![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজো তারে দেখা হলো না শুকিয়ে কাঠ হয় চোখ-নদী মেঘ-জলে বৈশাখি ঝড় তবু অষ্টপ্রহর অধীর অপেক্ষা সে আসে যদি...
ছেলেটাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে হায়দার সাহেবের। এমন মনে হওয়ার মানেটা তার জানা নেই। আটপৌরে সংসারে বড় হওয়া একটা বাচ্চা ছেলে। গায়ে গতরে চাকচিক্য নেই। তবে অলসতা আছে। গরিব ছেলে-পেলেদের নাকি অলসতা কম থাকে। এরা সারাদিন দৌড়-ঝাপ করে কাজ করে। এই ছেলেটা ব্যতিক্রম। হায়দার সাহেব কিছু বলতে চাইলেন। কিন্তু বলতে পারলেন না। মুখ দিয়ে কিছু বের হল না। অতি মাত্রায় সরল মানুষরা নাকি এমন হয়। জোর গলায় কিছু বলতে পারেন না।
নরসুন্দা এলাকাটা এমনিতেই ভৌতিক। গ্রামের মধ্যমণি এক গোরস্তান। আশপাশের দশগ্রামের মৃতের বসবাস ওইখানে। রাতে চলাফেরা মুশকিল। তবে এ গ্রামের মানুষের কাছে বড় সমস্যা সর্বহারা পার্টি। এরা কখন এসে কার জিনিস নিয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। যা চায় দিতে হয়। না দিলে লম্বা দায়ের পোঁচ। তার ওপর গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। সন্ধ্যা নামতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। তবে ক’দিন আগে এখানে একটা মাদরাসা হয়েছে। দূরের ছাত্ররা লজিং থেকে পড়ে। হায়দার সাহেবের সুবিধাই হয়েছে। তার কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। তিনিও একটা ছেলেকে এনেছেন। নিজের ছেলের মতোই তাকে দেখেন। আদর করে খাওয়ান। ওর নাম মতিন। মতিন রায়হান। বয়স দশ। বয়সের সাথে ওর পড়ার একটা মিল আছে। দশপাড়া হিফজ করেছে সে। মতিনের মুখস্ত শক্তি অসম্ভব। মাত্র দুইমাসে দশপাড়া হিফজ করেছে। শিকরা বলছেন পড়ায় নিয়মিত হলে ও বছরখানেকের মধ্যেই হিফজ শেষ করবে। কাসে এই নিয়ে তর্ক হয়। এতো দ্রুত মুখস্ত করিস কিভাবে! ফাঁকি-টাকি দিস নাতো? বন্ধুরা থ্যাট দেয়। এসবে গা করে না মতিন। রক্তে-মাংসের মানুষ। ডাল-চাল খেয়ে থাকিস। তোদের মাথায় আর কি থাকবে!
২
হায়দার সাহেবের শুতে একটু দেরিই হল। এরই মধ্যে তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি একটা বই পড়ছিলেন। ভালো লাগছিল বলে রাখতে পারছিলেন না। বারটার দিকে হারিকেনের সলতে কমিয়ে যেই শুবেন তখনই ঘটল ঘটনাটা। বাইরের বারান্দায় খট করে একটা শব্দ হল। শব্দটা কিসের তিনি আবিস্কার করতে পারলেন না। বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার আগে মতিনের রুমের দিকে একবার চুপি দিয়ে দেখলেন। বেঘোরে ঘুমোচ্ছে ছেলেটা। দ্বিতীয় বারের মতো শুতে যাওয়ার সময় অস্পষ্ট কিছু কথা কানে এল হায়দার সাহেবের। তিনি জানালা টেনে দেখার চেষ্টা করলেন। বাইরে চাঁদ নেই। কৃঞ্চপ চলছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে প্রথমে কিছু আবিস্কার করতে পারলেন না। একটু পর অন্ধকার সয়ে এলে স্পষ্টই দেখলেন দুটো ছেলে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। অস্ফুট আওয়াজটাও কানে এল। গা ঝিম মেরে ওঠল হায়দার সাহেবের। বের হবেন না করেও হারিকেনের সলতে বাড়িয়ে দরজা খুললেন। গলা খাঁকাড়ি দিয়ে বললেন কে ওখানে? ঘুটঘুটে অন্ধকার হলেও হায়দার সাহেব টের পেলেন ছেলেদুটো অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। তার কথার কোনো জবাব এল না। তবে একটা খটকা লেগে গেল তার মনে। একটা ছেলেকে দেখতে অবিকল মতিনের মত মনে হল। তিনি দ্রুত ঘরে এসে মতিনের রুমে উঁকি দিলেন। না এইতো মতিন ঠিকই আছে। ঘুমুচ্ছে। তাহলে বাইরে যে মতিনের মতো একজনকে দেখলেন হায়দার সাহেব সেটা কে? কোনো মানুষ হলে কথা বলল না কেন? তাকে দেখে সরে পরার কি কারণ?
