নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবি অাইন অনুষদের জ্ঞানপাপী অর্থলিপ্সুদের সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর কোর্স চালুর অপচেষ্টা

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অনুষদ। কিন্তু বর্তমানে নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ না করায় সেশনজটে পড়তে হচ্ছে এই অনুষদের শিক্ষার্থীদের। এমনেতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাপ মারা এই অনুষদের জ্ঞানপাপীদের পুরোনো অভ্যাস। এখন অাবার গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত নতুন উপদ্রব হতে যাচ্ছে, সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর কোর্স। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাপ মারার দরুন পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে যথাযথ দায়িত্ব পালনে কোর্স শিক্ষকদের অবহেলাতে নিয়মিত শিক্ষার্ত্রীদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা, অার সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর কোর্স শুরু হলে তো আর কথাই নেই। সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর কোর্সে শিক্ষার্থীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভর্তি হয়। তাই শিক্ষকদের মনোযোগ সেদিকেই বেশি। শিক্ষকরা নিয়মিত কোর্সের ক্লাসে না গেলেও সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস নিতে যথাসময়ে উপস্থিত হন। ছুটির দিনেও বিশ্রামের চেয়ে সন্ধ্যাকালীন কোর্সের ক্লাসেই তারা বেশি ব্যস্ত থাকেন। আমার এখনও মনে আছে অনার্সের এক কোর্সের শিক্ষক সারা বছরে মাত্র ৫টি ক্লাস নিয়েছিলেন।

যাই হোক, আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক কোর্স পরিচালনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়। এখানে রাষ্ট্রের অর্থে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিতরণ করা হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ উপার্জনের উপায় হিসেবে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু করা হচ্ছে যা বিশ্ববিদ্যালয় চার্টারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বৈতনীতি চলতে পারে না। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ অর্থের বিনিময়ে, আর কেউ বিনামূল্যে পড়বে তা হতে পারে না, এর ফলে এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়। উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা উচিত, এটা ঠিক; কিন্তু এই অজুহাতে নৈশ কোর্স চালু করা সমাধান নয়। আশা করবো অামাদের জ্ঞানপাপীদের অর্থলিপ্সা বন্ধ হবে এবং অাইন অনুষদে সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর কোর্স চালুর অপচেষ্টা বন্ধ করবেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হবে সেই সংগে শিক্ষার মানের সূচক নিম্নগামী হবে।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

র ম পারভেজ বলেছেন: দেশের শিক্ষার মান ইতিমধ্যে তলানিতে নেমে গেছে, আরও যদি নিম্নগামী হয় তবে কবরস্থ হয়ে যাবে।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

আল ইফরান বলেছেন: সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে, বলেছিলেন এই বিদ্যায়তনেরই এক শিক্ষক।
বাই দ্য ওয়ে,
লেখক বলেছেন, "আমার এখনও মনে আছে অনার্সের এক কোর্সের শিক্ষক সারা বছরে মাত্র ৫টি ক্লাস নিয়েছিলেন .....

**মিন ম্যাডামের কথা বলতেছেন না কি? সে তো ল' ডিপার্টমেন্টের এক এপিক পিস B-)) X((

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

র ম পারভেজ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন!!!

অাপনিও কি এই এপিক পিসের শিকার?

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

কাল্লে জাকোলা বলেছেন: ফিনল্যান্ডে এই জিনিষ সম্ভব না।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩১

র ম পারভেজ বলেছেন: এই দেশে সবকিছুই সম্ভব।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

কাউয়ার জাত বলেছেন: ল ডিপার্টমেন্টের এক একজন টিচার ক্লাসে এসে যখন লেকচার দেন, মনে হয়, ডিপার্টমেন্টের কল্যাণের জন্য উনিই একমাত্র নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। শুধু বাকিদের অসহযোগিতার কারণে ডিপার্টমেন্টের কোন উন্নতি হচ্ছেনা। আসলে দু একজন টিচার বাদে বাকিগুলো চরম স্বার্থপর।
ঢাবির টিচার- এ পরিচয় তাদের অন্যান্য জায়গায় সুযোগ সন্ধানের হাতিয়ার মাত্র। প্রাইভেটে ক্লাস নেয় সকালে আর নিজের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের ক্লাসের শিডিউল দেয় দুপুর একটার সময়।
বিবিএ ফ্যাকাল্টিতে তবুও হেল্পফুল কিছু টিচার আছে। ছাত্রদের গাইড করে। ল'তে একেকটা দুর্ব্যবহারে চ্যাম্পিয়ন। ছাত্রদের ক্ষতি ছাড়া উপকারে নাই। না ক্লাসে কিছু শিখায়, না ক্লাসের বাইরে কোন দিক নির্দেশনা দেয়। সেমিস্টার পদ্ধতি জাতীয়তে পর্যন্ত চালু হয়েছে। ঢাবির ল'তে হয়নি। ফাঁকিবাজির চূড়ান্ত নমুনা।
আগের ডিন তাসলিমা মনসুর ছিল পেশাদার মিথ্যাবাদী। বলতো এই তোমাদের রেজাল্ট আগামী সপ্তাহে পেয়ে যাবে। দেখা যেত দুই মাসেও খবর নেই। আট মাস পরে রেজাল্ট দেয়ার ঘটনাও রয়েছে।
রেজাল্টের জন্য ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় ঘটেছে।

ল ডিপার্টমেন্টের কোন বড় ভাইকে কখনো দেখিনি নতুনদের ল'তে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

র ম পারভেজ বলেছেন: সহমত ভাই।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

আল ইফরান বলেছেন: এই ভদ্রমহিলা আমাদের সময় আঙ্গুল গুনে ৭টা ক্লাস নিয়েছিলেন, আর বাকিটা ইতিহাস। X( X((
আমার অভ্যাস ছিলো প্রত্যেক কোর্সের আলাদা খাতা মেইনটেইন করার।
মাঝেমধ্যে এই কোর্সের আধা-দিস্তার খাতাটা চোখে পড়লে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। :(
খুব সম্ভবত বোরহান স্যারের হস্তক্ষেপে ৩৮/৩৯ ব্যাচের সময় ওনাকে কোর্স ছেড়ে দিতে বাধ্য করানো হয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

র ম পারভেজ বলেছেন: :-P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.