নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি আর্থিক বিবেচনায় কতটুকু লাভজনক?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬


ছবি : সংগৃহিত

কিছুক্ষণ আগে প্রথম আলোর একটি সংবাদ পড়লাম।
ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই

খবরের থেকে জানতে পারলাম যে, ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ; টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এই চুক্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প থাকবে। ভারতীয় ঠিকাদারেরাই প্রকল্পের কাজ পাবেন, ঋণের টাকার পূর্তকাজের প্রকল্প হলে ৬৫ শতাংশ মালামাল ও সেবা ভারত থেকে আনতে হবে। অন্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ মালামাল ও সেবা ভারত থেকে আনতে হবে। আর ঋণের সুদহার ১ শতাংশ, প্রতিশ্রুতি মাশুল আধা শতাংশ। ৫ বছর রেয়াত সময়সহ ২০ বছরে পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এই সংবাদ দেখে কিছুদিন আগের আরেকটি সংবাদের কথা মনে পড়লো।
‘বন্ধু’ জাপানের হাত ধরে বুলেট পথে ভারতীয় রেল

খবর থেকে জানা যায়, আমদাবাদে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। আমদাবাদ-মুম্বাই বুলেট ট্রেনটি ২০২২-এর ১৫ অাগস্ট থেকে চলবে এবং ২০২২ সালের মধ্যেই মুম্বাই থেকে আমদাবাদ পর্যন্ত বুলেট ট্রেনের কাজ শেষ হবে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি রুপি। যার মধ্যে ৮১ শতাংশ অনুদান দেবে জাপান। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ বছরে ০.১ শতাংশ সুদের হারে এই টাকা ফেরত দিতে হবে ভারতকে।

এই দুই সংবাদের তুলনা করে একটি জিনিস দেখা যাচ্ছে যে, ভারত বুলেট ট্রেন নির্মাণের জন্য ১৯ বিলিয়ন ডলারের প্রায় ১৫ বিলিয়ন বা ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা মাত্র ০.১% হারে ৫০ বছর মেয়াদি সফ্ট লোন নিয়েছে জাপানের কাছ থেকে। আর আমরা সেই ভারতের কাছ থেকে ১% হারে ২০ বছর মেয়াদি ৪.৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৬ হাজার কোটি টাকা হার্ড লোন নিয়েছি যার প্রায় সবকিছু কিনতে হবে ভারতের কাছ থেকে। অামি অর্থনীতির ছাত্র না, কিন্তু এতো কঠিন শর্তে ঋণগ্রহণ আমার কাছে লাভজনক মনে হচ্ছে না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: Right

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

র ম পারভেজ বলেছেন: :(

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ক্ষমতায় থাকতে হলে দেশের সবকিছুই বিলিয়ে দিতে হবে রইলে ক্ষমতা থাকবেনা; যদি দাদারা নাখোশ হয়!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

র ম পারভেজ বলেছেন: :(

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১% হারে ঋণ পাওয়া বিশালভাবে ভালো; তবে, দেশের মানুষের কাছ থেকে বেশী সুদে টাকা নিয়ে, দেশের মানুষকেই এই ব্যবসাগুলো দেয়ার দরকার ছিলো; সরকার মানুষকে দরিদ্র করে রাখছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

র ম পারভেজ বলেছেন: গাজী ভাই,
ঋণের হার অন্যান্য দাতা দেশ, সংস্থার চেয়ে যেমন বেশি তেমনি শর্তগুলিও খুবই অন্যায্য।

''সরকার মানুষকে দরিদ্র করে রাখছে।''- এব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

যাযাবর চখা বলেছেন: বিবেচনাটা আর্থিক না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে..... ;)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

র ম পারভেজ বলেছেন: ;) :D

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

বিলুনী বলেছেন: বিনা স্বার্থে কিছুই নয়
যেমন এই পোষ্টটি ও দেয়া হয়েছে একটা স্বার্থকে মনে ধরে নিয়ে,
তবে নীচে দেখুন , কিছুটা ধারণা হতে পারে এটা অআসলে কতটুকু সফট !!!!
Japan’s government and its rail companies lobbied the U.S. for years to sell their bullet-train technology and found little success. Finally, there’s an international buyer: India.