পরদিন রাতেও ঘুমাতে দেরি হল। ঘুমাই ঘুমাই করেই যেন একটু দেরি করলেন তিনি। অনেকটা দেখার ইচ্ছে করছিল আজো গতকালের ঘটনাটি পুনরাবৃত্তি হয় কিনা। হল না। তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুম ভাঙল গভীর রাতে। বাইরে শোরগোল। এবার বারান্দায় নয় ওঠোনে। হায়দার সাহেব স্ত্রীকে জাগালেন। মতিনকে জাগাতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত তা করলেন না। শেষে না ভয় পেয়ে এ বাড়ি ছেড়ে যায়। ওঠোনের শোরগোল এবার চড়া হল। ফিসফিস। কথায় বুঝা গেল একদুজন নয় অনেকজন। দরজা খোলার আগে জানালায় উঁকি দিয়ে যা দেখলেন তার জন্য তিনি পুরোপুরিই অপ্রস্তুত। দলটা অনেক বড়। অনেকের হাতে রাম দা। হায়দার সাহেব দেখলেন গোয়াল ঘর থেকে তার গাভিটা নিয়ে যাচ্ছে ওরা। এরা সর্বহারা পার্টি। এদেরকে কিছু বলার নেই। তবে তার প্রিয় গাভিটার কথা স্মরণ হতেই তিনি প্রায় কেঁদে ফেললেন। হায়দার সাহেব চাকরিজীবি হলেও সংসারি। দশ বছর যাবত এই গাভিটা তিনি যতেœ লালন করছেন। দুঃখে মাথা চাঁপরাচ্ছেন তিনি। আগেই বলা আছে এদের কাজে কেউ বাধা দিলে নির্ঘাত জান হারাবে। গাভিটা বের করা হয়েছে। কয়েকটা ডাকও দিল হাম্বা বলে। হয়তো রাতের বেলায় বের হতে চাচ্ছে না। হায়দার সাহেবের চোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে। পাশে দাঁড়ানো স্ত্রীরও। দেখতে দেখতে হঠাতই যেন দৃশ্যপট পাল্টে গেল। হায়দার সাহেব ঘর থেকে অস্পষ্ট দেখলেন কারো সাথে যেন ডাকাতদলের মারামারি বেঁধে গেল। ডাকাতদল যে তাদের সাথে কুলিয়ে ওঠতে পারছে না এটাও স্পষ্ট বোঝা গেল। হায়দার সাহেব কিছু বুঝে ওঠতে পারলেন না। কি হচ্ছে এসব? কেনই বা হচ্ছে এসব। তার বাড়িতে এমন কেউ নেই, ডাকাতকে প্রতিহত করবে। তাদের সাথে কুলিয়ে ওঠতে পারবে। আর কিছু ভাবতে পারছেন না হায়দার সাহেব। জানালা বন্ধ করে শুয়ে পড়লেন। তবে সে রাতে আর ঘুম হল না।
সকাল হয়েছে। আজান শোনা যাচ্ছে। হায়দার সাহেব বাইরে বের হলেন। প্রথমেই গোয়াল ঘরে গেলেন। গাভিটা অতই আছে। অন্য সবকিছুও ঠিকমত। যেন কিছুই হয়নি। অথচ রাতে কি বিশাল কাণ্ডটাই না দেখেছেন তিনি। সকাল আটটার দিকে এলাকায় গিয়ে টের পেলেন কালকের ঘটনাটা রাষ্ট্র হয়ে গেছে। সবাই এই কথাটাই আলাপ করছেন। হায়দার সাহেব আরো শুনলেন। কয়েকজন ডাকাত নাকি শেষ রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩
হায়দার সাহেবের স্ত্রীর হার্টের সমস্যা আছে। অসুখটা ইদানীং বেশ বেড়ে গেছে। ওষুদপথ্য খাওয়ানো হচ্ছে। অসুখটা তেমন সমস্যা নয়। সমস্যা টুকটাক কাজ। বাড়িতে ছোট কেউ থাকলে সুবিধা হয়। মতিনের মাদরাসা একসপ্তাহ বন্ধ গেল। দুইদিন হয়েছে মাদরাসা খোলেছে। কিন্তু মতিন এখনো আসছে না। হায়াদার সাহেব তার খোঁজ নিতে এই প্রথম মতিনের মাদরাসায় এলেন। ছেলেটার কিছু হল কিনা। প্রিন্সিপাল সাহেবের সঙ্গে কথা বলে জানলেন এখনো বাড়ি থেকে আসেনি মতিন। হায়দার সাহেবের মন খারাপ হয়ে গেল। নিশ্চয় কিছু হয়েছে। না হলে তো কাস মিস দেয়ার কথা না ওর। বাড়ির ঠিকানাও ভালোভাবে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা যেত। হিফজখানার কয়েকজন ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন। কেউ ভালোভাবে বাড়ির কথা বলতে পারল না। হায়দার সাহেব আশ্চর্য বোধ করলেন। একসাথের ছেলেরাও তার বাড়ির কথা বলতে পারছে না।
