নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
ছবি:অর্ন্তজাল
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারী কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। সেখান থেকে আন্দোলনকারী ২৩ জনকে গতকাল মঙ্গলবার আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না দিয়ে শাহবাগ থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
আমি মনে করি দেশের যুবনীতি তে যুবকদের বয়স যেহেতু ১৮-৩৫, তাই সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবীটা অযৌক্তিক কিছু না। পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। কোনো কোনো দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০, বিভিন্ন প্রদেশে বয়সসীমা ৩৮ থেকে ৪০, শ্রীলংকায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ইতালিতে ৩৫ বছর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩৮, ফ্রান্সে ৪০, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনিম্ন ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত। আফ্রিকায় চাকরি প্রার্থীদের বয়স বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মতো সীমাবদ্ধ নেই। অর্থাৎ চাকরি প্রার্থীদের বয়স ২১ হলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যেকোনো বয়সে আবেদন করা যায়। রাশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্যে যোগ্যতা থাকলে অবসরের আগের দিনও যে কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল গভর্নমেন্ট ও স্টেট গভর্নমেন্ট উভয় ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ বছর। কানাডার ফেডারেল পাবলিক সার্ভিসের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে, তবে ৬৫ বছরের উর্ধ্বে নয় এবং সিভিল সার্ভিসে সর্বনিম্ন ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়।
কেই বলেন যে যারা পারে তারা ৩০ এর মধ্যেই পারে, তাঁদের বোঝা উচিত চাকুরীর পড়াশোনা আর একাডেমিক পড়াশোনা এক নয়। অনার্স-মাস্টার্সে ভিন্ন রকম বিষয় পড়ে চাকরির জন্য সাধারণ জ্ঞান, অংক, বাংলা, ইংরেজি বলতে গেলে আবার মাধ্যমিকের পড়াশোনা করতে হয়। আর দেশে এখন সেশনজট নেই এটা একদম ভুল কথা। যাঁরা ২০০৪ থেকে ২০১০ অনার্স সেশন এর ছাত্রছাত্রী ছিলেন তাদের সময় গড়ে সেশনজট ছিল সাড়ে তিন বছরের। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা আরো বেশি ছিল। আর এই কোটার বাজারে চারটা বিসিএস সহ ২০ টা যায়গায় ভাইবা দিয়েও চাকুরি না হওয়ার ভুরি-ভুরি উদাহরণ আছে। আর কেউ যদি মাস্টার্স শেষ করে বিদেশে পড়তে যান, তবে দেশে এসে বয়স শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আর পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয় না। এসব কারণ বিবেচনা করে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবীটা যথেষ্ঠ যৌক্তিক।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
র ম পারভেজ বলেছেন: সহমত।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
"রাশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্যে যোগ্যতা থাকলে অবসরের আগের দিনও যে কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন"।।
সহমত
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
র ম পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: অবশিষ্ট মন্তব্য -- চাকরির জন্য যোগ্যতার বিষয় হওয়া দরকার: সততা, অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা। বয়স নয়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
র ম পারভেজ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কথা গুলো ভালো বলেছেন । সহমত
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
র ম পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
স্রোত . . . . . বলেছেন: চাকরিতে বয়স সীমা অবশ্যই বাড়ানো উচিত . . .
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
র ম পারভেজ বলেছেন: সহমত।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: চাকরি পেলেন ৩৫ বছর বয়সে
দেখলেন আপনার বস ২৭ বছরের একটা ছেলে।
তখন ভাল লাগবে?
২৫ বছরে পাশ করে ৩৫ বছর পর্যন্ত আপনি আপনার ১০ বছর সময় বেকার হিসেবে কাটিয়ে আপনার ও আপনার দেশের ক্ষতি করলেন।
১০ বছর আপনি প্রাইভেট চাকরী করলে তখন আপনার বেতন ৫০০০০-১০০০০০ টাকা হত। কত লস করলেন?
