নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
ইরানের পার্লামেন্ট ও আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে হামলা দেশটির গত চার দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের শুরুর দিকের কয়েকটি বছর দেশটিতে বিশৃঙ্খলা থাকলেও পরবর্তী বছরগুলোতে অপেক্ষাকৃত অনেক স্থিতিশীল ও নিরাপদ দেশ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে ইরান। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময় মুজাহিদীন খালেক অর্গানাইজেশন (এমইকে) নামের বিরোধী গোষ্ঠী ইরানের ভেতরে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিল। আর সেই অস্থিরতা কিছুদিন বজায় ছিল। তবে ১৯৮০ এর দশক থেকে ইরানকে তেমন কোনও বড় অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মুখোমুখি হতে হয়নি। বুধবার সকালে ইরানের পার্লামেন্ট ও ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার মাজারে দুর্বৃত্তদের হামলা হয়। হামলায় সবশেষ ১২ জন নিহতের কথা জানায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে ইরান হামলার দায় স্বীকার করা হলেও এ দাবি সত্যি কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তেহরানে হামলার জন্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করেছে ইরানের সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এক বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, এ অঞ্চলের প্রতিক্রিয়াশীল সরকার (সৌদি আরব)-এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের এক সপ্তাহ পর এই সন্ত্রাসী হামলাটি হয়েছে। এটা প্রমাণ করে এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা (সৌদি আরব) জড়িত। কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ইরানের এ অভিযোগ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলেই মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.