মতিন এল আরো দুদিন পর। বাড়িতে নাকি কি একটা ঝামেলা হয়েছিল। এটা নিয়ে অবশ্য এরচেয়ে বেশি কিছু জিজ্ঞেস করেননি হায়দার সাহেব। মতিন তার ভাড়াখাটিয়ে নয় যে বলবেন সময়মতো কেন এলে না। বরং ওযে এখানে থাকছে এটাইতো ওদের জন্য বড় পাওয়া।
মতিন আসার দিন রাতেই হায়দার সাহেবের স্ত্রীর অসুখটা বেড়ে গেল। ঘরে ওষুদ যা ছিল তাতে কাজ হল না। ডাক্তার ডাকা প্রয়োজন। নরসুন্দা গ্রামে একটাই ডাক্তার। আহমদ আলী এমবিবিএস। এর আগেও একবার তার স্ত্রীকে দেখে গেছেন। মতিনকে পাঠালেন তাকে ডাকতে। রাতের বেলা তাকে একা পাঠাবেন কিনা ভাবছিলেন। অবশ্য স্ত্রীর মাথায় পানি ঢালতে হচ্ছিল বলে তিনি নিজে যেতে পারলেন না। অল্প কিছুণ পরই ডাক্তার এল। হায়দার সাহেব অবাক হলেন। তার বাড়ি থেকে ডাক্তারের বাড়ি বেশ দূরেই। এত তারাতাড়ি আসার কথা না। তবে পরিস্থিতি ভালো না বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন তিনি। ডাক্তার চেকআপ করতে শুরু করলেন। এর মধ্যে ডাক্তারের হাতের সঙ্গে হায়দার সাহেবের হাতটা একবার লেগে গেল। হায়াদার সাহেব অবাক হলেন। অসম্ভব ঠান্ডা হাত। একখণ্ড বরফ যেন। বাইরে তাহলে ঠান্ডা পড়েছে। ভাবলেন হায়াদার সাহেব। হতে পারে। শীতের মৌসুম তো আসি আসি করছে। সবকিছু দেখে ডাক্তার ওষুদ দিলেন। ওষুদগুলো খাওয়ার পর কিছুটা সুস্থবোধ করলেন হায়দার সাহেবের স্ত্রী।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে মাদরাসায় চলে গেছে মতিন। হায়দার সাহেব ফজর আদায় করছেন। এ অবস্থায় স্ত্রীর চিতকার শুনলেন। আসুখটা কি আবারো বেড়ে গেল। দ্রুত নামাজ শেষ করে স্ত্রীর কাছে এলেন। পেটের ব্যথায় কোঁকাচ্ছে স্ত্রী। তিনি পাশেই কতণ বসে থাকলেন। ভাবলেন আস্তে আস্তে কমে যাবে। কিন্তু না ব্যথা কমল না। ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল। ডাক্তার ডাকা দরকার। বাড়িতেও একজন থাকা দরকার। ভাবতে ভাবতে নিজেই বেড়িয়ে পড়লেন ডাক্তারের উদ্দেশ্যে।
বাড়ি এসে দেখলেন ডাক্তার আহমদ আলী নেই। তার স্ত্রী এসে জানাল তিনি একটা ট্রেনিংয়ে যশোর গেছেন। হায়াদার সাহেবের মাথায় ধরল না। এত সকালে গেল কিভাবে। তিনি আবারো জানতে চাইলেন কখন গেছে, আসবে কখন? ডাক্তারের স্ত্রী জানাল গত পরশু গেছেন, আসবেন আরো তিন দিন পর। একসপ্তার ট্রেনিং। হায়দার সাহেবের মাথায় যেন এবার সত্যি সত্যি বাজ পড়ল। তিনি বিস্ময় নিয়ে বললেন পরশু গেলেন কিভাবে, কাল রাতেই তো আমার স্ত্রীকে দেখে এল। কথাটা শুনে ডাক্তারের স্ত্রী মুচকি হেসে বলল, সেটা আপনি মনে হয় স্বপ্ন দেখেছেন। উনি তো তিনদিন ধরেই বাড়িতে নেই। হায়দার সাহেব কি বলবেন ভেবে পেলেন না। ডাক্তার সাহেব আর তার স্ত্রীকে তিনি ভালো করেই চেনেন। মিথ্যা বলার মানুষ এরা না। তবে হায়দার সাহেব আর বাড়তি কিছু বললেন না। পাছে তাকে পাগল ভাবে।
ডাক্তারের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ি গেলেন না হায়দার সাহেব। তার মাথা এখন ঠিক নেই। বেশ কিছু বিষয় ঘোরপাক খাচ্ছে। গত রাতে তাহলে তিনি ডাক্তারবেশী কাকে দেখেছেন। এত তারাতারি সে কিভাবে বাড়ি এসেছিল। তার হাতই বা এত ঠান্ডা ছিল কেন। এসব প্রশ্নের উত্তর তাকে খুঁজতে হবে। রাতে মাঝে মাঝেই বাইরে কথা বলতে দেখতেন। যাকে অনেকটা মতিনের মত মনে হত, সে কে? ডাকাতদলকে কারা কোপোকাত করল? এসব প্রশ্নের উত্তর কি?
