![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে , আমি ও সেই দলের সমর্থক হয়ে যাই ।
লুঙ্গি বেশ আলোড়ন তুলেছে ফেইসবুকজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মানুষের বিবেক ও চিন্তার প্রতিফলন ঘটে। লেখাটি শুরু করার আগে ধন্যবাদ দিতে চাই ডেইলি স্টার এর সাংবাদিক ভাইকে, যিনি বারিধারায় লুঙ্গি নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে খাটো করে না দেখে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন। চোখ ছানাবড়া করে দেয়, এমনকি জাতীয়তাবাদে আঘাত করে এমন অনেক কিছুই আমার অপলকে মিলিয়ে যেতে দেই, কথা বলি না, ভাবি আমার কি ? আমার কিছু যায় আসে না, আবার পরক্ষণেই হয়তো বলছি আমি বাঙালি। বাঙালি পরিচয়ের সঙ্গে যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জুড়ে আছে, তার রক্ষণাবেক্ষণ ও বাঁচিয়ে রাখা আপনার, আমার ও যারা বাঙালি পরিচয়ে গর্ববোধ করি তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
লুঙ্গির ইতিহাস নিয়ে আসলে কি বলার আছে ? মুসলমান সমাজে লুঙ্গি আর হিন্দু সমাজে ধূতি এইতো আমাদের পূর্বপুরুষদের লজ্জা নিবারণের এক মাত্র হাতিয়ার। লুঙ্গির ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ, অবিভক্ত বাংলা, মায়ানমার, দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে লুঙ্গি, মায়ানমারের জাতীয় পোশাক লুঙ্গি।
উল্লেখ্য এই লুঙ্গিই এখন এ দেশে নিম্নবিত্তের লজ্জা নিবরণের একমাত্র হাতিয়ার, শেষ দশকে বাঙালি শিক্ষিত তরুণেরা বাড়ির বাইরে ধূতি, পাজামা পড়লেও বাড়িতে লুঙ্গিই পড়তো, আর এক শ্রেণি স্কুল কলেজের গন্ডির কাছে দিয়েই যায়নি তাদের একমাত্র ভরসা কিন্তু ওই লুঙ্গিই ছিল, কালের বিবর্তনে এখনো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত কাজের প্রয়োজনে যে পোশাকই পড়ুক, সারাদিনের ক্লান্তিময় দিনটা শেষ করে বাসায় এসে লুঙ্গিই খোঁজে।
উল্টো উচ্চবিত্ত বহু আগে সমাজ ও ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন ধারায় প্রভাবিত হয়ছে। বাঙালির জাতীয়তাবোধে উচ্চবিত্তের ইতিহাস বেশ লজ্জার, বলতে দ্বিধা নেই, একজন নিম্নবিত্তের লুঙ্গি টান দিয়ে খুলে ফেলে দিলে তিনি যে লজ্জা পাবেন উচ্চবিত্তের জাতীয়তাবাদের ইতিহাস তার তিন গুন লজ্জার সমান। কথা বলা যাক, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বাঙালি উচ্চবিত্তের অবদান নিয়ে। শহিদ রুমিকে বাদ দিলে আর ক’জন উচ্চবিত্তের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা বাঙালি জানে এটা আমার প্রশ্ন!
যদি একটু পিছন ফিরে তাকাই, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বা তার ১০০ বছর আগের ইতিহাস প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলন মধ্যবিত্তের হাত ধরে, পালাক্রমে চিত্তরঞ্জন দাস, সুভাষ চন্দ্র বসু সবাই মধ্যবিত্ত। পরের ইতিহাসে শেখ মুজিব, মাওলানা ভাসানী, কমরেড মুজাফফর আহমেদ সবাই একই শ্রেণিভুকত। এরাই মধ্যবিত্তের পূর্বপুরুষ।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শহীদ নূর হোসেন কিংবা শহীদ ড. মিলন কেউই উচ্চবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি নয়, আবার যদি শিল্প সাহিত্যে আসি, নজরুল, আলাউদ্দিন খাঁ, উদয়শঙ্কর, রবিশঙ্কর, সত্যজিৎ রায়, জয়নুল আবেদীন এই শ্রেণি থেকেই এসেছেন। জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সত্যেন বসু সবাই মধ্যবিত্ত শ্রেণির সন্তান। উচ্চবিত্ত কোথায় ?
