![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বকাপ ফুটবল প্রিভিউ:
গ্রুপ: এ
ক্রোয়েশিয়া:
কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ধুকতে থাকার শেষ মুহুর্তে আনপপুলার কোচ ইগর স্তিমাচ কে বরখাস্ত করে দলের দায়িত্ব তুলে দেয় নিকো কোভাচ এর হাতে। আইসল্যান্ডের সাথে অ্যাওয়ে ম্যাচ ড্র করে আর হোম ম্যাচ জিতে নিকো দলকে পায়িয়ে দেন ব্রাজিলের টিকেট। বিশ্বকাপের ড্রতেও বিশ্বকাপের ফেভারিট স্বাগতিক ব্রাজিলের সাথেই জায়গা হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। বাকি দু'টো দল মেক্সিকো এবং ক্যামেরুন। ফুটবল মাঠের খেলা তবু কাগজে-কলমে ক্যামেরুনের সেই দিন নেই। তাই ধরে নেওয়া যায় ক্যামেরুনের সাথে উৎরে যাবে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাক্সিকো ম্যাচটাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার ফাইনাল হবে ক্রোয়েশিয়ার জন্যে। স্কোয়াড বিবেচনায় ক্রোয়েশিয়া ঢের এগিয়ে থাকলেও মেক্সিকো ফুটবলের আনপ্রেডিক্টেবল দল। ক্রিকেটের পাকিস্তানের মত। ক্রোয়েশিয়াও আনপ্রেডিক্টেবল। সেটা বিশ্বকাপ শুরুর দিন ব্রাজিল টের পেয়েও যেতে পারে। তবে আমার ধারণা, গ্রুপ এ থেকে ব্রাজিলের সব ম্যাচ জিতেই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে। সাথে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে ক্রোয়েশিয়াই পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করবে।
গোলকিপার:
ক্রোয়েশিয়ার উইক লিংক গোলকিপার এবং ডিফেন্স। গোলকিপিংয়ে ইউরোপের নামযাদা কেউ নেই। রাশিয়ান প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব রোস্টোভের ৩৫ বছর বয়সী ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির স্টাইপে প্লেটিকোসাই ১৯৯৯ থেকে দলের নাম্বার ওয়ান চয়েস। দেশের হয়ে ১১০ ইন্টারন্যাশন্যাল ক্যাপ অ্যান্ড স্টিল গোয়িং। খেলেছেন ক্রোয়েশিয়ান অনুর্ধ ১৫ দল থেকে সব বয়স ভিত্তিক দলে। খেলেছেন শাখতার দোনেৎস্ক এবং স্পার্টাক মস্কোতেও। টটেনহ্যামে ছিলেন লোনে। গোলে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় চয়েস মোনাকোর দানিজেল সুবাসিচ এবং ডায়নামো জারগেভের অলিভার যেলেনিকা।
ডিফেন্স:
আগেই লিখেছি, আমার দৃষ্টিতে এটাও ক্রোয়েশিয়ার উইক লিংক। রাইট ব্যাকে নিশ্চিত নাম Darijo Srna
. ক্রোয়েশিয়ার ক্যাপ্টেন। এবং আমার মতে বিশ্বের সেরা চার পাঁচ জন রাইট ব্যাকের একজন। শাখতার দোনেৎস্কের লিজেন্ড। শাখতারের হয়ে ২৫০ টার বেশি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। জাতীয় দলের হয়ে ১১২ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন এই ৩২ বছর বয়সী। করেছেন ২১ গোল। একজন রাইট ব্যাকের জন্যে ঈর্ষণীয় পরিসংখ্যান নি:সন্দেহে। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জোসিপ সিমুনিচের ১০ ম্যাচ ব্যান থাকায় তাকে ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রোয়েশিয়া। সুতরাং এককালের ম্যান সিটি, টটেনহ্যাম আর বায়ের লেভারকুসেনের ভেডরান কর্লুকা'র সাথে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে সম্ভবত দেখা যাবে প্যানাথিনাকসের গর্ডন
স্খিলডেনোফেল্ড বা সাউদ্যাম্পটনের হয়ে সদ্য শেষ হওয়া প্রিমিয়ার লীগে ১৫ ক্লিন শীট পাওয়া দেজান লভরেনকে। মুল লেফট ব্যাক ইভান স্টরিনিচ ইনজুরির কারণে ২৩ জনের স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়াতে লভরেনকে দিয়ে মেক শিফট লেফট ব্যাক পজিশনও চালানো হতে পারে। অপর লেফট ব্যাক বিকল্প প্যানাথিনাকোচের দানিজেল প্রানজিচ। ২৩ জনের স্কোয়াডে অপর দুই ডিফেন্ডার ডায়নামো কেইভের সেন্টার ব্যাক দমাগজ ভিদা এবং সিরা আ এর ক্লাব গিওনার রাইট ব্যাক Sime Vrsaljko.