হায়দার সাহেব সরাসরি মাদরাসায় এলেন। প্রিন্সিপাল সাহেব রুমেই ছিলেন। সবকিছু খুলে বললেন তাকে। ঘটনা শুনে প্রিন্সিপাল মাথা ঝাকালেন। হায়দার সাহেব তার দিকে চেয়ে আছেন। প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই তার। কতণ চুপ থেকে প্রিন্সিপাল বললেন আমাদের এখানে অনেক জীনও পড়ালেখা করে। মানুষের মতোই এদের চলাফেরা। তাদেরকে আলাদা করার কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। আর কেউ তাদের সম্পর্কে জেনে গেলে এরা আর সেখানে থাকে না। মতিনও নিশ্চয়ই চলে গেছে। প্রিন্সিপাল সাহেবের রুম থেকে দ্রুত বেরিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলেন মতিনকে নাকি সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না।
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:২৯
রোকন রাইয়ান বলেছেন: গল্প হিসেবে কেন!!
আপনি কি অন্য হিসাব ধরে পড়তে শুরু করেছিলেন নাকি??
ধন্যবাদ
উৎসাহটা কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে....
অবশ্য আপনারা যদি এসব পড়েন...
২| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
বঙ্গবাসী হাসান বলেছেন: Darun laglo . Parle niomito ei rokom post deoyar tri koiren.
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৮
রোকন রাইয়ান বলেছেন: কিন্তু নিয়মিত আমার পোস্ট পড়ার জন্য এমন জানদরদি আর ক'জন এখানে পাব বলেন।
নিয়মিত কিভাবে হব, টুকটাক লেখার চেষ্ট করি মাঝে সাঝে।
তবে আপনাকে ধন্যবাদ পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য।
৩| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
বিবর্ন বেদনা বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো ভাই।এরকম লেখা আর চাই
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৪০
রোকন রাইয়ান বলেছেন: অপেক্ষা করেন, মাথায় যদি এমন কিছু আবারো আসে তাইলে শেয়ার করার ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তা দিলাম বেদানা ভাই।
৪| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ভালো লাগলো। +++
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৪১
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ
-------
ছরি
++++
৫| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
১১স্টার বলেছেন: লেখার ভিতর অনেকটা হুমায়ুন আহমেদের ধাচ আছে। তবে উক্তিগুলো কে আলাদা করে ডায়লগ আকারে দিলে পড়ার একঘেয়েমি টা কেটে যাবে। প্যারাগুলোর দুরুত্ব আর একটু বাড়ান। বর্ণনাগুলো চমৎকার হয়েছে।
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৭
রোকন রাইয়ান বলেছেন: হুমায়ুনের ধাচ থাকার জন্য দুখিত। হুমায়ুন কে বেশি পড়া হয়, ভূতটা হয়তো সেখান থেকেই চেপেছে।
আপনার মূ্ল্যবান সমালোচনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
সপ্তডিঙা বলেছেন:
ভালো লাগলো । প্লাসাইলাম !!
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৩
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ
আর কি দিব বলুন!!
পৃথিবীর এই একটা শব্দ অবশ্য অনেক তাতপর্যময়।
৭| ০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৭
অশুভ বলেছেন: চমতকার লেখা। অনেক ভালো লাগলো।
চালিয়ে যান।
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৭
রোকন রাইয়ান বলেছেন: হুমম
চালাতে হবে আর কতদিন।
ভালো টির ভালো কোনো দিক নেই।
তার পরও কেন ভালো বলছেন আপনারা বুঝতাম পারছিনা।
ধন্যবাদ।
৮| ০৯ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯
শায়মা বলেছেন: বাপরে!
ভয়ংকর!
