| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজু রণরাজ
''নিষিদ্ধের জীবনী'' নিষেধ না মানা পথিক আমি নিষিদ্ধ আচরণে অভ্যস্ত। নিষিদ্ধ কোন নদী অথবা মাঠ ধরে ছুটে চলা নির্জীব আবেগ। আমি নিষিদ্ধ কিছু দেখলেই বলি ছুঁয়ে ফেলো ছুঁয়ে ফেলো নিষিদ্ধ অনুভবে . ডাক ও শাঁখের শব্দে আমি নগ্ন নৃত্য করি নিষিদ্ধ ভঙ্গিতে। আমার উল্লাস সব নিষিদ্ধ মন্ত্রের মতো। নিষিদ্ধ সবকিছু আমার ভালো লাগে। নিষিদ্ধ জীবন, নিষিদ্ধ সুখ, নিষিদ্ধ কষ্ট, নিষিদ্ধ যৌনতা, আমি প্রিয়ার শরীর ছুঁয়ে নিষিদ্ধ সময়ে নিষিদ্ধ আনন্দ খুঁজি। আমার ভালো লাগেনা নিষেধ মানতে। আমি নিষেধ না মানা নিষিদ্ধ কেউ। আমি নিষিদ্ধ শক্তির ঠাকুর। আমি আজন্ম নিষিদ্ধ ভগবানের নিষিদ্ধ মৃত্যু দুত। আমি নিষিদ্ধ দেবতার নিষিদ্ধ আতংক . আমি শুধু নিষিদ্ধের নিষিদ্ধ কলংক। প্রবল পূর্ণিমা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নিষিদ্ধ বাস্তবতা। আমি সেদিকেই পা বাড়াই। আমি নিষিদ্ধ গোলাপ মুঠো করে ধরে রক্তাক্ত হই নিষিদ্ধ হৃদয়ের হাতছানিতে। নিষিদ্ধ সব কিছু থেকে অমি প্রেরনা পাই। -রাজু রনরাজ
'আমার জানা নেই শেফালীকে কিভাবে বর্ননা করব।সে অদ্ভুত। সে অন্যরকম।আমি তার কোনো তুলনা খুঁজে পাইনা।'
কথাগুলো বলতে বলতে সাইদের চোখে পানি চলে এলো।আমি তার কাঁধে হাত রেখে বল্লাম,এক রাতের ই তো ব্যাপার তাইনা?কি এমন আসে যায়!
সাইদ একটু কেঁপে উঠলো তারপর চোখের কোনে জমে থাকা জল হাতের চেটোতে মুছে বলল'তুই কিছুই জানিস না সবুজ তুই বুঝবিনা'
আমি আসলেই বুঝতে পারছিলাম না।বড় খালুর ফোন পেয়ে হঠাৎ এখানে আসা।আমার খালাত ভাই সাইদ কি এক শেফালীর জন্য নাকি নাওয়া খাওয়া ছাড়া।কারো সাথে কথা বলেনা।
এখানে এসে দেখলাম যা শুনেছি তার চেয়েও ভয়ানক অবস্থা।আমি প্রথমেই চমকালাম সাইদের চেহারা দেখে।একটা মোটাসোটা মানুষ কিভাবে এমন কংকালের মত হয়ে যেতে পারে।বুঝলাম অবস্থা বেশ সুবিধার না।
অনেক চেষ্টার পর তার মুখ থেকে যে কয়টা শব্দ বের হয়ে এলো তার মধ্যে ''একটি মাত্র রাত'' ''শেফালী'' এবং ''মায়া'' এই কটা শব্দ উদ্ধার করা গেলো।
এ থেকে আমি ধারনা করলাম শেফালী নামে একটি মেয়ে তাকে এক রাতে মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে।কি এমন মায়া সেটা জানার আগে আমি জানতে চেষ্টা করলাম আশেপাশে শেফালী নামে কেউ থাকে কি না।কিন্ত এ নামে কাউকে পাওয়া গেলনা।এও এক অবাক বিষয়। এত বড় এলাকায় শেফালী নামে কেউ নেই।
আমি মোটামোটি হাল ছেড়ে বসে থাকলাম।কোনো কিছু বুঝতে পারছিলাম না।এদিকে খালা কেঁদে কেটে অস্থির।
খালু গম্ভির মুখে বসে থাকেন।
বাসার বুয়া এসে কান ঝালা পালা করে দিল।তার ধারনা শেফালী মানুষ না,শেফালী পরী।সে বলল,সবুজ বাই, লাল পার শাড়ির আচলের দোহাই লক্ষন খারাফ।বাইজানেরে মনে লয় ফরি আছর করছে।গভীর রাইতে ছাদে আটা আটি করলে কি ছাইরা দিব?সুন্দর বেটা ছেলে দেখলে এদের জিবরায় ফানি আসে।
আমি দেখলাম বলতে বলতে তার মুখেই পানি চলে এল।ধমক দিয়ে সরিয়ে দিলাম।লাল পাড় শাড়ির দোহাইটা মাথার উপর দিয়ে গেলো।
আমি আরো বেশী হাল ছেড়ে দিলাম।
কিন্ত রাতের বেলায় সাইদ মুখ খুললো
তখন গভীর রাত।
চোখ মাত্র লেগে এসেছে।
তখনি বিছানা থেকে ধরফর করে জেগে বসে বলল,সে শেফালী নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছে।মেয়ে থাকে পুব পারা টানাবাজারে।
পেশায় পতিতা।এ কথা শুনে বুকটা ধ্বক করে উঠলো। এটা কিভাবে সম্ভব।
খালা খালু জানলে তাদের প্রতিক্রিয়া কি হবে তা মনে করে শিউরে উঠলাম।
বল্লাম এ সম্ভব নয়।
একজন পতিতা কখনো প্রেমিকা হতে পারেনা।
পরক্ষনেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম,কিন্ত কেনো?
২|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
রাজু রণরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাহেব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: তুই কিছুই জানিস না সবুজ তুই বুঝবিনা। যার কষ্টসেই বুঝে - ভালো লাগলো পড়ে।
বাইজানেরে মনে (লয় ফরি ) হয় পরী
(জিবরায় ফানি আসে) জিব্বায় পানি আসে