উচ্চবিত্তই সমাজ ও সম্পর্কচ্যুত হয়েছে, সম্পর্কের অনেক নতুন নতুন ধারা নিয়ে এসেছে, বৃদ্ধাশ্রম, লিভ টুগেদার, সবই তাদের মনগড়া। জাতীয় স্বার্থে তারাই বার বার চেতনাহীন হয়েছে। কনকো ফিলিপ্স তাদের হাত ধরেই এ দেশে আসে, এমনকি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ও উচ্চবিত্তরাই নিয়ে এসেছিল। উচ্চবিত্তের কাছে পুঁজির চেয়ে দেশ কোন কালেই বড় ছিল না এমনকি আজ ও নয়।
উচ্চবিত্ত আন্দোলন ও শিল্প সাহিত্যকে ভয় পায়। সে জানে দেশ, রাষ্ট্র বা সরকার যে কোন বিপর্যয়ের মৌলিক অবস্থান একই থাকবে। তাই কোন কিছুতে তার টনক নড়বে না। দেশ তার কাছে সব সময়ই বসবাসের অযোগ্য। ‘উচ্চবিত্তরা সংখ্যায়ও অবশ্য কম। সে জানে যে, সে রয়েছে বেশ শক্ত অবস্থানে।
হালের শাহবাগ আন্দোলনের একটা ছোট উদাহরণ ‘শাহবাগ গেলে রিকশা ভাড়া লাগবে না’ শাহবাগ ফ্রি সার্ভিস, সেখানে উচ্চবিত্তও এসেছিল, পাওয়ারড বাই আর স্পনসরড বাই মোড়ক নিয়ে, কেউ কেউ ছবি তুলেই জাতীয়তাবোধ ঝালিয়ে নিয়েছে, আমার অনেক পরিচিতজন রাস্তা বন্ধের অজুহাতে শাহবাগে হয়নি, তাহলে কি ভেবেই নেব উচ্চবিত্ত চেতনায় ও জাতীয়তাবাদে অন্তরসারশূন্য!
নিম্নবিত্তের সবচাইতে বড় গুণ, একটু লোভ-ভোগ কিংবা বিনামূল্যে কোন রাষ্ট্রীয় সুবিধার খবর পেলে সে উৎফুল্ল হয় বৈকি আবার সমূহ বিপদের আশঙ্কায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিজের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নেয়। অপরাংশে, উচ্চবিত্ত আমলাতান্তিক সমাজ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ও আমাদের শাসক শ্রেণিকে পুঁজির লোভে বেঁধে দিনের পর দিন নীতি বিবর্জিত হয়ে, খুন, ব্যাংক লুট (ঋণ খেলাপি) সবই করছে।
নিম্নবিত্তের এখন শুধু টেলিভিশন নিউজে বাজার দরের রিভিউ দেয়। আর উচ্চবিত্ত সিন্ডিকেট করে বাজার দর নির্ধারণ করে, অথচ আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, শিল্প, সাহিত্য সব কিছুর আগ্রযাত্রায় এই শ্রেণি আমাদের পথ দেখিয়েছেন। দিয়েছেন একটি গণতান্ত্রীক স্বাধীন বাংলাদেশ। আর সেই স্বাধীন দেশে তার পোশাককে উপহাস, নিতান্তই লজ্জার!
বারিধারার উচ্চবিত্তরা, উচ্চবিত্তের লজ্জার ইতিহাসে আর একটি লজ্জা যোগ করল, ভুলেই গেছে তাদের শ্রেণি বিভেদ, ভুলেই গেছে তাদের গাড়িতে পত পত করে যে পতাকা উড়ে তা কার অবদান। নিম্নবিত্তের তাজা রক্তের বিনিময়েই এ দেশ। তিরস্কার তাদের হীনমন্যতাকে!