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৮
রোকন রাইয়ান বলেছেন: সবেতো শুরু ভয়ঙ্করের আর দেখলেন কি।
এত তারাতারি ডরানোর কিছু নেই।
সামনে ডরানোর মতো অনেক বিষয় পড়ে আছে।
আপনার জন্য ভয়ংকর একটি ঠ্যাংকু
৯| ০৯ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভাল লাগল। জ্বীনের গল্পগুলো অবশ্য এরকমই!
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০১
রোকন রাইয়ান বলেছেন: মন্তব্যে জীনের কথা কইয়া দিলেন, এখন তো একটা ভেজাল হইব।
যাউকগা ফিরানোর কাই দা নাই। মুছে দিলে বেয়াদবি হবে।
তয় পাকাপোক্ত একখানা তালের জোস রইল আপনার জন্যে।
সুযোগ কইরা খাইতে আইসেন।
১০| ০৯ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
ভাল গল্প।
শেষের দিকটা আর একটু আবছা রেখে পাঠকদের উপর কিছুটা ভার ছেড়ে দিলেই ভাল হত। এইটা সম্পূর্ণ আমার মতামত।
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০৪
রোকন রাইয়ান বলেছেন: মতামতটা চমতকার।
রবি ঠাকুর ছোটগল্পের সংগা দিছেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ।
অবশ্য আমাদের এখনকার পাঠক এতটা ভার নিতে চান কিনা সেটা নিয়া সমস্যা আছে।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনার জন্য।
১১| ০৯ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমার যদি একটা জ্বিন থাকতো, তাহলে ইচ্ছেগুলো সব পূরণ করতে পারতাম। ছোটবেলায় এমনই চিন্তা ভাবনা ছিলো আমার।
ভালো লাগলো গল্প।
১১ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬
রোকন রাইয়ান বলেছেন: হুমম..
নিশি রাতে একাএকা মসজিদে বসে বসে সূরা জিন পড়ুন। জিনকে খুজতে হবে না। আপনাকেই খুজবে জিন।
ধন্যবাদ।
১২| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫১
সায়েম মুন বলেছেন: গল্প পইড়া ডরাইছি।
ভাল ল্যাখছেন কিন্তু।
১১ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ডরাইলে খবর আছে কইলাম
আমি কিন্তু জীন না, আমারে আবার ডারাইবেন না যেন।
১৩| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০০
হারিয়ে যাওয়া কোন এক তারা বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
১১ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩
রোকন রাইয়ান বলেছেন: হারিয়ে যাওয়া তারা যে সামুতে ফিরে এসেছে সে কারণে ধন্যি।
এমন আরেকটি গল্প আমার অলরেডি লেখা আছে ভাবছি এটির পরেই দিব। গল্পটির নাম
সাপবন্ধু..
১৪| ১০ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০৩
শোশমিতা বলেছেন: ভালো করেছেন নামের মধ্যে ভৌতিক বিষয় উল্লেখ করেন নাই, না হলে পড়ার আগেই ভয় পেয়ে যেতাম, আর পড়া হতোনা
পড়ে অনেক ভালো লাগলো
কেমন আছেন ভাইয়া?
১১ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রোকন রাইয়ান বলেছেন: এত ভিতু মেয়ে আগে জানা ছিল না।
অবশ্য মেয়েরা একটু বেশিই ভীতু হয়।
ভালোলাগায় ধন্যবাদ। ভয় পাননি তো??
আমি ভালো আছি শোশমিতা।
১৫| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:১৬
সাইমনরকস বলেছেন: জ্বীনের গল্প ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
১১ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
রোকন রাইয়ান বলেছেন: জীবন কোত্থে আইলো। এটাতো স্রেফ গল্প, নিজেরও না।
ধন্যবাদ।
১৬| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:২১
অশুভ বলেছেন:
ভাই লেখক, আপনি নিজেই আবার কোনো জ্বীন নাতো!!!!!
মানুষ সাইজা ব্লগিং করতাছেন.....!!!!!!!!!
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:০০
রোকন রাইয়ান বলেছেন: জটিল এক ঝামেলায় ফেলাইলেন ভাই।
এই প্রশ্ন শুনতে হবে জানা ছিলনা।
আচ্ছা চিন্তা করে দেখি।
১৭| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: জিনের গল্পটা পড়ে কিছুটা ডরাইছি
ভাল লাগছে পড়তে
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। ওটা জিন কিনা এই নিয়ে সম্স্যা আছে।
ডরানোর কাম নাই।
১৮| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:০৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভালই লাগল রোকন । কি ব্যাপার অনেক দিন দেখি না ?? ঘটনা কি ??
