নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রোমেল রহমান এর ব্লগ

রোমেল রহমান

রোমেল রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন : প্রয়োগ ও বাস্তবতা

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮


ট্রাইব্যুনালে আজ বিচারপ্রার্থী পঞ্চাশোর্ধ মমতাজ বেগম। সাথে তার ষোড়শী কন্যা জুলিয়া সুলতানা। আসামীদ্বয় মোরশেদ আলম ও খোরশেদ আলম কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে করজোরে কম্পমান। অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। মমতাজ বেগম তার কন্যা জুলিয়াকে নিয়ে সৈকতে অবস্থিত শহর বরগুনায় বসবাস করেন , শ্বশুরের ভিটায়। স্বামী আরশেদ আলম একজন সরকারী কর্মকর্তা , চাকুরীর কারণে তিনি অবস্থান করেন উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা শহরে। সাপ্তাহিক ছুটির সাথে নৈমিত্তিক ছুটি যুক্ত করে মাসে কমপক্ষে একবার বাড়ি এসে পরিবার পরিজনদের দেখে যান। মমতাজ বেগমের অভিযোগের বর্ণনায় বলা হয়েছে তিনি ও তার কন্যা ঘটনার দিন নিজ বসত ঘরে অবস্থান করছিলেন। তখন বিকাল প্রায় ৪-০০মিনিট। আকস্মিকভাবেই তার গৃহে আগমন করলেন আসামী মোরশেদ আলম ও খোরশেদ আলম। কিছু বোঝার আগেই মমতাজ বেগমকে আসামী মোরশেদ আলম জাপটিয়ে ধরে ধর্ষণ করতে শুরু করলো। একইভাবে জুলিয়া সুলতানাকে পাশের ঘরে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতে শুরু করলো আসামী খোরশেদ আলম। ধর্ষণ শেষে আসামীদ্বয় বীর দর্পে বেরিয়ে গেলো। চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি করলেও পাড়া প্রতিবেশীদের কেউ এগিয়ে আসে নাই। কারণ আসামীদ্বয় অত্যন্ত দাঙ্গাবাজ লোক। অভিযোগের বর্ণনা দিতে গিয়ে মমতাজ বেগম তার আঁচল দিয়ে ও তার কন্যা জুলিয়া সুলতানা তার ওড়নায় মুখ ঢেকে অঝোর ধারায় কেঁদে ফেললেন। এজলাস কক্ষে এক অভাবনীয় পরিবেশের সৃষ্টি হলো। উপস্থিত জনগণ পারলে আসামীদ্বয়কে পিটুনি শুরু করে দিতো , কিন্তু মাননীয় বিচারক তথা দায়রা জজ মহোদয়ের এজলাস কক্ষে এরূপভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেবার সুযোগ কারো নাই। তাই রক্ষে। দুই গাল ভরা সফেদ দাঁড়ি, মাথায় টুপি, পরনে পায়জামা ও পাঞ্জাবি আসামীদ্বয়ের। তারা করজোরে বিচারকের কাছে নিবেদন করলো তারা দুভাই নির্দোষ , তারা বিচারপ্রার্থী। সাজা এড়াতে অপরাধীরা এরূপ বেশভূষায় সজ্জিত হয়ে থাকে। তাই আসামীদ্বয়ের কথার সত্যতা বিচারের আগেই এরূপ পরিবেশে নির্ণয় করার সুযোগ খুবই কম। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিজ্ঞ বিচারক বিচারের দিন ধার্য করলেন। নির্ধারিত দিনে বিচার কার্য শুরু হলো। বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর(পি পি )মোকদ্দমা বিচারের জন্য উন্মুক্ত করলেন। রাষ্ট্রপক্ষের ১ নং সাক্ষী হিসাবে ডাক পড়লো ফরিয়াদী মমতাজ বেগমের। সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মমতাজ বেগম হলফ পড়লেন। ‘ আমি প্রতিজ্ঞা পূর্বক বলিতেছি যে এই মোকদ্দমায় আমি যে সাক্ষ্য দিব তাহা সত্য হইবে , ইহার কোন অংশ মিথ্যা হইবেনা এবং আমি কোন কিছু গোপন করিব না।’ বিজ্ঞ বিচারক লক্ষ্য করলেন মমতাজ বেগম হলফ পড়তে গিয়ে ইতস্তত করছিল এবং তার গলা অস্বাভাবিকভাবে কাঁপছিল। বিজ্ঞ বিচারক জিজ্ঞাসা করলেন সাক্ষী মমতাজ বেগমকে তার ফরিয়াদের কথা। সবাই উদগ্রীব নির্যাতিতা ব্যথাহত মমতাজ বেগমের ফরিয়াদ শোনার জন্য। কিন্তু মমতাজ বেগমের মুখে কোন কথা নাই। প্রশ্ন জাগে কেন এই নিরবতা। বিজ্ঞ বিচারক অত্যন্ত সহানুভুতিমাখা কন্ঠে জিজ্ঞাসা করেন মমতাজ বেগমকে তাকে কেহ ভয় দেখিয়েছে কিনা। তারপরও মমতাজ বেগম নিরব। বিচারকের কন্ঠে উৎকন্ঠা,বার বার তিনি মমতাজ বেগমকে অভয় দিতে থাকেন, আশ্বাস দিতে থাকেন তার সর্বাঙ্গীন নিরাপত্তা বিধানের। সব শেষে মমতাজ বেগম অস্ফুট কন্ঠে বলে ‘ সব দিয়ে দিয়েছে ’। বিস্মিত বিচারক জিজ্ঞাসা করেন কি দিয়ে দিয়েছে ? এই সময় এগিয়ে আসেন বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট, তিনি জানান যে মৌরশী সম্পত্তিতে ফরিয়াদীর স্বামীর প্রাপ্য অংশ দিয়ে দিয়েছে আসামীদ্বয়। এবার