নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
নভেম্বর ১১, ১৯১৮ সকাল ১১ টা, গির্জার ঘন্টা অার বিউগলের সুরে ধ্বনিত হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি। এর কিছুক্ষণ পূর্বেই কানাডিয়ান জর্জ লরেন্স প্রাইস যুদ্ধের শেষ নিহত যোদ্ধা তার প্রাণ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার পূর্বেই ১৯১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে ১৮ মিলিয়ন বেসামরিক মানুষ তাদের জীবন হারিযেছেন, এর সাথে ১০ মিলিয়ন সৈনিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২০ মিলিয়ন আহত অথবা পঙ্গু হয়েছেন। কিসের জন্য অস্ট্রিয়া, সার্বিয়া, রাশিয়া, জার্মান, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জাপান, তুর্কি, আমেরিকা এ যুদ্ধে জড়ালো তা জানতে সেসময়ের বাস্তবতা জানা প্রয়োজন। প্রায় অর্ধশতক আগে ইউরোপে শেষ বড় কোন যুদ্ধ হয়েছে। বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী তাদের কলোনীগুলি থেকে লুন্ঠনের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়েছে। এর সাথে শিল্প-কারখানার অভূতপূর্ব উন্নয়নে ইউরোপ তখন অগ্রগতির চূড়ায়। কিন্তু ফ্রান্স বাদে বাকি দেশগুলি কিং, জার, কাইজার তথা রাজা শাসিত। সে সূত্রে সাম্রাজ্যবাদ তখনও বিদ্যমান এবং এর সাথে অঢেল পুঁজি এসকল রাজাদেরকে আরও সাহস যোগাচ্ছিল যুদ্ধের। এই সময় ব্রিটেনের রাজা ছিলেন পঞ্চম জর্জ।
পঞ্চম জর্জ
রাশিয়ার জার ছিলেন নিকোলাস ২। তিনি পঞ্চম জর্জের কাজিন ছিলেন।
নিকোলাস ২
ফ্রান্স তখন প্রেসিডেন্ট রেমন্ড পইন্কেরের শাসনাধীন।
রেমন্ড পইন্কের
জার্মানীতে শাসক উইলহেলম ২।
উইলহেলম ২
অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান শাসক ছিলেন ফ্রান্জ জোসেফ।
ফ্রান্জ জোসেফ
আমেরিকায় তখন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
উড্রো উইলসন
বৃটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া পরস্পর মৈত্রী বন্ধনে যুক্ত। অন্যদিকে জার্মানী ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়া পরস্পর মৈত্রী বন্ধনে যুক্ত। আামেরিকা তখন আটলান্টিকের ওপারে নিজেদের সমৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু ইউরোপে তখন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ত্বের প্রশ্নে সবাই মৌন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিন্তু একটি ঘটনায় এই মৌন প্রতিযোগিতায় দাড়ি টেনে আরম্ভ করে সম্মুখ সমরের।
জুন ২৮, ১৯১৪ রবিবার অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার ফার্ডিনান্ড সারায়েভোতে শিকার হন ঘাতকের গুলির। আর তার ঘাতক বসনিয়ান গ্রাব্রিয়েলো প্রিন্সিপকে সার্বিয়া সহায়তা করে। এই ঘটনা থেকে বেজে উঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা। (চলবে)
ফার্ডিনান্ড
গ্রাব্রিয়েলো প্রিন্সিপ
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
র ম পারভেজ বলেছেন: আসলেই যুদ্ধ হয়েছিল।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
কলম চোর বলেছেন: ফার্ডিনান্ড সারায়েভোতে কেন নিহত হলেন, সেই প্রাক্ষাপট সামনের পর্বে তুলে ধরবেন বলে আমি আশা করি। অন্যথায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুর কাহিনী অপুর্ণ থেকে যাবে। ধন্যবাদ
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
র ম পারভেজ বলেছেন: সামনের কিস্তির শুরু হবে ফার্ডিনান্ড হত্যাকান্ডের কারণ দিয়ে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা কি ফ্যান্টাসী গল্প, নাকি আসলে যুদ্ধ হয়েছিল?