![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশী বাস করেন । বেশীরভাগ বাংলাদেশী কাজের সুত্রে এবং কিছু বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্ট হয়েছেন । এদের বিরাট অংশ মধ্যপ্রাচ্য ,মালেয়শিয়ায় আছেন । এর বাইরে গোটা ইউরোপ ,আমেরিকা,কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় যারা আছেন তাদের সিংহভাগই বৈধ অভিবাসী । কিছু অংশ আছেন অবৈধ কিন্তু অচিরেই হয়তো তাদের বৈধ কাগজ পত্তর হয়ে যাবে । সারাবিশ্বে আমাদের প্রবাসীদের যথেস্ট সুনাম রয়েছে পরিশ্রমী , সৎ ও বন্ধুবৎসল হিসেবে । এই প্রবাসীদের হাড়ভাংগা পরিশ্রমের কস্টার্জিত অর্থ তারা ভোগ বিলাসে ব্যবহার না করে দেশে পরিবার পরিজনের জন্য প্রেরন করেন ।তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের জন্য আজ বাংলাদেশের রির্জাভ আড়াই হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে । এই রেমিটেন্সই আমাদের অর্থনীতির স্বনির্ভর হবার সাহস ও প্রধান চালিকাশক্তি ।
ইউরোপের ১৭টি দেশ ,আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের ৩টি দেশ ও মালেয়শিয়া ঘুরে আসার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ,প্রবাসীদের মাঝে কি অসম্ভব দেশপ্রেম কাজ করে । অনেক কস্টকর পরিশ্রম করার পরও তাদের মন সবসময় দেশের জন্য কাঁদে । দেশের ভালো-মন্দের সব খোঁজ খবর তারা রাখার চেস্টা করেন । প্রবাসে তারা বাংলাদেশকে পজেটিভলি তুলে ধরেন । এর প্রমান তো বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস । বৈশাখী মেলা,ঈদ,পুজা উৎসব ,বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও ভাষা দিবসে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি বিদেশীদের সামনে তুলে ধরেন । প্রবাসে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের আমি দেখেছি তাদের লেখনিতে ,ক্যামেরায় সব সময় বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উজ্জল করে এমন সব রিপোর্ট করতে ।তাদের লেখায় বা ক্যামেরায় কখনোই দেশের মর্যাদাহানি হয় এমন রিপোর্ট করতে আমি অন্তত দেখিনি ।
দেশ থেকে পেশাগত কাজে বা ঘুরতে আসা সাংবাদিক, লেখক,শিল্পী বা মিডিয়ার অন্য যেকোন শাখার মানুষদের প্রতি সহযোগীতার হাত প্রসারিত করতে দেখেছি প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুদেরও ।
প্রবাসে আমাদের দেশের মানুষ কেমন আছেন ?
এ নিয়ে দেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিক বন্ধুরা বহু রিপোর্ট করেছেন পত্রিকা ও টেলিভিশনে। অনেক ভালো ভালো প্রতিবেদন হয়েছে । তেমনি কিছু প্রতিবেদনে তাদের দুঃখ দুর্দশার করুন চিত্রও আমরা উঠে আসতে দেখেছি ।প্রবাসে আমাদের অনেক বাংলাদেশী আজ ব্যবসা বানিজ্যে স্বমহিমায় প্রতিস্টিত। অনেক বড় বড় ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার ,আইটি এক্সপার্ট , বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ,গবেষক ,ব্যাংকার ,অর্থনীতিবিদ ,চিত্রশিল্পী বিদেশীদের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরী করেছেন । তাদের স্ব স্ব কর্মপরিধিতে অবদান রাখায় নানান পুরস্কারে সম্মানিত হয়ে বাংলাদেশেরই ভাবমুর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জল করেছেন ।
আমি আমেরিকা ,ইউরোপের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ,কলেজে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের সাথে কথা বলে দেখেছি ,জেনেছি তারা কি চমৎকার ফলাফল করছে । কানাডা,অস্ট্রেলিয়ায় না গেলেও খবর পাই আমাদের তরুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়াশুনোয় তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আমাদের স্টুডেন্টদের পড়াশুনোর প্রতি আগ্রহ দেখে বিদেশী শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় ,কলেজ কতপক্ষও প্রশংসা করেন । আশা করা যায় ,গ্রাজুয়েশন শেষে এই প্রজন্মের অনেকেই আগামীতে অনেক ভালো ভালো চাকুরী পাবেন । বিদেশে আমাদের প্রবাসীরা শুধু কায়িক পরিশ্রম করেন না , মেধার চর্চা করে নিজেদের অবস্থান তৈরী করে নিচ্ছেন ।
ইউরোপ ,আমেরিকা,কানাডায় আমাদের যে সব প্রবাসী রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন তার প্রধান কারন তাদের জীবন বিপন্ন হবার মতন ঘটনা ঘটেছে বলেই দেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করেননি । এই জন্য কাউকে দেশের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য বা কটুক্তি করতে শুনিনি । কেউ হয়তো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আক্রমনের শিকার হয়ে বাধ্য হয়েছেন দেশ ছাড়তে । কেউ হয়তো পুলিশের মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন । এসব কারনেই অনেকেই দেশ ছেড়ে, পরিবার স্বজন ছেড়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিদেশে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছেন ।
হয়ত সেই সব দেশ এখন আক্রান্ত । তাই বলে আমাদের প্রবাসীরা খারাপ আছেন, নিরাপত্তাহীনতায় আছেন এই কথা কোনভাবেই বলা যাবে না।কারন আমাদের প্রবাসীরা তাদের সততা, পরিশ্রম, মেধা দিয়ে তাদের পারিপার্শ্বিকতাকে জয় করে নিয়েছেন । আমাদের ১/২জনের জন্য গোটা প্রবাসীদের এককাতারে ফেলে তাদের মান সম্মানকে খাটো করে দেখার মানসিকতা পরিহার করতে হবে । যে সব অগ্রজ সাংবাদিক ভাই পুরো বিষয়টি উপলব্ধি না করে প্রবাসীদের কটাক্ষ করেন তা সত্যি দুঃখজনক।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০
কামাল - বলেছেন: আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশ চলছে রেমিটেন্স-এ kintu desh ki sotti somman korchen those are sending remittance ???
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
খোচা বাবা বলেছেন: আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশ চলছে রেমিটেন্স-এ, পাশাপাশি গার্মেন্টস ও কৃষক শ্রমিকদের অবদান আছে।
এই দেশে কোনো এইডস সরকার না থাকলে আরো ভাল চলত।