১২ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৩৪
রোকন রাইয়ান বলেছেন: মাঝে মাঝে অনেক কাজের ভেতর দিয়ে দিনগুলো অতিবাহিত হয়ে যায়। তখন মাথায় হাজারটা ঝামেলা কাজ করে। নেটে বসা হয় না।
সামনে আমাদের একটা প্রোগ্রাম আছে। চীবগেস্ট মাহমুদুর রহমান। আগামী এক সপ্তাহ এই নিয়ে বিষন চাপে থাকব। তখন আর হয়তো নেটে বসা হবে না। ধন্যবাদ।
১৯| ১৩ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
স্যার ... বলেছেন: ভালো লেখক হতে পারবেন আশা করি।
১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
রোকন রাইয়ান বলেছেন: কোন মোড়ে বসেন আপনি, আরেক বার যাওয়া দরকার মনে হচ্ছে...
২০| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:১৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ভৌতিক আবহটা বেশ ভালই। সেই নিজের ছেলের মতো কাউকে বের হয়ে দেখা, তারপর গোয়ালে গরু.. শেষে স্ত্রীর অসুস্থতা ও ডাক্তার। লেখা ভাল লেগেছে।
একটা অট প্রশ্ন আপনি নিজে কি বিশ্বাস করেন এরকম বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার অতীত অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে?
১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্ন করার জন্য।
আসলে এখন এই বিজ্ঞানের যুগে এসব ঘটে কিনা জানি না। তবে এই দশ-পনের বছর আগেও এসব ছিল এবং চিরন্তই সত্যই ছিল। আমরা নিজেরাই তার সাক্ষি। আমি যে ঘটনাটি গল্প করেছি এর বাস্তবতা লক্ষ করেছি আমার তাওই এর বাড়িতে। তাদের বাড়িতে এক সময় একটা ছেলে জিন মাদরাসায় পড়ত। পড়ে জানাজানি হয়ে গেলে সেই ছেলেটি চলে যায় আর কোনোদিন তাকে কোথাও কেউ দেখেনি।
দ্বিতীয়ত আমাদের বাড়িটি এলাকা থেকে একটু দূরে। মোটামুটি একটা বনের ভেতর। পাশেই একটা মক্তব ছিল। মক্তবের শিক্ষক আমাদের বাসায় খেতেন। একবার রাতের বেলা আব্বা ভাত দিতে এসেছেন। তরকারি আনতে যাবেন। এমন সময় আমাদের বাড়ির সামনের পুকুর পাড়ে দেখেন এক মহিলা একটা বাটি নিয়ে দাঁড়িযে আছেন। আব্বা মনে করলেন আম্মা হয়তো তরকারির বাটি এগিয়ে দিতে এসেছেন। তাই আব্বা তাকে বলছেন তুমি এতদূর আসছো কেন। দাও বাটি দাও আমি দিয়ে আসি। এই শুনে মহিলা ধীরে ধীরে পিছাতে লাগল। এবং এক পর্যায়ে পুকুরে গিয়ে মিশে গেল।
এরকম ঘটনা একটা নয় আরো অসংখ্য জানা এবং একবার নিজেও সেইম ঘটনার সম্মুখিন হয়েছিলাম। আশা করি একবার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট দিব। বাকিটুকু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।
ধন্যবাদ।
১৪ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
রোকন রাইয়ান বলেছেন: আপনিই বলুন আমিকি আমার আমার সমাজের এই ঘটনাগুলো বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে অস্বীকার করতে পারি?
২১| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ২:১১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আপনিই বলুন আমিকি আমার আমার সমাজের এই ঘটনাগুলো বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে অস্বীকার করতে পারি?
---
রোকন, খুবই ইন্টারেস্টিং বর্ণনা। আমি অবশ্য এমন ঘটনা কখনো দেখিনি নিজের চোখে। দেখতে চেয়েছি কিন্তু পাইনি। এরকম ভৌতিক গল্পগুলো প্রযুক্তির আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে আলোকিত অঞ্চলে কমে এসেছে। অন্ধকারকে মানুষ ভয় পায়, অজানাতে অনেক কল্পকাহিনী সৃষ্টি হয়। মনে পড়ে এসএসসির ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম। চাষীদের কাছে শুনেছিলাম পেত্নীর বাতি জ্বলে বিলের মাঝ খানে। দুর থেকে আগুন জ্বলে উঠছে। সে খানে মাছ ধরতে গেলে পথ ভোলায়। পরে জেনেছি এটা রহস্যের কিছু না, বিলে উৎপন্ন দাহ্য গ্যাসে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রবীর ঘোষের অলৌকিক নয় লৌকিক বইটি প্রাসঙ্গিক ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে তারা নানান রহস্যময় ঘটনাকে উদঘাটন করেছে ভারতে।
