নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদলে যাও, বদলে দাও বল্লেই কি বদলানো যায়। আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারিনি আমার ভাগ্যকে বদলাতে

কেউ আমায় দুঃখ দিলেও কষ্ট পাই না, কারন দুঃখের সাথেই এখন আমার বসবাস। প্রতি নিয়তই হয় বাসর, আমার দুঃখ প্রেয়সীর সাথে।

রবিউল ফকির

আমি ভাল কিনা জানি না তেব আমি মন্দ নই।

রবিউল ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্রয়োজনীয় পোষ্ট (টিভি চ্যানেল সমাচার) আপুদের প্রবেশ নিষেধ

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২

দয়া করে কেউ এড়িয়ে যাবেন না। একটু সময় নিয়ে পড়ুন এবং এর প্রতিকার হিসেবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। দয়া করে মন্তব্য দিবেন নয়তো মেইল করবেন [email protected] আইডিতে

ভনিতা না করে বলেই ফেলি।

টিভি খুললেই আমরা দেশীয় চ্যানেল পুরোপুরি বাদ দিয়ে ডুবে যাই বিদেশি চ্যানেলে, বিশেষ করে ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলের সিরিয়ালে। জি বাংলা, ইটিভি বাংলা এবং স্টার প্লাসের সিরিয়ালগুলো বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় বিশেষ করে মহিলা এবং উঠতি বয়সের মেয়েদের সেই সাথে শিশুদের/কিশোরদের ও আসক্তে পরিনত করছে তাদেরই মা ও বোনেরা। এই জনপ্রিয়তার কারণে স্যাটেলাইট চ্যানেলের বদৌলতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে এসব চ্যানেলের সিরিয়ালের প্রভাব। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ পরিবার এই চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত। আমরা কখনও কি চিন্তা করি এই ভাইরাসের প্রভাব আমাদের কীভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এখন বিভিন্ন চ্যানেল দেখে দেখে তাদের ফ্যাশন অনুকরণ করতে গিয়ে উঠতি বয়সের কিশোরী-তরুণীরা কী রকম অত্যাধুনিক ডিজাইন সমৃদ্ধ কাপড় ব্যবহার করছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যার দরুন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি। শুধু তাই নয়, ফ্যাশনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। যার মাশুল দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। যেমন একজন পিতা সরকারি চাকরিজীবী। মধ্যবিত্ত সংসার। তার মধ্যে ২ মেয়েকে ডজন ডজন ফ্যাশনেবল দামি জামা কিনে দেয়া কতটুকু সম্ভব? সন্তানেরা অভিভাবকের অপারগতা কখনও বুঝতে চায় না সন্তানরা। তাদের যা প্রয়োজন তা তাদের দিতেই হবে। যদি তাদের চাহিদা পূরণ করতে না পারে, মা-বাবা হয়ে যায় তাদের জন্য শত্রুস্বরূপ। যার বড় প্রমাণ ঐশী। আজ ঐশী যা করেছে তাকে তো এক কথায় অপসংস্কৃতির প্রভাব ছাড়া আর কী বলা যায়? এরকম অপসংস্কৃতির প্রভাবে সন্তানরা বিশেষ করে কিশোরী ও তরুণীরা যারা সহজেই অনুকরণপ্রিয়, তারা প্রভাবিত হচ্ছে। প্রভাবিত হয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে যা সহজেই অনুমেয়। মা-বাবার কথা শুনছে না তারা। ইচ্ছামত চলাফেরা করছে। এসব স্যাটেলাইট চ্যানেল থেকে শিক্ষণীয় কিছুই চোখে পড়ে না। এসব সিরিয়ালে দেখা যায় শুধুই পারিবারিক দ্বন্দ্ব, হিংসা-বিদ্বেষ, সম্পত্তির লোভে খুন, মারামারি, সবসময় পারিবারিক কলহ, পরকীয়া, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন এবং মা-বাবাকে অসম্মান করা। এসব স্যাটেলাইট চ্যানেলের সিরিয়াল দেখে দেখে আমরাও নিজের অজান্তে এরকম আচরণে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের চেতনার ভিত নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের সন্তানরা বিপথে পা বাড়াচ্ছে। দেখা যাচ্ছে কাল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আছে। যদি পড়তে বসতে বলেন, জবাব আসবে—আগে সিরিয়ালটা দেখে নিই, তারপর পড়তে বসব। তোমরা সারাদিন শুধু পড়তে বলো। অর্থাত্ পড়ালেখা করার সময়ও এখন স্যাটেলাইট চ্যানেলের সিরিয়ালের ওপর নির্ভরশীল। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় পরকীয়ার কারণে স্বামী খুন বা স্ত্রীকে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের আত্মহত্যা, ইভটিজিংয়ের কারণে আত্মহত্যা। এসব কেন হচ্ছে?