মিডফিল্ড:
ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে শক্তির জায়গা। ইউরোপের দুর্দান্ত কিছু মিডফিল্ডার ওদের। ক্রোয়েশিয়ার প্রিফারড ফরমেশন ৪-৪-২ ডায়ামন্ড। মাঝে মাঝে ৪-২-৩-১ এ শিফট করে। বেশ খানিকটা মিডফিল্ড নির্ভর দল। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মডরিচের সাথে সেভিয়ার বা এই মুহুর্তে বার্সেলোনারই বলা যেতে 'পারে' বা বার্সা বাউন্ড ইভান রাকিটিচ। রাকিটিচ এই মৌসুমে ইউরোপা সেরা প্লেয়ারও। ফেব্রিগাসকে বেঁচে বার্সা কিনতে যাচ্ছে রাকিটিচকেই। ওলফসবার্গের ইভান পেরিসিচও নিকোর স্টার্টিং এলেভেনেরই চয়েস। ইভান পেরিসিচের কারণেই সম্ভবত বেঞ্চে থেকেই শুরু করতে হতে পারে এই মৌসুমেই ইন্টার মিলানের ফ্যান ফেভারিট হয়ে যাওয়া মাতেও কোভাচিচের। বোথ ফুটেড মাতেও কোভাচিচকে স্টার্টিং এলেভেনে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নিকো কোভাচ দলে খুব একটা তারুণ্যের সমাবেশ না ঘটিয়েই দল দিয়েছেন। সদ্যই বার্সেলোনাতে যোগ দেওয়া ইনিয়েস্তার সাথে তুলনা করা ১৭ বছর বয়সী অ্যালান হালিলোভিচের তাই জায়গা হয়নি ২৩ জনের দলে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে বহুদিন ধরে নিজের কাজ করে যাচ্ছে ডায়নামো কেইভের ওগনজেন ভুকোজেভিচ। মিডফিল্ডে অপর তিনজন ডাইনামো জার্গেভের মার্সেলো ব্রোজভিচ, গেটাফের সাম্মির এবং রেজেকার ইভান মোচিনিচ।
অ্যাটাক:
দারুণ কিছু স্ট্রাইকার নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। বায়ার্নের মারিও মাঞ্জুকিচের নাম আলাদা করে বলবার কিছু নেই। ওই অ্যাটাকে নেতৃত্ব দেবে। ফক্স ইন দ্যা বক্স স্ট্রাইকার। বাতাসে দখলের দিক থেকে ওর থেকে সম্ভবত ক্লোসাই এগিয়ে। দ্বিতীয় স্ট্রাইকার পজিশনের জন্যে হাল সিটির নিকিকা জেলাভিচের সাথে লড়বে সাবেক আর্সেনাল এবং বর্তমান শাখতারের স্ট্রাইকার এডুয়ার্ডো এবং সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ এবং বর্তমান ওলফসবার্গ স্ট্রাইকার ইভাচা অলিচ। প্রত্যেকেই কোয়ালিটি গোল স্কোরার। সুতরাং ক্রোয়েশিয়াকে গোল খরাতে পড়তে হচ্ছে না এটা মোটামুটি প্রেডিক্ট করা যায়। অপর স্ট্রাইকার ফিওরেন্টিনার আন্টে রেবিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন।++