নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখিয়া রবিদাস, তোমার ধর্ষণ অার হত্যাকান্ড প্রমাণ করলো পৃথিবীর বুকে একখন্ড নরকের নাম বাংলাদেশ

১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১



কল্পনা করুন তো, আপনি বাড়ি নাই। অাপনার মা, বোন অথবা প্রিয়তমা বাড়িতে একা। এসময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একজন আপনার ঘরে ঢুকে অাপনার মা, বোন অথবা প্রিয়তমাকে ধর্ষণ করলো, দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করতে চাইলে তিনি দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে রাস্তায় গেলেন। তখন ধর্ষক তেড়ে গিয়ে একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করলেন। না কোন সিনেমার ঘটনা নয়, এটা হবিগঞ্জে সদর উপজেলার সুতাং বাজারের একটি ঘটনা। এই ঘটনার শিকার নারীর নাম সুখিয়া রবিদাস। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাইলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী, সুতাং বাজারের সেতুর পশ্চিম পাশে সুখিয়া রবিদাস তাঁর একমাত্র ১২ বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে বাস করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় সুখিয়াদের বাড়ির জায়গা দখলের জন্য এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল তাঁদের নির্যাতন করে আসছিল। শনিবার সকাল সাতটার দিকে শাইলু মিয়া যান সুখিয়ার বাড়িতে। তখন সুখিয়ার ছোট ভাই বাড়িতে ছিল না। সুখিয়া ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শাইলু ভারী একটি কাঠ নিয়ে তাঁকে তাড়া করেন। দৌড়ানোর একপর্যায়ে সুখিয়া সড়কের ওপর লুটিয়ে পড়েন। তখন শাইলু কাঠ দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই সুখিয়া মারা যান। এলাকার অনেকেই এ দৃশ্য দেখেছেন। তবে কেউ এগিয়ে আসেননি। হত্যার আগে সুখিয়াকে ধর্ষণ করা হয়। দ্বিতীয়বার নির্যাতন করতে চাইলে তিনি দৌড়ে ঘর থেকে বের হন। তখন শাইলু তেড়ে গিয়ে একটি কাঠ দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন।আট বছর আগে সুখিয়ার স্বামী মনি লাল দাসকেও একইভাবে বাড়ির পাশে রাতের আঁধারে হত্যা করা হয়। মামলা পরিচালনা করতে না পারার কারণে সেই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। সুখিয়ার চাচা অর্জুন রবিদাসও ২০১৩ সালে হত্যার শিকার হন। শাইলু মিয়া ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন সুখিয়া রবিদাস।

সুতরাং, সুখিয়া ও তাঁর স্বামী মনিলাল দাস এবং তাঁর চাচা অর্জুন হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র একই। আমাদের দেশে এসব ঘটনা এখন মনে হয় ডাল-ভাত হয়ে গেছে। উন্নয়নের মহামারিতে অাইনের শাসন যে কোথায় হারিয়েছে! তবে কোন রাষ্ট্র তখনই ব্যর্থ হয় যখন সেখানে বিচারহীনতা সর্বগ্রাসী হয়। সুখিয়া, তাঁর স্বামী এবং চাচা এই ব্যর্থ রাষ্ট্রের অকার্যকারিতার বলি। থেমিস নিয়ে টানাটানি করা চেতনাবাজ অথবা তথাকথিত হেফাজতি কেউ আজকে প্রতিবাদ করছে না। অথচ ওই ন্যায়বিচারের প্রতীক থাকলো কি না থাকলো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো সাধারণের ন্যায়বিচার পাওয়া। ভন্ড চেতনাবাজদের চেতনাদন্ড বা হেফাজতিদের ঈমানদন্ড আজকে জাগবে না। তবে এই বিচারহীনতা আজ বাংলাদেশকে পরিণত করেছে পৃথিবীর বুকে একখন্ড নরক।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১০

ঢাকাবাসী বলেছেন: সভ্যতাবিবর্জিত বিচারহীনতার আরেক নাম বা...