লুঙ্গি বেশ আলোড়ন তুলেছে ফেইসবুকজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মানুষের বিবেক ও চিন্তার প্রতিফলন ঘটে। লেখাটি শুরু করার আগে ধন্যবাদ দিতে চাই ডেইলি স্টার এর সাংবাদিক ভাইকে, যিনি বারিধারায় লুঙ্গি নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে খাটো করে না দেখে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন। চোখ ছানাবড়া করে দেয়, এমনকি জাতীয়তাবাদে আঘাত করে এমন অনেক কিছুই আমার অপলকে মিলিয়ে যেতে দেই, কথা বলি না, ভাবি আমার কি ? আমার কিছু যায় আসে না, আবার পরক্ষণেই হয়তো বলছি আমি বাঙালি। বাঙালি পরিচয়ের সঙ্গে যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জুড়ে আছে, তার রক্ষণাবেক্ষণ ও বাঁচিয়ে রাখা আপনার, আমার ও যারা বাঙালি পরিচয়ে গর্ববোধ করি তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
লুঙ্গির ইতিহাস নিয়ে আসলে কি বলার আছে ? মুসলমান সমাজে লুঙ্গি আর হিন্দু সমাজে ধূতি এইতো আমাদের পূর্বপুরুষদের লজ্জা নিবারণের এক মাত্র হাতিয়ার। লুঙ্গির ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ, অবিভক্ত বাংলা, মায়ানমার, দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে লুঙ্গি, মায়ানমারের জাতীয় পোশাক লুঙ্গি।
উল্লেখ্য এই লুঙ্গিই এখন এ দেশে নিম্নবিত্তের লজ্জা নিবরণের একমাত্র হাতিয়ার, শেষ দশকে বাঙালি শিক্ষিত তরুণেরা বাড়ির বাইরে ধূতি, পাজামা পড়লেও বাড়িতে লুঙ্গিই পড়তো, আর এক শ্রেণি স্কুল কলেজের গন্ডির কাছে দিয়েই যায়নি তাদের একমাত্র ভরসা কিন্তু ওই লুঙ্গিই ছিল, কালের বিবর্তনে এখনো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত কাজের প্রয়োজনে যে পোশাকই পড়ুক, সারাদিনের ক্লান্তিময় দিনটা শেষ করে বাসায় এসে লুঙ্গিই খোঁজে।
উল্টো উচ্চবিত্ত বহু আগে সমাজ ও ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন ধারায় প্রভাবিত হয়ছে। বাঙালির জাতীয়তাবোধে উচ্চবিত্তের ইতিহাস বেশ লজ্জার, বলতে দ্বিধা নেই, একজন নিম্নবিত্তের লুঙ্গি টান দিয়ে খুলে ফেলে দিলে তিনি যে লজ্জা পাবেন উচ্চবিত্তের জাতীয়তাবাদের ইতিহাস তার তিন গুন লজ্জার সমান। কথা বলা যাক, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বাঙালি উচ্চবিত্তের অবদান নিয়ে। শহিদ রুমিকে বাদ দিলে আর ক’জন উচ্চবিত্তের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা বাঙালি জানে এটা আমার প্রশ্ন!
যদি একটু পিছন ফিরে তাকাই, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বা তার ১০০ বছর আগের ইতিহাস প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলন মধ্যবিত্তের হাত ধরে, পালাক্রমে চিত্তরঞ্জন দাস, সুভাষ চন্দ্র বসু সবাই মধ্যবিত্ত। পরের ইতিহাসে শেখ মুজিব, মাওলানা ভাসানী, কমরেড মুজাফফর আহমেদ সবাই একই শ্রেণিভুকত। এরাই মধ্যবিত্তের পূর্বপুরুষ।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শহীদ নূর হোসেন কিংবা শহীদ ড. মিলন কেউই উচ্চবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি নয়, আবার যদি শিল্প সাহিত্যে আসি, নজরুল, আলাউদ্দিন খাঁ, উদয়শঙ্কর, রবিশঙ্কর, সত্যজিৎ রায়, জয়নুল আবেদীন এই শ্রেণি থেকেই এসেছেন। জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সত্যেন বসু সবাই মধ্যবিত্ত শ্রেণির সন্তান। উচ্চবিত্ত কোথায় ?
