নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল মেহেদী পারভেজ। পরিচিত হতে: web.facebook.com/rmparves

র ম পারভেজ

স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।

র ম পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজাত বিদ্যালয়ের অমানবিক আচরণে নিভে গেলো একটি জীবন-প্রদীপ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২


ছবি : অন্তর্জাল

ছবির মেয়েটির নাম অরিত্রি অধিকারী (১৫), সে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ত। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে নকলের অভিযোগে অপমানের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে। দৈনিক প্রথম আলোকে অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন,'' তাঁর মেয়ের পরীক্ষা চলছে। গতকাল রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পায়। মোবাইলে নকল করছে—এমন অভিযোগে অরিত্রিকে সোমবার তাঁর বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও অরিত্রিকে নিয়ে স্কুলে যান। তার ছোট মেয়েও একই স্কুলে পড়ে। তাঁরা প্রথমে ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের ‘অপমান’ করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আগামীকাল মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতেও বলা হয়। এরপর তিনি প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। যেখানে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যও ছিলেন। প্রিন্সিপালও ভাইস প্রিন্সিপালের মতো আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রি দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে স্ত্রীসহ তিনি বাড়ি গিয়ে দেখেন অরিত্রি তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। অরিত্রিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেন তাঁরা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।''


ছবি : অন্তর্জাল

আমি নিজে একজন কন্যা সন্তানের বাবা, সেকারণে দিলীপ অধিকারীর বেদনা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারি। যে মেয়েকে ১৫ টি বছর তিলে তিলে বড় করে তুললেন চোখের পলকে তাঁকে হারালেন। এই আত্মহত্যা অপমৃত্যু নয় বরং প্ররোচিত হত্যা। বিদ্যালয়ের কাজ শিশুদের ভুলগুলো শুধরে জীবনবাদী করে তোলা, শাস্তি দিয়ে অপমানিত করা নয়। ভিকারুননিসার মতো ‘নামী প্রতিষ্ঠান’ কি করে একজন ছাত্রীর কাছে একটা মোবাইল ফোন পেয়ে তাঁকে শাস্তিস্বরূপ ‘ট্রান্সফার’করতে চায় এবং অভিভাবকসহ ক্ষমা চেয়েও রেহাই পায় না? খ্যাতনামা স্কুলগুলোয় কী চলছে, সেটা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শিক্ষার নামে ব্যবসা চলছে।
এই ঘটনার বিচার চাই...

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

র ম পারভেজ বলেছেন: ভিকারুননেসা কর্তৃপক্ষ জানে, ১টা সিট খালি হলে ক্যান্ডিডেট এর অভাব হবে না। এসব অভিজাত স্কুলে সিট নিয়ে ব্যবসার প্রমান বহু আগেও পাওয়া গেছে।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

সামিয়া বলেছেন: দুঃখজনক

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

র ম পারভেজ বলেছেন: শুধু ভিকারুননেসাই নয়, প্রতিষ্ঠা পাওয়া সব বিদ্যালয়ের অবস্থাই এরকম।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

হাবিব বলেছেন: অমানবিক..........

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

র ম পারভেজ বলেছেন: বাবার অপমান এবং স্কুল হতে বহিষ্কারের ভয়েই বাচ্চাটি চলে যাওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

তিক্তভাষী বলেছেন: স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষগুলোর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের জন্য আচরণবিধি জারি করে ব্যত্যয় পেলে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

র ম পারভেজ বলেছেন: যদি নকলের অভিযোগ আসলেই সত্য হয়ে থাকে, তবে তার জন্য ভিকারুননেসা কর্তৃপক্ষই দায়ী। পড়ানোর দায়িত্ব ঠিকমতো পালনে তারা ব্যর্থ ।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব দুঃখজনক।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

র ম পারভেজ বলেছেন: ন্যায়বিচার চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.