আমি এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করি বিজ্ঞানের যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তাতে প্রকৃতির নিয়মগুলো অনেকগুলোই জানা। আর প্রকৃতির নিয়মগুলো এতটাই একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পৃক্ত যে মোটা দাগের অশরীরির যে ঘটনা সেগুলো সম্ভব না। আধ্যাত্মিক কোন কিছু থাকলে এর মধ্যে আবিষ্কৃত হতো।
আর আমাদের পর্যবেক্ষনে মস্তিস্কের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিস্কের ভুলে অবাস্তব কিছু আমরা দেখতে পারি। রোজ রাতে যে স্বপ্ন দেখি, যখন দেখি তাকে বাস্তবই জানি। সদ্য দূর্ঘটনায় পা হারানো রোগীরা যেমন দীর্ঘদিন পায়ের আঙুল টের পায়, নাড়ানোর উপলব্ধি পায়।
একই ভাবে নানান এক্সটার্নাল স্টিমুল্যান্ট (প্রচণ্ড সুখ দু:খ আবেগ বা মাদক) এমন অভিজ্ঞতার তৈরী করতে পারে যার বাস্তব উপস্থিতি নেই। অধিকাংশ ভৌতিক ঘটনাতেই দেখবেন একজনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়। যাকে ভুতে ধরে বলি আমরা সে কিন্তু নিশ্চিত করে বলে অশরীরির উপস্থিতি আছে। বাই বসে আছে কিন্তু আমি একা দেখছি ছায়া ছায়া কেউ হেটে আসছে.. তবে সম্ভাবনা বেশী সেটা আমার নিজেরই ভাবনায় কোথাও এটা।
ধন্যবাদ আবারও
১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:১০
রোকন রাইয়ান বলেছেন: আমি এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করি বিজ্ঞানের যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তাতে প্রকৃতির নিয়মগুলো অনেকগুলোই জানা। আর প্রকৃতির নিয়মগুলো এতটাই একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পৃক্ত যে মোটা দাগের অশরীরির যে ঘটনা সেগুলো সম্ভব না। আধ্যাত্মিক কোন কিছু থাকলে এর মধ্যে আবিষ্কৃত হতো।
এই কথাগুলোর সঙ্গে আমিও একমত এবং সেটি আমি ওপরে শেয়ার করেছি।
আসলে এখন এই বিজ্ঞানের যুগে এসব ঘটে কিনা জানি না। তবে এই দশ-পনের বছর আগেও এসব ছিল এবং চিরন্তন সত্যই ছিল।
বাহরা হাল, অশরীরী কিছু পৃথিবীতে আছে এবং থাকবে এটি কিন্তু কোনো মানুষের বানানো উক্তি, ঘটনা, আলাপ, বইপাঠ কিংবা অন্য কোনোকিছু থেকে আমি হান্ড্রোড পার্সেন্ট শিউর নই। আমি ১০০% সিকিউরিটি পেয়েছি, সৃষ্টিকর্তার মহাগ্রন্থ আল কুরআনে। যদিও এযুগের অনেকে এ গ্রন্থকেও অস্বীকার করে থাকবেন হয়তো। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের আস্থার ওপর ভিত্তি করে যেহেতু সমাধানের পথ খোঁজা হয়ে থাকে তাই আমি ওই ধর্মগ্রন্থের বাণী অস্বীকার করার কোনো মওকা খুজে পাইনি।
জ্বীন আছে এটি চিরন্তন সত্য। এবং তারা যে অশরীরী, অদৃশ্য এটাও সত্য। তারা এক সময় আমাদের ভেতরই বাস করত। তবে কেউ দেখেনি, কোনোকালে এমন ঘটনার সম্মুখিন হয়নি, এবং সে যদি হয় বিজ্ঞানমনস্ক, এমন কাউকে এ বিষয়টি বোঝানো রীতিমত কষ্টসাধ্য।
তবে এখন বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে এই অশরীরী আত্মাগুলো লোকালয় ছেড়ে চলে যাচ্ছে এটাও সত্য। কারণ এরা আলো পছন্দ করে না। এরা পছন্দ করে অন্ধকার।
আরেকটি ঘটনা না বলে পারছি না।
আমার খালা একবার পাগল রোগে আক্রান্ত হলে নানান চিকিৎসা করা হচ্ছিল। শেষে কোনোটাই ফল না হলে এক কবিরাজ আনা হল। তার কাছে পালিত জীন আছে। এক রাতে নানাদের বাড়িতে জীন হাজির করা হবে। সবাই ঘুমিয়েছে। আমরা একটি আলাদা রুমে। সেখানে আমার নানা, মামা, খালুসহ আরো কয়েকে। সব আলো বন্ধ। জীন হাজির হবে। হঠাত পরপর কয়েকটা ঢিল পড়ল টিনের চালে। কবিরাজ জানাল ঘরে আলো আসছে। আমরা সব আলো নিভালাম। একটু পর দরজা খুব জোরে ধাক্কা দিয়ে জীন এল। তার কথা আমাদের মনুষ্য প্রাণীর কারও মতো নয়। ভিন্ন একটি গলার আওয়াজ। এটা ছিল পুরুষ। আপনি এখানে খুত ধরতে পারেন, এটি কবিরাজও হতে পারে। একারণেই বলছি, একা সে ট্রিটমেন্ট দিতে পারছিলনা। কবিরাজকে বলল, বসকে স্মরণ করতে। বস এল। সে মহিলা। তারপর ট্রিটমেন্ট করে তারা চলে গেল।
বিজ্ঞানের এই যুগে আসলে এমন অশরীরী ঘটনা বিশ্বাস করার সুযোগ নেই। একথা আমিও একশ ভাগ বিশ্বাস করি এবং মানি। তবে আমার চোখের সামনে, নিজের ভেতর দিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তো আর আমি অস্বীকার করতে পারি না। তাই নয় কি??