উচ্চবিত্তই সমাজ ও সম্পর্কচ্যুত হয়েছে, সম্পর্কের অনেক নতুন নতুন ধারা নিয়ে এসেছে, বৃদ্ধাশ্রম, লিভ টুগেদার, সবই তাদের মনগড়া। জাতীয় স্বার্থে তারাই বার বার চেতনাহীন হয়েছে। কনকো ফিলিপ্স তাদের হাত ধরেই এ দেশে আসে, এমনকি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ও উচ্চবিত্তরাই নিয়ে এসেছিল। উচ্চবিত্তের কাছে পুঁজির চেয়ে দেশ কোন কালেই বড় ছিল না এমনকি আজ ও নয়।
উচ্চবিত্ত আন্দোলন ও শিল্প সাহিত্যকে ভয় পায়। সে জানে দেশ, রাষ্ট্র বা সরকার যে কোন বিপর্যয়ের মৌলিক অবস্থান একই থাকবে। তাই কোন কিছুতে তার টনক নড়বে না। দেশ তার কাছে সব সময়ই বসবাসের অযোগ্য। ‘উচ্চবিত্তরা সংখ্যায়ও অবশ্য কম। সে জানে যে, সে রয়েছে বেশ শক্ত অবস্থানে।
হালের শাহবাগ আন্দোলনের একটা ছোট উদাহরণ ‘শাহবাগ গেলে রিকশা ভাড়া লাগবে না’ শাহবাগ ফ্রি সার্ভিস, সেখানে উচ্চবিত্তও এসেছিল, পাওয়ারড বাই আর স্পনসরড বাই মোড়ক নিয়ে, কেউ কেউ ছবি তুলেই জাতীয়তাবোধ ঝালিয়ে নিয়েছে, আমার অনেক পরিচিতজন রাস্তা বন্ধের অজুহাতে শাহবাগে হয়নি, তাহলে কি ভেবেই নেব উচ্চবিত্ত চেতনায় ও জাতীয়তাবাদে অন্তরসারশূন্য!
নিম্নবিত্তের সবচাইতে বড় গুণ, একটু লোভ-ভোগ কিংবা বিনামূল্যে কোন রাষ্ট্রীয় সুবিধার খবর পেলে সে উৎফুল্ল হয় বৈকি আবার সমূহ বিপদের আশঙ্কায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিজের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নেয়। অপরাংশে, উচ্চবিত্ত আমলাতান্তিক সমাজ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ও আমাদের শাসক শ্রেণিকে পুঁজির লোভে বেঁধে দিনের পর দিন নীতি বিবর্জিত হয়ে, খুন, ব্যাংক লুট (ঋণ খেলাপি) সবই করছে।
নিম্নবিত্তের এখন শুধু টেলিভিশন নিউজে বাজার দরের রিভিউ দেয়। আর উচ্চবিত্ত সিন্ডিকেট করে বাজার দর নির্ধারণ করে, অথচ আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, শিল্প, সাহিত্য সব কিছুর আগ্রযাত্রায় এই শ্রেণি আমাদের পথ দেখিয়েছেন। দিয়েছেন একটি গণতান্ত্রীক স্বাধীন বাংলাদেশ। আর সেই স্বাধীন দেশে তার পোশাককে উপহাস, নিতান্তই লজ্জার!
বারিধারার উচ্চবিত্তরা, উচ্চবিত্তের লজ্জার ইতিহাসে আর একটি লজ্জা যোগ করল, ভুলেই গেছে তাদের শ্রেণি বিভেদ, ভুলেই গেছে তাদের গাড়িতে পত পত করে যে পতাকা উড়ে তা কার অবদান। নিম্নবিত্তের তাজা রক্তের বিনিময়েই এ দেশ। তিরস্কার তাদের হীনমন্যতাকে!
©somewhere in net ltd.