১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

র ম পারভেজ বলেছেন: ক্রমেই অামরা ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছি।

২| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২১

রাতু০১ বলেছেন: বিচারহীনতা আজ বাংলাদেশকে পরিণত করেছে পৃথিবীর বুকে একখন্ড নরক।

১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

র ম পারভেজ বলেছেন: যতদিন না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে ততদিন এই নরকদশা কাঁটবে না।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশে সৎ,নীতিবান আর নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিকদের অপমাণিত আর তুচ্ছ করা হয়,সেদেশের অবস্হা এনকম হওয়াই স্বাভাবিক।এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অসভ্য মানুষ কোন নীতিবান ব্যক্তিকে অনুসরণ করবে না,শুধু পাপ করবে।

১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

র ম পারভেজ বলেছেন: সত্যি কথাই বলেছেন।
''ঘটনাস্থলেই সুখিয়া মারা যান। এলাকার অনেকেই এ দৃশ্য দেখেছেন। তবে কেউ এগিয়ে আসেননি।''
আমরা শুধু তাকিয়েই দেখবো, কোন রূপ প্রতিবাদ, প্রতিরোধ অামরা করবো না।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

রুদ্র পাঠক বলেছেন: পিঠ যাচ্ছে ঠেকে, পেছনে শুধু দেয়াল
মানুষের দুঃখ, দূর্দশা সরকার করেনা খেয়াল....
হায় বাংলাদেশ।।।।

১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

র ম পারভেজ বলেছেন: সরকার আছে নিজের আখের গোঁছাতে, এইসব নিয়ে ভাবার সময় কই!!!

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০১

বাশিওয়াল২০২৫ বলেছেন: অন্ধত্বকে অমৃত হিসেবে পান করেছি তাই আলোকে শত্রু ভাবি...

১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

র ম পারভেজ বলেছেন: পুরো বাংলাদেশেরই অাজকে একই অবস্থা।

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: তবে কোন রাষ্ট্র তখনই ব্যর্থ হয় যখন সেখানে বিচারহীনতা সর্বগ্রাসী হয়।

এটা আপনি অসাধারণ বলেছেন।

বিচারের বাণী এখন কোথাও কোথাও নীরবে-নিভৃতে কাঁদতেও ভয় পায়।

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

র ম পারভেজ বলেছেন: কোথাও কোথাও না বলে বলতে পারেন প্রায় সবখানেই।

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হতাশাজনক।

অনেক বেশী বর্বরতা। এত প্রকাশ্য অপরাধের ক্ষেত্রেও কি অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে না?

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

র ম পারভেজ বলেছেন: আমাদের যে বিচারব্যবস্থা, ন্যায়বিচার লাভ করা সেখানে খুবই কঠিন ব্যাপার।

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০১

স্বতু সাঁই বলেছেন: থেমিস নিয়ে টানাটানি করা চেতনাবাজ

ঐ চেতনাবাজদেরকে ছোট করে দেখাটাও ঠিক নয়। সেটাও ছিলো নৈতিক পরাজয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ঠিক যেমন যে কোন ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব। তবে ধর্ষণের মাত্রা যে হারে বেড়েছে তা প্রতিবাদে সংস্কার করা সম্ভব না। ধর্ষকের বিচার হয়ে সাস্তি পেলেই ধর্ষণ থেমে যাবে, সমস্যা এখন সে পর্যায়ে নেই। অনুসন্ধানের মাধ্যমে এর মূলে পৌঁছাতে হবে, তারপরেই এর সমাধান আসতে পারে।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

র ম পারভেজ বলেছেন: ''ধর্ষকের বিচার হয়ে সাস্তি পেলেই ধর্ষণ থেমে যাবে, সমস্যা এখন সে পর্যায়ে নেই।''- একমত হতে পারলাম না। ধর্ষণ থামবে কি থামবে না সে হিসাব করে তো আপনি বিচার নিয়ে একথা বলতে পারেন না। ধর্ষণ একটি ফৌজদারি অপরাধ, সুতরাং তার বিচার হতেই হবে।


