নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
বেশ কিছুদিন আগের কথা - আমার অর্ধাঙ্গীনি বাবার বাড়ি থেকে ফেরার জন্য বাসে উঠে বসেছে। আমি অফিসের ফিল্ড ভিজিটে থাকার কারণে সেবার তার সঙ্গী হতে পারিনি। তো তার পাশে একজন মেয়ে এসে বসেছে, দুইজনের পরিচয় বিনিময়ের মাধ্যমে কথা-বার্তা শুরু হয়। মেয়েটি আমার স্ত্রীর শহরেরই এবং ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করে। কোথায় পড়ে জানতে চাওয়ার পর খুব ভাব ধরে বলল ঢাবিতে পড়ে। অামার স্ত্রীও প্রাক্তন ঢাবিয়ান হওয়ায় মনে মনে ভাবল যে যাত্রাপথে দুইজনের ভালই জমবে। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অথবা ছোট যে কারও সাথেই আড্ডা দেয়া, কথা বলার অন্য রকম মজা আছে। যাই হোক কোন সাবজেক্ট আর কোন হল জিজ্ঞাস করতেই মেয়েটি চুপসে গিয়ে বলে হলে থাকি না, ফুড এন্ড নিউট্রিশেনে পড়ে। তো এই সাবজেক্ট ঢাবির ক-ইউনিটে আছে অার ক-ইউনিটের শিক্ষার্থীদের সাধারণত ক্লাশ-ল্যাব বেশি থাকে বলে ঢাকার বাইরের সবাই সাধারণত হলেই থাকার চেষ্টা করে। তো পরিচিত কয়েকজন জুনিয়রকে চিনে কিনা জিজ্ঞাস করায় আমতা আমতা করে বলে আপু আমিতো হোম ইকোনমিক্সে, তাই ওদের চিনি না। আমার স্ত্রী তখন বুঝতে পারে প্রথমে ঢাবি পরিচয় দিয়ে ভাব নিয়ে ধরা খাওয়া-ই চুপসানোর কারণ। যাই হোক পুরো পথে আর তাদের তেমন কথা হয়নি এরপরে। মেয়েটি ভালো করেই জানত যে ঢাবি অধিভূক্ত হওয়া মানেই ঢাবিতে পড়া না। এইজন্যই হয়তো হোম ইকোনমিক্সের শিক্ষার্ত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে, ঢাবির ইন্সটিটিউট হিসেবে স্বীকৃতির যাতে আর তাদের সমস্যা না হয় ঢাবিতে পড়ি বলতে।
কিন্তু এতে আমাদের, যারা কঠিন ভর্তি পরীক্ষা তথা যুদ্ধ জয় করে ঢাবিতে ভর্তি হতে হয় তাদের ঘোর আপত্তি আছে। এর সাথে মর্যাদার প্রশ্ন যেমন আছে তেমনি আছে কিছু বাস্তব সমস্যা। এমনেতেই সান্ধ্যকালীণ কোর্স বাণিজ্য, আবাসন সঙ্কট, ক্লাশরুম সঙ্কট, শিক্ষকদের রাজনীতি আর ক্ষ্যাপ মারার অভ্যাসে নিয়মিত শিক্ষার্ত্রীদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা, তারপর আবার এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বও যদি সামলাতে হয় তবে তা হবে গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতোন। আমার নিজের শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, হলের গণরুমে যেখানে ৮ জনের থাকার কথা সেখানে ২৩ জন থেকেছি; পানির মতো ডাল, মরা তেলাপোকাসহ সবজি খেয়েছি। আর দুই-একজন ছাড়া বাকি শিক্ষকদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন এখনও তুলতে পারি। এসব সমস্যার সমাধান না করে বরং নতুন ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২০
র ম পারভেজ বলেছেন:
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: বিভিন্ন নতুন সাবজেক্ট, সান্ধ্যকালীন কোর্স, এক্সিকিউটিভ এমবিএ, টিচারদের ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার হিড়িক, উচ্চ শিক্ষার নামে বিদেশে পিকনিক করা, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া, হ্যান ত্যান মিলিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটির পড়াশুনার বর্তমান যে অবস্থা, তাতে করে ওই চাঁদপুরের হাইমচর আদর্শ মহাবিদ্যালয়রেও অধিগ্রহণে কিছু যায় আসে না......
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১
র ম পারভেজ বলেছেন:
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
ব্যাথিত হৃদয় বলেছেন: যুদ্ধ ছাড়াই যদি রাজ্য জয় করা যায় ।তাহলে তো ভালই হয়।....আল ইফরান বলছেন এতে নাকি ভার্সিটির শিক্ষকদের কাজ-কর্মের ব্যবস্থা হবে। কেন ভাই ভার্সিটির শিক্ষকরা কি কাজের অভাবে ভুগছেন???আর ভালো শিক্ষার কথা বললেন ।এই ভালো শিক্ষা নিতে একজন মানুষের কত কষ্ট করতে হয় সেটা শুধু সেই জানে যে কষ্ট টা করে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
র ম পারভেজ বলেছেন: সহমত।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
আল ইফরান বলেছেন: ব্যাথিত হৃদয় বলেছেন: যুদ্ধ ছাড়াই যদি রাজ্য জয় করা যায় ।তাহলে তো ভালই হয়
*কস্ট করে যে সাফল্য অর্জন করেছেন সেইটা আপনাদের বিনয়ী করার কথা, অন্যের সাথে সাফল্য ভাগ করে নেয়ার কথা; অন্যের দাবীর প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরন/ অনাহূত বিরুদ্ধাচরন করার কথা না।
কেন ভাই ভার্সিটির শিক্ষকরা কি কাজের অভাবে ভুগছেন?
*কাজের অভাবে না ভুগলে প্রাইভেটে এত খ্যাপ মারার প্রয়োজন কেন পরে?
আর ভালো শিক্ষার কথা বললেন ।এই ভালো শিক্ষা নিতে একজন মানুষের কত কষ্ট করতে হয় সেটা শুধু সেই জানে যে কষ্ট টা করে।
*কেন? ১ ঘন্টার একটা এডমিশন টেস্ট (আবার প্রশ্নও ফাস হয়) দিয়ে খুব মেধা আর সারাজীবনের কস্টের যাচাই করে ফেলবেন? ? ? ?
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
র ম পারভেজ বলেছেন:
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ব্যতিত অন্যেরা কেন পড়ছে? সবার পড়ালেখা থামিয়ে দেয়া হোক!
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
র ম পারভেজ বলেছেন: টিপিক্যাল চাঁদগাজীয় মন্তব্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১১
আল ইফরান বলেছেন: অধিগ্রহনে আমি তো কোন সমস্যা দেখি না।
ভার্সিটির শিক্ষকদের কাজ-কর্মের ব্যবস্থা হবে।
শুধু আপনারাই ভালো শিক্ষা পাবেন আর অন্যরা যেন-তেন ভাবে পাশ করে যাবে এই চিন্তা থেকে বিরুদ্ধাচরন মোটেই ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসবে না।