|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেবু বেশি চিপলে তা তিতা হয়ে যায় - একথা জানার পরেও ''হিন্দি ভাষার অনুপ্রবেশ'' নামক লেবুটা আরেকবার আরেক
টু চিপতে চাই ।
নবম শ্রেণির কথা । বাংলা ব্যাকরণ ক্লাস চলছিল । স্যার বললেন , '' কোন একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে দুইটা কাজ করতে হবে । প্রথমত , জাতির বুদ্ধিজীবীদের মেরে ফেলতে হবে । দ্বিতীয়ত , বই ধ্বংস করতে হবে । ''
আমি স্যারের কথার যথার্থতা বুঝতে পারলাম । বই ধ্বংস করলে - যাদের জানার ইচ্ছা আছে , তারা জানতে পারবেনা । আর বুদ্ধিজীবী ধ্বংস করলে , যাদের জানানোর ইচ্ছা বা ক্ষমতা আছে , তারা জানাতে পারবেনা । তখন সামনে পরে থাকবে একটা মূর্খ জাতি । আর একটা মূর্খ জাতির ধ্বংস হওয়াটা শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার ।
ঠিক সেই কারনেই ১৯৭১ এ যখন পাকিরা বুঝতে পারল - তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী , তখন তারা বুদ্ধিজীবী নিধন শুরু করল। ১৪ ডিসেম্বর এই দেশ একসাথে হারাল অনেক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিকে । কিন্তু তারা তো বই ধ্বংস করতে পারেনি - লাইব্রেরির বই , মানুষের স্মৃতিতে লুকানো বই । আর তাই আমরাও মূর্খ জাতিতে পরিণত হইনি ।
তবে পাকিস্তান পুরোপুরি না হলেও কিছুটা সফল । আমাদেরকে মূর্খ বানাতে না পারলেও দিকভ্রান্ত করে গ্যাছে ।
নইলে যে পাকিরা এত অত্যাচার , এত মানুষ হত্যা করেও আমাদেরকে উর্দু বলাতে পারলনা , , , সেখানে , ইন্ডিয়ানরা কত সহজে আমাদেরকে দিয়ে হিন্দি বলায় - হিন্দি করায় , হিন্দি খাওয়ায় , হিন্দি শোনায় , হিন্দি পরায় । মাত্র কটা হিন্দি চ্যানেল দিয়েই বাজিমাত করল তারা । এখানেই আবার পাকিস্তান চলে আসে .........
ওই যে ৭১ এ তারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করল , , আর তারপর যত্র-তত্র বুদ্ধিজীবী গজাতে শুরু করল । এই নব্য বুদ্ধিজীবীরাও এসবের জন্য কম দায়ি নয় !
তাই একদিন আমার এক বন্ধু nisha বলেছিল '' ৭১ এ বুদ্ধিজীবী মারা যাওয়াতে সমস্যা হয়েছে , আর এখন বুদ্ধিজীবী বেঁচে থাকাতে সমস্যা হচ্ছে ।
তাই কিছু করার আগে নিজের বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করুন , যা করছেন তা ঠিক তো ?
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.
