকমে বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেন থেকে কালেক্ট করে বাসে উঠে। এই তাদের যাওয়া সারাজীবনের জন্য। কেউ বুঝেনি কি হচ্ছে। নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন এক অদৃশ্য শত্রু যেটাকে দেখা যায়না, গন্ধ পাওয়া যায়না। খালি মানুষ মরে যায়।
বাড়িঘর তালা দেয়া বা জানালা বন্ধ করার সুযোগও পায়নি ওরা। বাসে উঠে চলে যেতে হলো। সরকারের নির্দেশে রেডিয়েশন এলাকা থেকে অনেক অনেক দুরের পরিবারগুলোকে একটা করে প্রিপেত ফ্যামিলি গ্রহণ করতে হলো। চেরনোবিল থেকে আসা মানুষগুলো তখন একেকজন জীবন্ত বোমার মত। তেজস্ক্রিয়তায় তাদের শরীর ভর্তি। কারোরই কোন চয়েস ছিলনা। যদিও বেশীরভাগ মানুষই স্বেচ্ছায় মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছিল।
চেরনোবিলের বিল্ডিংগুলো তেত্রিশ বছর পরও ঠিক সেরকমই আছে যেরকমটি তাড়াহুড়ায় ফেলে গিয়েছিল। তিন দশকের ঝড়-বৃষ্টি আর স্নো এর দাপটে যা পরিবর্তন হওয়ার তাই শুধু হয়েছে।
পুরো জায়গাটা দেখলে বিশ্বাস হয়না এটা বাস্তব, মনে হয় কোন হলিউডের সিনেমার সেট, যেমনটা দেখেছি উইল স্মিথের I Am Legend মুভিতে। কিন্ডারগার্টেনে পুতুলগুলো, বাইকগুলো..
চলবে...
#লেখাঃ Shanjida Roman
#Ukraine_Diary
#Chernobyl_Disaster
#Travel_Diary_Of_SR
১ - Click This Link
৩ -
https://m.facebook.com/groups/330898140288719?view=permalink&id=2981105691934604
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ভয়ংকর
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়ংকর অভিজ্ঞতা অধিবাসীদের জন্য! বিশ্ববাসীর জন্য ......
তারপর?
++++
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করে লেখা পড়ার জন্য
৩য় পর্ব পোষ্ট করা হয়েছে , সময় করে পড়ে নিবেন
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: অদৃশ্য শত্রু যাকে দেখা যায় না, গন্ধ নেই, শুধু মানুষ মরে যায়! ভয়ংকর।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ১০০ভাগ খাটি কথা
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: খুব রহস্যময়।