বিজ্ঞ বিচারক কাঠগড়ায় দন্ডায়মান ফরিয়াদী মমতাজ বেগমকে জিজ্ঞেস করেন আসামী মোরশেদ আলম তাকে ধর্ষণ করেছে কিনা , প্রশ্ন শুনে লজ্জাবনত হয়ে পড়ে মমতাজ বেগম , সে জবাব দেয় ‘না , আমার ভাসুর মোরশেদ আলম একজন সজ্জন ব্যক্তি , তিনি আমার সাথে কখনোই কোন খারাপ বা অশালীন আচরণ করেন নাই, সম্পত্তির ভাগাভাগি ত্বরান্বিত করার জন্যই মামলা করেছিলাম , নালিশী দরখাস্তের বক্তব্য আমার নয় , ভাশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নালিশ দায়ের করতে আমি কাউকে কোন নির্দেশনা দেই নাই’ । এরপর ডাক পড়ে সাক্ষী জুলিয়া সুলতানার ,যথারীতি হলফ পড়ানোর পর তাকেও বিজ্ঞ বিচারক জিজ্ঞাসা করেন আসামী খোরশেদ আলম তাকে ধর্ষণ করেছে কিনা , সেও তার মায়ের মতোই জবাব দেয়। তার সাথে তার শ্রদ্ধেয় চাচাকে জড়িয়ে ধর্ষণের যে কথা বলা হয়েছে তা জেনে সে যারপর নাই লজ্জিত হয়। ঘটনা এরপর পরিষ্কার হয়ে যায় ট্রাইব্যুনালের সামনে। মোরশেদ আলম , খোরশেদ আলম ও আরশেদ আলম এরা তিন ভাই। তাদের এজমালী মৌরশী সম্পত্তিতে রয়েছে একটি বিশাল জামগাছ। ঐ গাছের জাম পাড়তে গিয়েছিল জুলিয়া সুলতানা। জাম গাছের ডাল মটকা , তাই জাম পাড়তে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশংকায় তাকে ঐ সময় জাম পাড়তে নিষেধ করে তার চাচা খোরশেদ আলম। এই নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত । তখন মমতাজ বেগম সিদ্ধান্ত নেয় তার স্বামীর মৌরশী সম্পত্তি ভাগাভাগি করে নেবে। তার স্বামী আরশেদ আলম এতে রাজি হয় নাই। তখন মমতাজ বেগম তার স্বামীকে না জানিয়ে শরণাপন্ন হয় পরিচিত একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির । তারপরই মামলার সূত্রপাত।
ওসমান খান ও রোকাইয়া বেগম দুজনেই অধ্যাপনা করেন রাজধানী ঢাকা শহরে। বাসায় ঘর-গৃহস্থালী কাজের জন্য তাদের পৈত্রিক নিবাস কলারোয়া থেকে নিয়ে গেলেন মায়মুনাকে। কুড়ি বৎসরের অবিবাহিতা মায়মুনা ঘর-গৃহস্থালীর কাজে খুব পটু। খান পরিবারের সব কাজ সে নিপুন কর্মতৎপরতার মাঝেই সম্পন্ন করে আসছিল। তাকে খাওয়া পরা সহ পোশাক-পরিচ্ছদ , চিকিৎসা-সেবা এবং আকর্ষণীয় বেতন দিতে খান দম্পতির এতটুকু কার্পণ্য ছিলনা। মাস ছয়েক পরে সেই মায়মুনা হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে গেল। থানায় সাধারণ ডাইরী অর্ন্তভুক্ত করে ওসমান খান হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করলেন সারা শহরে। এ কাজে ব্যবহৃত হলো পাঁচটা মাইক। রেডিও এবং টেলিভিশনেও প্রচার করা হলো মায়মুনার নিখোঁজ হবার খবর। কিন্তু না মায়মুনার সন্ধান কেহ দিতে পারলো না। এভাবে অতিবাহিত হলো পনেরো দিন। বিস্ময়ে একদিন জানতে পারলেন খান দম্পতি যে তাদের বিরুদ্ধে নারী পাচারের মামলা দায়ের করেছে মায়মুনার মা , এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে জারী করা হয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। একই সাথে নীতি বিগর্হিত অনৈতিক কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নারী পাচারের কাজে সহায়তা করার জন্য খান দম্পতির উভয়ের বৃদ্ধ মা-বাবাকেও ঐ মামলায় আসামী করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। অধ্যাপক দম্পতির মান সম্মান আর রইলো না। ছুটি নিয়ে তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির হলেন। আতঙ্ক যদি হাজতে যেতে হয় তাহলে চাকুরী ক্ষেত্রেও তাদের দারূন সমস্যা হবে। তারা ট্রাইব্যুনালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেলেন । বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করলেন। সন্ধ্যার পর তারা মায়মুনার মাকে নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেন , কিন্তু মায়মুনার মা রাজি হলো না। উপরন্তুু সে বলে পাঠালো তাকে এক লাখ টাকা দেওয়া হলে সে আর সাক্ষ্য দেবে না। সে ক্ষেত্রে খান দম্পতি ও তাদের উভয়ের বাবা মা ট্রাইব্যুনাল থেকে খালাস পেয়ে যাবে। আইনবিদ জিয়া উদ্দিনের মধ্যস্থতায় পঁচাত্তর হাজার টাকায় রফা হলো। মায়মুনার মা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে গিয়ে বলেলা তার মেয়ে কোথায় গেছে তা সে জানে না। কথিত মতে আসামীরা কেহ অনৈতিক নীতি-বিগর্হিত কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মায়মুনাকে অপহরণ করে নাই। এজাহার সে নিজে দেয় নাই। টিপসহিও তার নয়। ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে খান দম্পতিসহ সকল আসামীকে খালাস দিলেন। রায় ঘোষনার পর খান দম্পত্তি ও তাদের মাতা পিতা ও স্বজনেরা যখন আদালত প্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে আসছেন তখন তারা দেখলেন মায়মুনা ও তার মা সহাস্য বদনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বুঝতে বাকী রইলো না যে চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছিল এবং একই উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেই তাদের বাড়িতে কাজ করার জন্য মায়মুনাকে পাঠানো হয়েছিল। সমস্ত ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রযোজক উক্ত জিয়া উদ্দিন , তার হাতে এরূপ অনেক মামলা আছে।
শিক্ষাবিদ হিসাবে ফিরোজ বখত সাহেবের তুলনা নাই । সারা শহরে তার সুনাম আর সুখ্যাতি । পঁচিশ বৎসর ধরে এক নাগাড়ে তিনি পালন করে আসছেন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব। তাই ঈর্ষান্বিত তার অধীনস্থ শিক্ষকেরা। তাদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে আছে। অধীনস্থ কতিপয় শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন ফিরোজ বখত। তারা কেউই সুযোগ করতে পারছিলেন না ফিরোজ বখতকে পদ থেকে অপসারন করার। অবশেষে একদিন সুযোগ এসে গেলো। ঐ বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিল মনোয়ারা বেগম , সে একদিন পরীক্ষার কিছু সাদা খাতা আঁচলের তলে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। প্রধান শিক্ষক ফিরোজ বখত বিষয়টা বুঝতে পেরে হাতে নাতে বমাল ধরে ফেলেন মনোয়ারাকে। সাথে সাথে মনোয়ারার বিরুদ্ধে শৃংখলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এই পঞ্চাশোর্ধ মনোয়ারাকেই দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মনোয়ারা অভিযোগ করে তাকে একা পেয়ে ফিরোজ বখত ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল , তবে সে প্রাণান্ত শক্তি প্রয়োগ করে আত্মরক্ষা করতে পেরেছে। গুরুতর অভিযোগ , ফিরোজ বখত দীর্ঘদিনের ছুটি নিলেন। শহরময় প্রচার করা হলো তার বদনাম। তবে বিজ্ঞ বিচারক প্রথম শুনানীতেই ফিরোজ বখতকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিলেন। কিন্তু নিষ্কলুষ ফিরোজ বখতের মর্যাদার যে ক্ষতি হলো তা তো পূরণ হবার নয়।
২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সুযোগ নিয়েই প্রাগুক্ত মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিলো। যদিও আইনে ১৭ ধারায় বলা হয়েছে , ‘ যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান তাহা হইলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।’ এই রক্ষাকবজ সত্ত্বেও ঐ সব অন্যায্য মামলা দায়ের করা বন্ধ হয় নাই। এসব অন্যায্য মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া এবং দরখাস্ত মুসাবিদা করে দেবার লোকেরও অভাব নাই। অনেক ক্ষেত্রেই এইসব দরখাস্তগুলো অশালীন ভাষায় লেখা হয়। এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে , সাজা হচ্ছে খুব কম। কম সাজা হবার কারণগুলো উপরের উদাহরণ থেকেই স্পষ্ট অনুধাবন করা যাবে। সমাজে নারী নির্যাতনের মাত্রাও বাড়ছে। শুধু আইন করে এ থেকে পরিত্রাণ ও প্রতিকার পাওয়া যাবে না। প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার উৎকর্ষ সাধন। দৃঢ় নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি ও তার অনুশীলনই পারে আমাদেরকে নারী নির্যাতনমুক্ত সুখী ও অনাবিল শান্তিময় সমাজ উপহার দিতে।

লেখক : সাবেক জেলা ও দায়রা জজ। বর্তমানে এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট , হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা এবং বে-সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপক।
[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.