নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেপরোয়া বাস ড্রাইভারদের হাতে জিম্মি নগরবাসী : নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৯


ছবি : প্রতীকি

ঢাকার রাস্তায় বাস ড্রাইভারদের বেপরোয়া চালনা নতুন কিছু নয়। গতকাল আর আজকে পরপর দুইটি ঘটনায় নিজে তার অভিজ্ঞতা পেলাম।

ঘটনা - ১:
গতকাল আমার সহধর্মিনী তাঁর অফিসের একটি অনুষ্ঠান শেষ করে রিকশায় বাসায় ফিরছিলো। সিগন্যালে দাড়াঁয় থাকা অবস্থায় একটি বাস পিছন থেকে এসে রিকশায় ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। রিকশা উল্টে আমার সহধর্মিনী রাস্তায় পড়ে যায়,সাথে থাকা তাঁর সহকর্মীও একই অবস্থায় পড়েন। সৌভাগ্যক্রমে দুইজনেই পায়ে ব্যথা পাওয়া ছাড়া বড় কোন আঘাত পান নাই। সবচেয়ে বড় বিষয় আমার সহধর্মিনী অন্ত:সত্ত্বা, এই অবস্থায় সামান্য আঘাতেও অনেক বড় ক্ষতির সম্ভাবনা প্রকট। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় গর্ভের শিশু সুস্থ আছে। বাস ড্রাইভারের একমিনিট ধৈর্য্যের অভাবে তিনটি জীবন বিপদে পড়লো।

ঘটনা - ২:
আজকে সকালে অফিসে আসার সময় যে বাসে উঠেছি তা কিছু দূর যাবার পরেই দুম করে এক জীপের সামনে মেরে দেয়। ড্রাইভার অাগে যাবার জন্য অকারণে ওভারটেক করে দাঁড়িয়ে থাকা জীপটির সামনের অংশ দুমড়ে দেয়। তার এই বেপরোয়া কাজে জীপের মালিকের ক্ষতি যেমন করলো তেমনি বাস মালিকেরও ক্ষতি করলো। আর সে নিজের জীবিকাও হুমকির মুখে ফেললো।

প্রতিটি দুর্ঘটনাই ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বিভীষিকাময়, অাজকে যদি আমার সহধর্মিনীর বড় কোন ক্ষতি হতো অথবা জীপের আরোহী কেউ অাহত বা নিহত হতেন তবে আমাদের পারিবারিক, অর্থনৈতিক জীবন বিপর্যস্ত হতো। কিন্তু যে দেশে গরু-ছাগল চিনলেই বাসের চালক হওয়া যায় বলে মন্ত্রী কাম পরিবহণ নেতা সার্টিফিকেট দেন সেখানে এই ধরণের বেপরোয়া চালনা থামবে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

বিজন রয় বলেছেন: আমাদের সামাজিক অধঃপতনের চরম প্রতিচ্ছবি এগুলো।
আপাতত এটার কোন সমাধান নেই।

বাংলাদেশ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে চলেছে।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

র ম পারভেজ বলেছেন: অন্য কোন দেশের সাধারণ জনগণ এতো নিরাপত্তাহীন অবস্থায় থাকে বলে মনে হয় না।

২| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এগুলানরে বাইড়াইয়া ঠিক করা লাগতো। নিজেদের মরণের ডর নাই
আবার মানুষের জীবন নিয়া ছিনিমিনি খেলে অসহ্য :(

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

র ম পারভেজ বলেছেন: এরা মাফিয়াদের চেয়ে কম শক্তিশালী না, নিজেদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু হলেই সংঘবদ্ধ হয়ে যায়।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ড্রাইভার গুলো এবং হেলপার গুলো বিরাট বদ। তারা প্রতিযোগিতা করে। তারা যদি একটু শান্ত থাকে- তাহলে একসিডেন্ট হবে না।

১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

র ম পারভেজ বলেছেন: বিরাট বদ শুধু না, বদের হাড্ডি একেকটা। হাতে গুণে দুই-চারটি ভদ্র ড্রাইভার, হেলপার খুঁজে পাওয়া যায় না।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



//কিন্তু যে দেশে গরু-ছাগল চিনলেই বাসের চালক হওয়া যায় বলে মন্ত্রী কাম পরিবহণ নেতা সার্টিফিকেট দেন সেখানে এই ধরণের বেপরোয়া চালনা থামবে বলে মনে হয় না।//

---কথা তো হাচাই কইছুইন। তয়, কপালে দুক্কু থাকলে যাইবো কেমনে? চরিত্রে ঘূন পোকা লাগলে যা হয়। মানুষ মরে মরুক। পকেট ঠিক, পেট ঠিক, দল ঠিক, ব্যস। এইতো আমাদের চরিত্র।

অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর পোস্টে।

১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

র ম পারভেজ বলেছেন: ''---কথা তো হাচাই কইছুইন। তয়, কপালে দুক্কু থাকলে যাইবো কেমনে? চরিত্রে ঘূন পোকা লাগলে যা হয়। মানুষ মরে মরুক। পকেট ঠিক, পেট ঠিক, দল ঠিক, ব্যস। এইতো আমাদের চরিত্র।'' সত্যিই বলেছেন।

এদেশে সাধারণ জনগণ হয়ে জন্মই আজন্ম পাপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.