নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
১০ম পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (১০ম পর্ব - পশ্চিম ফ্রন্টে তীব্র আক্রমণ,পাল্টা-আক্রমণ)
বিভিন্ন ফ্রন্টে অক্ষশক্তির পর্যদুস্থ অবস্থায় জার্মান কাইজার ও জেনারেলরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণের দায়িত্ব পড়ে জেনারেল লুডেনডর্ফের উপর। তাকে এরকম অবস্থায় নতুন এক যুদ্ধ পরিকল্পনা দেন অ্যাডমিরাল ভন হলজেনডর্ফ। তিনি পরামর্শ দেন আটলান্টিকে জার্মান ডুবোজাহাজের সাহায্যে অভিযান চালানোর। এই অভিযানের লক্ষ্য হবে আটলান্টিকে মিত্র বাহিনীর যেকোন জাহাজের চলাচল বন্ধ করে দেয়া। যাতে করে মিত্র বাহিনী কোন রসদ বা অস্ত্র ইউএসএ অথবা অন্য কোথা থেকে না আনতে পারে।
লুডেনডর্ফ
লুডেনডর্ফ এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। ১ ফেব্রুয়ারী, ১৯১৭ হলজেনডর্ফের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০৫ টি ইউবোট মোতায়েন করা হয়। এই অভিযান শুরুর প্রারম্ভে জার্মান বাহিনী ব্যাপক সফলতা লাভ করে। মার্চ পযর্ন্ত ব্রিটেনের ১৪৭ টি জাহাজ ধ্বংস হয় যার মোট ভর ছিল ১০ লক্ষ টনেরও বেশী।
ভন হলজেনডর্ফ
এই সাবমেরিনের যুদ্ধের সবচেয়ে সফল যোদ্ধার একজন ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল লোথার ভন আর্নল্ড ডে লা পিয়েরে। তার একক ধ্বংস-যজ্ঞ এই অভিযানের ব্যাপকতা সর্ম্পকে বুঝতে সাহায্য করবে। তিনি তার ইউ-৩৫ সাবমেরিন নিয়ে ১৯১৮ সাল পযর্ন্ত মোট ১৪ বার অভিযানে বের হন। এসময় ১৮৯ টি বানিজ্যিক জাহাজ এবং ২ টি গানবোট ধ্বংস করেন যার মোট ভর ছিল ৪৪৬৭০৮ টন।
লোথার ভন আর্নল্ড ডে লা পিয়েরে
এই ইউ-বোট অভিযানের কারণে ইউএসএ ৩ ফেব্রুয়ারী জার্মানীর সাথে সকল কূটনৈতিক সর্ম্পক ছিন্ন করে। পরবর্তীতে অন্যান্য ঘটনার প্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল জার্মানীর বিরুদ্ধে ইউএসএ যুদ্ধ ঘোষণা করে।
©somewhere in net ltd.