অনেক অভিভাবক আছেন যারা নিজেরাও এসব সিরিয়ালে আসক্ত। যার দরুন নিজের সন্তানের দিকে নজর দেয়ার সময় তাদের হয় না। সিরিয়ালপ্রীতির কারণে সন্তানদের লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হচ্ছে আর অভিভাবকরা হতাশায় ভুগছে। অন্যদিকে এসব কিশোরী ও তরুণী তাদের আবেগময় সিদ্ধান্তের কারণে তাদের জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অনেকে মাদকাসক্ত কিংবা ইয়াবা সেবন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। সময় থাকতে সচেষ্ট না হলে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও ভয়াবহ দিন। যেদিন আসবে হাজারো ঐশী সৃষ্টি হয়ে সমাজ তথা পরিবারকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। তখন আমাদের কিছুই করার থাকবে না। তাই অভিভাবকদের এখনই সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। এসব স্যাটেলাইট চ্যানেলের সিরিয়ালপ্রীতি কমানোর জন্য অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। সন্তানদের ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে, পাশাপাশি সৃজনশীল কাজ করার জন্য উত্সাহিত করতে হবে। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করতে যাতে ওরা এগিয়ে আসে সে রকম ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যাতে করে কিশোরী-তরুণীরা নিজেদের মন-মানসিকতায় সুন্দর মানুষরূপে গড়ে তুলতে পারে। সেই সাথে সকল অভিবাবক এবং সকল পুরুষরা একত্রে জোর দাবী করতে হবে সরকার এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে যেন বাংলাদেশ থেকে এ জাতীয় ভারতীয় চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়।

বাংলাদেশেই এখন প্রায় গোটা বিশেষ টিভি চ্যানেল চালূ আছে। আমাদের বাংরাদেশের নাটকের মান এখন অনেক উর্ধে এবং কিছু কিছু নাটকের হাসির হলেও বিনোদন সহ শিক্ষনিয় বিষয় থাকে যা ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলো থাকেনা। আজও বাংলাদেশে কিছু যৌথ পরিবার আছে অথচ এই ভারতীয় চ্যানেলের কারনে আজ সেই পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। দেখা যায় একটি ঘরের কর্তা/পুরুষ/উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে বাড়িতে ফিরে একটু দেশের খবর নেওয়ার জন্য কোন একটা নিউজ চ্যানেল দিলো অমনি তার স্ত্রী/কন্যা/কিশোরটি রিমোট নিয়েই এই ভারতীয় চ্যানেল লাগিয়ে দিয়ে বলে নিউজে কিছু নাই।

এইভাবে ভারতীয় চ্যানেল চলতে দেওয়া ঠিক হবে না। অথচ এই ভারতই বাংলাদেশের কোন চ্যানেল তাদের দেশে চালায় না। এই কিছু চ্যানের বদৌলতে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে ভারত।

আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবীয় করছি এই চ্যানেলগুলো বন্ধ করার জন্য সেই সাথে সচেতন নাগরীকদেরও অনুরোধ করছি এই দাবিকে আরো জোরদার করার জন্য।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

খালেদ আহমদ বলেছেন: khuv valo likhesen.sob che valo hoto jodi gor teke TV ta ber kora jeto.

