নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ : দ্য ব্যাটল অফ আলজির্য়াস (১৯৬৬)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬



আলজেরিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে নির্মিত বিশ্বনন্দিত দ্য ব্যাটল অফ আলজির্য়াস মুভিটিতে নভেম্বর ১৯৫৪ থেকে ডিসেম্বর ১৯৫৭ পর্যন্ত তদানীন্তন ফ্রেঞ্চ আলজেরিয়ার রাজধানী আলজির্য়াসে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী চিত্রিত হয়েছে। ১৯৬৬ তে মুক্তি পাওয়া মুভিটির পরিচালক ছিলেন গিল্লো পন্টিকর্ভো। মূল চরিত্রগুলিতে জ্যঁ মার্টিন, সাদি ইয়াসেফ, ব্রাহিম হাগগিয়াগ, টমাসো নেরি প্রমুখ অভিনয় করেছেন।বিভিন্ন জরিপ ও রিভিউয়ে নগর গেরিলা যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে নির্মিত মুভিগুলির মধ্যে দ্য ব্যাটল অফ আলজির্য়াস মুভিটি সবসময় আলোচিত এবং আইএমডিবি, সাইট এন্ড সাউন্ড পোলের মত রিভিউয়ে শীর্ষ ২৫০ মুভির মধ্যে এটির অবস্থান। ১৯৬৬ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'বেস্ট ফিল্ম' অ্যাওর্য়াড পায়। রাজনৈতিক বির্তকের কারণে মুভিটি মুক্তির ৫ বছর পরে ফ্রান্সে প্রর্দশিত হয়।

কাহিনী সংক্ষেপ : মুভিটির শুরু হয়, ১৯৫৭ সালে ধরা পড়ার আগ মুর্হূতে আলজেরিয়ান ফ্রন্ট ডি লিবারেশনের (এফএলএন) শীর্ষ নেতা আলীর (ব্রাহিম হাগগিয়াগ) স্মৃতির ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্য দিয়ে। তিন বছর আগে, আলী ছিল এক ছিঁচকে চোর যে গুপ্ত সংগঠন এফএলএন এর সাথে যুক্ত হয় জেলে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে।


আলী (ব্রাহিম হাগগিয়াগ)

এফএলএন আলজেরিয়ানদের দুর্দশার জন্য কলোনীয়াল ফ্রেঞ্চ শাসকদের দায়ী করে স্বাধীনতার ডাক দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই শাসকরা এফএলএন সমর্থকদের ধর-পাকড় ও নির্যাতন শুরু করে। আর এই দমন-পীড়নে আলজেরিয়ান মুসলিম গোষ্ঠী আরও সংঘবদ্ধভাবে গুপ্ত হামলা শুরু করে। মুভিটিতে এফএলএন গোষ্ঠীর কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ শাসকদের নির্যাতনও চিত্রিত করেছে। এফএলএন গোষ্ঠীর হামলা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে, তাদের দমনের জন্য ফ্রেঞ্চ আর্মির প্যারাট্রুপার ফোর্সকে নিয়োজিত করা হয়। প্যারাট্রুপার ফোর্সের প্রধান লে.কর্ণেল ম্যাথুউ (জ্যঁ মার্টিন) ২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার বাহিনীকে রণক্ষেত্রে পরাজিত করেছেন।


লে.কর্ণেল ম্যাথুউ (জ্যঁ মার্টিন)

তিনি দায়িত্ব নিয়েই তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে শুরু করেন চিরুনী অভিযান। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হন।১৯৫৭ সালের মধ্যে তিনি এফএলএন গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার অথবা হত্যা করতে সমর্থ হন। মুভিটির শেষাংশে ১৯৬২ সালে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা প্রাপ্তি দেখানো হয়।

মুভিটির শব্দ সংযোজন এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুবই আর্কষণীয় হওয়ায় বর্ণণাধর্মী ও কম ডায়লগ থাকা সত্ত্বেও কোন সময় বিরক্তি উদ্রেক করেনি। সব চরিত্রগুলিই ভালো অভিনয় করেছেন, আর এর মধ্যে ভালো লেগেছে লে.কর্ণেল ম্যাথুউয়ের চরিত্রটি যা জ্যঁ মার্টিন খুবই সার্থকভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। সাদাকালোতে চিত্রিত মুভিটির দৃশ্যায়ন আর্কষণীয়। সিনেমাটোগ্রাফার মার্সেলো গাত্তি তার চিত্রগ্রহণ কৌশলের মাধ্যমে মুভিটিতে ডকুমেন্টারি আবহ আনতে সমর্থ হয়েছেন।

আমার রেটিং : ৮.৫/১০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২

কোলড বলেছেন: This is a recommended viewing for every occupation forces. US army showed this to its officers in Iraq.

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

র ম পারভেজ বলেছেন: Thanks for your information.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.