নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গনতন্ত্র ও সুশাসনের পক্ষে ।

শাসক দল ।।

ক্ষমতাসীন দল

যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে , আমি ও সেই দলের সমর্থক হয়ে যাই ।

ক্ষমতাসীন দল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হালাল রুজি সন্ধান করা ফরজের পর একটি ফরজ

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৩

মানবজীবনে জীবিকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। জীবিকা ছাড়া মানুষ জীবন ধারণ করতে পারে না। জীবিকার ব্যবস্থা না থাকলে নিজ জীবনে ও পরিবারে সৃষ্টি হয় অশান্তি। তাই নিজ নিজ যোগ্যতায় জীবিকার জন্য পরিশ্রম ও চেষ্টা তদবির করা প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিনের একটি মৌলিক কাজ।

আমাদের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালা সব সৃষ্টিজীবের রিজিকদাতা, পালনকর্তা। মানুষের রিজিক তাঁর হাতেই রয়েছে। তবে এই রিজিক অনুসন্ধানের জন্য তিনি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ রিজিক সন্ধান করবে।’ (সুরা জুম’আ-১০)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘তোমরা জীবনোপকরণ কামনা করো আল্লাহর নিকট এবং তাঁরই ইবাদত করো আর তাঁরই প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। (সুরা আনকাবুত-১৭)

মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ফারুক (রাঃ) বলেন, তোমরা কেউ জীবিকা অন্বেষণ ছেড়ে দিয়ে অলসভাবে বসে থেকো না, কেননা জীবিকা সন্ধান করার দায়িত্ব তোমার। নিশ্চয় যারা অলসভাবে বসে থাকে আর বলে জীবিকা তো মহান আল্লাহ তায়ালার হাতে। তারা বুঝে না প্রভুর হিকমত। তারা হলো অজ্ঞ, আল্লাহ মহান, সর্বজ্ঞ।

সর্বোপরি কথা হলো জীবিকা সব মানুষ ও প্রাণীকেই তার নিজ নিজ অবস্থা, অবস্থান ও যোগ্যতা অনুযায়ী সন্ধান করতেই হবে, এটাই হলো বিশ্ব নিয়ন্তা রাহমানুর রাহিমের নির্দেশ। জীবন চলার পথে মানুষের অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। লোভ জাগে অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশে জীবনটা কাটিয়ে দিতে। আমরা অবশ্যই পারি দুনিয়ার জীবনে আরাম-আয়েশ ও সুখে-শান্তিতে কাটাতে। ইসলাম তাতে কোনো বাধা আরোপ করেনি। তবে শর্ত হলো ভোগবিলাসিতার জন্য যে সম্পদের প্রয়োজন হয় তা উপার্জন করতে হবে হালাল উপায়ে। কোনোভাবেই অসৎ বা হারাম মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যাবে না।

ইসলামে উপার্জনের গুরুত্ব অনেক। তবে তা হালাল উপায়ে হওয়া আবশ্যক। এ সম্পর্কে আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘হে মানব জাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্য বস্তু তা হতে তোমরা আহার করো এবং শয়তানের পথ অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্র।’ (সুরা বাকারা-১৬৮)

রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘হালাল রুজি সন্ধান করা ফরজের পর একটি ফরজ।’ (তিরমিজি)

তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু কবুল করেন না।’ (বুখারি)

হারাম মাল দ্বারা আহার করার ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি অন্য একটি হাদিসে বলেন, যে দেহ হারাম মাল দ্বারা লালিতপালিত তা কখনো জান্নাতে যাবে না। জাহান্নামই হবে তার একমাত্র ঠিকানা। (বুখারি)

ওপরে বর্ণিত বক্তব্য ও কুরআন হাদিসের দলিল থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হলো, ইসলামে উপার্জনের গুরুত্ব কতটুকু এবং হালাল উপার্জনের প্রয়োজনীয়তা কী। একটি সহজ কথা হলো, আমরা মায়ের পেট থেকে সবাই এসেছি উলঙ্গ অবস্থায়। কেউ দামি দামি জামা, জুতা বা সামান্য এতটুকু সম্পদও নিয়ে আসিনি। আবার ফেরার পথে তথা মৃত্যুর পরও কেউ কোনো সম্পদ সাথে নিয়ে যেতে পারব না। তাহলে এই মিছে জীবনের রঙ্গলীলায় ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে হারাম উপার্জনের দরকার কী?

অন্যদিকে যেহেতু আমার জীবনধারণের জন্য অর্থের প্রয়োজন, খাদ্যের প্রয়োজন এবং প্রয়োজনীয় জীবিকা অন্বেষণের জন্য আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ আছে, তাহলে হাত গুটিয়ে বসে থেকে অলস জীবন কাটানোর কোনো মানে হয় কি? আমি বলব নিশ্চয়ই নয়। তাই আমাদের উচিত নিজ নিজ অবস্থান ও প্রয়োজন অনুযায়ী হালাল জীবিকা উপার্জনে নিজেকে কাজে লাগানো। তাহলেই শান্তি আসবে ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক জীবনে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.