নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) যতটা অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে আমার মনে হয় ঠিক ততটাই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নারী নির্যাতন প্রশ্নে। অন্য দেশগুলিতে এনজিও যেমন মানবাধিকার, পরিবেশ ও নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে, আন্দোলন করে, দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে সেটা সফল হয়নি।
অতীতে যেরকম সাহসী অধিকারকর্মীদের আমরা পেয়েছি বিগত একদশকে তার কিয়দংশও আমরা দেখতে পারছি না। যদিও রাষ্ট্রিয় অসহযোগিতা একটি কারণ; যেমন আমরা বলতে পারি - বিগত সময়ে মানবাধিবার সুরক্ষা নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন তাঁদের ওপর নজরদারি এবং হয়রানি করা হয়েছে। এতে করে এরই মধ্যে অনেকেই চুপচাপ হয়ে গেছেন৷ আর তার পরেও যাঁরা কথা বলার চেষ্টা করছেন, তাঁদের কঠিনভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আরেকটি কারণ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে যে, অনেক সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী যাঁরা মানবাধিকারে জন্য কাজ করছেন, তাঁদের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় নির্যাতন এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই অস্পষ্ট আইনে অনলাইনে কথিত মিথ্যা এবং হানিকর তথ্য পরিবেশনের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷
রাষ্ট্রের অসহযোগিতাকে মেনে নিয়ে কাজ না করলে আমরা কিভাবে অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবো? এখন যদি আমাদের লক্ষ্য হয় আমরা বিদেশী ফান্ড আনবো আর এসির বাতাসে বসে সেমিনার করে নারী নির্যাতন বন্ধ করবো, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করবো তা হলে এগুলি কোন দিন বন্ধ হবে না।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২০
র ম পারভেজ বলেছেন: সফল বলার তো কোন প্রশ্নই উঠে না, অধিকাংশেই ব্যর্থ।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র বলে আমরা সব কিছু থেকেই ব্যর্থ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৩
র ম পারভেজ বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র কারণ পলিসি মেকিংয়ের ঘাটতি, আইনের শাসনের অভাব এবং অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর দুর্নীতিপরায়ণতা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দিন দিন তো আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। অন্য দেশের সাথে তুলনা করলে আমাদের অবস্থান অনেক পিছনে। কিছু পরিসংখ্যানও মনে হয় তাই বলে। তাই সফল বলার কোনও সুযোগই নাই।