৯| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: কথা এভাবেই বিকৃত হয়। আমার কথাটা ছিল এইরূপ:
যেমন যে কোন ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব। তবে ধর্ষণের মাত্রা যে হারে বেড়েছে তা প্রতিবাদে সংস্কার করা সম্ভব না। ধর্ষকের বিচার হয়ে সাস্তি পেলেই ধর্ষণ থেমে যাবে, সমস্যা এখন সে পর্যায়ে নেই। অনুসন্ধানের মাধ্যমে এর মূলে পৌঁছাতে হবে, তারপরেই এর সমাধান আসতে পারে।

কথার কোথাও বলা নেই বিচার বন্ধ করে দেয়া হোক। এত কম বুঝলে তো চলবে না ভাইয়া। কথার গভীরে ঢুকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। জঙ্গীর মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ফলে সরকারটে হার্ড লাইনে যেতে , ফলেই সরকার জঙ্গী তৎপরতাকে ভারসাম্যাবস্থায় নিতে পেরেছিল। কিন্তু সরকার যদি হার্ড লাইনে না গিয়ে স্বাভাবিক পন্থা পদক্ষেপ নিতো তাহলে দেশের অবস্থাটা এতোদিনে কি হতো? তাই অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেলে তখন স্বাভাবিক পন্থায় কাজ হয় না। আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি আমার বক্তব্যে। ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

র ম পারভেজ বলেছেন: আমি আমার মন্তব্যে কোথাও বলি নাই যে, আপনি বিচার বন্ধ করা দেয়া সম্পর্কে কিছু বলেছেন। আবারও পড়ুন-

''ধর্ষকের বিচার হয়ে সাস্তি পেলেই ধর্ষণ থেমে যাবে, সমস্যা এখন সে পর্যায়ে নেই।''- একমত হতে পারলাম না। ধর্ষণ থামবে কি থামবে না সে হিসাব করে তো আপনি বিচার নিয়ে একথা বলতে পারেন না। ধর্ষণ একটি ফৌজদারি অপরাধ, সুতরাং তার বিচার হতেই হবে।

আপনি যে এত গভীরতাপূর্ণ চিন্তা করে কথাগুলি বলেছেন তা আমার মতো কম বুঝা লোকের পক্ষে ধরা আসলেই খুব কঠিন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: ধর্ষণ একটি ফৌজদারি অপরাধ, সুতরাং তার বিচার হতেই হবে।

হতেই হবে হতেই এর ই প্রত্যয় বলছে, আমি নিষেধ করেছি, তার প্রতিবাদে আপনি বলছেন হতেই হবে।

১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

র ম পারভেজ বলেছেন: হুমম।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

নতুন বলেছেন: ধষ`কদের থামাতে ক্রসফারের সাহাজ্য নেওয় দরকার।

তাতে অনেক কাজ হবে...

১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

র ম পারভেজ বলেছেন: ক্রমফায়ারও আরেকটি বিচারহীনতার সংস্কৃতি।

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই শাইলু মিয়া নামের লোকটির প্রতি আমরা যতটা ঘৃণা পোষণ করছি, প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তা' করছে না।

১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২০

র ম পারভেজ বলেছেন: কাকে কাকের মাংস খায় না।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১

মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেছেন: এই ব্যার্থ স্বাধীন রাষ্টে ব্যার্থ স্বাধীনতা নিয়ে বাচতে আর ভালো লাগেনা।যে দিগেই কানপাতি শুনি ব্যাবিচার, অনাচার, খুন,গুম আর কত কি।এই শাইলুর মত কুকুরদের কালো থাবায় যারা জর্জরিত হয় তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হওক-না হলে ন্যায়বিচার দেওয়া হও

১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২১

র ম পারভেজ বলেছেন: সমস্যা হলো দেশের সব সেক্টরেই শাইলু মিয়ারা ব্যাপকহারে বিরাজমান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.