নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নবাজ

"তবু দলছুট একদল স্বপ্নবাজ বাঁধে নতুন প্রভাতগীত; ভৈরবীর সুরে বাঁধা স্বপ্নে বাঁধে নতুন ভোর। ভোরের সেই হিমালোক শিশির স্নানে যাবে সকল যাপিত জীবন। তিমিরভেদী মিছিল নিয়ে; হিমাদ্রিসম স্বপ্নে বয়ে"

রোমেন রুমি

আমি এখনস্বপ্ন ছেঁড়া স্বপ্নবাজী -ভীষণ নীরব ব্যাথার ডোরে আপন ভুবন বেঁধে রাখি ।

রোমেন রুমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরশিরে শিহরন এই জীবাশ্ম শরীরে

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৪

তোমার চিবুক ছুঁয়ে যে স্পর্শরা স্পর্ধাকে বশ্যতা স্বীকার করিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অনবরত- তারা জল। চোখকি কখনও ছুঁয়ে দেখেছে চোখ দিয়ে চোখ! মাঝে মাঝে আমার জানতে ভীষন ইচ্ছে হয়। সে চোখের রঙ ধূসর। কেন এমন হয়; জানিনা। পৃথিবীর অন্য সকল প্রান্তে মানুষের প্রানান্ত ছুটে চলা আর এক শব্দ ফেরিওয়ালার জীবন রেখাচিত্র- জানে আমার নিজস্ব এক নদী। সেখানে সাঁতার না জানা ডুবে যাওয়া এক মানুষের গল্প।

ছইওলা একটা নৌকো ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি; একদিন দেখে যেও ধূসর চোখ মেলে। রূপোয় বাঁধানো রূপক এক বৈঠা, রুমাল ও আলতা রেখেছি। ফুলের মুকুট ও কমলা রঙের নরম রোদ। ঐ যে দূরে করমচা গাছ সেখানে এক জোড়া কাকাতুয়া; ওদের জন্য পাঠিয়েছি কিছু বেলি। নৌকোটা ভেসে আছে রাজহাঁস হয়ে। ওর চোখের রাস্তাটা ভীষণ পিচ্ছিল কিন্তু ; সাবধানে এসো!

এই নগরীর সুনসান অন্ধকারে অদ্ভুত সুন্দর হয়ে শুধু বারবার ফিরে ফিরে আসে চাঁদ। ঠিক এই পথ ধরে হেঁটে গেছে কত পথিক- কত যুগ ধরে- আমরাও। তুমি বলেছিলে- শোন, শোন; কান পেতে ঐ যে, ঐ তো ঝিঁঝিঁ ডাকছে! আমি অবাক বিস্ময়ে সেটুকু অনুভব জমিয়ে রেখেছি। মানুষের অবিশ্রান্ত ছোটাছুটি, কোলাহল কোলাজে এখানে এইটুকু আমার অরণ্য; রাতভর এখানে ঝিঁঝিঁ ডাকে। যে পিপাসায় নাড়িভুড়ি শুকিয়ে আসে; সেটা আসলে চোখে। ভেতরে বাস করা রাজহাঁস-নৌকো।

করাতে কেটে নিচ্ছি যন্ত্রণা; প্রতিনিয়ত। এখন ক্লান্ত লাগে। হাসি-কান্নার ব্যবধান রাখিনি তোমার কাছে। মাঝে মাঝে রাতভর শব্দে ভাসি, ভাসাই। অভিমান বা দুঃখ বিষয়ক গ্রন্থিরা যথেষ্ঠ সজীব শুধু পেঁচক প্রাণের নির্জীবতা অনুশীলন অথবা ধ্যান! কেবল এইটুকু নিজের সাথে এক অনবদ্য সংগ্রাম। কেবলই না বলা কথাদের না বলা রেখে গলতে দিয়ে হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা।

একদিন নিশ্চই আমরা মাছরাঙ্গা দেখতে যাব; প্রশান্ত সে নীলাভ রঙ্গ। ভেতরে একটা আকাশ হয়েছে সেই একই রঙ্গের। ক্ষরণ দেখা যায় না এখন; শুধু চোখ দিয়ে ছোঁয়া যায়। এই সীমানা বিবর্জিত নীলিমায় উড়তে এসো ভাসিয়ে রাখবো। ইচ্ছে হলে নিয়ে যেও কিছু নীল।

ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি ছইওলা একটা নৌকো; একদিন দেখে যেও ধূসর চোখ মেলে। একতারা হাতে গানওয়ালা এসে বলে গেছে- কুয়াশার চর থেকে সে একটা নতুন গান ও কিছু ঘাসফুল নিয়ে আবার ফিরে আসবে। আমি বকুল ও জারুল এনে রেখেছি। ঠিক এখানটায় একটা শিউলি গাছ একা দাড়িয়ে থাকে। রাজহাঁসের ডানার নিচের ওম নিয়ে তুমি বৃষ্টি দেখ। ইচ্ছে হলেই ভিজতে পার অথবা ভিজতে ভিজতেই উড়ো।

এখানে এখন কোনো সকাল-বিকাল নেই; নেই সময়োচিত সময়যাপন। কেবল প্রতিক্ষা। আবার বৃষ্টির শরীর ছোঁয়া মায়সন্ধ্যা ও রূপালী রাত নিয়ে আমরা চলে যাব স্তুপিকৃত আলো-অন্ধকারের শরীরে বেয়ে জীবনের নেশায় শহরের অন্য প্রান্তে...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: চোখকি কখনও ছুঁয়ে দেখেছে চোখ দিয়ে চোখ!
আজ দেখব চোখে চোখ রেখে
দেখব চোখের তারা কি বলে।
আজ চোখে চোখ ছুঁয়ে
দেখব কেমন অনুভব হয়।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা মুক্তগদ্য।

অনেক দিন পর দেখলাম। কেমন আছেন?

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.