নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৮ম পর্ব - যুদ্ধের বিভীষিকা)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩



৭ম পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৭ম পর্ব - পশ্চিম ফ্রন্টে ট্রেঞ্চ যুদ্ধ)

সেপ্টেম্বর, ১৯১৫। এই সময়ের মধ্যে পুরো বিশ্ব রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। জার্মানী, অস্ট্রিয়া, তুর্কিরা ইউরোপের পূর্বে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। দক্ষিনে ইটালী, চেকরা যুদ্ধে লিপ্ত জার্মানী, অস্ট্রিয়ার সাথে। পশ্চিমে বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম যুদ্ধরত জার্মানীর সাথে। কলোনীগুলিতেও বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী যুদ্ধরত। এশিয়াতে জাপান চীনে আগ্রাসী ভূমিকায়। এরকম অবস্থায় প্রতিদিন অগুণিত সৈন্য-বেসামরিক মানুষ নিহত, আহত হচ্ছে।

পশ্চিম ফ্রন্টে ট্রেঞ্চ যুদ্ধে তিন লাইনের ট্রেঞ্চ রয়েছে। প্রথম লাইন হচ্ছে ফ্রন্ট লাইন, এখানে আর্টিলারি ওয়েপনস আর রাইফেল,মেশিনগান হাতে সৈন্যরা শত্রুদের ফ্রন্ট লাইন ধ্বংসে অবিরত ফায়ারিংয়ে লিপ্ত। এরপরের লাইন হচ্ছে সাপ্লাই লাইন, যেখানে ফ্রন্ট লাইনের সৈন্যরা তাদের অস্ত্র-রসদ শেষ হলে নিহত-আহত সাথীদের সহ ফিরে আসে আর নতুন সৈন্য-রসদ ফ্রন্ট লাইনে মোতায়েন করা হয়। আর শেষ লাইন হচ্ছে রির্জাভ লাইন, এখানে নতুন আগত সৈন্য ও রসদ জমা করা হয় সাপ্লাই লাইনে সরবরাহ বজায় রাখার জন্য। ফ্রন্ট লাইন হচ্ছে বিভীষিকার নামান্তর, মৃত্যু এবং নরক যন্ত্রণা বিরাজমান এই লাইনে। মাইলের পর মাইল কাঁটাতারের বেড়া আর প্রতি মুহূর্তে বুলেট,শার্পনেলে লুকানো মৃত্যু বার্তা। শার্পনেলের হাত থেকে বাঁচতে সব সৈন্যদের ভারী হেলমেটে মাথা ঢেকে রাখতে হয়। কিন্তু যখন ট্রেঞ্চ থেকে বের হয়ে মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয় তখন রাইফেল,মেশিনগানের হাত থেকে বাঁচতে আর কোন আচ্ছাদন থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় ক্লোরিন, মাস্টার গ্যাস প্রভৃতি রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার। ইঁদুর, মশা, মাছির আক্রমণে ম্যালেরিয়া, স্ক্যাবিস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই মানবেতর জীবনে অনেক সৈন্যই পিঁছু হঠতে বাধ্য হয়, কিন্তু পিঁছু হঠলে কোর্ট মার্শালের সাজা। সুতরাং সামনে মৃত্যু, পিছনেও সাজার ভয়।এর মধ্যে অনেক যুদ্ধক্ষেত্রেই সৈন্যরা বিদ্রোহ করে।

কিন্তু জেনারেল আর শাসকগণের এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তাদের লক্ষ্য যে করেই হোক যুদ্ধ জয়। তাদেন বিলাসী জীবনে কোন পরিবর্তন আসে না। কিন্তু সাধারণের জীবন ততদিনে বিপর্যয়ের শেষ সীমায়। এরকম পরিস্থিতিতে চলতে থাকে জীবন ও সম্পদের বিনাশ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগেনি!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

র ম পারভেজ বলেছেন: সাথে থাকুন। আশা করি সামনের পর্ব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.