![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে টানবাজার পতিতালয়। শত বছরের পুরানো টানবাজার পতিতালয়টি এখন মোহাম্মদ কমপ্লেক্স। গত ২৫ বছর আগে এই পতিতালয়টি উচ্ছেদ হয়েছে। উচ্ছেদ হয়েছে আর. কে. মিত্র রোডের নিমতলা পতিতালয়টিও। সেই সময় পতিতালয় রক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন চার হাজার পতিতার সর্দারনী রীতা খানম। উচ্ছেদ আন্দোলনের অগ্রভাগে বিএনপি জামায়াতের অনেকেই ছিলেন। পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন তরুন আওয়ামীলীগ নেতা, আজকের সাংসদ শামীম ওসমান।
টানবাজার এলাকা রং ,সুতা,কেমিক্যাল ব্যবসার জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে দেশের সকল সরকারী - বেসরকারী ব্যাংকের শাখা। যেখানে প্রতিদিন কয়েক শত কোটি টাকা লেনদেন হয়। আছে আশা ও মাশার নামে দুইটি সিনেমা হল। ঐতিহ্যবাহী হংস থিয়েটার হল ভেংগে গড়ে উঠেছে বহুতল মার্কেট।রয়েছে বেশ কিছু গার্মেন্টস ও নিটিং ফ্যাক্টরী এবং কয়েকশত ব্যবসায়িক প্রতিস্টান ।
পতিতালয়টির অবস্থান ছিলো টানবাজার পার্কের পাশে কুটিপাড়ায় । টানবাজারের প্রবেশ পথ দুইটি । একটি আশা ও মাশার সিনেমা হল ঘেঁষে নোয়াখালী বস্ত্রালয়র পাশ দিয়ে । অন্যটি টানবাজার মসজিদ রোড ঘেঁষে । একসময়ের জমজমাট পতিতালয়টি এখন মৃত । স্বাক্ষী হিসেবে টিকে আছে ১৫/২০ টি ৪/৫ তলার বিল্ডিং । যার বেশীরভাগ মালিক শহরের দেওভোগ , পাইকপাড়া ও বাবুরাইলের বেশ কজন বাড়িওলার । এসব বিল্ডিংয়ের কয়েক শত ছোট ছোট কক্ষে চলতো সমাজের আদিম নিকৃষ্ট দেহ ব্যবসা। প্রতিটি বিল্ডিংয়ের নীচতলায় ছিলো জমজমাট মদের দোকান । টানবাজার পতিতালয়ে ঢুকতে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তর সরুগলির দু'পাশে দালাল, টাউট, সর্দারনী ও মাসীরা খদ্দর পাকড়াওর জন্য অল্পবয়েসী নারীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো। কোন কোন বিল্ডিংয়ের বড় বড় কক্ষে মদ ও নাচের আসর বসানো হতো । সারারাত জেগে থাকতো টানবাজার।প্রতিরাতে আগমন ঘটতো নানান বয়েসী কয়েক হাজার মধুলোভী মানুষের !
ভোরের আযানের সাথে সাথে খদ্দররা চলে গেলে অবসন্ন, পরিশ্রান্ত দেহজীবিরা ১/২ জন করে বা দল বেঁধে স্নান করতে যেত শীতলক্ষ্যা নদীতে, জাহাংগীর কমিশনারের শান বাঁধানো ঘাটে ।
এই টানবাজারে দালালের খপ্পড়ে পড়ে বিক্রি হয়ে কত অবলা নারী হারিয়েছে তাঁর জীবনের শ্রেস্ট সম্পদ । কত নারীকে জীবন দিতে হয়েছে দালাল ও গুন্ডাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে । এইখানেই দৌলত খানের বিল্ডিংয়ে নির্যাতনে প্রান হারিয়েছে কিশোরী শবমেহের । সেই কক্ষটি দেখলাম সীলগালা করা ।
এই বিল্ডিংয়ের প্রবেশ করতেই মনটা কেমন ভার হয়ে গেল । গুমোট একটা ভারী বাতাসে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে শত শত নারীর কান্না !
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ,
নিখুত বর্ণনা!!
খুব যাতায়ত ছিলো হয়তো
নাকি ভুল বললাম!!
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
এমএইচ রনি১৯৭১ বলেছেন: এটা স্মৃতিচারণ নয় ।
অনেকটা কৌতূহল নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম পরিত্যক্ত পতিতালয়টি । সেখানে যখন জমজমাট ,তখ আমি স্কুলের গন্ডিও পার হইনি।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময়ের কড়াল থাবায় কত কিছু ধ্বংস হয়ে যায়! দালানকোঠা গুলোর রঙ কেমন যেন বিবর্ণ, বিষণ্ণ।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
জনাব মাহাবুব বলেছেন: এই বিল্ডিংয়ের প্রবেশ করতেই মনটা কেমন ভার হয়ে গেল । গুমোট একটা ভারী বাতাসে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে শত শত নারীর কান্না !
এখন হাজার হাজার নারীর কান্না ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শহর-গ্রামে। তখন দেহ ব্যবসা ছিল এক জায়গা কেন্দ্রিক। আর এখন দেহ ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে সব জায়গা।
কেউ স্বেচ্ছায়, কেউ ফাদে পড়ে, কেউ লোভে, কেউ বা নিজের চাহিদা মেটাতে নেমে পড়ছে সেই আদিম ব্যবসায়।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: কষ্টের জীবনের স্মৃতিচিহ্ন হয়ে রয়েছে।বঞ্চিতরা সবসময়ই কি অবহেলিত থাকে?কিছু অতীত বড়ই পীড়াদায়ক।সময়ে সময়ে সত্যি অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটে,কিন্তু প্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটে বলে মনে হয় না!
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
ঢাকাবাসী বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভাল লাগল। এটা উচ্ছেদের পিছনে সমাজসেবা নয় ব্যাবসায়িক লোভ রাজনৈতিক লোভ হিংসাই বেশী কাজ করেছিল।
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা +++
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার প্রতিবেদন !!!
৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
মরণের আগে বলেছেন: ধনিরা যখন জাকাত দেয়না তখন গরিবের মেয়েরা নিলাম হয়েযায় ।
১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: অনেক কথাই জানলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
শবমেহের সবাইকে ছুঁয়ে গিয়েছিল!
এখনও প্রতিদিন কত শবমেহের রা জীবনের কষ্টকে বুকে মেখৈই জীবন যাপন করছে তার ইয়াত্তা নাই!
অনেক পুরানো খবরের আপডেট তথ্য জানালেন বলে ধন্যবাদ।