১০ বছর বসে বাপের টা খেলেন, রোজগার ও করলেন না। যা টাকা তা পেনশান এর থেকে খুব বেশী কম না।
যদি অবস্থা এমন হত যে চাকরির তুলনায় প্রয়োজনীয় লোকের সংকট, তখন বয়স বাড়ানটা লজিক্যাল হত। ঘটনা তো উলটা।
ব্যাপার হচ্ছে সরকারী চাকরী না হলে মেয়ের বাবা রা মেয়ে বিয়ে দিতে চান না।
বয়স না বাড়িয়ে মেয়ের বাবা দের মেন্টালিটি পরিবর্ত্নের জন্য আন্দোলন করা যেতে পারে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
র ম পারভেজ বলেছেন: আমি সরকারি চাকরির জন্যে বসে না থেকে মাস্টার্স শেষ করেই বেসরকারি চাকরিতে ঢুকেছি। ১ বছরের মাথায় একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থায় বেশ ভালো মাইনেতেই ঢুকেছি। অার বেসরকারি চাকরি করি বলে বিয়ে করতে সমস্যা হয় নাই। সুতরাং অাপনার কথাগুলি আমার জন্য প্রযোজ্য নয়।
আপনার কথাতে যুক্তি আছে। আমার পোস্টটিতে সরকারি চাকরির বয়সসীমা নিয়ে যুক্তিগুলি তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: খাজাবাবার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
উপরন্তু, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকারী চাকুরীই যেহেতু মোক্ষ, তাই যে কোন প্রার্থীই সরকারী চাকুরীর জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত চেষ্টা করতেই থাকে, করতেই থাকে। তারপর যখন সরকারী বা ভালো একটা বেসরকারী চাকুরী না পায়, তখন চেষ্টা করে কিছু একটা করতে। অথচ, ততদিনে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। এই সরকারীর লোভে পড়ে এতদিন অপেক্ষা না করে যদি আরো ৫ বছর আগেই এই 'কিছু একটা' সে শুরু করতো, তাহলে এই পাঁচ বছর সে এগিয়েই থাকতো। যে সময়টা আসলে স্বর্ণ সময়।
এখন যদি এটা ৩৫ বছর হয়, তাহলে ওই অপেক্ষাটা ৩৫ বছর পর্যন্ত হবে। ফলাফল, আরো সময় নষ্ট। বর্তমানে সেশন জ্যাম না থাকায় প্রায় ২২ বছরেই একজন ছেলে বা মেয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ফেলে। তাই ৩০ বছর হওয়াটাই অতিরিক্ত।
দ্বিতীয়ত, আমার এক ফ্রেন্ড ৩০তম বিসিএসএ কাস্টমসে জয়েন করার পর খুব বিষণ্ন মনে বলছিল- এই ৩০ বছর বয়সে এসে আমি যদি জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু করি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু করবো কবে?
এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ফেইসবুকে একটা ছবির কোলাজ দেখলাম, যেখানে উপরের সারিতে জাস্টিন ট্রুডো, ইমানুয়েল ম্যাঁখো, জাসিন্দা আর্ডেন এর ছবি আর নিচের সারিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও এবং এরশাদের ছবি দিয়ে ক্যাপশান দেওয়া: উন্নত দেশে যুবকরা দেশ চালায় , বৃদ্ধদের দেয় পেনশন আর আমাদের দেশে বৃদ্ধরা দেশ চালায়, যুবকদের দেয় টেনশন।
আর কিছু বলার দরকার নেই মনে হয়।
০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
র ম পারভেজ বলেছেন: উন্নত দেশের সরকারি চাকরির বয়সসীমার উদাহরণগুলি দেখুন, সবগুলিই আমাদের চেয়ে বেশি। অার আমাদের কেরানি তৈরির শিক্ষাব্যবস্থায় পাস করাদের জন্য সরকারি চাকরি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কর্মস্থল।
আর অাপনি যে যুক্তিগুলি দিলেন সেগুলির সাথে অামার দ্বিমত নেই।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো লাভ নাই।
০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
র ম পারভেজ বলেছেন: হয়তোবা।
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো একটি অতি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। ঠিক যেমন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নাগরিকত্ব দিয়ে মায়ানমারের বিরুদ্ধে হুজুরদের নেতৃত্বে জিহাদ ঘোষণা করা ফরজ তেমন।
০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
র ম পারভেজ বলেছেন: সার্কাজম!!!
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩
মায়াবী ঘাতক বলেছেন: খাঁজা বাবা বলেছেন: ব্যাপার হচ্ছে সরকারী চাকরী না হলে মেয়ের বাবা রা মেয়ে বিয়ে দিতে চান না।
বয়স না বাড়িয়ে মেয়ের বাবা দের মেন্টালিটি পরিবর্ত্নের জন্য আন্দোলন করা যেতে পারে। ++++
এটাই আসল পয়েন্ট। সরকারি চাকরিতে এমন কোন মধু নেই যে সবাইকেই তা করতে হবে। যারা আন্দোলন করছেন তারা চাকরি পেলে যে বেগম পাড়ায় বাড়ি-ঘর করার জন্য ধান্ধা শুরু করবেন না তার কি গ্যারান্টি আছে? প্রাইভেট চাকরি করেও অনেকে অনেক ভালো পজিশনে আছেন। এতই যদি সরকারি চাকরির লোভ থাকে তাহলে এইচ.এস.সির পরে সিপাহির চাকরি নিলেই তো ভালো হত। কস্ট করে সেশন-জট, ভার্সিটির গ্যাঞ্জাম, ঢাকায় মেস ভাড়া কিছুই দেয়া লাগত না।
০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
র ম পারভেজ বলেছেন: রাষ্ট্র যেহেতু বেকার তৈরির শিক্ষাব্যবস্থা চালু রেখেছে সেহেতু এদেরকে চাকরি না দিতে পারুক, চাকরির পরীক্ষা দেবার সুযোগটুকু দিতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ৩০ বছর বয়স পার হলেই কি একটা লোক অকর্মন্য হয়ে যান যে তিনি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন না?
বরং একটি মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার কর্ম দক্ষতাও বাড়ে, তাই আমি মনে করি চাকরিতে বয়স সীমা বাড়ানো অবশ্যই উচিত।