নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দৈনিক ভাবনা

রোকসানা হাবিব

আমি সামান্য একজন মানুষ। প্রতিদিন আমাদের চারপাশের অনেক কিছু নিয়েই আমার ভেতর বিভিন্ন ধরনের ভাবনা আসে। বিশেষ কিছু ঘটনা জীবনে অনেক দাগ কেটে যায় মনের ভেতর, সেগুলোই আমি এই ব্লগের মাধ্যমে লিখে রাখতে চাই আর সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।

রোকসানা হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের ভাল পাগলেও বোঝে, আমরা কি পাগল থেকেও খারাপ?

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

আমরা মানুষরা বড়ই অদ্ভুত । কিছুদিন আগে জার্মানি খেলা দেখে মানুষদের বলতে শুনেছি ওরা তো হিটলার এর জাত। জার্মান মানে হিটলার না। হিটালার ছিল অষ্ট্রিয়ান। আজ আবার যখন পালেস্টানিদের কে ইহুদীরা নির্বিচারে মারছে তখন সেই মানুষগুলি রাতারাতি হিটলার কে হিরো বলা শুরু করে দিল। তারা কি জানে কেন হিটলার কাজটা করেছিল? আমি হিটলার এর পক্ষে কোন কথা বলছিনা, আমি মনে করি না যে ওই ভাবে মানুষ মারা সঠিক কোনও কাজ ছিল। আমি অনেক বছর জার্মানিতে বসবাস করেছি এবং নিজেই যেহেতু একজন ইতিহাসের ছাত্রী ছিলাম, তাই তখন অনেক বৃদ্ধের সাথে কথা বলেছিলাম এটা জানার জন্য যে কি হয়েছিল সেসময়।



তাদের ভাষা ছিল এই রকম- ওই সময় জার্মানির সব বড় বড় কল কারখানা সমূহ ইহুদীরা দখল করেছিল, এমন কি রাজনীতিতেও তারা সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেছিল। তাই হিটলার যদি তখন ওদেরকে না মারত তাহলে আজ জার্মানির অবস্থা আরবদের মতন হয়ে যেত।



আল্লাহ পাক পরিস্কার ভাষায় বলেছেন যে, ইহুদি কোনও দিন মুসলিমদের বন্ধু হবে না। তারপরও যখন কোনও মুসলিম জার্মানদের হিটলারের জাত বলে আমার খুব রাগ হয়, কষ্ট হয়। সমগ্র পাশ্চত্যকে কাঁচকলা দেখিয়ে হিটলার ৩৭% ইহুদিদের বিনাশ করেছিল। আজ প্যালেস্টাইনিদের সব গ্রুপকে এক হতে হবে আমেরিকানদের কাঁচকলা দেখাবার জন্য তাহলেই কিছু একটা হবে। আমেরিকানরা যদি এখন প্যালেস্টাইনিদের সাহায্য করতে চাইয় তারপরও তারা পারবে না কারন আমেরিকার সব বড় বড় অবস্থানে ইহুদিরা বসে আছে। তারা কি কখনও প্যালেস্টাইনিদের পক্ষে তাদের রায় দেবে? দেবে না, কারন ইহুদিরা তো মুসলিমদের মতন মাথামোটা মানুষ নয়।



এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেই ১৯১৫ থেকে। এই হত্যাকান্ড থেকে বাঁচার উপায় হল বুদ্ধি ব্যবহার করতে হবে, যেটা ইহুদিরা সব সময় মুসলিমদের সাথে করেছে, যেমন ১১ সেপ্টবর এর ঘটনা। একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন সবাই যে ওটা ছিল ইহুদিদের একটা বড় চাল। আর এটা তো জানা কথা, যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার হল নিরীহ নারী-পুরুষ এবং অসহায় বাচ্চারা। কারন প্রতিপক্ষ্য প্রথমেই মানুষের স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে তার চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, প্যালেষ্টাইন নিজেই খন্ডখন্ড ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। তাদের সব গ্রুপকে তাদের নিজেদের স্বার্থে এক হয়ে আমেরিকাকে চাপ দিলে তখন হয়ত ইহুদী পিছু হটতে বাধ্য হবে। তখন হয়ত ইহুদীরা আমেরিকাকে চাপ দিতে পারে তাদেরকে জায়গা দেবার জন্য। সব কিছুই সম্ভব যদি মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করে আমরা মুসলিমরা কাজ করি



নিজের ঘরে যদি শুত্রু থাকে তাহলে বাহিরের বন্ধুও তখন শুত্রু হয়ে যায়। মঝে মাঝে আমার মনে হয় ১৯৭১ সালে যদি বাংলাদেশে এই হাসিনা, খালেদাতে বিভক্ত থাকত তাহলে আমাদের মনে হয় স্বাধীনতা পাওয়া হত না। যেমন এখনও যুদ্ধ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি। জানি না আমার প্রজন্ম বিচার দেখে যেতে পারবে কিনা। তাই আমার মনে হয় সব কিছুর উপরে আমাদের নিজেদের জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। আমরা যখন এক হয়ে অবিচল থাকব তখন কোনও ইহুদী, আমেরিকান আমাদের কিছু করতে পারবে না। কিন্তু ওই জায়গাটায় আমরা মুসলিমরা অনেক দুর্বল। আসুন আমরা দোয়া করি, নিজের ভাল যেমন পাগলেও বোঝে আমরা যেন ওই পাগলের মত হতে পারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.