নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষায়...

এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার

robot_eee

মানুষ হয়েও 'রোবট'। বিতর্কিত বিষয়ে এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার। তাই আমি Robot_eee

robot_eee › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুদের ইন্টারনেট আসক্তির পরিণাম ভায়াবহ! :|:|:|

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২





ওয়েবহোস্ট বিশ্লেষক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘হু ইজ হোস্টিং দিস’ পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অধিকাংশেরই কোনো বিশেষ বিষয়ে গভীর জ্ঞানের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। ইন্টারনেট শিশুদের ধৈর্য ও মনোযোগ কমিয়ে দিচ্ছে। কোনো বিষয় নিয়ে গভীর পড়াশোনা করার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে অতিরিক্ত ইন্টারনেট নির্ভরতার কারণে।



‘হু ইজ হোস্টিং দিস’ জানায়, এদের বেশির ভাগই একটু গভীরে প্রবেশ করা প্রয়োজন এমন কোনো বিষয় পৃষ্ঠা উল্টে বা স্ক্রল করে পড়তে অনিচ্ছুক। বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে এর মর্মার্থ বোঝার বদলে তারা দ্রুত একনজরে চোখ বুলিয়ে নিতে বেশি আগ্রহী। বিষয়টি উদ্বেগের! এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বিষয়ভিত্তিক মানসম্মত বিশেষজ্ঞের সংখ্যা কমে যাবে।



গবেষণা প্রতিবেদন মতে, শিশু-কিশোরদের ওয়েব-সংশ্লিষ্টতার সবচেয়ে নেতিবাচক দিক হলো দীর্ঘদিনের ওয়েবনির্ভরতার ফলে কোনো বিষয়ে একটানা মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কমে আসে। সাধারণত মানুষ গড়ে ১২ মিনিট একটানা কোনো বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। ১০ বছর ইন্টারনেটনির্ভর জীবন কাটানো কিশোরদের ক্ষেত্রে এর গড় ৫ মিনিট।



ছোটদের কম্পিউটার আসক্তি দূর করার স্বার্থে, কম্পিউটার থেকে উঠিয়ে খেলার মাঠে পাঠানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুরই দুই বছরের কম বয়সে কম্পিউটার কিংবা ট্যাবলেটের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মজার কোনো কার্টুন বা অ্যানিমেশন কিংবা ভিডিও দেখেই হাতেখড়ি। পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করে। কিশোর বয়সে সন্তানদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি কিশোর-কিশোরীরা সাধারণত ভালো চোখে দেখে না। জরিপে দেখা যায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৯৫ শতাংশই নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে। মা-বাবা কিংবা শিক্ষকের চেয়ে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কিংবা স্মার্টফোনে তাদের বেশি সময় কাটে।



তাছাড়া কোনো সমস্যা সম্পর্কে আগে থেকে ভাবার অভ্যাস কমে যায় তাদের। যখনকার সমস্যা তখন দেখা যাবে, এমন একটি মনোভাব তাদের ব্যক্তিত্বকে গ্রাস করে। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর মুহূর্তের মধ্যেই দিয়ে দেয় গুগল কিংবা কোনো এনসাইক্লোপিডিয়া। এটি এ সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ বলে গবেষকরা মনে করেন। ৯৪ শতাংশ মার্কিন শিক্ষক মনে করেন, তাদের ছাত্রছাত্রীদের কাছে গবেষণা আর গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন একই কথা। উইকিপিডিয়ার ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীরা এমন মনোভাব পোষণ করে বলে ৭৫ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন।



‘হু ইজ হোস্টিং দিস’-এর মতে, শৈশব থেকেই সন্তানদের ইন্টারনেট-সংশ্লিষ্টতা ও নির্ভরশীলতা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও উত্সাহ দিতে হবে। এতে শিশুরা অন্যান্য গবেষণাধর্মী কাজে উৎসাহী হয়ে নিজেদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাবে। পরিবারের প্রতিটি বাবা-মা’র ও অভিভাবকের উচিত, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া। #সূত্রঃ www.sciencetech24.com



>>> ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি তরুণদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.