![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানুয়ারী মাসের ২৪ তারিখ একুশে টিভি হতে চাকুরী ছাড়ার পর অামার কারো কাছে যেতে ইচ্ছে করতো না। আমি ছাড়া সবাই খুব ব্যস্ত। একবার দুইবার গেলে সৌজন্যতা দেখিয়ে চা, সিগারেট খাওয়াতো কিন্তু আধা ঘন্টা একঘন্টা পর বলতে পারছে না কখন আমি উঠে যাবো। তাই কাউকে বিরক্ত না করে প্রায় সময় রমনা পার্কে ঢুকে যেতাম ভরদুপুরে। কত দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেটেছে একাএকা গাছতলায় বসে কিংবা পাকা বেঞ্চে ঘুমিয়ে! ক্ষুধা লাগলে হেটে হেটে চলে গেছি রাজমনি সিনেমা হলের পিছনে কর অফিসের সামনের ফুটপাতের রুটির দোকানে। একটা রুটি,মিঠাই বা ডিমভাজি ও ২/৩ গ্লাস পানিতে পেট পুরেছি। এরকম নয় যে আমার পকেটে টাকা ছিলো না। সময়টা আমার জন্য খারাপ ছিলো বলেই একটু হিসেবী হতে হয়েছে। একদিনের রাজা বাদশাহ হতে চাইনি বলেই আগামীদিনের পকেটের অবস্থা ঠিক রাখতে অনেকটা কৃচ্ছতা সাধন করতে হয়েছে। ।
সন্ধ্যায় হাটতে হাটতে কারওয়ান বাজারে এসে বারিস্তায় বা একা একা সোনারগায়ের পুলসাইডে বসেছি। আড্ডায় কেউ জানতেও পারেনি সারাটাদিন কেমন কাটিয়েছি। এসব বলতে গ্লানি বা লজ্জা আমি বোধ করি না।আমি সময়টাকে বুঝতে চেস্টা করেছি শুধু। চিনতে চেস্টা করেছি মুখোশপরা বন্ধুবেশি শুভানুধ্যায়ীদের! আমার এ সময়টা অনেক কিছু জানতো আমার একসময়ের সহকর্মী মঞ্জুরুল আলম পান্নাভাই, এনামুল হক ,বিকাশ সরকার, কামরুজ্জামান রঞ্জু, সোহাগ মাসুদ, আরটিভির পাভেল, সময় টিভির আসাদ ভাই । সবচেয় বেশী জ্বালিয়েছি ফজলে রাব্বি পলাশ মামাকে । এর বাইরে বন্ধুদের মধ্যে মনিরুজ্জামান মনির ভাই, শাওন ভাই বিপদে আপদে সাথেই ছিলেন সব সময়। তাদের কাছ থেকে অকল্পনীয় সমর্থন, সহযোগিতা যা পেয়েছি তা কক্ষনো ভুলবার নয়। বিষন্নতায় ঘেরা এ সময়টায় অনেকের যে রুপ আমি দেখেছি তার সবই লিখবো। কেউ অখুশি হলেও সত্যটা বলতে অামি কুন্ঠিত হবো না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১
আহলান বলেছেন: সবাই দুধের মাছি । ব্যতিক্রম তো ব্যতিক্রমই !!