![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভাল কিনা জানি না তেব আমি মন্দ নই।
আমার লজ্জা হচ্ছে আজকের এই লেখাটা লিখতে। তবুও লিখতে হবে। গতকাল একটি বেসরকারী টিভি চেনেলে দেখলা রাজবারী জেলায় একটি শিশুকে (৬ বছর) ধর্ষন শেষে মেরে ফেলা হয়েছে। উল্লেখ্য এই নর পশুটা এই শিশুটিকে পূর্বেও একবার ধর্ষণ করেছিলো এবং যার জন্য সে কারাগারে গিয়েছিলো। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পূনরায় সেই মেয়েটিকে আবার ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ শেষে ছোট্ট শিশুটির জীবন চিরতরে কেড়ে নেয়। এই আচরন কি কোন রক্তে মাংসে গড়া মানুষের দ্বারা সম্ভব। আমার মনে হয় বনের হিংস্র খুদার্থ বাঘও এই ৬ বছরের শিশুটিকে সামনে পেলে খাবে না। আবার শুনলাম টাঙ্গাইলের কোন এক স্কুল থেকে ফেরার পথে ক্লাস টু এর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এই ক্লাস টু তে পড়া মেয়েটির বয়স হবে বড়জোর ৮ বছর এটা কোন দেশে বসবাস করছি আমরা। আমাদের উচিৎ সবার মরে যাওয়া। নয়তো এই নরপশুদের যথার্থ বিচার করতে হবে যাতে আর কোন নরপশুর জন্স হতে না পারে। ভাবতে হবে আমাও একটি কণ্যা শিশু আছে কে জানে হয়তো কোন একটি কোন নর পশুর শিকার হয়। টাঙ্গাইলের যেই স্কুল শিক্ষার্থি শিশুটি নরপশুর আক্রমনের শিকার সেই শিশুটিও দেখলাম আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। আমরা চাইনা আর কোন শিশু এই নরপিচাশদের শিকার হউক। শিশুরা কোমলমতি তারা আমাদের কাছ থেকে স্নেহ, আদর, শুশিক্ষা পাওয়ার কথা সেখানে সমাজে বসবাসকারী কিছু জানোয়ারের লালসার শিকার হচ্ছে। আর বাকী শিশুরা শিখতে শিখেছে পুরুষদের ঘৃণার দৃষ্টিতে। তারা আজ বড় হচ্ছে কোন ঠাসা হয়ে। বিরম্বনায় পরছেন অভিবাবকরা তারা আজ উঠছেন ক্লান্ত। তারা তাদের সংসারের সাভাবিক কর্ম সেরে সন্তানটিকে নিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে গিয়ে সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তার আদরের সন্তানটির জন্য কখন বাসায় ফিরতে পারবে। ফিরেই সস্তির নিশ্বাস একদিনের জন্য পরক্ষনেই আবার আগামী কালের চিন্তায় বিভোর হয়, কালকে কি হবে। সমাজে নরপশুর সংখ্যা খোব যে বেশী তা নয় তাগের সংখ্যা অতি সামান্য। তাহলে কেন এত ভয়। সমাজ, দেশ, সরকার ইচ্ছে কররেই এর কঠোর ব্যবস্থতা করতে পারে। সবচেয়ে দুর্বল হচ্ছে আমাদের বিচার ব্যবস্থা। যে কিনা একটি কোমলমতি শিশুকে ধর্ষণ করল কিংবা ধর্ষণ শেসে হত্যা করল সে কিনা জামিনে মুক্তি পায়। যারা আইন পেশায় আছে আমার মনে হয় তাদের ঘরে কোন শিশু কন্যা কিংবা কোন মেয়ে নেই থাকলে হয়তো সে মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য একটা নরপশুর জন্য আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারতোনা। অন্তত একবারের জন্য হলেও তার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করা দরকার ছিল আমি যেটা করছি সেটা অবশ্যই অন্যায়। বাংলাদেশর মাননীয় সাংসদ সদস্যরা বাংলাদেশ সংসদ ভবনে বসে বসে এত এত আইন পাশ করেন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কিন্তু কিছু আইন করা প্রয়োজন যেটা সর্ব সাধারনের কল্যাণে আসে যা থেকে কখনো আপিল, অজামিন যোগ্য হয়। তার মধ্যে শিশু ধর্ষণ, হত্যা, শিশু অপহরন, এসিড নিক্ষেপ এই রকমের মামলায়।
©somewhere in net ltd.