ধন্যবাদ রইল।
২২| ১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
দারুণ লাগল...
তবে এসব ঘটনায় শতকরা ৯৯টিই বানানো বা অতিরন্জিত...
গল্পের প্লট হিসেবে এই গটনাগুলো আসলেই দারুণ।
তবে আপ্নার এগিয়ে যাওয়া হোক দুর্বার এই কামনা...
অ.ট.
বড়রা একটু বড়গিরি দেখাক এই নিয়ে না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন
সব একদিন অনুকুলে আসবে ...ইনশা আল্লাহ্
১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫০
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ জানিয়ে বলছি, আমি জানি শুধু এইগুলো নয়, প্রতিটি গল্পই হয় সমাজের একটা সাইট নির্ধারণ করার পর সেটার ওপর আলোকপাত। এখানে অতিরঞ্জনই বেশি থাকে। বাকি সমাজের একটি মৌলিক দিক ওঠে আসে। আমার গল্পেও সেইম হয়েছে বলে মনে করি।
অ.ট
ওরা যা করছে, আমি আসলে একটা স্থানে লিখে রাখছি ক্ষুধাই করে। এক সময় ইনশাআল্লাহ এসব প্রকাশ হবে। বাকি আমি সংঘাতের মানুষ নই এসব পছন্দও করি না। মিটমাট হওয়াকেও স্বাগতম জানাই।
২৩| ১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক মন দিয়ে আবার পড়লাম। ভুতপ্রেতে আমার বিশ্বাস নেই। কারণ জীবনেও একবার দেখা পেলাম না।
১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৬
রোকন রাইয়ান বলেছেন: আপনি দেখেননি বলে বিশ্বাস করেন না। তবে ঘটনা একেবারেই সত্য। আমি দেখেছি এবং নিজের চোখে। ওপরে স্বদেশ হাসনাইন ভায়ের কমেন্টসে আমি সে কথা বলেছি। তাই এখানে আর দ্বিতীয়বার লেখলাম না। পরে সময় পেলে আমার নিজের ঘটনাগুলো শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ।
২৪| ১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:০৭
ছোটমির্জা বলেছেন:
ও গ্রেট!
১৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫| ২০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
হারিয়ে যাওয়া কোন এক তারা বলেছেন: সাপবন্ধু -গল্পটা পড়তে চাই।
২০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০২
রোকন রাইয়ান বলেছেন: সত্যিই পড়তে চাচ্ছেন?? অবশ্য অনেকে জ্বীন বিশ্বাস করেন না। তাই এইসব গল্পও পছন্দ করবেন না হয়তো। ওপরের কমেন্টগুলো তাই প্রমাণ করছে। তাই ভাবছিলাম সাপবন্ধু এখানে দেব না। ধন্যবাদ।
২৬| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৭
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: ভাগ্যিস গল্পটা না পড়েই মন্তব্যে চলে আসছিলাম। জ্বীনের গল্প লিখছেন। পড়বোনা ভাই এইটা। আমি আবার একটু ভীতু কিনা।
২৫ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
রোকন রাইয়ান বলেছেন: জীন একটা সম্প্রদায়। এরা মানুষের মতোই বসবাস করে। তবে অদৃশ্য। যারা একে অবিশ্বাস করে তারা আমার মনে হয় একটু ভুলই করে। তবে ভিতু কিন্তু আমিও। রাতে একা একা বাইরে যাই না এখনো। আমাদের বাড়িটাই ভুতের আড্ডা খানা। কত মানুষ এখানে এসে ভয় পেয়েছেন। পেয়েছি আমরাও। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০২
ময়নামতি বলেছেন: ভাল লাগা গল্প।
২৫ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪০
রোকন রাইয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৭
ময়নামতি বলেছেন:
জ্বীন সম্পর্কে অনেক শুনেছি জ্বীনেরা নাকি মানুষের সাথে পড়াশুনা করে।
ভাল লাগল গল্পটা+++
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২২
সকাল রয় বলেছেন:
গল্প হিসেবে ভালো লাগলো
_______________________
আরো লিখুন