The fares for Shinkansen were, however, costly. Former member of the railway board, RC Acharya, wrote in an article for HT in 2015 that a Shinkansen trip from Tokyo to Kyoto (514 km) costs Rs 7,700. It isn’t surprising too that the estimate fares for the proposed Ahmedabad-Mumbai bullet train is estimated to range between Rs 3,000 - Rs 5,000.

এখন বুজেন বুলেট ট্রেনটা ৪ হতে ৬ গুন বেশি দামে কিনতে হবে জাপান হতে ।
মাগনা দিলেও এমন খাদ্য কেও খাবেনা !!!
আমিরিকার কাছে তারা এটা বেচতে পারে নাই কয়েক বছর লবিং করার পরেও ।
তাই এমনতর সফট লোনের বিষয়টা বুঝতে বেশী কষ্ট করার প্রয়োজন নাই ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

র ম পারভেজ বলেছেন: আপনার তথ্যগুলি চমকপ্রদ।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের অতীত ও বর্তমান প্রোজেক্টগুলোর যে অবস্হা, তারা প্রজেক্টের আয় থেকে ঋনের কিস্তি দিতে সমর্থ হবে না, বাজেটের টাকা থেকে দিতে হবে, যার অর্থ বড় বাজেট, ফলাফল ছোট

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

র ম পারভেজ বলেছেন: সহমত।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: আসলেই চুক্তিটা একপেশে মনে হচে্ছ ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

র ম পারভেজ বলেছেন: :(

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

মানুষ জিহাদ হাসান বলেছেন: এভাবেই তো দেশটাকে বিক্রি করতে হয়।আর ভারতের মত দুষ্ট দেশের কাছে দেশের অর্থনিতি বিকাতে হয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

র ম পারভেজ বলেছেন: ভারতের দ্বারা ''ক্যাপটিভ অর্থনীতির'' দেশ আমরা আরও আগে থেকেই, এখন আবার নতুন করে কঠিন শর্তে ঋণও নেয়া হচ্ছে।

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পশ্চিম বংগের মমতা দিদি ও মনে হয় এমন চুক্তিতে রাজী হতেন নাহ, এবার বুঝুন তাহলে আমাদের অবস্থা??

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

র ম পারভেজ বলেছেন: হুমম!!!

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "ঋণের টাকার পূর্তকাজের প্রকল্প হলে ৬৫ শতাংশ মালামাল ও সেবা ভারত থেকে আনতে হবে। অন্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ মালামাল ও সেবা ভারত থেকে আনতে হবে। ... ৫ বছর রেয়াত সময়সহ ২০ বছরে পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে।" এই শর্তগুলোর মধ্যে যদি কোনো সিকিউরিটি ক্লজ আর গ্যারান্টি ক্লজ না থেকে আমাদের পক্ষে তাহলে এই চুক্তি সুইসাইডাল হতে পারে | মালামাল, সেবার গুণগতমান চেক করার জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু ক্রাইটেরিয়া ঠিক করতে হবে | সেগুলো পূরণ না হলে আমরা সেসব মালামাল, সেবা নিতে বাধ্য থাকবো না সেটার ক্লজ থাকা দরকার | কারণ এর আগে অনেকবারই ভেতর থেকে আনা চাল,গম ছিল পচা বা খুবই নিম্নমানের | কয়েকবার মনে হয় সেগুলো ফিরিয়েও দিতে হয়েছিল | এ ধরণের মালামাল, সেবা (লো টেক) তারা যে আবার গছিয়ে দিতে চাইবে না সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই | তাই কিছু প্রটেকটিভ ক্লজ থাকা খুবই দরকার এই সব চুক্তিতে |

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

র ম পারভেজ বলেছেন: সহমত!!!

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ১% বছরে না কি বিশ বছরে? বছরে হলে কত হবে?

আহা কি আনন্দ কি আনন্দ এসে গেছে কোকাকোলা, গেছে সব দেনার দায়ে বাকি আছে কাপড় খোলা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

র ম পারভেজ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.