![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশকে নিয়ে আমি গর্ভ বোধ করি । বাংলাদেশে জন্মেছি বলে নয়। গর্ভ বোধ করি এই দেশ আমাকে কিছু ভিন্ন মন মানুসিকতা শিখিয়েছে বলে । অনেক দিন আগে কোন এক বিজ্ঞের মুখে শুনেছিলামঃপ্রত্যেকটা মানুষের ভিতর একটা করে পশুত্ব লুকিয়ে থাকে। কথাটা প্রথমে যখন শুনেছিলাম আমার গিলতে খুব কষ্ট হয়েছিলো।তবে আজ ওই কোথাগুলোর সত্যতা খুজে পেয়েছি।
ধন্যবাদ বাংলাদেশ।ধন্যবাদ বাঙালি।
হুমায়ুন আহমেদ এর নিম ফুল নাটকে মুনা ডাকাতকে যখন জনগন নির্মম ভাবে পেটাচ্ছিল তখন মুনা ডাকাত তার ছেলেকে বলছিল, বাজান মানুষ মারার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। দেখ পিচাশেরা কি রকম করে হাসতেছে।মানুষের রক্ত দেখতে আরও আনন্দ।আসলেই আজ আমার তাই মনে হয় । আমাদের বাঙ্গালিরা আজ রক্ত দেখার জন্য পাগল হয়ে আছে।
মানুষকে খুচিয়ে খুচিয়ে মেরে সেই লাশের উপর বাঙ্গালিরা নাচতে না পারলে বাঙ্গালিত্ত টিকে না।আসলেই আমরা বীরের জাতি।পেট্রোল দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছি। ছোট শিশুকে পানি না দিয়ে পাইপ দিয়ে মেরেছি।আরও কত খুনের রেকর্ড যে আছে আমার বাংলায়।
নিরাপত্তা বাহিনীকে যেমন পাবলিক অন দ্যা রোডে পিটিয়েছে তেমনি পুলিশের সামনে একটা জলজ্যান্ত মানুষকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে খুন করার রেকর্ডও কম নয় আমার দেশে।
মানুস কতটুকু শিক্ষিত হলে বিবেগ মুনুসত্ত অর্জন করতে শেখে আমার জানা নেই। বর্তমানে আমরা লেখাপড়া করে আসলেই কি শিক্ষিত হচ্ছি ??এত শিক্ষার সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়েও আমরা আমাদের বাচন ভঙ্গি ঠিক করতে পারিনি। আমাদের প্রতিটি কথার পিছনে থাকে অশ্লীলতার ইংগিত ।এ কেমন শিক্ষা ??
আমাদের বিবেগ যে আজ শূন্যর কোঠায় তা এখন প্রমানিত। যার দু পা নেই যে দুহাতে কাঠের টুকরোর উপর ভর করে চলে। আমাদের দেশের পুলিশ তাকেও হাত কড়া পড়িয়ে ছেড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসারত এক আসামিকে ডাণ্ডা বেড়ী পরিয়ে বেডে চিকিৎসা করাতে বাধ্য করেছে। বেচারা মারা যাবার চার ঘণ্টা যাবত তার ডাণ্ডা বেড়ী খুলা হয়নি। হায়রে আমার বাংলাদেশ!!!
আমাদের দেশের এক চরম ক্রিকেট পেসার শাহাদত ।সম্প্রতি তিনিও শিশু নির্যাতনের আসামি। এরা কি মানুষ ? এরাই কি আমাদের দেশের গর্ব ???
আজ একটা ভিডিও তে দেখলাম পুলিশের সামনে বিচার ছাড়ায় ডাকাত সন্ধেহেএক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ।পুলিশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে উপভোগ করল সে অমানবিক দৃশ্য। রক্তে রক্তে সয়লাব চারিপাশ। আহা !! কি নির্মম ।
মায়ের জঠরে শিশুকে আজ আমার বাংলায় নিরাপত্তা দিতে আমরা বার্থ। তার কচি বুকে আর হাতে বুলেট পুরে দিতে আমাদের বুক একটুও কাপেনি । রশুনের খোসার ন্যায় চামড়ায় বসিয়েছি ২২ টি বাথাময় সেলায়।
আজ ডেলি ইনকিলাবে দেখলাম পিতা পলাতক তাই দুই বছরের শিশুকে ১৮ ঘণ্টা থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এ লজ্জা কোথায় রাখি!! আর কিছু লেখার নাই।মিথ্যা সান্তনা শুধু একটায় আমরা বীরের জাতি ,আমরা বাঙালি...
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
রোষানল বলেছেন: ধন্যবাদ ভবোঘুরে বাউল
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
নতুন বলেছেন: মানবতা কমে যাচ্ছে মানুষের মাঝে।
এটা স্কুলে/কলেজে শিক্ষাও দেয়া হয়না। ধমে` বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। সমাজে ভদ্রলোকের অভাব। কঠিন সময় পার করছে আমাদের সমাজ।
ব্রিটিসদের দেখেছি তারা বাচ্চাদের শেখায়<< দোকানে কেনার সময়/রেস্টুরেন্টে খাবার সময় তারা বাচ্চাদের ' please, thank you,sorry ' কখন বলতে হয়। বাবা/মা বাচ্চাকে পন্যের প্যাকেট টা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে বলে।
ফলে বাচ্চারা ছোট বেলা থেকেই শেখে.... আমরা সেখাচ্ছি কি?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
রোষানল বলেছেন: আমাদের দেশে কোমল মতি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী দের শেখানো হচ্ছে মেহেদি হাসানের থিউরি । যেখানে মেহেদি হাসান লিখেছেনঃ দুটি ছেলে মেয়ের সম্মতিতে শারীরিক মিলন দোষের কিছু নয়।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শৈশবে পড়েছিলাম, গ্রন্থগত বিদ্যা অার পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন । দেশে শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে । মানুষ অার মানুষ নেই ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
রোষানল বলেছেন: একমত
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্রামানিক বলেছেন: উপরের ছবি দেখে কোনটা মানবিক কোনটা অমানবিক সেটা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ সচিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য। আসলেই আমরা বীরের জাতি বটে।