![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে , আমি ও সেই দলের সমর্থক হয়ে যাই ।
সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে খুব শিগগির কি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে? বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান। সেখানে উপস্থিত একাধিক সূত্র সংলাপের আহ্বানের বিষয়টি আলোকিত বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে বিএনপি। যদিও বিদেশি কূটনীতিক ও দেশের ব্যবসায়ী সমাজ মহাসচিব পর্যায়ের এ আলোচনার কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাকুঞ্জে উপস্থিত সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরই অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেন। আমি সৈয়দ আশরাফকেও বলেছি আলোচনা করার জন্য। এ সময় তিনি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার শারীরিক খোঁজখবর নেন বলেও সূত্রটি জানায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলার সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, প্রধামন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান। এ আহ্বানের কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত একজন ব্যবসায়ী নেতা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, উদ্যোগটা নিতে দেরি হয়ে গেল। সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শীর্ষ পর্যায়ে না হলেও দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিল। চিফ হুইপ আবদুস শহীদ বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কিছুক্ষণ কথা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ফখরুলকে বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসেন, আলোচনা শুরু করেন। আপনারা মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেন। এর জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম তেমন কিছু বলেননি। তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের কথা এড়িয়ে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কুশল বিনিময় হয়েছে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময়ের সময় মির্জা ফখরুলকে বলেন, আপনারা আলোচনায় বসছেন না কেন? জবাবে ফখরুল বলেন, আপনার সাধারণ সম্পাদককে তো পাওয়া যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা তখন বলেন, আমি তাকে বলে দেব। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার নেত্রীকেও তো পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্র মতে, এ আলোচনা খুব গুরুত্বের ছিল না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) যখন বলেছেন, আলোচনা তো হতেই পারে। আমরা আলোচনার জন্য সব সময় প্রস্তুত। এর জন্য কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। আলোচনায় বসার দায়িত্ব দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দেয়া আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নেত্রী আশরাফ ভাইকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন। উনিই ঠিক করবেন আলোচনায় কাদের রাখা হবে।
ডাক পেলে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বিএনপি : সংলাপ ইস্যুতে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ডাক না পেলে আগ বাড়িয়ে কথা বলবে না বিএনপি। দলটি মনে করে সংলাপের বিষয়ে সত্যিকার অর্থে আন্তরিক নয় সরকার। সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে এখন দায়সারা গোছের কথা বলছে। বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই তাদের এ কৌশল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কুশল বিনিময় হয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া তাদের মধ্যে সংলাপ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে শুনিনি। লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.