![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারও সেই পুরাতন অভিযোগ লিখছি নতুন করে ।
২০১২ সালে যখন টকশোর জনপ্রিয় উপস্থাপক অঞ্জন রায় একুশে টেলিভিশন ছেড়ে অন্য একটি টিভি চ্যানেলে যোগদান করেন ,তখন আমার কাঁধের উপর বর্তায় একুশে রাত টকশোটির প্রযোজনার দায়িত্ব । অঞ্জনদা যাবার বেশ কিছুদিন আগেই প্রযোজক বিকাশ সরকার একুশে টিভি ছেড়ে যান । অনেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাকে দায়িত্ব নিতে হয় । অনিচ্ছার অন্যতম কারন আমার বাসা নারায়ণগঞ্জ। রাত জেগে অনুস্টান শেষে মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার একটা ঝামেলা থেকে যায় । এই সমস্যার সমাধান করে দেন তৎকালীন জিএম কাওসার চৌধুরী । তিনি আমার জন্য রাতে একটি গাড়ি বরাদ্দ করে চিরকৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেন ।
দায়িত্ব গ্রহনের শুরুতে আমার জন্য পুরো বিষয়টি ছিলো বিরাট চ্যালেঞ্জ । কারন আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অনুস্টান প্রযোজনা করিনি । তাদের কারো ফোন নাম্বার আমার কাছে ছিলো না । তারউপর আমি ফোন করলে অপর প্রান্তের রাজনীতিবিদ বা কোনো সুশীলজন আমার ফোন কেনো রিসিভ করবেন ?
তাদের কাছে আমি কে ?
আমার নাম্বারতো তাদের কাছে আননোন ,অপরিচিত ।
এই সব সমস্যা মাসখানেকের ভিতর কাটিয়ে উঠেছি অনেকেরই সহযোগীতায় ।
আজ প্রায় তিনবছর হলো টকশোটির প্রযোজনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি । অঞ্জন দা যাবার পর মজুমদার জুয়েল , নাজমুল আশরাফ , পীর হাবিবুর রহমান ও মনির হায়দার বিভিন্ন সময় টকশোটির উপস্থাপনা করেছেন । বেশ কয়েকটি রাত উপস্থাপনা করেছেন ক্রীড়া সাংবাদিক জুনায়েদ ও সাংবাদিক কনক সারওয়ার । সবশেষে গত দুই বছর যাবত এখনো উপস্থাপনা করছেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না ।
আমি সব সময় তাদের সবার কাছ থেকে আমি অফুরন্ত ভালোবাসা, স্নেহ পেয়েছি । তেমনি তাদের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি তারচেয়েও বেশী । সবার প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা ।
চলার পথে বিভিন্ন সময় ফোন করে অমুকের ফোন নাম্বার ,অমুকের ডেজিগনেশন বা পদবী কি - এই সব বিষয়ে দারুন সহযোগীতা পেয়েছি সাংবাদিক শাহিন রহমান , এসএ টিভির প্রযোজক বিকাশ সরকার, সময় টিভির বকর ভাই, একাত্তুর টিভির প্রযোজক মেরাজুল ইসলাম পলাশ , মেহমুদ খোকন ,আর টিভির পাভেল, মাইটিভির প্রযোজক লালন ফারুকের কাছ থেকে । সহযোগিতার হাত সব সময় প্রসারিত করে রেখেছেন অঞ্জন রায়। সহযোগীতা পেয়েছি একাত্তুর টিভির সাবেক কারেন্ট এফেয়ারস হেড জুলহাস নুরের কাছে । সহযোগীতা পেয়েছি বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের সায়রুল কবীর ও দিদার ভাইয়ের কাছে।
আজ একুশে রাত টকশো প্রযোজনায় আমার তিন বছর পূর্ণ হল।
রাজনীতিবিদ ,অথনীতিবিদ ,সুশীল সমাজ, আইনজীবি ,সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষক, কৃষিবিদ, নারী সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ,পরিবেশবিদ, প্রকৌশলী ,মানবধিকারকর্মী, সাবেক সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ,পুলিশ কর্মকর্তাসহ শিল্পী-কলা -কুশলী সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা । যখনি ফোন করে অনুরোধ করেছি তখনি যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন ,রাত জেগে কস্ট করে টকশোতে অংশ নিয়েছেন , আবারো তাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ।
এই তিন বছরে আমরা টকশোর বেশ কয়জন নিয়মিত মুখকে হারিয়েছি । আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছেন প্রবীন সাংবাদিক এবিএম মুসা ভাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেস্টা,সাংবাদিক মাহবুবুল আলম ভাই, সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী ও অধ্যাপক পিয়াস করিম । তাদের শুন্যতা সব সময় অনুভুত হচ্ছে ।
কস্টের কথাও আছে । বলতে গেলে আবারও সেই পুরাতন অভিযোগ বলতে হয় । ইদানিং বেশ কয়জন তরুন রাজনীতিবিদ আমার বা আমাদের ফোন রিসিভ করেন না । বিষয়টি এই রকম নয় যে ,আমার বা আমাদের নাম্বার তাদের মোবাইলে সেভ করা নেই । কিন্তু কেন রিসিভ করেন না তা বোধগম্য নয় ! অথচ একসময় তারা আমাদের একটা ফোনের জন্য অপেক্ষায় উদগ্রীব হয়ে থাকতেন । বলা যায় এই একুশে টেলিভিশনের টকশো দিয়ে তাদের অনেকের খ্যাতি ও পরিচিতি । এই অভিযোগ বিএনপি ও আওয়ামীলীগ দুই দলের তরুন রাজনীতিবিদদের বেলায় প্রযোজ্য । সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সব সময় তাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে রেখেছেন।
আমার টকশো প্রযোজনার তিন বছরের নানান সময়ের অম্ল. মধুর, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে গত বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে " মধ্যরাতের টকশো :নেপথ্যের কথা" । এই বইটিতে সরাসরি সব কিছুই লেখা হয়েছে । কারো ভ্রুকুটিকে ভয় পেয়ে কলমের গতি থেমে যায়নি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩
মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেছেন: ভালো লাগলো।