নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্পনার রাজত্ব(Realm of imagination)

A journey of a thousand miles begins with a single step.

ধলা বিলাই

নিজের ভেতর নিজেকে হারাই, নিজের ভেতর নিজেকে খুজি, নিজের ভেতর নিজেকে আবিস্কার করি, প্রতিদিন নতুন করে।।।

ধলা বিলাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঁচের বাঁশি

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

ঃএই ছেলে আপনি এখানে এভাবে বসে আছেন কেন?

ঃএই খানে বসা কি অপরাধ? (মৃদু হেসে ছেলেটি বলল)

ছেলেটির কথা শুনে নিশির মেজাজ আরো গরম হয়ে গেল।আজ এমনি নিশির মনটা খারাপ। মুহিনের সাথে ঝগড়া হয়েছিল কালরাতে। আর একটা অপরিচিত ছেলে বারান্দার সামনে বসে আছে।

ঃমেয়ে শুধু শুধু মন খারাপ করে লাভ নেই।

ঃআপনাকে কে বলল আমার মন খারাপ?

ঃএইটা জানার জন্য দার্শনিক হতে হয় না।

ঃআপনি এই মুহূর্তে এই খান থেকে যান। আমার আপনাকে বিরক্ত লাগছে।

ঃশুধু শুধু এক জনের জন্য সবাইকে কষ্ট দেয়া কি ভাল নিশি।

ঃআপনি আমার নাম জানলেন কি করে? আপনি কে? আমি কি আপনাকে চিনি?

ঃসবাইকে চেনা কি জরুরী? (মৃদু হেসে )

নিশির অদ্ভুত লাগছে। ছেলেটির চোখ ভীষণ রকমের ঠাণ্ডা। একদম মৃত মানুষের মত। তার চোখের পাতাও পরছেনা। নিশির একটু ভয় লেগে উঠল।

ঃ নিশি ভয় লাগছে? ভয় পেও না।

নিশি ভাবল ছেলেটি কিভাবে জানলো যে তার ভয় লাগছে? নিশ্চয় সে মাইন্ড রিড করতে পারে।

নিশি ছেলেটির দিকে ভালভাবে তাকাল। গায়ে একটা জীর্ণ শার্ট,পড়নে রং উঠা প্যান্ট, পায়ে প্লাস্টিকের জুতা। হাতে একটা কাঁচের বাঁশির মতো কিছু একটা।

ঃ আপনি কি আমাদের কোনো আত্মীয়?

ঃ সব জানা কি জরুরী?

ঃ নিশি সকাল বেলা বাবার সাথে জগড়া করা কি বেশি দরকার ছিল?

নিশি সকাল বেলা বাবার সাথে একটু কথা কাটা কাটি করেছে। এতে বাবা রাগ করে অফিসে চলে গেছে। কিন্তু বাবার সাথে আমনটা না করলে ও হত। মুহিনের সাথে জগড়া করার পর থেকেই মনটা খারাপ ছিল। আর বাবাও নাস্তা করার জন্য এত করে বলে ছিল যে মাজাজ খারাপ হয়ে গিয়ে ছিল। কিন্তু একথা তো ছেলেটির জানার কথা নয়।

ঃ আপনি কে বলুন তো ? আপনি এটা কি করে জানলেন?

মৃদু হেসে ছেলেটি বলল ঃ নিশি, মুহিন তোমাকে খুব ভালোবাসে। সে তোমাকে ছাড়া ভাল নেই। সে তোমার সব মেনে নেয় শুধু তোমার একটি কাজ সে মেনে নিতে পারে না। আর এই কাজটি না করলে কি হয় না?

ঃ আপনাকে কি মহিন পাঠিয়েছে?

ঃ তা তো জানি না। শুধু জানি মুহিন গলির সামনে একা একা বসে আছে।

এই বলেই ছেলেটি উঠে গেলো।

ঃ এই যে দাঁড়ান।

নিশি রাস্তায় এসে দাঁড়ালো। কিন্তু কোথাও কেও নেই। লোকটি কোথায় গেলো? সোজা রাস্তা পাশে কোন গলি ও নেই যে সে গলিতে ঢুকে পারবে। এত দ্রুত সে এতটা পথ কি করে চলে গেলো।

নিশি গলির সামনের দিকে গেল। ওখানে মুহিন সত্যি একা একা বসে আছে। নিশি মুহিন কে বলল

ঃ তুমি একা এখানে বসে কি করছো ?

ঃ দূর থেকে তোমাকে দেখছিলাম। তুমি একা একা কার সাথে কথা বলছিলে?

ঃ তুমি আমার সাথে কাওকে দাখো নি?

ঃ না তুমি তো একা ই ছিলে । নিশি আমি সারা রাত ঘুমাইনি। আই এম সরি। আমি আর তোমার সাথে এমন করবনা।

ঃ না মুহিন আই এম সরি। তুমি যা পছন্দ কর না তা আমি আর করব না।

ঃ আই লাভ ইও নিশি।

মুহিন নিশির হাতে হাত রাখল। নিশি নিজেকে নিরাপদ অনুভব করছে।

নিশি দেখল সেই ছেলেটি কাঁচের বাঁশিটি হাতে নিয়ে হাতে চলে যাচ্ছে। ছেলে টি নিশির দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে হঠাৎ হারিয়ে গেল।

নিশি ভাবছে, ছেলে টি কে?....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:০৮

রাসেলহাসান বলেছেন: মোটামুটি হয়েছে। "গল্প" লেখার আরো প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে।
শুভ কামনা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

ধলা বিলাই বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.