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

রবিউল ফকির বলেছেন: বর্তমান যুগে ঘর থেকে টিভি বের করা মোটেই সম্ভব নয় কারন হলো টিভিতে প্রয়োজনীয় অনেক কিচু জানার আছে। যদিও টিভি ঘরে রাখা জায়েজ না। তার পরেও টিভি থেকেই যাবে যুগযুগান্তর।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

রবিউল ফকির বলেছেন: বর্তমান যুগে ঘর থেকে টিভি বের করা মোটেই সম্ভব নয় কারন হলো টিভিতে প্রয়োজনীয় অনেক কিচু জানার আছে। যদিও টিভি ঘরে রাখা জায়েজ না। তার পরেও টিভি থেকেই যাবে যুগযুগান্তর।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: একটি প্রয়োজনীয় পোষ্ট (টিভি চ্যানেল সমাচার) আপুদের প্রবেশ অবশ্যই জরুরি :) । বিদেশি চ্যানেল বিদেশি পণ্যের চাহিদা তৈরি করে, শুধু নিছক বিনোদন মুখ্য নয় । চ্যানেল বন্ধ করতে গেলে এটাও মাথায় রাখতে হবে ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

রবিউল ফকির বলেছেন: জানি না ভাই।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
"লেখাটি ভালো লাগলো" বাটন কাজ করছে না। B-)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

রবিউল ফকির বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর দোয়া করি যেন বাটন জীবনেও কাজ না করে।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: ভাই এগুলা তো জানি..........
এগুলা বন্ধের ২/৪টা উপায় থাকলে বলেন....

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

রবিউল ফকির বলেছেন: উপায় কমু কেমনে‍। ডিজিটাল রিমোর্টটাত ভারতপ্রিতি বাংলাদেশ সরকারের হাতে। আপনি যদি পারেন তাইলে চুপি চুপি ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল রিমোর্ট নিয়া চ্যানেলগুলো একেবারে লক কইরা দেন।

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

স্বাধীকার বলেছেন:
বিদেশী চ্যানেল গুলোর দোষ দিয়ে কোনো লাভ হবেনা,
লাভ হবে নিজের ঘর থেকে এসব সংস্কৃতি বর্জন শুরু করলে।

মুক্তবাজার অর্থনীতি, গ্লোবাল ভিলেজ-এসব টার্ম গুলোর সাহায্যে যে চ্যানেল গুলো আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকেছে সেগুলোর ভয়ংকর প্রভাব থেকে বাচঁতে হলে ঘর থেকেই ঝেটিয়ে ঐসব চ্যানেলকে বিতাড়ন করুন।

আমাদের মেয়েরা বেগম রোকেয়া হতে চায়না, তারা হতে চায় ক্যাটরীনা। শেষ পর্যন্ত তারা না হতে পারে ক্যাটরীনা, না হতে পারে রোকেয়া। তখন যা হয় তা হলো বুদ্ধিবৃত্তিক পতিতাবৃত্তির শুভাকাংখী।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

রবিউল ফকির বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা ১০০ ভাগ সত্য। কিন্তু নিজেদের ঘর থেকে কখনোই বিতারিত করা সম্ভব নয়। ডিস সংযোগে যখন এই চ্যানেলগুলো থাকবে তখন আপনার উনুপস্থিতিতে উরা দেখবেই। ধরুন কিছুদিন আগেও ডরিমন স্যাটেলাইট চ্যানেলে চলত এই চ্যানেলটা যখন বন্ধ করে দিয়েছে এখন কিন্তু শিশুরা আর ডরিমন বলে কান্নার রুল উঠায় না। খাওয়ার বায়নায় ডরিমন দিতে হবে বলে জেদ ধরে না। অতএব সরকারকেই বড় ভুমিকা পালন করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.